21-06-2022, 09:40 AM
বড়বাড়িতে নাটকের উপস্থাপনা।
বড়মা বসে আছেন সামনে সুবিমল। বড়মার সাথে চোখে চোখ মিলিয়ে কথা বলে চলেছে। পাশের ঘরে জুলি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে। বড়মার পিছনে দাঁড়িয়ে মিলি অবাক হয়ে ঘটনার ঘনঘটা দেখছে।
‘আমি জানি আমি অন্যায় করেছি, কিন্তু এই তো দেখলেন একহাতে তালি বাজেনি। আমি তো এই জন্যে ওকে আমার বাড়ি ঘর সব দেখিয়েছি।’
উত্তেজিত বড়মা থরথর করে কাঁপছে। ‘তোমার উচিত ছিলো আমাদের জানানো। ও একটা কলেজ পড়ূয়া মেয়ে, এসবের কি বোঝে? তুমি তো প্রাপ্তবয়স্ক, তুমি বুঝতে পারোনি যে এ সম্পর্কের কোন ভবিষ্যত নেই?’
‘সম্পর্ক কি আর বড়লোক ছোটলোক দেখে হয়? দুজনেরই তো দুজন কে ভালো লেগেছে বলেই আমরা এগিয়েছি।’
‘দুজনের কথা বলবেনা। আমার মেয়ে এখনো পরিনত হয়নি। ও ভুল করেছে। কিন্তু সেটা না জেনে। তুমি করেছো জেনে। এটাকে অন্যায় বলে। তুমি ওর সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না। ওর ব্যাপার আমরা বুঝে নেবো।’
‘সেটা কি করে হয়?’
‘মানে? তুমি কি আমার কথায় কোনরকম মজা পাচ্ছো?’
‘না সেরকম ভাববেন না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝার মতন বয়েস আমার হয়েছে, সে আপনি আমাকে যতই তৃনসম ভাবুন না কেন?’
আরো উত্তেজিত হয়ে বড়মা টানটান হয়ে উঠলো, খানদানি রক্ত টগবগ করে ফুটছে। আজকে ঊনার মেয়ের নাম জড়িয়ে আছে তাই উনি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করছেন নাহলে এরকম একটা ছোকরাকে শাস্তি দেওয়ার সমস্ত উপকরন ও শক্তি রয়েছে উনার।
‘কি বলতে চাইছো তুমি’ মুখ রাগে লাল হয়ে আছে বড়মার।
‘আমি বলতে চাইছি যে আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। এখানে আমি আর জুলি শুধু জড়িত নই, এখানে আরেকজনের ভবিষ্যতও জড়িত। তাকে অবজ্ঞা করে কোনকিছুর আলোচনায় যথার্থ কি?’
‘সেটা আমরা ভেবে নেবো। আমাদের মেয়ে, ওর ভবিষ্যত আমরা ঠিক করবো।’
‘না ওর একার ভবিষ্যত না। ওখানে আমারও সমান অংশ আছে। এরপরেও যদি আমাকে অবজ্ঞা করে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে চান তাহলে আমাকে বাধ্য হয়ে উপযুক্ত জায়গায় কড়া নাড়াতে হবে।’
‘তুমি কি আমাকে ধমকি দিচ্ছো?’ এতক্ষনের ধৈর্য্য মুহুর্তের মধ্যে ভেঙ্গে গেলো। বড়মা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। মিলি ওর মাম্মামের হাত চেপে ধরলো।
‘উত্তেজিত হবেন না, এই বয়েসে উত্তেজনা ভালো নয়। সদ্য আমি পিতৃহারা হয়েছি, আপনি আমাকে না মানুন, কিন্তু আমি আপনাকে সন্মান করি। তাই এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারবো না।’
চোখে মুখে অন্ধকার দেখে বড়মা মাটিতে পরে গেলো। জুলি ভিতরের ঘরের থেকে বেরিয়ে এলো দৌড়ে। মিলি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
বড়মা বসে আছেন সামনে সুবিমল। বড়মার সাথে চোখে চোখ মিলিয়ে কথা বলে চলেছে। পাশের ঘরে জুলি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে। বড়মার পিছনে দাঁড়িয়ে মিলি অবাক হয়ে ঘটনার ঘনঘটা দেখছে।
‘আমি জানি আমি অন্যায় করেছি, কিন্তু এই তো দেখলেন একহাতে তালি বাজেনি। আমি তো এই জন্যে ওকে আমার বাড়ি ঘর সব দেখিয়েছি।’
উত্তেজিত বড়মা থরথর করে কাঁপছে। ‘তোমার উচিত ছিলো আমাদের জানানো। ও একটা কলেজ পড়ূয়া মেয়ে, এসবের কি বোঝে? তুমি তো প্রাপ্তবয়স্ক, তুমি বুঝতে পারোনি যে এ সম্পর্কের কোন ভবিষ্যত নেই?’
‘সম্পর্ক কি আর বড়লোক ছোটলোক দেখে হয়? দুজনেরই তো দুজন কে ভালো লেগেছে বলেই আমরা এগিয়েছি।’
‘দুজনের কথা বলবেনা। আমার মেয়ে এখনো পরিনত হয়নি। ও ভুল করেছে। কিন্তু সেটা না জেনে। তুমি করেছো জেনে। এটাকে অন্যায় বলে। তুমি ওর সাথে আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না। ওর ব্যাপার আমরা বুঝে নেবো।’
‘সেটা কি করে হয়?’
‘মানে? তুমি কি আমার কথায় কোনরকম মজা পাচ্ছো?’
‘না সেরকম ভাববেন না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝার মতন বয়েস আমার হয়েছে, সে আপনি আমাকে যতই তৃনসম ভাবুন না কেন?’
আরো উত্তেজিত হয়ে বড়মা টানটান হয়ে উঠলো, খানদানি রক্ত টগবগ করে ফুটছে। আজকে ঊনার মেয়ের নাম জড়িয়ে আছে তাই উনি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করছেন নাহলে এরকম একটা ছোকরাকে শাস্তি দেওয়ার সমস্ত উপকরন ও শক্তি রয়েছে উনার।
‘কি বলতে চাইছো তুমি’ মুখ রাগে লাল হয়ে আছে বড়মার।
‘আমি বলতে চাইছি যে আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। এখানে আমি আর জুলি শুধু জড়িত নই, এখানে আরেকজনের ভবিষ্যতও জড়িত। তাকে অবজ্ঞা করে কোনকিছুর আলোচনায় যথার্থ কি?’
‘সেটা আমরা ভেবে নেবো। আমাদের মেয়ে, ওর ভবিষ্যত আমরা ঠিক করবো।’
‘না ওর একার ভবিষ্যত না। ওখানে আমারও সমান অংশ আছে। এরপরেও যদি আমাকে অবজ্ঞা করে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে চান তাহলে আমাকে বাধ্য হয়ে উপযুক্ত জায়গায় কড়া নাড়াতে হবে।’
‘তুমি কি আমাকে ধমকি দিচ্ছো?’ এতক্ষনের ধৈর্য্য মুহুর্তের মধ্যে ভেঙ্গে গেলো। বড়মা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। মিলি ওর মাম্মামের হাত চেপে ধরলো।
‘উত্তেজিত হবেন না, এই বয়েসে উত্তেজনা ভালো নয়। সদ্য আমি পিতৃহারা হয়েছি, আপনি আমাকে না মানুন, কিন্তু আমি আপনাকে সন্মান করি। তাই এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারবো না।’
চোখে মুখে অন্ধকার দেখে বড়মা মাটিতে পরে গেলো। জুলি ভিতরের ঘরের থেকে বেরিয়ে এলো দৌড়ে। মিলি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।