21-10-2022, 02:10 PM
(20-10-2022, 09:13 PM)Bumba_1 Wrote: সেই দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তার মায়ের জল খসানোর সঙ্গে সঙ্গে অপূর্ব নিজেও যে কতবার বীর্যপাত করেছে তার হিসাব সে নিজেও রাখেনি। এই দুর্বল শরীরে এতবার বীর্যস্খলন করে তার শরীর আর বইছিল না। ভোররাতে বিছানায় এসে গভীর ঘুমে নিমগ্ন হয়ে গেলো সে। কতক্ষণ ঘুমিয়েছে খেয়াল নেই, হঠাৎ খুব জোরে শোওয়ার ঘরের দরজা ধাক্কানোর আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল তার। "বাবু দরজাটা খোল প্লিজ .. তাড়াতাড়ি খোল .. আমার ভীষণ ভয় করছে .." তার মায়ের এইরকম আওয়াজ গলায় আসতেই ধড়মড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে দিলো অপূর্ব। ঘড়িতে তখন ভোর পাঁচটা বাজে।
বিধ্বস্ত শরীরে কালকের সেই নাইটিটা পড়া অবস্থায় ক্রন্দনরতা তার মা'কে দেখে অপূর্ব প্রথমে ভাবলো হয়তো কালকের ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে তার মা এইরকম আচরণ করছে .. একজন ভদ্রঘরের মহিলার কাছে এটাই যে স্বাভাবিক সেটা অপূর্ব জানে। কিন্তু তারপর যখন সে দেখলো তার মায়ের চোখে মুখে একটা আতঙ্কের ছাপ ছড়িয়ে পড়েছে এবং অর্ধেক খোলা ওদের বেডরুমের দরজার দিকে তাকিয়ে নিজের আঙুল দিয়ে দিকনির্দেশ করে কিছু একটা বলতে চাইছে কিন্তু গলায় দলা পাকানো কান্নার মতো আটকে গিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না।
অপূর্ব দৌড়ে গিয়ে ওদের বেডরুমের দরজা খুলেই আঁতকে উঠে কয়েক পা পিছিয়ে এলো। তার কাঁধে একটা হাতের স্পর্শ পেতেই তাকিয়ে দেখলো তার মা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ঘরের মেঝেতে ড্রেসিং টেবিলের সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় জ্যাকির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে .. চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে, বুকের বাঁদিকে হৃদপিন্ডের ঠিক নিচে কোনো একটি ধারালো এবং ছুঁচোলো অস্ত্র দিয়ে বারংবার কোপানোর ফলে সেখানে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্ত নির্গত হতে হতে জমাট বেঁধে গিয়েছে আর তার সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে ভেতরের কয়েক টুকরো মাংসপিণ্ড। তলপেটের নিচটায় চোখ যেতেই অতিমাত্রায় শিউরে উঠলো অপূর্ব। জ্যাকির সম্পূর্ণ পুরুষাঙ্গ এবং অণ্ডকোষ কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তার মৃতদেহের বাঁ-পাশে পড়ে রয়েছে। এবার তার চোখ গেলো খাটের উপরে দুই হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে থাকা ওসমানের মৃতদেহের দিকে। এমনিতেই কদাকার মুখের অধিকারী দুর্বৃত্তটার দুটো চোখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুবলে নেওয়ার ফলে তার সমগ্র মুখমণ্ডল আরো বীভৎসরূপ ধারণ করেছে। তলপেটে নাভির দুই দিকে ধারালো শলাকা দিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেওয়া হয়েছে আর তলপেটের নিম্নভাগে জ্যাকির মতো তার বিশালাকার পুরুষাঙ্গটিও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে, যেটা এই মুহূর্তে অপূর্বর চোখে পড়লো না।
এইরকম বীভৎস নারকীয় দৃশ্য দেখে মুখ দিয়ে "ওয়াক" করে বমি উঠে এলো তার। এরপর নিজেকে কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করে তার মা'কে হাত ধরে টানতে টানতে নিজেদের বেডরুমে নিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করলো "মা .. এটা কি করে হলো .. কি করে .."
তার কথা সমাপ্ত হওয়ার আগেই তাকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বর্ণালী দেবী বলে উঠলেন "আমি জানিনা .. কিচ্ছু জানিনা .. বিশ্বাস কর .. আমি কিছু করিনি .. ভোর রাতের দিকে এই চারটে নাগাদ ওই দু'জন চলে গেলো .. আমি তো .. আমি তো তখন ঘুমিয়েছিলাম .. তারপর .. তারপর সেই ভয়ঙ্কর .. আ..আমি কিছু জানি না .. আমি কিছু দেখিনি .." কথাগুলো শেষ করার আগেই সংজ্ঞা হারালেন বর্ণালী দেবী।
সেই মুহূর্তে ডোরবেলের আওয়াজে ভীতসন্ত্রস্ত অপূর্ব এক পাশে ছিটকে সরে গেলো। সে মনে করলো নিশ্চয়ই পুলিশ এসেছে আর এখনই তাদের দু'জনকে ধরে নিয়ে যাবে। এই অচেনা জায়গায় কে তাদের রক্ষা করবে? তাদের জীবনটাই শেষ হয়ে গেলো এখানে এসে, এর পুরোটাই তার ভুলের জন্য হয়েছে। তবুও নিজের মনে জোর এনে ধীরে ধীরে মেইন দরজা খুলে দেখলো হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই বাংলোর কেয়ার্টেকার রাখাল। লোকটাকে দেখেই অপূর্ব আর নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলো না। ডুকরে কেঁদে উঠে লোকটার পা জড়িয়ে ধরে কাল দুপুর থেকে শুরু করে আজ ভোর পাঁচটার পরে ঘটা সমস্ত ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়ে ওদের বেডরুমের দিকে দিক নির্দেশ করলো।
সবকিছু দেখে শুনে রাখাল যখন সোফার উপর ধপ করে বসে পড়লো তখন অপূর্ব তার সামনে গিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় হাঁটু গেঁড়ে বসে বললো "সবকিছুই তো শুনলেন আর দেখলেন কাকু .. বিশ্বাস করুন এই ঘটনা আমরা ঘটাইনি .. আমার মা ওই ঘরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে .. তিনি একজন অবলা মহিলা আর আমি একটা অল্পবয়সী রোগা-পাতলা ছেলে। ওদের মতো দু'জন শক্তসবল মানুষের সঙ্গে আমরা পারবো কেন! এই কাজ আমরা করিনি .. আমাদের এই বিপদ থেকে বাঁচান কাকু.."
"তোমাকে এতবার অনুনয় করে বলতে হবে না, কে কি করতে পারে আর না পারে সেটা বোঝার মতো বয়স আমার হয়েছে। আজ থেকে তো এই বাংলোতে কাজ করছি না, তোমার বয়স থেকে কাজ করছি। কত মেয়ে এবং মহিলার সর্বনাশ হতে দেখেছি নিজের চোখের সামনে .. পেটের দায় মুখ বুজে থেকেছি, কিচ্ছু বলতে পারিনি। তুমি যার চেহারার বর্ণনা দিলে ওই লোকটা আদৌ পুলিশ নয় .. ওরা এখানে একটা সেক্স র্যাকেট চালায়। পাপের ঘরা তো একদিন পূর্ণ হতেই হতো .. এটা হওয়ারই ছিলো। আমি জানি তো তোমার মায়ের কি অবস্থা ওরা করতে পারে .. উনার পড়ার সমস্ত জামাকাপড় ওরা নষ্ট করে দিয়েছে।। তাই এই প্যাকেটে তোমার মায়ের জন্য শাড়ি সায়া ব্লাউজ নিয়ে এসেছিলাম .. কিন্তু এখানে এসে এইরকম একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এটা ভাবতে পারিনি। যাইহোক, সময় বয়ে চলেছে .. বেশি কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। এখন সবে পৌনে ছ'টা বাজে এই চত্বরে সাতটা সাড়ে সাতটার আগে দিনের আলো সেভাবে ফোটে না আর কেউ বেরোয় না। তোমার মায়ের তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফেরানোর ব্যবস্থা করে উনাকে এই জামা কাপড়গুলো দাও। তারপর স্নানটান সেরে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ো দু'জনে এখান থেকে। আমি একটা অটো রিজার্ভ করে দিচ্ছি। সকাল ৮ টায় মায়াবন্দর স্টেশন থেকে গঙ্গানগর যাওয়ার ট্রেন আছে .. ওটা মিস করলে চলবে না।"
রাখালের মুখে কথাগুলো শুনে প্রথমে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো অপূর্ব। তারপর বলে উঠলো "তোমার কি হবে কাকু? এদিকে যে.." অপূর্বকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে রাখাল পুনরায় বললো "আমি এদিকটা সামলে নেবো .. যাও তুমি আর দেরি করো না।"
এই বাংলোতে কাটানো পরবর্তী সময়গুলো যেন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে কেটে যাচ্ছিল অপূর্ব আর তার মায়ের। ভগবানের পাঠানো পয়গম্বরের মতো রাখালের ঠিক করে দেওয়া অটোতে স্টেশন আসতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগে গেলো। স্টেশনে পৌঁছতেই ট্রেনের এনাউন্সমেন্ট হয়ে গেছিলো। এতক্ষণ মনে না পড়লেও তার মায়ের সঙ্গে গঙ্গানগরগামী ট্রেনে উঠে আগেরদিন বিকেলে সেই আননোন নম্বর থেকে আসা ফোন কলটার কথা হঠাৎ মনে পড়লো অপূর্বর।
east & west
bumba is the best
awesome update keep going