17-07-2022, 10:38 PM
এক সন্ধ্যার কথা।
বাবা তার পুরনো বন্ধুদের সাথে পাত্তি খেলছে, আর মদ গিলছে। বাবার বন্ধুরা সকলেই হেন্দু, এবং ভারতীয় নাগরিক - নরেশ, রাম, গুপ্তা, সুরেশ ও মিশ্রা - এরা সকলেই বর্ডারের ওপার থেকে চোরাচালানীর মাল সাপ্লাই দিতো। বাবা ধরা পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেও তার বন্ধুরা চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। প্রশাসনের মদদপুষ্ট কিছু পার্টীকে টাকা খাইয়ে তারা নিজেদের ব্যবসা চালু রেখেছে। শূল্ক ফাঁকি দিয়ে বর্ডারের ওপার থেকে ইণ্ডিয়ান মদ, সিগারেট, প্রসাধনী ইত্যাদি স্মাগলিং করে এনে এখানে নিজেরাই বিক্রি করছে তারা।
তবে বাবার সাথে পুরনো বন্ধুত্বের খাতিরে এখনো তারা আমাদের বাড়ীতে মদ আর তাসের আসর জমাতে আসে। এদিকে স্মাগলিং চক্রের সদস্য এবং মদ্যপ হওয়ায় নিজ মূসলীম সমাজে বাবার গ্রহণযোগ্যতা ছিলো না, দরকার ছাড়া কেউ বাবার সাথে বন্ধুত্ব করতো না, দু’চারজনের সাথে যাও বা সম্পর্ক ছিলো তা কেবলই ব্যবসার খাতিরে। ব্যবসা চলে যাবার পর থেকে সবাই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করলো। ফলে বাবা তার ভারতীয় অংশীদার পুরণো বন্ধুদের সাথে নেশার আসর জমাতে বাধ্য হতো।
ঘরে অমূসলীমদের সাথে মদ আর জুয়ার আসর বসানো আম্মি অপছন্দ করতো। অন্ততঃ এতদিন এমনটাই ভাবতাম আমি। জুয়ার আড্ডা নিয়ে আপত্তি, ঝগড়া করায় বাবার হাতে মার খেতে দেখেছি আম্মিকে একাধিকবার, মুখ বুঁজে শারীরিক প্রহার, লাঞ্ছনা সহ্য করে গেছে বেচারী। তাই আমি ভেবে নিয়েছিলাম, ওর স্বামীকে বিপথগামী করার জন্য স্বামীর ইণ্ডিয়ান বন্ধুদের ঘৃণা করে আমার মা। সে ধারণা ভেঙ্গে গেলো এক সন্ধ্যায়।
আমার মদে চুর বাবা তার বন্ধুদের নিয়ে তাশ পেটাচ্ছিলো বসার ঘরে। আম্মি কিচেনে রাতের খাবার তৈরী নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। আর আমি নিজের ঘরে কলেজের হোমওয়ার্ক করছিলাম।
অনেকক্ষণ ধরে পড়া মুখস্থ করে খুব তেষ্টা পেয়ে গিয়েছিলো, আমি ঠাণ্ডা পানি আনতে কিচেনের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন দেখি রাম কাকু মুচকী হেসে কিচেনের দিকে যাচ্ছে।
দূর থেকে রামকাকুকে দেখে মনে হলো তার কিছু একটা কুমতলব আছে। কিচেনে আমার আম্মি একা কাজ করছে, এসময় সেখানে রামকাকুর কি দরকার?
আমি চুপিসাড়ে কিচেনের দরজার কাছে চলে গেলাম। দরজার পাশে বড়ো ফৃজটা রাখা। ওটার আড়ালে লুকিয়ে উঁকি মারলাম কিচেনে।
বাবা তার পুরনো বন্ধুদের সাথে পাত্তি খেলছে, আর মদ গিলছে। বাবার বন্ধুরা সকলেই হেন্দু, এবং ভারতীয় নাগরিক - নরেশ, রাম, গুপ্তা, সুরেশ ও মিশ্রা - এরা সকলেই বর্ডারের ওপার থেকে চোরাচালানীর মাল সাপ্লাই দিতো। বাবা ধরা পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেও তার বন্ধুরা চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। প্রশাসনের মদদপুষ্ট কিছু পার্টীকে টাকা খাইয়ে তারা নিজেদের ব্যবসা চালু রেখেছে। শূল্ক ফাঁকি দিয়ে বর্ডারের ওপার থেকে ইণ্ডিয়ান মদ, সিগারেট, প্রসাধনী ইত্যাদি স্মাগলিং করে এনে এখানে নিজেরাই বিক্রি করছে তারা।
তবে বাবার সাথে পুরনো বন্ধুত্বের খাতিরে এখনো তারা আমাদের বাড়ীতে মদ আর তাসের আসর জমাতে আসে। এদিকে স্মাগলিং চক্রের সদস্য এবং মদ্যপ হওয়ায় নিজ মূসলীম সমাজে বাবার গ্রহণযোগ্যতা ছিলো না, দরকার ছাড়া কেউ বাবার সাথে বন্ধুত্ব করতো না, দু’চারজনের সাথে যাও বা সম্পর্ক ছিলো তা কেবলই ব্যবসার খাতিরে। ব্যবসা চলে যাবার পর থেকে সবাই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করলো। ফলে বাবা তার ভারতীয় অংশীদার পুরণো বন্ধুদের সাথে নেশার আসর জমাতে বাধ্য হতো।
ঘরে অমূসলীমদের সাথে মদ আর জুয়ার আসর বসানো আম্মি অপছন্দ করতো। অন্ততঃ এতদিন এমনটাই ভাবতাম আমি। জুয়ার আড্ডা নিয়ে আপত্তি, ঝগড়া করায় বাবার হাতে মার খেতে দেখেছি আম্মিকে একাধিকবার, মুখ বুঁজে শারীরিক প্রহার, লাঞ্ছনা সহ্য করে গেছে বেচারী। তাই আমি ভেবে নিয়েছিলাম, ওর স্বামীকে বিপথগামী করার জন্য স্বামীর ইণ্ডিয়ান বন্ধুদের ঘৃণা করে আমার মা। সে ধারণা ভেঙ্গে গেলো এক সন্ধ্যায়।
আমার মদে চুর বাবা তার বন্ধুদের নিয়ে তাশ পেটাচ্ছিলো বসার ঘরে। আম্মি কিচেনে রাতের খাবার তৈরী নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। আর আমি নিজের ঘরে কলেজের হোমওয়ার্ক করছিলাম।
অনেকক্ষণ ধরে পড়া মুখস্থ করে খুব তেষ্টা পেয়ে গিয়েছিলো, আমি ঠাণ্ডা পানি আনতে কিচেনের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন দেখি রাম কাকু মুচকী হেসে কিচেনের দিকে যাচ্ছে।
দূর থেকে রামকাকুকে দেখে মনে হলো তার কিছু একটা কুমতলব আছে। কিচেনে আমার আম্মি একা কাজ করছে, এসময় সেখানে রামকাকুর কি দরকার?
আমি চুপিসাড়ে কিচেনের দরজার কাছে চলে গেলাম। দরজার পাশে বড়ো ফৃজটা রাখা। ওটার আড়ালে লুকিয়ে উঁকি মারলাম কিচেনে।