Thread Rating:
  • 26 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller দ্যা লাস্ট কেস (ছোট গল্প)
#20
পর্ব-২





স্তব্ধ হয়ে আছে মিত্রা, চোখের পাতা গুলো নড়ছে না, চোখের মণি গুলোও এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে। ওর শ্বাস চলছে নাকি দেখে বুঝার উপায় নেই, মাটির পুতুলের মত কাগজগুলো হাতে নিয়ে বসে আছে। নিজেকে কেমন উদ্বাস্তুর মত মনে হচ্ছে নিজের কাছে, পায়ের নিচের শক্ত মাটি টা যেন উধাও হয়ে গেছে। মিত্রার মনে হচ্ছে ও হয়তো কোন গিরিখাতের শেষপ্রান্তে এসে দাড়িয়ে আছে নাকি ওকে আজ সেখানেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কিংশুক। দু চোখ বেয়ে অঝোর ধারা বয়ে চলেছে।


কি হলো মিত্রা? তুমি এমন করে কাঁদছো কেন, সব কিছু ঠিকঠাক আছে তো, কিছু হয়েছে নাকি, কিছু তো বলো- সুজিতের ডাকে আবার বর্তমানে ফিরে আসে মিত্রা, ক্ষিপ্রতায় চোখের জল মুছে নেয়। ওর মনেই ছিল না যে সুজিত ওর সামনেই বসে আছে।

না কিছু হয় নি, ঐ চোখে কিছু পড়েছিল হয়তো তাই আর কি - নিজের সাংসারিক বিষয় অফিসে আনতে চায় না মিত্রা।

আমার কাছে মিথ্যে বলছো, কি হয়েছে বলো যদি তোমার কোন সমস্যা না থাকে, গুরুতর কিছু না হলে তো তোমার এমন হাল হবার কথা না - সুজিত চেয়ার ছেড়ে মিত্রার পাশে এসে দাঁড়ায়।

তুমি আমার বন্ধু তোমার কাছে লুকাবার কিছু নেই, আমার সব শেষ হয়ে গেছে - কথা গুলো বলতে বলতে ডিভোর্স এর নোটিশ টা সুজিতের দিকে এগিয়ে দেয়।
সুজিত নিজেও হতবাক হয়ে যায় কিংশুকের এমন সিদ্ধান্তে, ও অনেক আগে থেকেই কিংশুক কে চিনে ওর মত একজন এমন একটা কাজ করবে সেটা কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি সে। এমন কি হলো যে হঠাৎ করেই এত কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো, তেমন কিছু হলে মিত্রা অন্তত তাকে একবার হলেও বলতো। মিত্রাকে কি হয়েছে সব কিছু বিস্তারিত বলার জন্য অনুরোধ করে সুজিত, মিত্রাও একে একে গত কয়েকদিন ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো এক এক করে সুজিত কে বলতে থাকে। সব ঘটনা শুনে সুজিত নিজেই বিশ্বাস করতে পারছে না কিংশুক এসব করেছে, ছবি গুলো দেখে যেটা মনে হচ্ছে কিংশুক হয়তো অন্য একটা রিলেশনে জড়িয়েছে নিজেকে। কিন্তু এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে মানুষটা কিংশুক বলেই। তবে সময় এগিয়ে যায় আর তার সাথে অনেক কিছুই পাল্টায় সেই পাল্টে যাবার হাওয়ায় অনেক মানুষকেউ পাল্টে দিয়ে যায় যেমন আজ কিংশুকের পাল্টে যাবার সব শুনলো সুজিত।

কি করবে ভেবে দেখেছো - সুজিতে কথায় আনমনা মিত্রা ভড়কে যায়। সত্যিই তো কি করবে এখন সে? কি করতে পারবে সে, এমন পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ করে আসা ঝড়ে তো সব চিন্তা চেতনা শক্তি কেড়ে নিয়েছে তার।

আমি আগে একবার কিংশুকের সাথে সরাসরি কথা বলবো, ও কেন এমন একটা হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলো সেটা তো জানতে হবে - যদি কোন ভুল হয়ে থাকে মিত্রার তরফ থেকে সেটা শুধরে নেবার একটা সুযোগ তো অন্তত দিবে ওকে। এমন কি হয়ে গেল যে কিংশুক নতুন কোন সম্পর্কে জড়িয়ে গেল সেটাো তো জানতে হবে। মোবাইল টা বের করে কিংশুকে নাম্বারে ফোন করে, টানা তিনবার ফোন করার পর কল রিসিভ করে

কি ব্যাপার এতো বার ফোন করছো কেন? কেউ মরে গেছে নাকি? ফোন রিসিভ করছি না মানে ব্যস্ত আছি সেটা তো বুঝতে পারছো না - খ্যাঁকিয়ে উঠে কিংশুক, গলার স্বরেই স্পষ্ট ও একদমই খুশি নয় মিত্রার ফোনে।

তোমার সাথে একবার দেখা করতে চাই, কিছু কথা ছিল অফিসে আসবো নাকি বাইরে কোথাও - একটু আগেই কান্নায় ভারী হয়ে যাওয়া কন্ঠেই কথা গুলো বলতে থাকে মিত্রা। আর মনে মনে প্রার্থনা করতে থাকে কিংশুক যেন দেখা করতে রাজি হয়ে যায়।

ঠিক আছে আমি অফিসেই আছি, এখানে এসে ফোন দিও ক্যান্টিনে কথা হবে - কিংশুকের মুখ থেকে সম্মতি টা পাওয়ার আকাঙ্খা এতটাই ছিল যে ওর রাজি হতেই ফোনের এ প্রান্তে বুভুক্ষের মত অপেক্ষারত মিত্রার মুখের বিমর্ষ ভাবটা কেটে গিয়ে অজানা খুশির রেশ ভেসে উঠে। কিংশুক যে দেখা করতে রাজি হয়েছে সেটা সুজিতকে জানিয়েই অফিস থেকে বের হয়ে যায় মিত্রা। বাইরে বেড়িয়েই ট্যাক্সি ধরে কিংশুকের অফিসের দিকে। আধ ঘন্টার একটু বেশি সময় লেগে গেছে পৌঁছাতে, লিফটে উঠতে উঠতেই কিংশুক কে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয় ওর আসার কথা।

ক্যান্টিনে অপেক্ষা করছে মিত্রা, এদিক ওদিক তাকিয়ে খেয়াল করছে কিংশুক আসলো কিনা, হঠাৎ দেখলো কারও সাথে ফোনে হাসি মুখে কথা বলতে বলতে এদিকেই আসছে। টেবিলের কাছে এসে হাত উঁচিয়ে দুটো কফির অর্ডার করে চেয়ার টেনে মিত্রা বিপরীত দিকে বসে
আই থিংক এতক্ষণে নিশ্চয়ই নোটিশ টা পেয়ে গেছো- যতটা উৎফুল্লতা নিয়ে মিত্রা এখানে কিংশুকের সাথে দেখা করতে এসেছিল তার সবটাই নিমিষেই বাতাসের সাথে মিশে গিয়ে ওকে বাস্তবতার সামনে দাড় করিয়ে দিলো। কোথায় ভেবেছিল স্বাভাবিক কিছু কথা দিয়ে ওর সাথে কথা বলা শুরু করবে কিন্তু এখানে তো প্রথম বলেই ক্লিন ব্লোড হয়ে গেল। 

হুম! সেটা নিয়ে কোন কথা বলবো না কিন্তু তোমার কি হয়েছে, হঠাৎ করে কেন এমন করছো তুমি সেটা তো জানতে পারি নাকি। তোমার স্ত্রী তোমার সন্তানের মা হিসেবে সে অধিকার টুকু অন্তত আমার আছে তো? - আকুতিভরা স্বরে ভেজা চোখের ক্ষীন দৃষ্টিতে কিংশুকের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলতে বলতে গলা টা ভারী হয়ে আসে। কিন্তু কিংশুকের চেহারায় সেটার কোন ভাবলেশের চিহ্ন মাত্র নেই।

ওয়েল, বাট আমি মনে করি এখানে আর তোমার সাথে বলার মতো কিছুই নেই। যদি কোন কথা থাকে তবে সেটা কোর্ট রুমে হলেও হতে পারে। কেমন, নাও কফি খাও ঠান্ডা হয়ে যাবে - নির্লিপ্তের মত কিংশুকের বাজখাঁই কন্ঠে কথা গুলো শুনে মিত্রা বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। ও ঠিক শুনলো কি না সেটা আরেকবার যাচাই করার কোন প্রয়োজন হবে না হয়তো।

আমি কফি খাই না, সেটা তোমার থেকে ভালো আর কে জানে। ভেবেছিলাম তোমার সাথে একটু কথা বলবো কিন্তু তুমি হয়তো সেটা চাও না, কেন চাও না সেটা অন্যদিন হলে ঠিকি প্রশ্ন করতাম কিন্তু আজ মনে হলো সেটার আর অধিকার আমার নেই। তুমি যদি তোমার এই সিদ্ধান্তে খুশি হও তবে তাই হোক আমার কথা ভাবতে হবে না শুধু মেয়েটার কথা একবার ভেবো৷ গত কয়েকদিন ধরে মেয়েটা কেমন করে বেঁচে আছে সেটা একবার গিয়ে দেখো, ওর তো তুমি ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না ওর কথা ভেবে না হয় আরেকবার সব ভেবে দেখ - আর কিছু বলতে পারে না মিত্রা, ওর লাল হয়ে যাওয়া চোখ দুটো ভীষণ জ্বালা করছে। হাতের উল্টো পিঠে হয়তো অশ্রু আড়ালের বৃথা চেষ্টাও করে চলেছে। একটা মৃত লাশের মতই টলতে টলতে মিত্রা কোন মতে বাইরে বেড়িয়ে ট্যাক্সি ধরে সোজা বাসার দিকে চলে যায় আজ আর অফিসে যাবার মত অবস্থা ওর নেই।

বাসায় এসেই চিৎকার করে কান্না শুরু করে মিত্রা, রাস্তাটা আসার সময় এই কান্না টা চেপে রাখতে ধমবন্ধের মত হয়ে এসেছিল। এখন আর কেউ দেখার নেই ওর কান্না ভেজা চোখ এই বাসায় একা নিজের জীবনেও হয়তো একা হয়ে গেল আজ। কতক্ষণ এভাবে কান্না করছিরো সেদিকে খেয়াল নেই হঠাৎ কলিং বেলটা বেজে উঠতেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে মিলি এসে গেছে। শাড়ির আঁচলে চোখ টা মুছে নিয়ে দরজা টা খুলে দেয়।
মা তুমি? বাবা এসে গেছে? বাবা কোথায় আজও স্কুলে আনতে গেলো না আমাকে, কোথাও কি লুকিয়ে আছে আমাকে সারপ্রাইজ দেবার জন্য - ফিসফিসিয়ে মিলির বলা কথা গুলো মিত্রার হৃদয় এফোঁড়ওফোঁড় করে দিচ্ছে কিন্তু ওর কাছে মেয়েকে বলার মত তো কিছুই নেই। ছোট্ট মিলি কি আর এই পৃথিবীর কঠিন খেলার কিছু বুঝবে কি?
না মামনি বাবা তো অফিসের কাজে বাইরে গেছে, আসতে কদিন দেরি হবে। এই তো একটু আগেই ফোন করেছিল তোমার কথা জিজ্ঞেস করছিলো। যেখানে আসে সেখানের নেটওয়ার্ক খুব খারাপ তাই ফোন করা যায় না - ছোট্ট মিলিকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় মিত্রা। বাবা পাগল মেয়েটার মনে যে কি চলছে সেটা মিত্রার মাতৃ মনে ঠিকি ধরা পড়ছে। এ কদিনে ঠিক মত খাওয়া দাওয়া ঘুম না হওয়াতে কেমন নির্জীব হয়ে গেছে মেয়েটা। কিন্তু অন্যকেউ ওকে দেখে কিছুই বুঝতে পারবে না, সবকিছু আড়াল করতে পারে একদম ওর বাবার মতই। কিংশুকের মুখ দেখে কখনো বুঝা যাবে না ওর ভিতরে কি চলছে সবসময়ই হাসি মুখেই থাকে যত কষ্টেই থাকুক না কেন যত সমস্যাই হোক নক কেন, মেয়েটাও ঠিক বাবার ধাত পেয়েছে।
চলো মামনি স্নান করে নেই তারপর খেয়ে ঘুমাতে হবে, বাবা যদি জানে তুমি টাইমে সব কিছু করো নি তবে ফিরে এসে খুব রাগ করবে - মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে ভেতরের ঘরের দিকে চলে যায় মিত্রা। মায়ের কোলে উঠেই গালে চুমো খায় মিলি, মেয়ের কাছে এমন আদর পেয়ে মিত্রার বুকটা হু হু করে উঠে, এ কদিনে মেয়েটার সাথে ওর সম্পর্ক টা আগের চেয়ে অনেক বেশি গভীর হয়েছে। নইলে তো মিলির জন্মের পর থেকে বুকের দুধ খাওয়ানো ছাড়া সব কিছুই হয়েছে কিংশুকের হাতেই।

অফিসে কোন কাজেই মন বসাতে পারছে মিত্রা, সবসময় মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরে চলেছে। এমন পরিস্থিতির জন্য কেউ হয়তো প্রস্তুত থাকে না তবে কেমন করে এসব সামাল দেয় তারা, মিত্রা তো কোন পথের দিশা পাচ্ছে না। আগামীকাল আবার কোর্টে যেতে হবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন উকিলের সাথেই কথা বলা হয় নি মিত্রার, ও তো বিশ্বাস নিয়ে বসে ছিল কিংশুকের মন ফিরবে। সুজিত মাত্রই মিত্রাকে সান্ত্বনা দিয়ে ওর কাজে চলে গেল, যাবার আগে বলে গিয়েছে কোন ভালো উকিলের সাথে যোগাযোগ করে দেখবে। এমন করে সব শেষ হয়ে যাবে সেটা কোন দিন কল্পনা করে নি আর তা বাস্তব হয়ে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। মিত্রার ফোনটা বেজে উঠে, একটা আননোন নাম্বার প্রথমে রিসিভ করতে ইচ্ছে করছিলো না কি ভেবে শেষে রিসিভ করে 
হ্যালো মিত্রা বলছেন? আমি এডভোকেট কে সি চৌধুরী বলছি। আপনার নাকি একটা ডিভোর্স কেস আছে - এডভোকেটের নাম শুনে মিত্রা ভাবে হয়তো সুজিতই ওর নাম্বার দিয়ে থাকতে পারে। তারপরও একবার জিজ্ঞেস করে নেয়া তো দরকার।
হ্যাঁ আমি মিত্রা, আমার খবর আপনাকে কে দিল? - নিজ থেকে তো কোন উকিল এমন করে কেস নেবার নজির তো মিত্রার দেখা নেই তাই একটু অদ্ভুত লাগে ওর কাছে।
সেটা না হয় আগামীকাল কোর্টে সরাসরি দেখা হলেই বলবো, কাল ঠিক সময়ে চলে আসবেন কিন্তু এখন রাখি - ভারি অদ্ভুত লোক তো কোন চেনা নেই জানা নেই কেস নিয়ে নিলেন। যাই হোক একটা তো উকিল দরকার ছিলই, বাকিটা না হয় কাল কোর্টেই জানা যাবে।

গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে কোর্টের ভেতরে যাবার সময় এক কোনে কিংশুক কে দেখতে পায় সাথে ঐ মেয়েটার সাথে হাসি মুখে কি যেন বলে চলেছে,  যার সাথে ছবি গুলো দেখেছিল মিত্রা। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভেতরের দিকে হেটে যায়। এর মাঝেই কে সি চৌধুরী এসে মিত্রার কাছ থেকে দরকারি কাগজ পত্র গুলো কালেক্ট করে নিয়ে গেছে, ভারী অদ্ভুত লোক এই এডভোকেট এসে কাগজ গুলো নিয়েই আবার হাওয়া কোন কথা জিজ্ঞেস করার সুযোগ ও দিলেন না। একটু পর ভেতর থেকে ডাক আসে মিত্রা আর কিংশুক এর। ভেতরে যেতেই দেখে বিচারকের আসনে একজন বয়স্ক মহিলা বিচারপতি বসে আছেন।

আরে এ কাকে দেখছি, কে সি চৌধুরী ডিভোর্স স্পেশালিষ্ট তা হঠাৎ করে এখানে কেন? আবার কোন ডিভোর্স কেস তো, তা একটু তাড়াতাড়ি সব শেষ করো দু সপ্তাহ পর অবসরে যাবো তার আগেই যেন এটা সলভ করতে পারি  - হাসতে হাসতে তাসলিমা খান নামের সেই মহিলা কথা গুলো বলতে থাকে। কে সি চৌধুরী ও উনার কথায় হাসতে থাকে উনারা দুজনেই যে ভালো করেই চেনাজানা সেটা বুঝাই যাচ্ছে। এর মাঝেই কিংশুক এসে রুমে ঢুকেছে না এখন সাথে ঐ মেয়েটি নেই, মিত্রার দিকে একবার তাকিয়ে অন্যদিকের একটা চেয়ারে বসে পড়ে। মিত্রা অপলক দৃষ্টিতে কিংশুকের দিকে তাকিয়ে কিন্তু সেদিকে ওর কোর ভ্রুক্ষেপ নেই।

ইয়েস ম্যাডাম আরেকটা ডিভোর্স কেস এটা, চিন্তা করবেন না ম্যাডাম খু্ব তাড়াতাড়ি সবটা ক্লোজ করে দেব, আর শুধু আপনার না আমারও একটু অবসর দরকার মনে হয়। আই থিংক এই কেসটাই আপনার বিচারিক জীবনে আর আমার ডিভোর্স স্পেশালিষ্ট হিসেবে "লাস্ট কেস"
Like Reply


Messages In This Thread
RE: দ্যা লাস্ট কেস (ছোট গল্প) - by nextpage - 06-08-2022, 08:48 PM



Users browsing this thread: 10 Guest(s)