25-09-2022, 08:11 PM
(25-09-2022, 08:05 PM)reeman Wrote: - এই অনিক সোনা তারা তারি নেও
- হ্যা মা এই তো হয়েগিয়াছে
- আমি টেবিলে নুডুস রেখেছি খেয়ে নেও । আমি তৈরি হয়ে নিচ্ছি। আর হ্যা homework এর খাতা টা নিও
- আচ্ছা মা ।
কথা গুলো শেষ হতেই অনিক তারা তারি তৈরি হতে লাগলো। এক এক করে গতরাতে করা সকল বাড়ির কাজ গুলো ব্যাগে সুন্দর করে গুছিয়ে নিলো । আর এই দিকে অনিমা সেন নিজেও তৈরি হতে লাগলেন ।
একদিকে তো এতো সুন্দর দেখতে তবুও ঠোটে হালকা মিষ্টি রঙের লিপস্টিক সহ পিছনে চুল গুলো কে এক হাতে নিয়ে আরেক হাতে বাধতে ব্যস্ত । ঠিক তখনি মোবাইল ফোনের টুঙ টুঙ টুঙ তিনটা শব্দে চোখ দুটো মোবাইলের উপর চলে গেলো।
আর ঠোটে হালকা হাসি নিয়ে ফোন টা হাতে নিলো অনিমা সেন।
ফোনের ভিতরের মানুষটার সাথে পরিচয় এইতো মাস তিনেক হবে। পরিচয় টা বাবুর (অনিক) কলেজে । অর্থাৎ যে দিন প্রথম বাবুকে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েছিল ঠিক সেই দিন থেকেই ।
অনিকের কলেজের প্রিন্সিপাল বজলুর রশিদ ।
যেমন হাট্টা গাট্টা একটা শরীর তেমন ই গরুর মতো চোখ দুটা বড় বড়।
তবুও মানুষটাকে প্রথমে যেমন মনে হয়েঠিল তেমন টা আসলে না।
দিন দিন উপর দিয়ে যে ভাবে কথা বলে অনিমার সাথে বন্ধুত্ব করে নিয়েছে । এতে এইটুকু স্পষ্ট যে মানুষটা অনেক সরল ।
অনিমা সেন নিজের ফোনে whatsapp এ ঢুকতেই ভেসে ওঠলো বজলুর মুখ। যেটা save করা আছে 1432 number. এ । যেনো কেউ বুঝতে না পারে। এবং কথা বলার পর ই সব কথা মুছে দিতেও দেরি করে না অনিমা সেন ।
- অনিমা তুমি বলেছিলে আজ আমার সাথে যাবে ওইখানে , সত্যিই যাবে তো ?
- ওনি কি সত্যিই আসবেন ?
- হ্যা তোমাকে দেখতে চায় শুধু একবার ।
- আচ্ছা দেখে কি হবে শুনি?
- মাকে আমি অনেক বার বলেছি তোমার কথা । আমার বর্ণনা শুনে তিনি অনেক আশা করে গ্রাম থেকে এসেছে শুধু তুমি রাজি হয়েছো বলে ।
- আচ্ছা বাবা দেখা করবো । কিন্তু কিভাবে ? অনিককে তো কলেজে নিয়ে ওখানেই থাকতে হবে ।
- তুমি চিন্তা করো না । মা সব ভেবে রাখছে। আর তুমি যে এখানে আসবে কেউ জানতে পারবে না ।
- আচ্ছা ঠিক আছে
বলে ফোনটা কেটে দিল। এবং ভাবতে লাগলো যাওয়া ঠিক হবে কিনা? এমন সময় হঠাত করেই ত
নাসরিন কে ফোন করে বিষয়টা জানাতে চাইলো । নাসরিন অনিকের বন্ধু পারভেজ । দুই জন একসাথেই পড়ে এবং সেই সূত্রে অনিমা আর নাসরিনের পরিচয়।
নাসরিন সব ই জানে যে বজলুর সাথে অনিমার বন্ধুত্ব নিয়ে। সে তো সব সময় অনিমাকে সাপোর্ট করে। এবং বজলুর বলতে গেলে বেশি ঘনিষ্ঠ।
বিষয়টা যখন নাসরিন কে জানানো হলো তখন নাসরিন তাকে কোনো কিছু আর ভাবতে নিষেধ করলো না। আর করবেই কেনো সেও তো এক ই জিনিস টা চায়। এবং তাকে আরো সাপোর্ট দিলো যেনো সেখানে সে যায় ।
এইদিকে অনিক খেয়ে ঘরির দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে আম্মু এতো দেরি করছে কেন?
ঠিক তখন ই অনিমা সেন ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলো। সুন্দর করে শাড়ি পড়ে। অনিক একটু চমকে গিয়াছে। কারণ সচড়াচড় তার আম্মু শাড়ি পড়ে থাকে কলেজে নিয়ে যায় না। যাই হোক দুই জন একসাথে কলেজের পথে চলছে। অনিক শুধু চারপাশ দেখছে কেমন ভাবে সব মানুষ গুলো আম্মুকে দেখছে। আম্মু সুন্দর করে একটা লাল টিপ পড়েছে । এই টিপ পড়লে তার আম্মুকে অনেক সুন্দর লাগে।
আর সেই শরীরের ঘ্রাণ টাও অনেক মিষ্টি ঠিক তার মায়ের মতোই। তার বাবা দুই দিনের জন্য দিল্লি গিয়াছে। কলকাতায় তারা দুই দিন একাই থাকবে।
তার বাবা তার জন্যে এক পেকেট চকলেট রেখে গিয়াছে । সাথে সুন্দর একটা মটর গাড়ি । এইগুলোই অনিক তার বন্ধু পারভেজকে বলছিল, আর ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল। পিছনে তাকিয়ে দেখলো তার মা আর নাসরিন আন্টি কি নিয়ে যেন কথা বলছে। মা মাথা নিচু করে রেখেছে ।
ঠিক তখনি সামনে সেই মানুষটা হাজির । এইতো কিছুদিন আগে কলেজের অনুষ্ঠানে মা আর এই প্রিন্সিপাল স্যার অনেকটা সময় একসাথে স্যারের রুমে ছিল । মা অবশ্য পড়ে বলেছে যে '' তোমার বিষয়ে স্যার অনেক কিছু বললো। তুমি ভবিষ্যতে অনেক ভালো করবে। আর কি কি করলে আরো ভালো করা যাবে এইসব আরো কত কথা ''
শিশুরা সব সময় সরল । তারা সব সময় ই সরল ভাবে বুঝতে চায় সব বিষয়। তারা জটিল বুঝে না।
নাসরিন আন্টি পারভেজ আর তাকে(অনিক) অবশ্য নিজের কাছেই রেখেছিল ।
- অনিক পড়াশোনা কেমন হচ্ছে সোনা?(গালে হাতটা রেখে )
- জ্বী স্যার অনেক ভালো
-ভালো করে পড়বে কেমন, আর হ্যা তোমার মা কোথায় ?
- মা তো আন্টির সাথে বাইরে
এই কথা শুনে শয়তানের সেই হাসি যেইটা সেই দিন আম্মুকে নিয়ে অনুষ্ঠানে স্যারের কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় দিয়েছিল সেই এক ই হাসি আজ ও।
- এই অনিক চল তারা তারি ক্লাস শুরু হবে।
বা পাশ থেকে পারভেজ কথা গুলো বলে ওঠলো।
আর তারা দুইজন ক্লাসে চলে যেতে লাগলো আর শয়তান টা রাজ্য জয় করতে।
(ভালো অথবা খারাপ দুটাই কমেন্টস করবেন আশা করছি )
Next update 25 তারিখ রাত 9 টায়।
golpo ta bhalo suru korechen ............update ta regular basis e deben.........chalie jan