17-07-2022, 10:29 AM
(17-07-2022, 10:21 AM)nandanadasnandana Wrote: কই কিছু তো নেই। কিন্তু বাইরে গন্ধ টা আরো বেশী। এগোতে পারছে না আর দীনেশ। মা কে জাগাবে? হ্যাঁ জাগানোই ভাল। কেমন গা টা ছম ছম করছে দীনেশের। আড়ষ্ট ভাব একটা। আর নিতে পারছে না দীনেশ। ইশ কি ভয়ঙ্কর দুর্গন্ধ!!! মা কে ডাকার জন্য এগোতেই কিছু একটা দেখে থমকে গেল দীনেশ। বিদ্যুতের আলোয় দেখল মাটির পাঁচিল এর মাথায় দুটো ভয়ঙ্কর মুখ। একটা মুখ বাঘের আর একটা মুখে যেন মৃত্যুর ছায়া। পচা গলা একটা মুখ। ভয়ঙ্কর আতঙ্কে মা কে ডাকতে যাবে সেই সময়েই, হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ল মাটির পাঁচিল। সেকেন্ডের ও কম সময়ে বিশাল চেহারা নিয়ে তড়িৎ গতিতে বাঘমুড়ো ছুটে এসে গলা টা টিপে ধরল দীনেশের। পলকে তুলে নিল দীনেশের শরীর টা নিজের এক হাতেই। গলা টা চেপে ধরে বাঘমুড়ো তুলে ধরেছে দীনেশ কে। দীনেশ কোন ভাবেই আওয়াজ বের করতে পারছে না। আর বের করলেও এই বৃষ্টি তে সেই আওয়াজ কেউ শুনতেও পারবে না। দীনেশের প্রাণ বেড়িয়ে যাবার আগে, মনে মধ্যে মরণের ইচ্ছে জেগে উঠল , এই ভয়ানক আতঙ্কের হাত থেকে মুক্তি পেতে।দীনেশ কে জলার মাঠে এনে বাঘমুড়ো অশ্বথামার নির্দেশে ধড় থেকে মাথা টা কে ছিঁড়ে ফেলল। দীনশের ভয়ঙ্কর মরণ চিৎকারে চারিদিকের নিস্তব্ধতা খান খান করে ভেঙ্গে গেল। পরে রইল দুই দিকে ধড় আর মাথা। ধড়ের পা দুট খানিক ছট ফট করে স্থির হয়ে গেল। মাঠের এক দিকে গড়িয়ে যাওয়া মাথা খানা পরে রইল নিথর হয়ে, ভয়ঙ্কর আতঙ্কে চোখ দুটো অস্বাভাবিক বের করে।
এমন ভয়ঙ্কর লেখা কি ভাবে লেখেন কি ভাবে কে জানে। সেই জন্যেই আপনি লেখক। কল্পনার আতঙ্কের মন মারাত্মক তীব্রতা আমাকে অবশ করেই দিয়েছে। একটা বিপজ্জনক পর্ব। জাল গোটাতে শুরু করেছেন বুঝতে পারছি। হীরা কে ভগবান রাখেন নি। সাধারণ ছেলের মতন করে রেখে দিয়েছেন। যেন মায়ের কোলের ছেলে। লালির ভালোবাসা এবারেও বাকি গল্প গুলোর মতন একটা জায়গা করে নেবে পাঠকদের মনে সেটা বুঝে গেছি।
হতে পারে এটার রেটিং কমে গেছে, কিন্তু এই গল্প আমার কাছে পাঁচ তারারও বেশী। যদিও আমার মনে হয় না আপনার তাঁরা নিয়ে কোন চাপ আছে বলে। দুর্দান্ত আপডেট।