19-06-2022, 12:33 AM
পরদিন সকালে ব্রেকফাস্টের টেবিলে এসে নাফিসা অবাক হয়ে যায় ওর মাকে দেখে। পাউঁরুটিতে মাখন লাগাচ্ছিলো সাবিনা, মাথা নত, মুখে লাজুক ভাব। পরিপাটি করে চুল বাঁধা, আর মাঝখানের সিঁথিতে দগদগ করছে লাল সিন্দুর রেখা।
লাজুক চোখে মেয়ের সাথে চোখাচোখি হয়ে যায় সাবিনার।
নাফিসাঃ মাশাল্লা* আম্মি, তোমাকে খুব সুইট দেখাচ্ছে তো!
ফিক করে মুচকি হেসে দেয় সাবিনা। রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে হাসে চাকর রামু।
রামুদাঃ হ্যাঁগো দিদিমণি। বৌদীমণিকে কি অদ্ভূত সুন্দর দেখাইতিছে, ঠিক না?
নাফিসাঃ হ্যাঁ আম্মি, খুব সুন্দর দেখাচ্ছে তোমাকে সত্যি! এখন থেকে তুমি সবসময় সিঁদুর পরেই থাকবে, কেমন?
সাবিনা একটু অপ্রস্তূত হয়। হিন্দূ চাকরের শখ মেটাতে গিয়ে সিঁদুর পরতে হয়েছে বেচারীকে, এখন দেখা যাচ্ছে নিজের পেটে ধরা মেয়েও একই আবদার ধরেছে। যাকগে, বিব্রতকতর অবস্থা থেকে তো বাঁচা গেলো।
নাফিসা খুশি হয়ে সেলফী তোলার আবদার করে। সাবিনা লজ্জা কাটিয়ে রাজী হয়ে যায়।
মা-মেয়ে সেলফী পোয দিতে ব্যস্ত, এই ফাঁকে চট করে চাকর রামু ওদের দু’জনের ফাঁকে দাঁড়িয়ে যায়। সেলফী ক্যামেরায় ধরা পড়ে সিঁদুরবতী সাবিনা, হাস্যোজ্বল নাফিসা আর তাদের দু’জনের মাঝখানে গর্বিত চাকর রামু।
তারপর থেকে প্রতিদিনই সিঁদুর পরে থাকতে আরম্ভ করে সাবিনা। কেবল নামাযের সময়গুলো বাদ দিলে সারাক্ষণ মাথায় সিঁদুর রাখতে অভ্যস্ত হয়ে গেলো ও। এছাড়া বাইরে বের হলে, অথবা ঘরে কোনও অতিথি এলে সিঁদুর সরিয়ে নেয় ও। হাজার হোক ., ঘরের শাদীশুদা বউ তো, স্বামী জেল খাটছে, মা-মেয়ের সংসার, ঘরে আছে হিন্দূ চাকর, এমতাবস্থায় সাবিনার কপালে সিঁদুর আর হাতে শাঁখা-পলা দেখলে আত্মীয় বা পাড়ার লোকজন কি বলবে?
সাবিনা যতই রাখঢাক করার চেষ্টা করুক, মুল্লীখোর চাকর রামুর ক্ষিদে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাজুক চোখে মেয়ের সাথে চোখাচোখি হয়ে যায় সাবিনার।
নাফিসাঃ মাশাল্লা* আম্মি, তোমাকে খুব সুইট দেখাচ্ছে তো!
ফিক করে মুচকি হেসে দেয় সাবিনা। রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে হাসে চাকর রামু।
রামুদাঃ হ্যাঁগো দিদিমণি। বৌদীমণিকে কি অদ্ভূত সুন্দর দেখাইতিছে, ঠিক না?
নাফিসাঃ হ্যাঁ আম্মি, খুব সুন্দর দেখাচ্ছে তোমাকে সত্যি! এখন থেকে তুমি সবসময় সিঁদুর পরেই থাকবে, কেমন?
সাবিনা একটু অপ্রস্তূত হয়। হিন্দূ চাকরের শখ মেটাতে গিয়ে সিঁদুর পরতে হয়েছে বেচারীকে, এখন দেখা যাচ্ছে নিজের পেটে ধরা মেয়েও একই আবদার ধরেছে। যাকগে, বিব্রতকতর অবস্থা থেকে তো বাঁচা গেলো।
নাফিসা খুশি হয়ে সেলফী তোলার আবদার করে। সাবিনা লজ্জা কাটিয়ে রাজী হয়ে যায়।
মা-মেয়ে সেলফী পোয দিতে ব্যস্ত, এই ফাঁকে চট করে চাকর রামু ওদের দু’জনের ফাঁকে দাঁড়িয়ে যায়। সেলফী ক্যামেরায় ধরা পড়ে সিঁদুরবতী সাবিনা, হাস্যোজ্বল নাফিসা আর তাদের দু’জনের মাঝখানে গর্বিত চাকর রামু।
তারপর থেকে প্রতিদিনই সিঁদুর পরে থাকতে আরম্ভ করে সাবিনা। কেবল নামাযের সময়গুলো বাদ দিলে সারাক্ষণ মাথায় সিঁদুর রাখতে অভ্যস্ত হয়ে গেলো ও। এছাড়া বাইরে বের হলে, অথবা ঘরে কোনও অতিথি এলে সিঁদুর সরিয়ে নেয় ও। হাজার হোক ., ঘরের শাদীশুদা বউ তো, স্বামী জেল খাটছে, মা-মেয়ের সংসার, ঘরে আছে হিন্দূ চাকর, এমতাবস্থায় সাবিনার কপালে সিঁদুর আর হাতে শাঁখা-পলা দেখলে আত্মীয় বা পাড়ার লোকজন কি বলবে?
সাবিনা যতই রাখঢাক করার চেষ্টা করুক, মুল্লীখোর চাকর রামুর ক্ষিদে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।