10-10-2022, 08:18 AM
পর্ব ৩: তদন্ত
(উসওওছচ্ আহহ্। নাহ চায়ে চিনি দেয় নি। পুড় তিতা বানাই ফেলছে। সাব যে ক্যামনে খাচ্ছে কে জানে । এটাতো মায়ার মা। তাইলে কি ঐ পাশে বসে থাকা মেয়েটাই মায়া? উফ্ শালা খান্দানী মাল একপিস। ফিগার বানাইছে কি দেখ। রতকের আর কি দোষ। এম্মা ছেমরি যদি রাস্তায় রাতে একা একা ঘুরে, আমি হলে তো ছিড়ে পিষে ফেলতাম। হট স্যারই বা বসে বসে কি প্যানন প্যানানি কান্না শুনছে এই মা মাগীটার। যত্তসব...)
রহমতুল্লা- জসিম!
জসিম- হ, হ সার কন। (ভাবনায় ছেদ পরায় কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েছে বুঝতে পেরেই বলে উঠলো,) সাব, আপনি আমি গাড়ি থেকে ফাইলটা লইয়া আসি।
রহমতুল্লা- যাও, (হটাৎ ফোনে রিং আসায় কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পরে রহমতুল্লা)
জসিম- ঊফ্ বাবা, খুব বাচা বেঁচেছি। কে জানে সাব খেয়াল করেছে কিনা আমি ঐ মেয়েটার দিকে ওভাবে তাকিয়েছিলাম। ভাগিস্য ফোনটা এসেছিল। (এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ি থেকে ফাইলটা নিয়ে খুলে একট চোখ বোলাতে থাকে।
...
আদি- তো আজকে আমার পড়বো এসিড সম্পর্কে। স্বাভাবিক ভাষায় এসিড কাকে বলে? বুঝবো কিভাবে যে আমার সামনে যে তরল পদার্থ টি আছে তা এসিড না ক্ষার নাকি নিরপেক্ষ। সোজা বাংলায়, যে সমস্ত হাইড্রোজেন সমন্বিত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে ক্যাটায়ন হিসাবে কেবলমাত্র হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে তাদের এসিড বলে। কিন্তু পানিতেও তো হাইড্রোজেন আছে তাহলে কি ওটাও এসিড?
দেখো তোমরা আরহেনিয়াস তত্ত্ব তত্ত্ব এগুলো অনেক আগেই পড়ে এসেছ। তাই এসব নিয়ে কথা বলবো না। তোমাকে কোন একটা কিছু একটা এনে বলে যে সেটা কি? তাহলে তুই সোজা বাংলা করে দেবে এটা এসিড। এসিড হোক ক্ষার হোক তোমাকে জানা লাগবে না তুমি বলে দিলেই হল।
ছাত্র ১- কেমনে কি স্যার?
ছাত্র ২- আরে বাল শালা গাঞ্জা খাইয়া আইছে সিওর থাক।
পুরো ক্লাসে হাসির রোল পরে গেল। একটা সময় ছিল যখন শিক্ষকের প্রতিটা কথা সব ছাত্র ছাত্রীরা মন দিয়ে শুনতো। ২+২ যদি শিক্ষক ৫ ও বলতো তবে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতো। আর এখন, বেজ্জতি করতে পারলে কুল হবে সবার মাঝে... যেমন শিক্ষাব্যবস্থা তেমনি তো সমাজ হবে।
প্রথম প্রথম কোচিংয়ে ক্লাস নিতে এসে এগুলো খুব খারাপ গায়ে লাগতো আদির। এখন কেন জানিনা এসব অভ্যাস হয়ে গেছে। ক্লাস শান্ত হয়ে গেলে আদি তার লেকচার আবার শুরু করলো। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে সবকিছু হজম করা শিখতে হয়।
আদি- গাঞ্জা শুধু আমি একা খাই না। এই ক্লাসে তোমরা অনেকেই খাও। তো যাই হোক, কোন বস্তু এসিড না ক্ষার তার ধর্ম নির্বাচিত হয় তার বিক্রিয়কের দ্বারা। সেই হিসাবে পানিও এসিড। এমনকি সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় পদার্থ আর্গনও এসিড।
ছাত্র ৩- স্যার আজ আপনার জৈব যৌগের পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।
আদি- ভালোকথা মনে করেছো। সবাই যে যার খাতা বের করো। কুইক কুইক কুইক...
...
উৎস- আরে জসিম ভাই নাকি?
জসিম- কে? কে রে তুই?
উৎস- আমায় চিনলেন না? ঐ যে এক রাতে নেশা করে রাস্তায় পরেছিলাম। আপনার স্যারকে খুব রাগিয়ে দিয়েছিলাম।
জসিম- চিনলাম না। যায় হোক, তোর এদিকে কি?
উৎস- আমি তো ভাই সব জায়গায় থাকি। পুরো ঢাকাই আমার বাড়ি।
জসিম- হ্ তুই তো পুরো ঢাকার রাজা। যা সর্। যত্তসব। কামের সময় কাম করতে দে।
উৎস- আদাব ভাই। আজ তাইলে আসি। আর আপনের স্যারকে আমার সালাম দিয়েন।
জসিম - তুই গেলি এহান তে। যত্তসব আজাইরা পোলাপান। কামের সময় খালি ডিস্ টাব। হালা সকাল থেকে মেজাজটা খিচরে আছে। আর বান্দির পো আরও বিরগে দিয়ে গেল। (গালি দিতে দিতে বাড়ির মধ্যে ধুকতেই ধাক্কাটা খেল জসিম।) দৌড়ে গিয়ে রহমতুল্লা স্যারকে সব বলতে হবে। কি ভেবে আবার উল্টা দিকে ঘুরে রাস্তায় গিয়ে এদিক ওদিক খুজে দেখে জসীম। না? কোথও নেই। পুরো এলাকা জনমানবহীন। একটা পাতা পড়ারও শব্দও শোনা যায় যেখানে, সেখনে যেন ভোজবাজির মতো একটা আস্ত মানুষ হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
...
রহমতুল্লা- তো মিস্টার দাশ, আপনার দাবি হচ্ছে আপনার পরিচিত এমন কেউ নেই যে এই কাজ করতে পারে। মানে আপনাদের পরিবারের কেউ নয়। আর আপনারদের দাবি মায়ার কোনো বয়ফ্রেন্ড বা এমন কোনো বন্ধু নেই যে এটা প্রতিশোধের জন্য করতে পারে।
পরিমল দাশ- হু... পরিবার। আজকাল তো পরিবার আত্মীয়-স্বজন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। (একটু থেমে, হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে) দোষ কি আমার মেয়ের ছিল? পুরো সমাজ তাকে ছিন্নমূলের মতো ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।
রহমতুল্লা- দেখুন দাশ বাবু আমি আপনার বিষয়টা বুঝতে পারছি। আপনিও যদি একটু...
পরিমল- না! আপনি কিছুই বুঝছেন না। আজ যদি মায়া আপনার মেয়ে হতো আপনি বুঝতেন আমাদের কষ্টটা। মা আমার সারাদিন মৃত লাশের মতো জ্বলে পুড়ে মরছে। সমাজে কানাঘুষো চলে। ওর মা কিছু বলতেও পারেনা করতেও পারে না। (হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মৃন্ময়ী দেবী।)
মায়া- কাকে কি বলছ বাবা? (হঠাৎ সুপ্ত আগ্নিয়গিরির মতো ফেটে ওঠে মায়া) এদের কাছে আমাদের চোখের জলের মূল্য আছে? এদের কাছে ঐ বড়লোক বাপের ইতর, জানেরারে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আপনাকে বলছি, স্টেটমেন্ট লিখে নিন খুন আমি করেছি। দিবেন ফাঁসি? দিতে পারবে আপনার আইন?
এমন সময় জোড় শব্দে দশজা খুলে হাপাতে হাপাতে ভেতরে এল জসিম।
জসিম- সাব, আহ্ সাব.. খুনি--পাগলটা...
রহমতুল্লা- কি আবোল তাবোল বলছ। খুলে বলো। তোমাকে তো ফাইল আনতে দিলাম এতক্ষন লাগে?
জসিম- সাব ঐ মাতালটাই খুন করছে..... ফাইল... ফাইল আনতে গিয়ে...
(উসওওছচ্ আহহ্। নাহ চায়ে চিনি দেয় নি। পুড় তিতা বানাই ফেলছে। সাব যে ক্যামনে খাচ্ছে কে জানে । এটাতো মায়ার মা। তাইলে কি ঐ পাশে বসে থাকা মেয়েটাই মায়া? উফ্ শালা খান্দানী মাল একপিস। ফিগার বানাইছে কি দেখ। রতকের আর কি দোষ। এম্মা ছেমরি যদি রাস্তায় রাতে একা একা ঘুরে, আমি হলে তো ছিড়ে পিষে ফেলতাম। হট স্যারই বা বসে বসে কি প্যানন প্যানানি কান্না শুনছে এই মা মাগীটার। যত্তসব...)
রহমতুল্লা- জসিম!
জসিম- হ, হ সার কন। (ভাবনায় ছেদ পরায় কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েছে বুঝতে পেরেই বলে উঠলো,) সাব, আপনি আমি গাড়ি থেকে ফাইলটা লইয়া আসি।
রহমতুল্লা- যাও, (হটাৎ ফোনে রিং আসায় কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পরে রহমতুল্লা)
জসিম- ঊফ্ বাবা, খুব বাচা বেঁচেছি। কে জানে সাব খেয়াল করেছে কিনা আমি ঐ মেয়েটার দিকে ওভাবে তাকিয়েছিলাম। ভাগিস্য ফোনটা এসেছিল। (এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ি থেকে ফাইলটা নিয়ে খুলে একট চোখ বোলাতে থাকে।
...
আদি- তো আজকে আমার পড়বো এসিড সম্পর্কে। স্বাভাবিক ভাষায় এসিড কাকে বলে? বুঝবো কিভাবে যে আমার সামনে যে তরল পদার্থ টি আছে তা এসিড না ক্ষার নাকি নিরপেক্ষ। সোজা বাংলায়, যে সমস্ত হাইড্রোজেন সমন্বিত যৌগ জলীয় দ্রবণে আয়নিত হয়ে ক্যাটায়ন হিসাবে কেবলমাত্র হাইড্রোজেন আয়ন উৎপন্ন করে তাদের এসিড বলে। কিন্তু পানিতেও তো হাইড্রোজেন আছে তাহলে কি ওটাও এসিড?
দেখো তোমরা আরহেনিয়াস তত্ত্ব তত্ত্ব এগুলো অনেক আগেই পড়ে এসেছ। তাই এসব নিয়ে কথা বলবো না। তোমাকে কোন একটা কিছু একটা এনে বলে যে সেটা কি? তাহলে তুই সোজা বাংলা করে দেবে এটা এসিড। এসিড হোক ক্ষার হোক তোমাকে জানা লাগবে না তুমি বলে দিলেই হল।
ছাত্র ১- কেমনে কি স্যার?
ছাত্র ২- আরে বাল শালা গাঞ্জা খাইয়া আইছে সিওর থাক।
পুরো ক্লাসে হাসির রোল পরে গেল। একটা সময় ছিল যখন শিক্ষকের প্রতিটা কথা সব ছাত্র ছাত্রীরা মন দিয়ে শুনতো। ২+২ যদি শিক্ষক ৫ ও বলতো তবে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতো। আর এখন, বেজ্জতি করতে পারলে কুল হবে সবার মাঝে... যেমন শিক্ষাব্যবস্থা তেমনি তো সমাজ হবে।
প্রথম প্রথম কোচিংয়ে ক্লাস নিতে এসে এগুলো খুব খারাপ গায়ে লাগতো আদির। এখন কেন জানিনা এসব অভ্যাস হয়ে গেছে। ক্লাস শান্ত হয়ে গেলে আদি তার লেকচার আবার শুরু করলো। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে সবকিছু হজম করা শিখতে হয়।
আদি- গাঞ্জা শুধু আমি একা খাই না। এই ক্লাসে তোমরা অনেকেই খাও। তো যাই হোক, কোন বস্তু এসিড না ক্ষার তার ধর্ম নির্বাচিত হয় তার বিক্রিয়কের দ্বারা। সেই হিসাবে পানিও এসিড। এমনকি সবচেয়ে নিষ্ক্রিয় পদার্থ আর্গনও এসিড।
ছাত্র ৩- স্যার আজ আপনার জৈব যৌগের পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।
আদি- ভালোকথা মনে করেছো। সবাই যে যার খাতা বের করো। কুইক কুইক কুইক...
...
উৎস- আরে জসিম ভাই নাকি?
জসিম- কে? কে রে তুই?
উৎস- আমায় চিনলেন না? ঐ যে এক রাতে নেশা করে রাস্তায় পরেছিলাম। আপনার স্যারকে খুব রাগিয়ে দিয়েছিলাম।
জসিম- চিনলাম না। যায় হোক, তোর এদিকে কি?
উৎস- আমি তো ভাই সব জায়গায় থাকি। পুরো ঢাকাই আমার বাড়ি।
জসিম- হ্ তুই তো পুরো ঢাকার রাজা। যা সর্। যত্তসব। কামের সময় কাম করতে দে।
উৎস- আদাব ভাই। আজ তাইলে আসি। আর আপনের স্যারকে আমার সালাম দিয়েন।
জসিম - তুই গেলি এহান তে। যত্তসব আজাইরা পোলাপান। কামের সময় খালি ডিস্ টাব। হালা সকাল থেকে মেজাজটা খিচরে আছে। আর বান্দির পো আরও বিরগে দিয়ে গেল। (গালি দিতে দিতে বাড়ির মধ্যে ধুকতেই ধাক্কাটা খেল জসিম।) দৌড়ে গিয়ে রহমতুল্লা স্যারকে সব বলতে হবে। কি ভেবে আবার উল্টা দিকে ঘুরে রাস্তায় গিয়ে এদিক ওদিক খুজে দেখে জসীম। না? কোথও নেই। পুরো এলাকা জনমানবহীন। একটা পাতা পড়ারও শব্দও শোনা যায় যেখানে, সেখনে যেন ভোজবাজির মতো একটা আস্ত মানুষ হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
...
রহমতুল্লা- তো মিস্টার দাশ, আপনার দাবি হচ্ছে আপনার পরিচিত এমন কেউ নেই যে এই কাজ করতে পারে। মানে আপনাদের পরিবারের কেউ নয়। আর আপনারদের দাবি মায়ার কোনো বয়ফ্রেন্ড বা এমন কোনো বন্ধু নেই যে এটা প্রতিশোধের জন্য করতে পারে।
পরিমল দাশ- হু... পরিবার। আজকাল তো পরিবার আত্মীয়-স্বজন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। (একটু থেমে, হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে) দোষ কি আমার মেয়ের ছিল? পুরো সমাজ তাকে ছিন্নমূলের মতো ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।
রহমতুল্লা- দেখুন দাশ বাবু আমি আপনার বিষয়টা বুঝতে পারছি। আপনিও যদি একটু...
পরিমল- না! আপনি কিছুই বুঝছেন না। আজ যদি মায়া আপনার মেয়ে হতো আপনি বুঝতেন আমাদের কষ্টটা। মা আমার সারাদিন মৃত লাশের মতো জ্বলে পুড়ে মরছে। সমাজে কানাঘুষো চলে। ওর মা কিছু বলতেও পারেনা করতেও পারে না। (হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মৃন্ময়ী দেবী।)
মায়া- কাকে কি বলছ বাবা? (হঠাৎ সুপ্ত আগ্নিয়গিরির মতো ফেটে ওঠে মায়া) এদের কাছে আমাদের চোখের জলের মূল্য আছে? এদের কাছে ঐ বড়লোক বাপের ইতর, জানেরারে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আপনাকে বলছি, স্টেটমেন্ট লিখে নিন খুন আমি করেছি। দিবেন ফাঁসি? দিতে পারবে আপনার আইন?
এমন সময় জোড় শব্দে দশজা খুলে হাপাতে হাপাতে ভেতরে এল জসিম।
জসিম- সাব, আহ্ সাব.. খুনি--পাগলটা...
রহমতুল্লা- কি আবোল তাবোল বলছ। খুলে বলো। তোমাকে তো ফাইল আনতে দিলাম এতক্ষন লাগে?
জসিম- সাব ঐ মাতালটাই খুন করছে..... ফাইল... ফাইল আনতে গিয়ে...
চলবে...
একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও