Thread Rating:
  • 3 Vote(s) - 3 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
ভবিতব্য
#4
যদিও পরে বুঝেছি মার খুশি হাওয়ার আরো বেশ কারন ছিল।
বাবাকে ফ্লাইটে তুলতে যাওয়ার সময় পুরো রাস্তা টা কাকু বাবাকে আবার একি জিনিস বোঝাতে বোঝাতে নিয়ে গেল। রাত ৮.৪০ মিনিটে বাবার ফ্লাইট টেক অফ করলে আমরা বাড়ি ফেরা শুরু করলাম।
সারা দিন এত লাফা লাফি করেছি যে এখন খুব ঘুম পাচ্ছে। মা আমাকে পেছনের সিটে শুইয়ে, সামনে কাকুর পাশে বসেছে। আমি আধো ঘুমে হাল্কা কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি।
কাকু মাকে বলছে - কি শোনা, এবার তো শবুরের মেওয়া খেতে দেবে নাকি!
মা- ধ্যাত, আপনি যা তা। কাল কি করছিলেন। রাতুলের বাবা দেখে ফেললে কি হত!
- কি হত? বলতাম ভাই, তোর বউয়ের দোষ। এমন একটা ডবকা শরির নিয়ে সামনে থাকলে একটু আধটু হাত চলে জেতেই পারে।
- আ হা। চলে জেতেই পারে!
- এই রুপা আজ কিন্ত আমি ছারছি না।
- আমি কিছু জানি না। আজ অনেকদিন পর আমি আমার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমবো। অন্য কোন কিচ্ছু নয়।
--------------
এসব শুনতে শুনতে কখন ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি।
ঘুম ভাংল একটা তীক্ষ্ণ আওয়াজে। ঘুমের ঘোরে ঠিক বুঝলাম না কিসের আওয়াজ।
দেখি সকাল ৪.৩০, মা কি এত সকালে মর্নিং ওয়াকে যাবে। কে জানে। আমার প্রচন্ড হিশু পেয়েছে। রাতে হিশু করে ঘুমনো হয় নি। উঠ তেই হবে।
বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম মার ঘরের দরজার তলা দিয়ে আলো দেখা যাচ্ছে। আর মাঝে মাঝে তীব্র আশ্লেষে কিছু আওয়াজ আসছে আঃ আঃ আঃ..... উফফফ। আম্মম ইসশশ.... হা আ আ উফফ এমন। আমি ঠিক বুঝলাম না। তারপর শুনি দিলিপ কাকুর গলা মা কে বলছে এই একটু ফাকা কর না সোনা।
অ,, দিলিপ কাকু আছে।
থাক গে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আর একটু ঘুমিয়ে নি। মা কেন অমন আওয়াজ করছে তা সকালে ব্রেকফাস্ট খাওয়ার সময় মাকে জেনে নিলেই হবে।
আবার আহঃ আহঃ আহঃ.... আম্মম্ম।

রাতে ভাল ঘুম হোলো না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম মা কে কালকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবো। কিন্ত আজব ব্যাপার, আজ প্রায় সকাল ৮ টা বাজতে চল্ল মা এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি।
দেখি দিলিপ কাকু সকাল সকাল খালি গায়ে টাওয়েল পেঁচিয়ে টিভি দেখছে।
আমি কাকু কে গুড মর্নিং উইশ করে ফ্রেশ হয়ে কাকুর কাছে বসলাম।
একটু গল্প গুজব করতে করতে কাকু কে বললাম কাকু মা উঠছে না কেনো। খিদে পাচ্ছে তো। আমার স্কুল ও যেতে হবে। প্রতিদিন মা কত সকালে উঠে যায়। মার কি শরির খারাপ?
কাকু বলছে না বাবু মা একটু বেশিই ক্লান্ত। কাল রাতে মার ঘরে আমি ছিলাম কিনা, রাতে আমরা একটু বেশি জিম করে নিয়েছি।
কিন্ত কাকু মা তো সকালে যেত জিমে।।
আসলে কাল তো তোমার বাবার ফ্লাইট ছিল তাই আর জিমে জাওয়া হয় নি।
-ও, আচ্ছা।
এবার কাকুর গায়ে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি কাকুর বুকে আর ঘাড়ে কামড়ের দাগ।
- এ মা....কাকু তোমায় কে কামড়ে দিয়েছে?
- আর বোলো না, এক দুষ্টু রমণী।
- রমণী কি?
- দারাও তোমার মা কে তুলে আনি। ওই বলবে।
কাকু উঠে মা- বাবার বেড রুমের দিকে গেল। আর আমি কার্টুন চ্যনেল দিয়ে দিলাম। একটু বাদেই কাকু কে দেখি মা কে পুরো পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে আসছে। আর মা পুরো গায়ে বেডশিট জড়িয়ে কাকুর গলা আকড়ে ধরে আছে। আর এই এই পড়ে যাব পড়ে যাব বলছে।
আমি বোকার মত ভ্যাবাচেকা খেয়ে অনেকদিন এমন আনন্দের দ্রিশ্য দেখি নি এমন ভাব করে হাততালি দিয়ে উঠলাম।

আমি হাততালি দিতেই যেন মার সম্বিত ফিরল। মা এক হাত ছেড়ে দিয়ে বেডশিট টা ভাল করে আকড়ে ধরল। আর যেই না কাকু মা কে সোফায় রাখতে গেল তার টাওয়েল গেল খুলে। কাকু পুরো উলঙ্গ । গায়ে কিচ্ছু নেই।
আমি অবাক হয়ে দেখলাম কাকুর নুংকুটা যেন সেদিনের থেকেও বড় দেখাচ্ছে। আর কিছু কিছু যায়গায় সাদা সাদা কি যেন লেগে আছে।
আমি হি হি করে হেসে উঠলাম। কাকু আবার ব্যস্ত হয়ে টাওয়েল টা জড়িয়ে নিল। আমি মা কে বললাম মা দেখেছ কাকুর কোমোরে ঘুন্সি বাধা নে।। আমিও পড়ব না। আমার টাও খুলে দাও না।
কাকু যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল।
আমি কোন অস্বস্তি কর কথা বলিনি বলে মাও রিলিফ পেয়ে সোফায় বসে পরল। আর আমাকে বল্ল বাবু সোনা তুমি স্কুলের জন্য রেডি হয়ে নাও। আমি খাবার বানিয়ে দিচ্ছি।
আমি আবার জেদ করে বললাম আগে আমার কোমড় থেকে ঘুন্সি খুলে দাও।
মা এবার একটু রাগ দেখিয়ে বল্ল- এই কাকু তোমার থেকে কত বড়! কাকুর মত হয়ে নাও তার পর নিজেই খুলে নিও।
আমি এবার বললাম - মা কাকুর মত বড় হলে আমার নুনুও কাকুর মত হবে!
কাকু হাসতে হাসতে সোফা থেকে যেন গড়িয়ে পরছে। মা দেখলাম লজ্জায় মুখ লাল করে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিল।
এই মুহুর্তে কাকিমা আমাদের ফ্ল্যাটে বেল বাজাল। আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম।কাকিমা ঘড়ে ঢুকে একটু থতমত খেয়ে গেল।
হাতে বিশাল এক টিফিন বাক্স। কাকিমা বল্ল আরে... এ কি!........ তোমরা কি রাতুলের সামনেই....! মা আবার লজ্জায় মুখ ঢাকল।
আমি বুঝতেই পারলাম না, কি ব্যাপার।
কাকু বলেউঠল, আরে থামো তো, টিফিনে করে কি আনলে বল। বাবুর স্কুল আছে আর ও ( মা কে দেখিয়ে) এখনি ঘুম থেকে উঠল।

কাকিমা বলে উঠল। হু হু মশাই আমি জানতাম তুমি রুপাদির বারোটা বাজিয়েই ছারবে। তাই আজ রান্নার মাসিকে তারা তারি আসতে বলেছিলাম।
রাতুলের ব্রেকফাস্ট, স্কুলের টিফিন সব আছে।
আর তোমাদেরও এনেছি।
কাকু বলে উঠল বাহ... বিবি হো তো এইসা।


আমি রেডি হতে চলেগেলাম। কিন্ত কান পরে রইল এখানে। রেডি হতে হতে শুনতে পাচ্ছি কাকিমা - মা কে বলছে, কি দিদি কি হল, পুরো নতুন বউয়ের মত লজ্জা পাচ্ছ যে। কবার হল শুনি। কাকু মা বলার আগেই বলে উঠল সাড়ে চার।
- মানে?
- মানে ওই আর কি একবার বুবজব।
- বাবাহঃ তোমরা পারোও বটে। দিদি কি ভেগে যাচ্ছিল, নাকি তোমাকে আর দেবেনা বলেছে।
- তুমি তো জানই, আমার একটু বেশি দরকার হয়। কেন এমন বলছ!
কাকিমা এবার মাকে বলছে। কি দিদি! পেটে খিদে মুখে লাজ। সত্যি! চার বার!
কাকু এবার যেন একটু বীরদর্পে বলে উঠল বাবু স্কুলে গেলেই পুরো ফাকা ফ্ল্যাট।
কাকিমা এবার যেন একটু ঝাঁঝিয়ে উঠল, একদম নয় মিস্টার ভাসনা কে পুজারি। দিদি কে একটু রেস্ট নিতে দাও। পুরো দিন কোনো ডিস্টার্ব নয়।
আবার রাতে আসবে। এখন অফিস। রেগুলার যব। কি দিদি আপনি রাগ করলেন না তো!
- মা সুধু ধ্যাত বলে উঠল।
আমি রেডি হতে হতে শুধু এটুকু বুঝলাম যে এরা তিন জন মিলে কিছুতো একটা করছে। যেটা আমাকে জানতে হবে। দাল মে কুছ তো কালা হ্যায়।

স্কুল থেকে টগবগ করতে করতে বারি ফিরে এলাম। আজ হাল্ফ ডে বলে তাড়াতাড়ি ফিরে এলাম। বাড়ি ফিরে দেখি মা গুন গুন করে গান করছে আর অন্য দিন গুলির তুলনায় অনেক বেশি খুশি।। যা হোক মনে মনে চিন্তা করছি কিছু একটা তো করতেই হবে। মার বেড রুমে কি হয় তা দেখার জন্য। মা বল্ল বাবু কোনো দুষ্টুমি নয়। চুপচাপ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়।
আমি ফন্দি পেলাম।
মা কে বললাম আচ্ছা আমাদের ফ্লাটের পেছনে ফাকা জায়গায় একটা ফুল গাছ লাগাবো মা?
মা বল্ল হটাথ?
- এমনি, আজ স্কুলে জবা ফুলের বিভিন্ন অংশ গুলো দেখিয়েছে। আমাদের পেছনে ফাকা জায়গায় একটা লাগাই না মা। কাকু কিছু বলবে না, দেখো তুমি। বরং খুশি হবে।
- আমি জানি কাকু কিছু বলবে না। কিন্ত তুমি চারা পাবে কোথায়।
- আমি তুকাইয়ের বারিতে দেখেছি। তার একটা ডাল লাগিয়ে দেব। ভালো করে লাগিয়ে দিলেই হবে।
- আচ্ছা, কিন্ত তার পর ঘুমিয়ে পরবে। নইলে সন্ধায় পরতে বললেই ঘুম পাবে।
- আমি আচ্ছা বলেই একলাফে চলে এলাম তুকাইয়ের কাছে। ওর কাছ থেকে ডাল নিয়ে আসলাম। এবার আমাদের ফ্ল্যটের পেছন দিকে গিয়ে ভাল করে দেখলাম। মায়ের বেডরুমের জানালার ঠিক সোজা সুজি ভালভাবে গাছ লাগালাম। যায়গা টা মাটি দিয়ে দিয়ে উচু করে নিলাম। দারিয়ে দেখলাম - হ্যা। এবার রুমের ভেতর টা পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি। ব্যাস হয়ে গেছে। এবার সুবোধ বালকের মত ভাল একটা ঘুম দিতে হবে। নইলে রাতে জাগতে পারব না।

ঘুম থেকে উঠে পরতে বসে পরলাম যাতে মা আর কিছু না বলে। মোটামুটি পরা কমপ্লিট। কাল স্কুলের জন্য রেডি হয়ে গেছে।
এবার একটু ভিডিও গেম খেলাই যায়।
কিছুক্ষনের মদ্ধেই কাকুও এসে পরল। কাকু অফিস থেকে সরাসরি আমাদের ফ্ল্যাটেই এসেছে। দেখলাম মার জন্য একটা গিফট প্যাক আছে।
আমিও বলালাম আমার? কাকু বল্ল ইয়েস, তোমার জন্য নীড ফর স্পীড। আমি হই হই করে উঠলাম। অনেকদিন থেকে বাবাকে বলেও পাই নি। কাকু কিভাবে যেন ঠিক কিভাবে আমার মনের কথা জানতে পেরে যায়।
কাকু ইন্সটল করে দিতেই দুজনে মিলে বসে পরলাম খেলতে।
কাকু একটু খেলে বল্ল বাবু একটু উপর থেকে আসি। একটু ফ্রেশ হয়ে নি। অনেক খেল্লাম।
- ok, ঠিক আছে কাকু।
- কাকু কিছুক্ষন পর আসল। সাথে কাকিমাও আছে দেখছি।
কাকু এবার বল্ল বাবু চল আমরা একটু ঘুরে আসি।
আমি বললাম কাকু আজ চলো চক্লেট খাব।
- নিশ্চয়।
কাকিমা কে বল্ল দেখো তিন্নি ঠিকঠাক করে রেডি করে রেখ। আমরা ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই ফিরব। আর মার দিকে ফিরে চোখ মেরে বল্ল surprise me.

আমরা বারি ফিরলাম প্রায় রাত দশটায়। প্রচুর চক্লেট খেয়ে ও নিয়ে। কাকু মার জন্যও বেশ কয়েকটা নিয়ে এসেছে। এসে দেখি মা পুরো মেকআপ লাল লিপস্টিক, লাল শাড়ী- ব্লাউজ পরে একদম স্রাবন্তির জেরক্স কপির মত লাগছে। আমি অভিভুত হয়ে গেলাম। সত্যি আমার মা ভিশন সুন্দর দেখতে। আজ কেউ দেখলে তো চোখ ফেরাতে পারবে না, শিওর।
কাকু দেখলাম পুরো হা হয়ে গেছে। বড় করে বলে উঠল ooowaao.
আমি বলালাম মা তুমি কোথাও যাচ্ছ। মা বল্ল না রে বাবু একটু সাজতে ইচ্ছে হল।
আমি আর কিছু বললাম না। মনের সন্দেহ আরও গার হল। আজ কিছু তো নিশ্চিত ঘটতে চলেছে।
Like Reply


Messages In This Thread
ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:04 PM
RE: ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:14 PM
RE: ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:16 PM
RE: ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:17 PM
RE: ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:19 PM
RE: ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:19 PM
RE: ভবিতব্য - by luluhulu - 25-05-2019, 04:20 PM
RE: ভবিতব্য - by Ananto - 25-05-2019, 06:54 PM
RE: ভবিতব্য - by sairaali111 - 25-05-2019, 07:04 PM
RE: ভবিতব্য - by arn43 - 01-05-2021, 07:55 PM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)