23-07-2022, 03:10 PM
(This post was last modified: 23-07-2022, 03:28 PM by Baban. Edited 4 times in total. Edited 4 times in total.)
যা লিখে দিলে তা পড়ে আর তোমার জ্ঞান পরিধি জেনে যে এখনো উল্টে চিৎপটাং না হয়ে স্বাভাবিক আছি সেটাই অনেক। কি দিলে দিদি!! এরপর আর কিছুই বলার থাকেনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ভাবে, এতো পরিষ্কার ভাবে আমার বলা ব্যাপারগুলো নিয়ে মতামত দেবার জন্য। ♥️
শক্তি নিয়ে তোমার এই মূল্যবান অভিমত ও সত্য ইতিহাস জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই ব্যাপারটা নিয়ে অর্থাৎ টাইম ট্রাভেল নিয়ে আমার এই আকর্ষণ প্রথম জন্মায় Terminator 1,2 দেখে। সেই ছোট বয়সে ওতো কিছু না বুঝলেও ওই সময় পারাপার ব্যাপারটা বেশ মনকারা ছিল। পৃথিবী আর মানুষের নয়, AI দ্বারা চালিত উন্নত মেশিনের কন্ট্রোলে চালিত হচ্ছে আর মানব সভ্যতা তখন তাদের বন্দি ও সেবক। নিজেদেরই সৃষ্টি ওই আধুনিক বিজ্ঞানের আরও আধুনিক হয়ে ওঠার উপহার স্বরূপ মানুষেরাই তখন গিনিপিগ। সেই সময় দাঁড়িয়ে কিছু মানব বিদ্রোহী হাতে তুলে নেয় অস্ত্র আর বিদ্রোহ ঘোষণা করে যন্ত্র মালিকদের ওপর। তাদের জয় ক্রমশ বাড়তে থাকে ওই বিদ্রোহী ও তাদের সর্দার জন কর্নর এর হাত ধরে।
তাই দেখে টাইম ট্রাভেল করে পাঠানো হয় এক AI robo কে। যার একটাই লক্ষ.... সেই প্রথম বিদ্রোহী সর্দার জন নামক মানুষের অস্তিত্ব বিনাশ। সে মারা গেলে আর বাকিরা লড়ার অনুপ্রেরণাই পাবেনা। আর এটা হবে তার জন্মের পূর্বেই তার মাকে হত্যা করে। যাতে সে জন্মাতেই না পারে। আর নিজের মাকে রক্ষা করতে সেই বিদ্রোহী সৈনিক ও বিজ্ঞানী নিজেও একই ভাবে পাঠায় নিজের দলের মধ্যেকার এক পুরুষকে। যাতে সে গিয়ে ওই রোবটকে ধ্বংস করে নিজের গুরু তথা সিনিয়র এর মা কে রক্ষা করতে পারে।
কিন্তু এখানেই আসল চমক যেটা আমার সবচেয়ে অদ্ভুত আর অসাধারণ লেগেছিলো। সেই জুনিয়ার সৈনিক অতীতে গিয়ে দেখা পায় নিজের সিনিয়র এর মায়ের যখন সে একেবারে যুবতী। রূপসী এক নারী। তাকে রক্ষা করতে করতে কখন যে সেই ছেলেটি নিজের গুরুর, নিজের সিনিয়র এর মায়ের প্রেমে পড়ে যায় সেটা নিজেও হয়তো বুঝতেই পারেনি। অন্য দিকে মেয়েটিও সেই রক্ষাকারী পুরুষের প্রেমে পড়ে যায় আর ভালোবাসার চরম ফল স্বরূপ একে ওপরের খুবই কাছে চলে আসে আর একে ওপরের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। মেয়েটি প্রেগনেন্ট হয়ে যায়।
এবার বুঝতে পারছো তাহলে ওই জুনিয়র ছেলেটি আসলে কে? হ্যা ওই সিনিয়র বিদ্রোহী যোদ্ধার পিতা স্বয়ং সেই জুনিয়র ছেলেটি। যাকে ছোট্ট বয়সে রক্ষা করে সেই যোদ্ধা নিজের কাছে রেখে নিজের হাতে লড়তে শিখিয়ে ছিল ও একদিন নিজের মাকে বাঁচাতে সেই জুনিয়র ছেলেটিকেই কে মায়ের কাছে পাঠিয়েছিল..... সেই কিনা ওর আপন পিতা!
এই ব্যাপারটা ওই বয়সে মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলো আমার! হ্যা কল্পবিজ্ঞানের গল্প হলেও এই আইডিয়াটা অসাধারণ। আর পরিচালক কে ছিলেন সেটাও তো দেখতে হবে। জেমস ক্যামেরণ। ❤
যাইহোক আবারো ধন্যবাদ। মিশর, পিরামিড আর এলিয়েন এর এই মিসিং লিংক সত্যিই রহস্য ময়।