20-06-2022, 12:33 PM
গম্ভির মুখে বড়মা বসে আছে। মাথায় বাঁজ ভেঙ্গে পরেছে। স্বামি শ্বশুরের ভিটেতে সেই কোন বয়েসে এসেছিলেন উনি। কত ঝড় ঝঞ্ঝাট দেখলেন এখানে। রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেনি লালপার্টির উপদ্রবে। স্বামিকে গভির চিন্তায় মগ্ন দেখতেন। একের পর এক জমি বর্গা করছে, আর ভাগচাষিদের উল্লাস শোনা যাচ্ছে চারিধারে। বিপ্লব এসেছে নাকি।
এরকম পরিস্থিতিতে কখনো পরেন নি উনি। না পারছেন গিলতে না পারছেন উগরাতে। ছোট মেয়ের ওপর সেরকম ভরসা কোনদিন ছিলো না, কিন্তু অবিস্বাসও ওকে করতো না। নিজের শিক্ষাদিক্ষা দিয়ে বড়মা বুঝতেন যে হাঁতের পাঁচ আঙ্গুল এক হয়না। ওর জন্যে বড়মেয়ের ওপর ভরসা করতেন বেশি। কিন্তু স্বাধিনচেতা জুলি যে এরকম কাণ্ড করে বসবে উনি স্বপ্নেও ভাবেন নি। একবার উনি ভাবছেন জুলিকে বাগে আনার জন্যে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেবেন, আরেকবার ভাবছেন, উনি চলে গেলে মিলি একা কি করে সামলাবে। এখনো পর্যন্ত খবর পাননি কার কির্তি। অনিকের মতন ছেলের যে না সেটা উনি ভালো করেই জানেন। হে ভগবান পথ দেখাও। পরিবারের সন্মান এইভাবে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়োনা। বড়মা একনাগারে ভগবানকে ডেকে চলেছে।
জুলি নিজের বিছানায় ঘুমিয়ে রয়েছে। কিছুতেই ও বলবে না কার সাথে ও লুকিয়ে লুকিয়ে মেলামেশা করছিলো। কয়েকদিন ধরেই জুলি কিছু খেতে পারছিলো না। আমিষ তো রান্না হলেই বমি করে দিচ্ছিলো। প্রথমে জন্ডীসের লক্ষন মনে করে ব্লাড টেস্ট করিয়েছিলো। তাতে কিছু ধরা পরেনি। তারপরেও এরকম হচ্ছে। কাল সন্ধ্যেবেলা দুম করে মাথা ঘুরে পরে যায় ও। নেহাত অনিক সময় মতন ধরে ফেলেছিলো নাহলে বিড়াট দুর্ঘটনা ঘটে যেত।
ডাক্তার গোপনে বড়মাকে জানিয়ে যায় জুলি গর্ভবতি। ভালো করে টেস্ট করলে বোঝা যাবে কতবয়েস হয়েছে ওর পেটের সন্তানের।
উদ্বিগ্ন অনিক জুলির পাশেই বসে ছিলো। ক্ষনিকের জন্যে বড়মা অনিকের ওপর রেগে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে। নিজের সম্ভ্রম দূরে সরিয়ে রেখে অনিককে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে জেরা করে বুঝতে পারে অনিক এর জন্যে দায়ী নয়। সেটা আরো বড় দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়ালো বড়মার। চাকর ড্রাইভার ছাড়া জুলির জীবনে আর পুরুষমানুষ কোথায়?
মা হয়ে কিভাবে জিজ্ঞেস করবে মেয়েকে এসব কথা? হে ভগবান এ কি অগ্নিপরিক্ষা নিচ্ছো তুমি।
এরকম পরিস্থিতিতে কখনো পরেন নি উনি। না পারছেন গিলতে না পারছেন উগরাতে। ছোট মেয়ের ওপর সেরকম ভরসা কোনদিন ছিলো না, কিন্তু অবিস্বাসও ওকে করতো না। নিজের শিক্ষাদিক্ষা দিয়ে বড়মা বুঝতেন যে হাঁতের পাঁচ আঙ্গুল এক হয়না। ওর জন্যে বড়মেয়ের ওপর ভরসা করতেন বেশি। কিন্তু স্বাধিনচেতা জুলি যে এরকম কাণ্ড করে বসবে উনি স্বপ্নেও ভাবেন নি। একবার উনি ভাবছেন জুলিকে বাগে আনার জন্যে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেবেন, আরেকবার ভাবছেন, উনি চলে গেলে মিলি একা কি করে সামলাবে। এখনো পর্যন্ত খবর পাননি কার কির্তি। অনিকের মতন ছেলের যে না সেটা উনি ভালো করেই জানেন। হে ভগবান পথ দেখাও। পরিবারের সন্মান এইভাবে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়োনা। বড়মা একনাগারে ভগবানকে ডেকে চলেছে।
জুলি নিজের বিছানায় ঘুমিয়ে রয়েছে। কিছুতেই ও বলবে না কার সাথে ও লুকিয়ে লুকিয়ে মেলামেশা করছিলো। কয়েকদিন ধরেই জুলি কিছু খেতে পারছিলো না। আমিষ তো রান্না হলেই বমি করে দিচ্ছিলো। প্রথমে জন্ডীসের লক্ষন মনে করে ব্লাড টেস্ট করিয়েছিলো। তাতে কিছু ধরা পরেনি। তারপরেও এরকম হচ্ছে। কাল সন্ধ্যেবেলা দুম করে মাথা ঘুরে পরে যায় ও। নেহাত অনিক সময় মতন ধরে ফেলেছিলো নাহলে বিড়াট দুর্ঘটনা ঘটে যেত।
ডাক্তার গোপনে বড়মাকে জানিয়ে যায় জুলি গর্ভবতি। ভালো করে টেস্ট করলে বোঝা যাবে কতবয়েস হয়েছে ওর পেটের সন্তানের।
উদ্বিগ্ন অনিক জুলির পাশেই বসে ছিলো। ক্ষনিকের জন্যে বড়মা অনিকের ওপর রেগে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে। নিজের সম্ভ্রম দূরে সরিয়ে রেখে অনিককে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে জেরা করে বুঝতে পারে অনিক এর জন্যে দায়ী নয়। সেটা আরো বড় দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়ালো বড়মার। চাকর ড্রাইভার ছাড়া জুলির জীবনে আর পুরুষমানুষ কোথায়?
মা হয়ে কিভাবে জিজ্ঞেস করবে মেয়েকে এসব কথা? হে ভগবান এ কি অগ্নিপরিক্ষা নিচ্ছো তুমি।