03-08-2022, 10:49 PM
আপডেট
ডাক্তার স্যালাইন লাগিয়ে চলে গেলো,আমি আর আম্মু বসে আছি।আমি আব্বুকে ফোন দিয়ে আম্মুর ব্যাপারে বললাম,কিন্তু এইটা বলি নাই আম্মু ২,৩ ধরে কিছু খায় না,বললাম আম্মু মাথা ঘুড়ে পরে গেছে আমরা এখন হাস্পাতালে আছি,আপনি চাইলে অফিস শেষে আসতে পারেন। আব্বু জিগাইলো ডাক্তার কি বলছে?
আমি বললাম বলছে দুর্বলতা থেকে এমন হইছে স্যালাইন শেষে বাড়ি চলে যেতে পারবে।বাড়িতে গিয়ে রেস্ট করলে আর ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করলে ঠিক হয়ে যাবে দুই তিন দিনের মধ্যে।
আব্বু তখন বললো তাইলে আমি আর হাসপাতালে গিয়ে কি করবো তোমরা তো একটু পরে বাসায় ফিরতেছ ই।আম্মু দেখলাম আব্বুর কথা শুনে একটু আপসেট হইছে।আমি মনে মনে ভাবলাম এইটাই সুযোগ আম্মুর মনে জায়গা করে নেওয়ার, আব্বুকে সরিয়ে।হুম,আম্মুর জন্য আমিই যথেষ্ট, আমি আম্মুকে দেখাশোনা করতে পারবো, তুমি না আসলেও চলবে।
আব্বু বললো আচ্ছা ঠিক আছে রাখছি,এই বলে রেখে দিলো।আমি আব্বুর সাথে কথা বলে বাইরে চলে আসলাম, মনে মনে ভাবলাম সুযোগ টা খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে,এমন সুযোগ জীবনে দ্বিতীয় বার আসবে না।
বাইরে গিয়ে আম্মুর জন্য আম্মুর ফেভারিট ওরিও ফ্লেভারের আইসক্রিম নিলাম।তারপর আংগুল ফল, আনাড় ফল,আম এবং কলা নিলাম।এইগুলা নিয়ে কেবিনে গিয়ে দেখি আম্মু চোখ বন্ধ করে উদাস মনে সুয়ে আছে।আমাকে কেবিনে আসতে দেখে চোখ মেলে তাকালো কিছু বললো না।আমি কেবিনে ডুকে দরজা লাগিয়ে আম্মুর পাশের টেবিলে প্যাকেট গুলো রেখে প্যাকেট থেকে আইসক্রিম টা বের করে আবার টেবিলে রাখলাম,আম্মুর থেকে অনেকটা দূরে।আম্মু আইসক্রিমের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো, কিন্তু কিছু বললো না।আমি জানতাম আম্মু আইসক্রিম এর লোভ সামলাতে পারবে না।তারপর আমি কিছু আংগুল ফল, আম আর একটা আনার বের করে ধুয়ে আম্মুর পাশে একটা টুলে বসে পড়লাম। তখন পর্যন্ত আম্মু আমার সাথে একটা কথাও বলে নাই, হাসপাতালে আসার পর থেকে।
আমি আম্মুর মুখের সামনে একটা আংগুল ধরে বললাম হা করো?আম্মু মুখ ফিরিয়ে নিলো।আমি আম্মুকে বললাম প্লিজ আম্মু আর কতক্ষন রাগ করে থাকবা?আম্মু চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো।আম্মু আমি সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমার সাথে কথা বলার জন্য, আর একটু বন্ধুত্ব করার জন্য এইটা করছিলাম আমি,আমি ভাবি নাই এতকিছু হয়ে যাবে।আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও আম্মু।এইভাবে না খেয়ে থাকতে থাকতে তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।তখন আমাকেও নিজেকে শেষ করে দিতে হবে।আম্মু বললো আমি পরে খেয়ে নেবো তুমি যাও। আমি বললাম তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না।আমি আব্বুর মতো না, আপন মানুষ অসুস্থ হয়ে থাকবে আর আমি তার যত্ন করবো না।আম্মু কিছু বললো না চুপ করে শুয়ে রইলো।আমি আংগুর টা আম্মুর ঠোঁটের কাছে লাগিয়ে ধরলাম আর বললাম এইগুলা খেয়ে শেষ করলে,তোমার ফেভারিট ফ্লেভারের আইসক্রিম খেতে দিবো,এই বলে আইসক্রিম টা অন্য হাতে নিয়ে আবার চোখের সামনে নিয়ে ধরলাম। আম্মু কিছু না বলে মুখ খুলে আংগুল ফল টা খেয়ে নিলো।আমি আরেকটা আংগুলফল দিলাম আম্মু খেয়ে নিলো।দেখলাম আম্মুর মুখের উদাসীন ভাবটা চলে গেলো।এইভাবে সবগুলো আংগুল খাওয়াইয়া শেষ করলাম,তারপর আনাড় টা ফাটিয়ে আম্মুকে খাওয়াতে লাগলাম,আম্মু চুপ করে খেয়ে যেতে লাগলো।তারপর আম কেটে আম্মুকে দিলাম আম্মু লক্ষী মেয়ের মত খেতে লাগলো।আমি বললাম এইতো লক্ষী মেয়ে। আম্মু হালকা মুচকি হাসি দিলো।কিন্তু কিছু বললো না। আম খাওয়ানোর পর কলা বের করে ছিলে আম্মুকে বললাম হা করো?আম্মু বললো এখন কলা খাবে না।আমি বললাম খেতে হবে আম্মু, কলা খেলে তারাতাড়ি বল পাবা শরীরে। আর আমি কি প্রতিদিন তোমাকে এইভাবে শুইয়ে শুইয়ে খাওয়াবো নাকি?
আম্মু হাসি দিয়ে বললো আমি যেনো প্রতিদিন তোমার হাত থেকে খাওয়ার জন্য বসে থাকবো?আমার কলা খেতে ভাল্লাগে না।
আমি বললাম ভালো না লাগলেও খেতে হবে। সুস্থ হওয়ার জন্য, আর এখন থেকে আমি সুযোগ পেলেই তোমাকে কলা খাওয়াবো।যাওয়ার সময় অনেক কলা নিয়ে যাবো যেনো সারাজীবন খাইলেও শেষ না হয়।
আম্মু কিছু বললো না।আমি বললান হা করো?আম্মু হা করলো আমি অর্ধেকের মত কলা আম্মুর মুখে ডুকিয়ে দিলাম।আম্মু বললো কলা খাওয়াইয়া মেরে ফেলবা নাকি,এইভাবে কেউ একবারে আধা কলা মুখে ডুকায়?
আমি বললাম তোমার খেয়ে অভ্যাস নাই এইজন্য বেশি বেশি দিয়ে অভ্যাস করাচ্ছি।এখন বেশি কথা না বলে খাও।
আম্মু বললো তুমিও খাও?
আমি বললাম আমি কলা খাই না,যেইটা খাই অইটা তো সাধো নাই।
আম্মু বললো তোমার আম খেতে ইচ্ছা হইলে তুমি খাও নাই কেন?
আমার লক্ষী আম্মু এখন অসুস্থ, আমি এখন কিভাবে খাই তোমাকে না খাওয়িয়ে।আগে তুমি খেয়ে সুস্থ হয়ে নাও তারপর আমি খাবো।আমাদের গাছেও তো অনেক আম আসছে এইবার, শুধু একবার খাওয়ার উপযুক্ত হোক তখন সারাক্ষন আম ই চুসবো।কথা বলতে বলতে আম্মুকে কলা খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলো।
আম্মুঃ আইসক্রিম দেও আমার?
আমিঃ তোমার জন্য এতকিছু আনলাম বিনিময়ে আমি কি পাবো?
আম্মুঃ মাইর খাবা তুমি!একটু দুস্টুমিভরা মুখেই বললো
আমিঃঅইদিনের মাইরে পোষাইছে না?
আম্মুঃঅইদিনের মাইরের জন্য আর কত শাস্তি দিবো নিজেকে।আম্মুর চোখ ভারি হয়ে উঠলো!
আমিঃআমার জন্য তোমার নিজেকে শাস্তি দিতে হবে না,তুমি আমাকে মেরে ফেললেও আমি কোনো অভিযোগ করবো না।তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি। একটা ছেলে তার মাকে যতোটা ভালোবাসে তার থেকেও বেশি ভালোবাসি।
আম্মুঃতোমাকে মেরে আমি কি করে ভালো থাকবো! তুমি যে আমার সাত রাজার ধন।আম্মুর একটা হাত আমার গালে বুলিয়ে দিলো।আম্মুর চোখ থেকে অনবরত পানি পড়েই যাচ্ছে
আমিঃহইছে আর কান্নাকাটি করতে হবে না আইসক্রিমের জন্য।
আম্মুঃহেহে আমার আইসক্রিমের জন্য আমি কেন কান্নাকাটি করবো?
আমিঃতোমার আইসক্রিম?
আম্মুঃহুম,না তো কার?
আমিঃআমার বান্ধবির।
আম্মুঃ মারবো কিন্তু! মাকে কেউ বান্ধবী বলে?
আমিঃআমি বলি।
আম্মুঃতুমি একটা পাগল।
আমিঃতোমার প্রেমে
আম্মুঃবন্ধুত্বে আবার প্রেম কি?
আমিঃপ্রেম থাকে না?
আম্মুঃনাহ,বন্ধুত্বে থাকে সততা, বিশ্বাস, ভরসা।
আমিঃহুম,তারমানে আমাদের বন্ধুত্ব পাক্কা?
আম্মুঃযতক্ষন বন্ধুত্বে সৎ থাকতে পারবা ততক্ষন।
আমিঃহুম,
আম্মুঃএখন আমার আইসক্রিম দেও।
আমিঃআমাকে বিনিময় দেও আগে
আম্মুঃকি?
আমিঃএকটা চুমো।
আম্মুঃনাহ,এতবড় ছেলেকে চুমু দেয়া যায় না
আমিঃছেলে যতো বড়ো হোক না কেন চুমু দেয়া যায়।আর কয়দিন আগেও তো দিতা
আম্মুঃকয়দিন আগে জানতাম না তুমি এত দুস্টু হয়ে গেছো।
আমিঃআচ্ছা বন্ধুকে দেও তাইলে, বন্ধুকে তো চুমু দিতে নিষেধ নাই?
আম্মুঃবন্ধুত্বের মাঝে কোনো বিনিময় হয় না।
আমিঃতাইলে ছেলেকে দাও।
আম্মুঃআগে ঠিক করো আমি বন্ধু নাকি আম্মু।
আমিঃতুমি আমার আম্মু এবং সুন্দরী বান্ধবীও
আম্মুঃআইসক্রীম কিন্তু গলে যাবে।
আমিঃ গলে গেলে আমার আম্মু বান্ধবীর জন্য প্রয়োজন পুরো দোকান নিয়ে আসবো।
আম্মুঃ একটা এনেই যা তালবাহানা করতেছে দোকান আনলে যে কি করবে দেখাই যাচ্ছে।
আমিঃআচ্ছা নাও, আমি তোমার মতো এতো কিপটা না এইবলে আম্মুর মুখে এক চামচ আইসক্রিম দিলাম।।
আম্মু আইসক্রিম খেয়ে, হাত দিয়ে আমার মাথা টা নুয়িয়ে আম্মুর মাথা শোয়া থেকে কিছুটা উপরে তুলে আলতো করে আমার গালে একটা চুমু একে দিলো।
আমি হালকা অভিমান করে বললাম থাক হইছে, আমিতো দুস্টু ছেলে আমাকে চুমু দিতে হবে না এত কস্ট করে।
আম্মুঃআমি আমার বন্ধুকে চুমু দিয়েছি,কোনো দুস্টু ছেলে কে না।
আমিঃবন্ধু দুস্টু না?
আম্মুঃ নাহ বন্ধু আমাকে অনেক কেয়ার করে, আমি একটু অসুস্থ হইছি বলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে,আমাকে নিজের হাতে ফল খাইয়ে দিছে,আবার আমার ফেভারিট আইসক্রিম এনে খাওয়াচ্ছে।আমার স্বামী হইলে তো রুমে নিয়ে গিয়ে মুখে পানি মেরে হুশ ফিরিয়ে, রেস্ট করতে বলে তার দায়িত্ব শেষ করে ফেলতো।
আমিঃআর ছেলে হলে কি করতো?
আম্মুঃছেলেও তাই করতো।
আমিঃবন্ধু কে পেয়ে ছেলে কে ভুলে গেলা আম্মু?
আম্মুঃছেলেকে ভুলবো কেন,আমার ছেলেই তো আমার ভবিষ্যত।
আমিঃহুম
আম্মুঃ কথাই বলবা নাকি আইসক্রিম ও খাওয়াবা?
আমিঃ মহারানী যা চায় তাই হবে।এইবলে আম্মুর মুখে আইসক্রিম দিলাম। আম্মু হাসি দিয়ে আইসক্রিম খেতে লাগলো।
আম্মুঃতুমিও খাও।
আমিঃআমি আম খাবো পরে।
আম্মুঃআইসক্রিম খেলে কি বাবুর ঠান্ডা লেগে যাবে?
বুঝলাম আম্মু দুস্টুমির মুডে আছে।
আমিঃ বান্ধবী যদি মুখ থেকে খাওয়িয়ে দেয় তাইলে খেতে পারি।
আম্মুঃছিঃ বান্ধুবীরা কখনো এইসব করে না।
আমিঃ আজকাল কার বান্ধবীরা অনেক কিছু করে বন্ধুদের জন্য।
আম্মুঃআমি আজকাল কার বান্ধবী না আমি পুরনো দিনের বান্ধবী।
আমিঃ আজকাল কার হয়ে যায়,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
আম্মুঃ বয়স কালে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
আমিঃতোমার ও তো বয়সকাল পেরিয়ে যায় নি।
আম্মুঃখাইলে খাও না খাইলে না খাও আমি একাই খাবো।
এইটা বলার মধ্যেই কেবিনের দরজা কড়া নড়লো, আমি উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি ডিউটি ডাক্তার এসেছে চেক করতে। ডিউটি ডাক্তার দেখে বললো ১ ঘন্টা পর বাড়ি চলে যেতে পারবেন, তারপর ওনি প্রেস্কিপশন লিখে দিলেন আর বললেন ওষুধের ডোজ কমপ্লিট করলে, ঠিকমতো কয়দিন রেস্ট আর খাওয়া দাওয়া করলে একদম ফিট হয়ে যাবে রুগী।এই বলে ওনি চলে গেলো।আমি আবার দরজা বন্ধ করতে যাবো আম্মু ডেকে বললো দরজা বন্ধ কইরো না মানুষ কি মনে করবে।
আমিঃকিছু মনে করবে না, মনে করবে আমাদের প্রাইভেসি দরকার।
আম্মুঃহুম,দেখছো তোমার আব্বু আর একবারো ফোন দিয়ে জিগাইলো না কি অবস্থা এইখানের?
আম্মু একটু উদাস হয়ে গেলো।
আমিঃছাড়ো তো ওনার কথা, ওনি পুরনো দিনের মানুষ, প্রিয় মানুষকে কিভাবে কেয়ার করতে হয় যানে না,তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট। আব্বু আসলে বন্ধুর হাতে এইভাবে কলা, আইসক্রিম খেতে পারতা?
আম্মুঃকিন্তু সে তো আমার স্বামী, তার তো একটা দায়িত্ব আছে?
আমিঃআমিতো করতেছি দায়িত্ব পালন, তোমার কয়জন লাগবে দায়িত্ব পালনের জন্য
আম্মুঃএকজন কিন্তু,,,,,,,
আমিঃআমি কি তোমার প্রিয় মানুষ না?
আম্মুঃতুমি আমার ছেলে,ছেলের থেকে প্রিয় একজন মায়ের কাছে আর কিছু নেই।
এইসব কথা বলতে বলতে স্যালাইন শেষ হয়ে গেলো আমি সুই টা আম্মুর সিড়া থেকে বের করে দিলাম।আম্মু উঠে যেতে চাইলো আমি বললাম কিছুক্ষণ শুয়ে থাকো।আম্মু আমার কথামতো শুয়ে থাকলো।
আম্মুর হাতের রগ গুলো একটু ফুলে উঠলো। আমি কিছুক্ষন হাতের রগগুলো একটু ম্যাসেজ করে দিতে লাগলাম। এরমধ্যে একটা নার্স আসলো স্যালাইন খুলতে, আম্মুর হাতে ম্যাসেজ দিতে দেখে নার্স বললো এত কেয়ার করার লোক থাকলে রুগী না খেয়ে দুর্বল হলো কিভাবে?
আমিঃরুগী কেয়ার করার লোকের সাথেই রাগ করেই খাওয়া বন্ধ করছিলো।
আম্মুঃহইছে চুপ করো নিজের অপরাধের ডল পিটতে হবে না আর!
নার্স আম্মুর কথা শুনে হেসে বললো আমার কাজ তো ভাইয়া করে ফেলছে এখন যাই।
আম্মুঃহইছে আর ম্যাসেজ করতে হবে না, চলো বাসায় যাই।
আমিঃ তুমি আরেকটু শুয়ে থাকো আমি বিল টা দিয়ে আসি।
আম্মুঃআর শুয়ে থাকা লাগবে না আমিও তোমার সাথে যাবো।
আমিঃকি ব্যাপার বন্ধুকে চোখে হারাও মনে হচ্ছে?
আম্মুঃ দুস্টু ছেলেদের চোখে চোখেই রাখতে হয়।
আমিঃতাইলে চলো রাখো,চোখে চোখে।
এইবলে আমি আর আম্মু বের হয়ে কাউন্টারে গিয়ে বিল পরিশোধ করলাম।তারপর ফার্মেসি থেকে আম্মুর জন্য অষুধ নিলাম।তারপর বাড়িতে যাওয়ার জন্য উবার ডাকবো এমন সময় আম্মু বললো এখন বাড়ি যাবো না অন্য কোথাও যাবো,চলো তুমি আমার সাথে, এইবলে আম্মু আমাকে নিয়ে হাটা ধরলো।
ডাক্তার স্যালাইন লাগিয়ে চলে গেলো,আমি আর আম্মু বসে আছি।আমি আব্বুকে ফোন দিয়ে আম্মুর ব্যাপারে বললাম,কিন্তু এইটা বলি নাই আম্মু ২,৩ ধরে কিছু খায় না,বললাম আম্মু মাথা ঘুড়ে পরে গেছে আমরা এখন হাস্পাতালে আছি,আপনি চাইলে অফিস শেষে আসতে পারেন। আব্বু জিগাইলো ডাক্তার কি বলছে?
আমি বললাম বলছে দুর্বলতা থেকে এমন হইছে স্যালাইন শেষে বাড়ি চলে যেতে পারবে।বাড়িতে গিয়ে রেস্ট করলে আর ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করলে ঠিক হয়ে যাবে দুই তিন দিনের মধ্যে।
আব্বু তখন বললো তাইলে আমি আর হাসপাতালে গিয়ে কি করবো তোমরা তো একটু পরে বাসায় ফিরতেছ ই।আম্মু দেখলাম আব্বুর কথা শুনে একটু আপসেট হইছে।আমি মনে মনে ভাবলাম এইটাই সুযোগ আম্মুর মনে জায়গা করে নেওয়ার, আব্বুকে সরিয়ে।হুম,আম্মুর জন্য আমিই যথেষ্ট, আমি আম্মুকে দেখাশোনা করতে পারবো, তুমি না আসলেও চলবে।
আব্বু বললো আচ্ছা ঠিক আছে রাখছি,এই বলে রেখে দিলো।আমি আব্বুর সাথে কথা বলে বাইরে চলে আসলাম, মনে মনে ভাবলাম সুযোগ টা খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে,এমন সুযোগ জীবনে দ্বিতীয় বার আসবে না।
বাইরে গিয়ে আম্মুর জন্য আম্মুর ফেভারিট ওরিও ফ্লেভারের আইসক্রিম নিলাম।তারপর আংগুল ফল, আনাড় ফল,আম এবং কলা নিলাম।এইগুলা নিয়ে কেবিনে গিয়ে দেখি আম্মু চোখ বন্ধ করে উদাস মনে সুয়ে আছে।আমাকে কেবিনে আসতে দেখে চোখ মেলে তাকালো কিছু বললো না।আমি কেবিনে ডুকে দরজা লাগিয়ে আম্মুর পাশের টেবিলে প্যাকেট গুলো রেখে প্যাকেট থেকে আইসক্রিম টা বের করে আবার টেবিলে রাখলাম,আম্মুর থেকে অনেকটা দূরে।আম্মু আইসক্রিমের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো, কিন্তু কিছু বললো না।আমি জানতাম আম্মু আইসক্রিম এর লোভ সামলাতে পারবে না।তারপর আমি কিছু আংগুল ফল, আম আর একটা আনার বের করে ধুয়ে আম্মুর পাশে একটা টুলে বসে পড়লাম। তখন পর্যন্ত আম্মু আমার সাথে একটা কথাও বলে নাই, হাসপাতালে আসার পর থেকে।
আমি আম্মুর মুখের সামনে একটা আংগুল ধরে বললাম হা করো?আম্মু মুখ ফিরিয়ে নিলো।আমি আম্মুকে বললাম প্লিজ আম্মু আর কতক্ষন রাগ করে থাকবা?আম্মু চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো।আম্মু আমি সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমার সাথে কথা বলার জন্য, আর একটু বন্ধুত্ব করার জন্য এইটা করছিলাম আমি,আমি ভাবি নাই এতকিছু হয়ে যাবে।আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও আম্মু।এইভাবে না খেয়ে থাকতে থাকতে তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।তখন আমাকেও নিজেকে শেষ করে দিতে হবে।আম্মু বললো আমি পরে খেয়ে নেবো তুমি যাও। আমি বললাম তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না।আমি আব্বুর মতো না, আপন মানুষ অসুস্থ হয়ে থাকবে আর আমি তার যত্ন করবো না।আম্মু কিছু বললো না চুপ করে শুয়ে রইলো।আমি আংগুর টা আম্মুর ঠোঁটের কাছে লাগিয়ে ধরলাম আর বললাম এইগুলা খেয়ে শেষ করলে,তোমার ফেভারিট ফ্লেভারের আইসক্রিম খেতে দিবো,এই বলে আইসক্রিম টা অন্য হাতে নিয়ে আবার চোখের সামনে নিয়ে ধরলাম। আম্মু কিছু না বলে মুখ খুলে আংগুল ফল টা খেয়ে নিলো।আমি আরেকটা আংগুলফল দিলাম আম্মু খেয়ে নিলো।দেখলাম আম্মুর মুখের উদাসীন ভাবটা চলে গেলো।এইভাবে সবগুলো আংগুল খাওয়াইয়া শেষ করলাম,তারপর আনাড় টা ফাটিয়ে আম্মুকে খাওয়াতে লাগলাম,আম্মু চুপ করে খেয়ে যেতে লাগলো।তারপর আম কেটে আম্মুকে দিলাম আম্মু লক্ষী মেয়ের মত খেতে লাগলো।আমি বললাম এইতো লক্ষী মেয়ে। আম্মু হালকা মুচকি হাসি দিলো।কিন্তু কিছু বললো না। আম খাওয়ানোর পর কলা বের করে ছিলে আম্মুকে বললাম হা করো?আম্মু বললো এখন কলা খাবে না।আমি বললাম খেতে হবে আম্মু, কলা খেলে তারাতাড়ি বল পাবা শরীরে। আর আমি কি প্রতিদিন তোমাকে এইভাবে শুইয়ে শুইয়ে খাওয়াবো নাকি?
আম্মু হাসি দিয়ে বললো আমি যেনো প্রতিদিন তোমার হাত থেকে খাওয়ার জন্য বসে থাকবো?আমার কলা খেতে ভাল্লাগে না।
আমি বললাম ভালো না লাগলেও খেতে হবে। সুস্থ হওয়ার জন্য, আর এখন থেকে আমি সুযোগ পেলেই তোমাকে কলা খাওয়াবো।যাওয়ার সময় অনেক কলা নিয়ে যাবো যেনো সারাজীবন খাইলেও শেষ না হয়।
আম্মু কিছু বললো না।আমি বললান হা করো?আম্মু হা করলো আমি অর্ধেকের মত কলা আম্মুর মুখে ডুকিয়ে দিলাম।আম্মু বললো কলা খাওয়াইয়া মেরে ফেলবা নাকি,এইভাবে কেউ একবারে আধা কলা মুখে ডুকায়?
আমি বললাম তোমার খেয়ে অভ্যাস নাই এইজন্য বেশি বেশি দিয়ে অভ্যাস করাচ্ছি।এখন বেশি কথা না বলে খাও।
আম্মু বললো তুমিও খাও?
আমি বললাম আমি কলা খাই না,যেইটা খাই অইটা তো সাধো নাই।
আম্মু বললো তোমার আম খেতে ইচ্ছা হইলে তুমি খাও নাই কেন?
আমার লক্ষী আম্মু এখন অসুস্থ, আমি এখন কিভাবে খাই তোমাকে না খাওয়িয়ে।আগে তুমি খেয়ে সুস্থ হয়ে নাও তারপর আমি খাবো।আমাদের গাছেও তো অনেক আম আসছে এইবার, শুধু একবার খাওয়ার উপযুক্ত হোক তখন সারাক্ষন আম ই চুসবো।কথা বলতে বলতে আম্মুকে কলা খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলো।
আম্মুঃ আইসক্রিম দেও আমার?
আমিঃ তোমার জন্য এতকিছু আনলাম বিনিময়ে আমি কি পাবো?
আম্মুঃ মাইর খাবা তুমি!একটু দুস্টুমিভরা মুখেই বললো
আমিঃঅইদিনের মাইরে পোষাইছে না?
আম্মুঃঅইদিনের মাইরের জন্য আর কত শাস্তি দিবো নিজেকে।আম্মুর চোখ ভারি হয়ে উঠলো!
আমিঃআমার জন্য তোমার নিজেকে শাস্তি দিতে হবে না,তুমি আমাকে মেরে ফেললেও আমি কোনো অভিযোগ করবো না।তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি। একটা ছেলে তার মাকে যতোটা ভালোবাসে তার থেকেও বেশি ভালোবাসি।
আম্মুঃতোমাকে মেরে আমি কি করে ভালো থাকবো! তুমি যে আমার সাত রাজার ধন।আম্মুর একটা হাত আমার গালে বুলিয়ে দিলো।আম্মুর চোখ থেকে অনবরত পানি পড়েই যাচ্ছে
আমিঃহইছে আর কান্নাকাটি করতে হবে না আইসক্রিমের জন্য।
আম্মুঃহেহে আমার আইসক্রিমের জন্য আমি কেন কান্নাকাটি করবো?
আমিঃতোমার আইসক্রিম?
আম্মুঃহুম,না তো কার?
আমিঃআমার বান্ধবির।
আম্মুঃ মারবো কিন্তু! মাকে কেউ বান্ধবী বলে?
আমিঃআমি বলি।
আম্মুঃতুমি একটা পাগল।
আমিঃতোমার প্রেমে
আম্মুঃবন্ধুত্বে আবার প্রেম কি?
আমিঃপ্রেম থাকে না?
আম্মুঃনাহ,বন্ধুত্বে থাকে সততা, বিশ্বাস, ভরসা।
আমিঃহুম,তারমানে আমাদের বন্ধুত্ব পাক্কা?
আম্মুঃযতক্ষন বন্ধুত্বে সৎ থাকতে পারবা ততক্ষন।
আমিঃহুম,
আম্মুঃএখন আমার আইসক্রিম দেও।
আমিঃআমাকে বিনিময় দেও আগে
আম্মুঃকি?
আমিঃএকটা চুমো।
আম্মুঃনাহ,এতবড় ছেলেকে চুমু দেয়া যায় না
আমিঃছেলে যতো বড়ো হোক না কেন চুমু দেয়া যায়।আর কয়দিন আগেও তো দিতা
আম্মুঃকয়দিন আগে জানতাম না তুমি এত দুস্টু হয়ে গেছো।
আমিঃআচ্ছা বন্ধুকে দেও তাইলে, বন্ধুকে তো চুমু দিতে নিষেধ নাই?
আম্মুঃবন্ধুত্বের মাঝে কোনো বিনিময় হয় না।
আমিঃতাইলে ছেলেকে দাও।
আম্মুঃআগে ঠিক করো আমি বন্ধু নাকি আম্মু।
আমিঃতুমি আমার আম্মু এবং সুন্দরী বান্ধবীও
আম্মুঃআইসক্রীম কিন্তু গলে যাবে।
আমিঃ গলে গেলে আমার আম্মু বান্ধবীর জন্য প্রয়োজন পুরো দোকান নিয়ে আসবো।
আম্মুঃ একটা এনেই যা তালবাহানা করতেছে দোকান আনলে যে কি করবে দেখাই যাচ্ছে।
আমিঃআচ্ছা নাও, আমি তোমার মতো এতো কিপটা না এইবলে আম্মুর মুখে এক চামচ আইসক্রিম দিলাম।।
আম্মু আইসক্রিম খেয়ে, হাত দিয়ে আমার মাথা টা নুয়িয়ে আম্মুর মাথা শোয়া থেকে কিছুটা উপরে তুলে আলতো করে আমার গালে একটা চুমু একে দিলো।
আমি হালকা অভিমান করে বললাম থাক হইছে, আমিতো দুস্টু ছেলে আমাকে চুমু দিতে হবে না এত কস্ট করে।
আম্মুঃআমি আমার বন্ধুকে চুমু দিয়েছি,কোনো দুস্টু ছেলে কে না।
আমিঃবন্ধু দুস্টু না?
আম্মুঃ নাহ বন্ধু আমাকে অনেক কেয়ার করে, আমি একটু অসুস্থ হইছি বলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে,আমাকে নিজের হাতে ফল খাইয়ে দিছে,আবার আমার ফেভারিট আইসক্রিম এনে খাওয়াচ্ছে।আমার স্বামী হইলে তো রুমে নিয়ে গিয়ে মুখে পানি মেরে হুশ ফিরিয়ে, রেস্ট করতে বলে তার দায়িত্ব শেষ করে ফেলতো।
আমিঃআর ছেলে হলে কি করতো?
আম্মুঃছেলেও তাই করতো।
আমিঃবন্ধু কে পেয়ে ছেলে কে ভুলে গেলা আম্মু?
আম্মুঃছেলেকে ভুলবো কেন,আমার ছেলেই তো আমার ভবিষ্যত।
আমিঃহুম
আম্মুঃ কথাই বলবা নাকি আইসক্রিম ও খাওয়াবা?
আমিঃ মহারানী যা চায় তাই হবে।এইবলে আম্মুর মুখে আইসক্রিম দিলাম। আম্মু হাসি দিয়ে আইসক্রিম খেতে লাগলো।
আম্মুঃতুমিও খাও।
আমিঃআমি আম খাবো পরে।
আম্মুঃআইসক্রিম খেলে কি বাবুর ঠান্ডা লেগে যাবে?
বুঝলাম আম্মু দুস্টুমির মুডে আছে।
আমিঃ বান্ধবী যদি মুখ থেকে খাওয়িয়ে দেয় তাইলে খেতে পারি।
আম্মুঃছিঃ বান্ধুবীরা কখনো এইসব করে না।
আমিঃ আজকাল কার বান্ধবীরা অনেক কিছু করে বন্ধুদের জন্য।
আম্মুঃআমি আজকাল কার বান্ধবী না আমি পুরনো দিনের বান্ধবী।
আমিঃ আজকাল কার হয়ে যায়,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
আম্মুঃ বয়স কালে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।
আমিঃতোমার ও তো বয়সকাল পেরিয়ে যায় নি।
আম্মুঃখাইলে খাও না খাইলে না খাও আমি একাই খাবো।
এইটা বলার মধ্যেই কেবিনের দরজা কড়া নড়লো, আমি উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি ডিউটি ডাক্তার এসেছে চেক করতে। ডিউটি ডাক্তার দেখে বললো ১ ঘন্টা পর বাড়ি চলে যেতে পারবেন, তারপর ওনি প্রেস্কিপশন লিখে দিলেন আর বললেন ওষুধের ডোজ কমপ্লিট করলে, ঠিকমতো কয়দিন রেস্ট আর খাওয়া দাওয়া করলে একদম ফিট হয়ে যাবে রুগী।এই বলে ওনি চলে গেলো।আমি আবার দরজা বন্ধ করতে যাবো আম্মু ডেকে বললো দরজা বন্ধ কইরো না মানুষ কি মনে করবে।
আমিঃকিছু মনে করবে না, মনে করবে আমাদের প্রাইভেসি দরকার।
আম্মুঃহুম,দেখছো তোমার আব্বু আর একবারো ফোন দিয়ে জিগাইলো না কি অবস্থা এইখানের?
আম্মু একটু উদাস হয়ে গেলো।
আমিঃছাড়ো তো ওনার কথা, ওনি পুরনো দিনের মানুষ, প্রিয় মানুষকে কিভাবে কেয়ার করতে হয় যানে না,তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট। আব্বু আসলে বন্ধুর হাতে এইভাবে কলা, আইসক্রিম খেতে পারতা?
আম্মুঃকিন্তু সে তো আমার স্বামী, তার তো একটা দায়িত্ব আছে?
আমিঃআমিতো করতেছি দায়িত্ব পালন, তোমার কয়জন লাগবে দায়িত্ব পালনের জন্য
আম্মুঃএকজন কিন্তু,,,,,,,
আমিঃআমি কি তোমার প্রিয় মানুষ না?
আম্মুঃতুমি আমার ছেলে,ছেলের থেকে প্রিয় একজন মায়ের কাছে আর কিছু নেই।
এইসব কথা বলতে বলতে স্যালাইন শেষ হয়ে গেলো আমি সুই টা আম্মুর সিড়া থেকে বের করে দিলাম।আম্মু উঠে যেতে চাইলো আমি বললাম কিছুক্ষণ শুয়ে থাকো।আম্মু আমার কথামতো শুয়ে থাকলো।
আম্মুর হাতের রগ গুলো একটু ফুলে উঠলো। আমি কিছুক্ষন হাতের রগগুলো একটু ম্যাসেজ করে দিতে লাগলাম। এরমধ্যে একটা নার্স আসলো স্যালাইন খুলতে, আম্মুর হাতে ম্যাসেজ দিতে দেখে নার্স বললো এত কেয়ার করার লোক থাকলে রুগী না খেয়ে দুর্বল হলো কিভাবে?
আমিঃরুগী কেয়ার করার লোকের সাথেই রাগ করেই খাওয়া বন্ধ করছিলো।
আম্মুঃহইছে চুপ করো নিজের অপরাধের ডল পিটতে হবে না আর!
নার্স আম্মুর কথা শুনে হেসে বললো আমার কাজ তো ভাইয়া করে ফেলছে এখন যাই।
আম্মুঃহইছে আর ম্যাসেজ করতে হবে না, চলো বাসায় যাই।
আমিঃ তুমি আরেকটু শুয়ে থাকো আমি বিল টা দিয়ে আসি।
আম্মুঃআর শুয়ে থাকা লাগবে না আমিও তোমার সাথে যাবো।
আমিঃকি ব্যাপার বন্ধুকে চোখে হারাও মনে হচ্ছে?
আম্মুঃ দুস্টু ছেলেদের চোখে চোখেই রাখতে হয়।
আমিঃতাইলে চলো রাখো,চোখে চোখে।
এইবলে আমি আর আম্মু বের হয়ে কাউন্টারে গিয়ে বিল পরিশোধ করলাম।তারপর ফার্মেসি থেকে আম্মুর জন্য অষুধ নিলাম।তারপর বাড়িতে যাওয়ার জন্য উবার ডাকবো এমন সময় আম্মু বললো এখন বাড়ি যাবো না অন্য কোথাও যাবো,চলো তুমি আমার সাথে, এইবলে আম্মু আমাকে নিয়ে হাটা ধরলো।