17-06-2022, 12:22 PM
আবার একা রিভু।
কি জানি খাওয়ার সাথে সাথেই কেন ঘুম পেয়ে গেলো রিভুর। কানে একটা গোঙ্গানি ভেসে আসছে। মনে হচ্ছে মায়ের গলা। কচ্চিত কখনো এরকম আওয়াজ হয় পাশের বেড়ার ঘরে। প্রথম প্রথম ভাবতো মায়ের কোন কষ্ট হচ্ছে। একবার উঁকি মেরে দেখে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেছিলো। তারপর ও বুঝতে পারে বাবা আর মা ভালোবাসা করছে। পরের দিন বাবা মা দুজনেই খুব ভালো করে কথা বলতো রিভুর সাথে। মা বাবার ঝগরা হোতোনা। এরপর থেকে এরকম আওয়াজ পেলে রিভুর খুব খুশি হোতো। মা বাবাকে হাঁসতে দেখতে পাবে আবার। একদিন তো বকা খেতে হবেনা।
ঘুমের অতলে চলে গেলো রিভু। দড়াম করে দরজা খোলার আওয়াজে ওর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। অবাক হয়ে দেখলো টলতে টলতে বাবা এসে ঘরে ঢুকলো। টাল সামলাতে না পেরে কোনে রাখা কলসিটার ওপর গিয়ে পরলো। সেখানেই মুখ ঝুলিয়ে বসে রইলো। রিভু থর থর করে কাঁপছে অজানা এক আশঙ্কায়। গায়ে বিছানার চাদর জড়িয়ে মা পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
-এত দেরি করলে কেন?
-কতক্ষন লাগবে আমি কি করে বুঝবো। জড়ানো গলায় বাবা উত্তর দিলো।
-ঘুমিয়ে পরেছে। কি করে যেতে বলি বলো তো?
-আরে ধুর বাল। তুলে দাওনা। এটা কি ওর ঘর নাকি?
রিভু ঠক ঠক করে কাঁপছে। মা তাহলে কে কার সাথে...?
কিছুক্ষন পরে একজন লোক ভিতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, পিছনে মা, এখন নাইটি পরা।
বাবাকে দেখে লোকটা বললো ‘মাংসটা দারুন রান্না করেছিলো তোমার বৌ। এত গুনি বৌকে এভাবে এখানে ফেলে রেখো না।’
বাবা গদ্গদ হয়ে বললো ‘সেই জন্যেই তোমার সেবায় লাগতে চাইছে দাদা। তুমি চোখ তুলে তাকানো মানে ভগবান চোখ তুলে তাকানো।’
মাও বলে উঠলো ‘একটু দেখবেন প্লিজ, দেখলেন তো কিরকম পরিশ্রম করতে পারি।’
রক্তশ্রোত মাথার দিকে বয়ে চলেছে। বাথরুমে ফ্ল্যশের আওয়াজ কানে এলো। রিভু উঠে দাড়ালো।
কি জানি খাওয়ার সাথে সাথেই কেন ঘুম পেয়ে গেলো রিভুর। কানে একটা গোঙ্গানি ভেসে আসছে। মনে হচ্ছে মায়ের গলা। কচ্চিত কখনো এরকম আওয়াজ হয় পাশের বেড়ার ঘরে। প্রথম প্রথম ভাবতো মায়ের কোন কষ্ট হচ্ছে। একবার উঁকি মেরে দেখে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেছিলো। তারপর ও বুঝতে পারে বাবা আর মা ভালোবাসা করছে। পরের দিন বাবা মা দুজনেই খুব ভালো করে কথা বলতো রিভুর সাথে। মা বাবার ঝগরা হোতোনা। এরপর থেকে এরকম আওয়াজ পেলে রিভুর খুব খুশি হোতো। মা বাবাকে হাঁসতে দেখতে পাবে আবার। একদিন তো বকা খেতে হবেনা।
ঘুমের অতলে চলে গেলো রিভু। দড়াম করে দরজা খোলার আওয়াজে ওর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। অবাক হয়ে দেখলো টলতে টলতে বাবা এসে ঘরে ঢুকলো। টাল সামলাতে না পেরে কোনে রাখা কলসিটার ওপর গিয়ে পরলো। সেখানেই মুখ ঝুলিয়ে বসে রইলো। রিভু থর থর করে কাঁপছে অজানা এক আশঙ্কায়। গায়ে বিছানার চাদর জড়িয়ে মা পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
-এত দেরি করলে কেন?
-কতক্ষন লাগবে আমি কি করে বুঝবো। জড়ানো গলায় বাবা উত্তর দিলো।
-ঘুমিয়ে পরেছে। কি করে যেতে বলি বলো তো?
-আরে ধুর বাল। তুলে দাওনা। এটা কি ওর ঘর নাকি?
রিভু ঠক ঠক করে কাঁপছে। মা তাহলে কে কার সাথে...?
কিছুক্ষন পরে একজন লোক ভিতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, পিছনে মা, এখন নাইটি পরা।
বাবাকে দেখে লোকটা বললো ‘মাংসটা দারুন রান্না করেছিলো তোমার বৌ। এত গুনি বৌকে এভাবে এখানে ফেলে রেখো না।’
বাবা গদ্গদ হয়ে বললো ‘সেই জন্যেই তোমার সেবায় লাগতে চাইছে দাদা। তুমি চোখ তুলে তাকানো মানে ভগবান চোখ তুলে তাকানো।’
মাও বলে উঠলো ‘একটু দেখবেন প্লিজ, দেখলেন তো কিরকম পরিশ্রম করতে পারি।’
রক্তশ্রোত মাথার দিকে বয়ে চলেছে। বাথরুমে ফ্ল্যশের আওয়াজ কানে এলো। রিভু উঠে দাড়ালো।