20-06-2022, 12:59 PM
জুলি নিজে জানেনা যে কি বিপদের মধ্যে ও পড়েছে। ইদানিং শরীরে খুব অস্বস্তি হচ্ছে, খালি গা গোলায়, বমি পায়, কিছু খেতে ইচ্ছে করেনা। শরীর কেমন ভাড়ি ভাড়ি লাগে। খেলার সময়ও অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পরে। দুমাস হোলো ওর মাসিক হচ্ছেনা। সেই জন্যে হয়তো তলপেটটা ভাড়ি হয়ে আছে।
চোখ খুলে খেয়াল করে মা দাঁড়িয়ে আছে। মুখ থমথমে। জুলি বালিশের ওপর ঠেস দিয়ে উঠে বসলো।
‘কি হয়েছে তোমার জানো?’
কঠিন কিছু রোগ ভেবে জুলি আতঙ্কে কেঁপে উঠলো। জীবনকে ও খুব ভালোবাসে। মায়ের এই মুখ দেখে ভিষন ভয় হচ্ছে।
‘কি হয়েছে? ডাক্তার আঙ্কেল কি বললো।’
‘আমি মা হয়ে কি করে তোমাকে এই কথা জিজ্ঞেস করবো, এর থেকে ভালো নয় কি তুমি নিজে আমাকে সব খুলে বললে?’
‘আমি কিছু বুঝতে পারছিনা মাম্মি।’
‘আর আমাকে মাম্মি বোলো না... তুমি যা করেছো...।’ বড়মা ধপ করে ওর পায়ের কাছে বসে পরলো।
‘কি করেছি আমি? আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। কি বলেছে ডাক্তার আঙ্কেল?’
‘তোমাদের স্বাধিনতা দিয়েছি মানে কি যা খুশি তাই করবে? এই জন্যে কি আমি এত যত্নে তোমাদের দুই বোনকে স্বাধিন ভাবে বেরে উঠতে দিয়েছি?’
জুলি অবাক হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। বড়মার চোখ ছল ছল করছে। বিরল দৃশ্য এ বাড়িতে। জমিদারি না থাকলেও বড়মাকে সবাই সমিহ করে চলে। সেই মহিলাকে এইরকম ভাবে ভেঙ্গে পড়তে দেখে জুলি অবাক হয়ে যাচ্ছে। কি করেছে ও, কেন ওর শরীর খারাপের সাথে এই কথাগুলো উঠে আসছে।
কিছুক্ষন ঘরে সব চুপ। জুলি ভেবে চলেছে কি করেছে ও।
‘তুমি কার সাথে মেলামেশা করছো আমাদের অজান্তে?’ বড়মার কন্ঠস্বর দৃঢ় হয়ে উঠলো।
‘আ আ আমি...” জুলির মন অজানার আশঙ্কায় দুলে উঠলো। মাথাটা ঘুরে গেলো যেন। তাহলে কি মাম্মি সুবিমলের ব্যাপারটা জেনে গেছে। সেদিনের পরে আর দু এক বার খনিকের জন্যে কথা বলেছে। ও ব্যস্ত ওর বাবা মারা গেছে হাঁপানিতে ভুগে।’
‘কে সে? অনিক?’
জুলি বুঝতে পারলো মাম্মি কিসের কথা বলছে। আর ওর কি হয়েছে। নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছে ও যৌবনের জ্বালা সম্বরন না করতে পারার জন্যে। কিন্তু একবারে সব হয়ে যায় এই ধারনা ওর ছিলো না। ওর নিজের অজ্ঞানতা ওকে এই জায়গায় দার করিয়ে দেবে ও স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। ক্ষনিকের শরীরসুখের জন্যে সত্যি ও খুব ভুল করে ফেলেছে।
‘কি হোলো চুপ করে কেন? তুমি চুপ করে থাকলে ব্যাপারটা আরো জটিল হবে।’
‘অনিক না...।’ জুলি দুহাটুতে মুখ গুজে ডুকরে উঠলো।
‘আমি জানতাম। অনিক তোমার মতন চঞ্চলমতির না। তাও সে হলে আমার দুঃখ হলেও আফসোস থাকতো না। কিন্তু কে তোমার সঙ্গি? তুমি বুঝতে পারছো আমার মানসিক অবস্থা। মৃত্যুও এর থেকে সহজ হয় মানুষের, যখন সে দেখে নিজের সন্মান মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’
চোখ খুলে খেয়াল করে মা দাঁড়িয়ে আছে। মুখ থমথমে। জুলি বালিশের ওপর ঠেস দিয়ে উঠে বসলো।
‘কি হয়েছে তোমার জানো?’
কঠিন কিছু রোগ ভেবে জুলি আতঙ্কে কেঁপে উঠলো। জীবনকে ও খুব ভালোবাসে। মায়ের এই মুখ দেখে ভিষন ভয় হচ্ছে।
‘কি হয়েছে? ডাক্তার আঙ্কেল কি বললো।’
‘আমি মা হয়ে কি করে তোমাকে এই কথা জিজ্ঞেস করবো, এর থেকে ভালো নয় কি তুমি নিজে আমাকে সব খুলে বললে?’
‘আমি কিছু বুঝতে পারছিনা মাম্মি।’
‘আর আমাকে মাম্মি বোলো না... তুমি যা করেছো...।’ বড়মা ধপ করে ওর পায়ের কাছে বসে পরলো।
‘কি করেছি আমি? আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। কি বলেছে ডাক্তার আঙ্কেল?’
‘তোমাদের স্বাধিনতা দিয়েছি মানে কি যা খুশি তাই করবে? এই জন্যে কি আমি এত যত্নে তোমাদের দুই বোনকে স্বাধিন ভাবে বেরে উঠতে দিয়েছি?’
জুলি অবাক হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। বড়মার চোখ ছল ছল করছে। বিরল দৃশ্য এ বাড়িতে। জমিদারি না থাকলেও বড়মাকে সবাই সমিহ করে চলে। সেই মহিলাকে এইরকম ভাবে ভেঙ্গে পড়তে দেখে জুলি অবাক হয়ে যাচ্ছে। কি করেছে ও, কেন ওর শরীর খারাপের সাথে এই কথাগুলো উঠে আসছে।
কিছুক্ষন ঘরে সব চুপ। জুলি ভেবে চলেছে কি করেছে ও।
‘তুমি কার সাথে মেলামেশা করছো আমাদের অজান্তে?’ বড়মার কন্ঠস্বর দৃঢ় হয়ে উঠলো।
‘আ আ আমি...” জুলির মন অজানার আশঙ্কায় দুলে উঠলো। মাথাটা ঘুরে গেলো যেন। তাহলে কি মাম্মি সুবিমলের ব্যাপারটা জেনে গেছে। সেদিনের পরে আর দু এক বার খনিকের জন্যে কথা বলেছে। ও ব্যস্ত ওর বাবা মারা গেছে হাঁপানিতে ভুগে।’
‘কে সে? অনিক?’
জুলি বুঝতে পারলো মাম্মি কিসের কথা বলছে। আর ওর কি হয়েছে। নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছে ও যৌবনের জ্বালা সম্বরন না করতে পারার জন্যে। কিন্তু একবারে সব হয়ে যায় এই ধারনা ওর ছিলো না। ওর নিজের অজ্ঞানতা ওকে এই জায়গায় দার করিয়ে দেবে ও স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। ক্ষনিকের শরীরসুখের জন্যে সত্যি ও খুব ভুল করে ফেলেছে।
‘কি হোলো চুপ করে কেন? তুমি চুপ করে থাকলে ব্যাপারটা আরো জটিল হবে।’
‘অনিক না...।’ জুলি দুহাটুতে মুখ গুজে ডুকরে উঠলো।
‘আমি জানতাম। অনিক তোমার মতন চঞ্চলমতির না। তাও সে হলে আমার দুঃখ হলেও আফসোস থাকতো না। কিন্তু কে তোমার সঙ্গি? তুমি বুঝতে পারছো আমার মানসিক অবস্থা। মৃত্যুও এর থেকে সহজ হয় মানুষের, যখন সে দেখে নিজের সন্মান মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’