10-07-2022, 11:53 AM
দাদার গল্পের চরিত্রগুলোর কর্ম-ভবিষ্যৎ-হৃদয়াবেগ সম্পর্কে পূর্বানুমান যথেষ্ঠ কঠিন. নতুন কিন্তু যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ নারীচরিত্র পাঞ্চালীর আগমনে কাহিনীর পরিধি আরো বেড়ে গেলো. আমার মতে, পাঞ্চালী কাহিনীতে কেন্দ্রীয় না পার্শ্ব নারীচরিত্র, তা অবশ্যই ভবিষ্যতে জানা যাবে. আমার মতে এখনও গল্পের নায়িকা সুমনা. সুমনার জীবনে হয়তো বিধাতার ইচ্ছেয় অজান্তে সেই দেবদ্যূতীর আগমন ঘটে গেছে, যে আগে গিয়ে সুমনার জীবনে তার মনের অনেক গহীনে চাপা অথচ অপূর্ণ চাহিদাগুলো পূরণে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে, যে চাহিদাগুলো সম্পর্কে সুমনা নিজেই সচেতনভাবে অবগত নয় বা এখনও এরকম কোনো কিছু ভাবা অন্যায় মনে করে থাকে.
আরো একটি সম্ভাব্য-ঘটনাক্রম ওঠে আসছে - যদিও তা অনুমান মাত্র. গোবের (আরে বখাটে গোবিন্দ) কিছু ঋণ শোধ-বোধ করার আছে সুখোর সঙ্গে. গোবে কি পরবর্তীতে সুখোর প্রেমিকা(বা স্ত্রী) পাঞ্চালীর জীবনে এসে সেই ঋণশোধ করবে? না কি সুমনা পাঞ্চালীর জীবনে এক দেবীর ন্যায় তাকে সুখের সন্ধান দেবে যা থেকে সে বঞ্চিতা; কেননা সুমনা নিজেও তো একজন নারী, সে নিশ্চয় আরেক নারীর মনোকষ্ট আঁচ করার ক্ষমতা রাখে. কাকে দিয়ে - নিজের দ্বিতীয় সন্তানকে দিয়ে?
দাদা অনেকগুলো সম্ভাবনার দিক খুলে দিয়েছেন. এখনও কোনো কিছু সুস্পষ্টভাবে অনুমান করা কঠিন. দেখি, দুষ্ট জাদুকর বিধাতার মতো কলকাঠি নেড়ে কোনদিকে কাহিনীকে মোড় দিয়ে থাকেন - রইলাম অপেক্ষায়.