21-06-2022, 03:16 PM
রাতের বেলা সুবিমল মত্ত অবস্থায় জুলিকে বলে ‘আর কতদিন এরকম চাকর বাকরের মতন থাকতে হবে বলোতো? এত করার পরেও মন পাওয়া যায়না? ভালো করার জন্যে যা করি, সব কিছুতেই শুনতে হয়, বড়মার পারমিশান আছে? আর আমার ভালো লাগছেনা এই অসন্মানের জীবন। এর থেকে আমার বাড়িতে আমি ভালো ছিলাম, সব ছেরে ছুরে দিয়ে চলে এলাম তোমার টানে, আর এখানে মানুষের স্বাভাবিক ভাবে বাঁচারই পারমিশান নেই?’
জুলি এই গঞ্জনা আগেও শুনেছে। সেরকম কান দেয়না। ও ওর মতন থাকে। বাড়ি থেকে বেরোয় না, সেই কুমারি মায়ের বদনামের ভয়ে। যতই চেপে রাখুক পাড়ার সবাই তো জানে ওর আর সুবিমলের বিয়েটা কি ভাবে হয়েছে। কিন্তু একটা জায়গায় ও খুব দুর্বল। সেটা রাতের বেলা সুবিমল নানা বিভঙ্গে ওর দেহের ক্ষিদে মেটায় সেইজন্যে। সারাদিন ওর অলস কাটলেও, মত্ত সুবিমল ওকে দারুন সুখ দেয়। এখন অবশ্য সতর্ক হয়েই করে, যাতে আরেক বোঝা পেটে না চলে আসে। কিন্তু ব্যাস ঐটুকুই। এছারা সারাক্ষন ও স্বপ্নভঙ্গের ক্ষত নিয়ে কাটায়। ইচ্ছে ছিলো স্বামি বড় চাকড়ি করবে। গাড়ি এসে নিয়ে যাবে, বছর বছর বিদেশ ঘুরতে যাবে। মিলির চোখে ঈর্ষা দেখতে চেয়েছিলো ও। বরাবরই মিলি ওর থেকে বেশি স্নেহ পায় এ বাড়িতে। সেটা সুক্ষ্মভাবে হলেও একটা প্রতিযোগিতে সৃষ্টি করেছিলো ওর মধ্যে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেলো। মাম্মি চলে গেলে মিলির হাতেই এই বাড়ির রাশ উঠবে সেটা ও জানে। তাই সুবিমলের সন্মন্ধে নানান কথা ইতিউতি শুনলেও ও কান দেয় না। কি জন্যে ও সুবিমলকে আটকাবে? মিলির হাতে সব তুলে দিতে? আর সারাজিবন এই ভাবে ওর গলগ্রহ হয়ে থাকবে।
সুবিমল যা করে মিলি এসে টাইম টু টাইম জুলিকে বলে ওকে শোধরানোর দাওয়াই সমেত। জুলি সুবিমলকে জিজ্ঞেস করলে সুবিমল উলটো কথা বলে। মিলিকেই মিথ্যেবাদি প্রতিপন্য করে। মুখে কিছু না বললেও মিলি আর জুলির এই অঘোষিত প্রতিযোগিতার ফলে সুবিমলই ফায়দা পেয়ে চললো। জুলি নিজের অজান্তেই সুবিমলকে সমর্থন করতে শুরু করলো।
বড়মা সবই বুঝতে পারে। কিন্তু চেয়ারে বসে থেকে এর থেকে বেশি কিছু করতে পারেনা।
সুবিমলও বুঝতে পারে যে এই দুজনই ওর একমাত্র পথের কাঁটা। বড়মা সব ব্যাপারে মিলির সঙ্গেই পরামর্শ করে। এইসব চশমিশ, বিদ্যাবাগিস মেয়েগুলো সব সময় এরকমই হয়। মেয়েছেলে ঘাটার অভিজ্ঞতা থেকে সুবিমল জানে যে এরা সহজে টোপ গেলেনা। কেমন যেন কাঠখোট্টা টাইপের হয়। কোন টোপই যথেষ্ট নয়।
মিলিও বুঝতে পারে নিজের মায়ের পেটের বোন খাল কেটে কেমন ভয়ানক কুমির ঢুকিয়েছে। এমন কি জুলির সন্তান হওয়াটাও সুবিমলের কুটিল মতলবের অন্যতম। কিন্তু সন জেনেও নিজের বোনের বিরুদ্ধে যেতে পারেনা ও। হাজার হোক মিলি তো ওর থেকে বড়। রাগ অভিমানে যদি কিছু একটা করে বসে তো নিজের বোনই ভুগবে।
জুলি এই গঞ্জনা আগেও শুনেছে। সেরকম কান দেয়না। ও ওর মতন থাকে। বাড়ি থেকে বেরোয় না, সেই কুমারি মায়ের বদনামের ভয়ে। যতই চেপে রাখুক পাড়ার সবাই তো জানে ওর আর সুবিমলের বিয়েটা কি ভাবে হয়েছে। কিন্তু একটা জায়গায় ও খুব দুর্বল। সেটা রাতের বেলা সুবিমল নানা বিভঙ্গে ওর দেহের ক্ষিদে মেটায় সেইজন্যে। সারাদিন ওর অলস কাটলেও, মত্ত সুবিমল ওকে দারুন সুখ দেয়। এখন অবশ্য সতর্ক হয়েই করে, যাতে আরেক বোঝা পেটে না চলে আসে। কিন্তু ব্যাস ঐটুকুই। এছারা সারাক্ষন ও স্বপ্নভঙ্গের ক্ষত নিয়ে কাটায়। ইচ্ছে ছিলো স্বামি বড় চাকড়ি করবে। গাড়ি এসে নিয়ে যাবে, বছর বছর বিদেশ ঘুরতে যাবে। মিলির চোখে ঈর্ষা দেখতে চেয়েছিলো ও। বরাবরই মিলি ওর থেকে বেশি স্নেহ পায় এ বাড়িতে। সেটা সুক্ষ্মভাবে হলেও একটা প্রতিযোগিতে সৃষ্টি করেছিলো ওর মধ্যে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেলো। মাম্মি চলে গেলে মিলির হাতেই এই বাড়ির রাশ উঠবে সেটা ও জানে। তাই সুবিমলের সন্মন্ধে নানান কথা ইতিউতি শুনলেও ও কান দেয় না। কি জন্যে ও সুবিমলকে আটকাবে? মিলির হাতে সব তুলে দিতে? আর সারাজিবন এই ভাবে ওর গলগ্রহ হয়ে থাকবে।
সুবিমল যা করে মিলি এসে টাইম টু টাইম জুলিকে বলে ওকে শোধরানোর দাওয়াই সমেত। জুলি সুবিমলকে জিজ্ঞেস করলে সুবিমল উলটো কথা বলে। মিলিকেই মিথ্যেবাদি প্রতিপন্য করে। মুখে কিছু না বললেও মিলি আর জুলির এই অঘোষিত প্রতিযোগিতার ফলে সুবিমলই ফায়দা পেয়ে চললো। জুলি নিজের অজান্তেই সুবিমলকে সমর্থন করতে শুরু করলো।
বড়মা সবই বুঝতে পারে। কিন্তু চেয়ারে বসে থেকে এর থেকে বেশি কিছু করতে পারেনা।
সুবিমলও বুঝতে পারে যে এই দুজনই ওর একমাত্র পথের কাঁটা। বড়মা সব ব্যাপারে মিলির সঙ্গেই পরামর্শ করে। এইসব চশমিশ, বিদ্যাবাগিস মেয়েগুলো সব সময় এরকমই হয়। মেয়েছেলে ঘাটার অভিজ্ঞতা থেকে সুবিমল জানে যে এরা সহজে টোপ গেলেনা। কেমন যেন কাঠখোট্টা টাইপের হয়। কোন টোপই যথেষ্ট নয়।
মিলিও বুঝতে পারে নিজের মায়ের পেটের বোন খাল কেটে কেমন ভয়ানক কুমির ঢুকিয়েছে। এমন কি জুলির সন্তান হওয়াটাও সুবিমলের কুটিল মতলবের অন্যতম। কিন্তু সন জেনেও নিজের বোনের বিরুদ্ধে যেতে পারেনা ও। হাজার হোক মিলি তো ওর থেকে বড়। রাগ অভিমানে যদি কিছু একটা করে বসে তো নিজের বোনই ভুগবে।