16-06-2022, 06:05 PM
একলাফে মেয়েটা ভাঙ্গা বগিতে উঠে এলো। লোকটার হাত থেকে দুটো প্যাকেট নিয়ে রিভুর দিকে এসে রেখে দিলো। লোকটা যাতে শুনতে না পায় চাপা গলায় রিভুকে বললো ‘চুপ’। তারপর হাত বাড়িয়ে লোকটাকে তুলে নিলো।
‘বাপরে কি অন্ধকার রে বাবা।’
‘দুশোটাকায় কি ঝারবাতি জ্বলে নাকি?’
‘এই কিগো এই যে একশো বললে?’
‘একশো ই তো। শুধু হাত মেরে দেবো।’
‘এগুলো কিন্তু কথার খেলাপ।’
‘আমি কি বলেছি কি হবে? না তোমাকে ডেকেছি? মেলা ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ কোরোনা, করো আর না করো একশো টাকা দিয়ে যাবে, তোমার জন্যে অন্য কাউকে ডাকলাম না।’
‘আহাঃ আমি কি দেবোনা বলেছি, আমি বলছি সব খুলে বলতে হয় তো।’
‘হ্যাঁ সব খুলে বলি আর পুলিশ এসে ধরুক আর কি? ছারাতে কি তোমার শ্বশুর পয়সা দেবে?’
‘সব মিলে তিনশো টাকা আছে। আর তুমি দুশো চাইছো? ফেরার পথে শূয়োরের মাংস কিনে নিয়ে যাবো ভাবছিলাম।।’
‘আরে একশ টাকায় করে যাও না।’
‘ধুর এতটা পথ হাঁটিয়ে একি ছেনালি করছো বলো তো? আমরা তো রোজ এখানে আসি নাকি? একদিনে হাঁসের পেট কেটে দেবে?’
‘ঠিক আছে দেরশো দাও মুখে নিয়ে করে দেবো? আমাদের গতর তো আর গতর না তোমাদের কাছে।’
‘আহা আমি কি তা বললাম। তোমার মতন সুন্দর তো চট করে দেখা যায়না। শালোয়ারটাও সুন্দর পরেছো। একটু ধরলাম না করলাম না তা হয়? ওই দেরশো তেই সব রাখো না বাবা।’
‘নাগো দাদা। এতো মেয়েছেলের জিনিস না, ব্যথা হয়। সখ করে তো করছিনা। তা ছাড়া আমারও খরচ আছে।’
‘বাবা দজ্জাল মেয়ে তুমি। চলো দুশোতেই রাজি আমি। কি দিয়ে মারলে জানিনা তবে কথায় তোমার সাথে পারা মুস্কিল। একটা আলোর ব্যবস্থা করো না, তাহলে তোমাকে ভালো করে দেখি।’
‘মিনশে পাগল হলে নাকি? আলো জ্বাললে, কোত্থেকে কে এসে পরবে। তখন আর বাড়ি ফেরা হবেনা।’
রিভু চোখ বুজে থরথর করে কাঁপছে। কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে কিসের দরাদরি হচ্ছে। ও শুনেছে সোনাগাছি, কালিঘাট, হাড়কাটা গলিতে নাকি ছেলেরা করতে যায়। মেয়েরা পয়সা নেয় করার জন্যে। সময় ওকে তাড়াতাড়ি বড় করে দিচ্ছে।
‘বাপরে কি অন্ধকার রে বাবা।’
‘দুশোটাকায় কি ঝারবাতি জ্বলে নাকি?’
‘এই কিগো এই যে একশো বললে?’
‘একশো ই তো। শুধু হাত মেরে দেবো।’
‘এগুলো কিন্তু কথার খেলাপ।’
‘আমি কি বলেছি কি হবে? না তোমাকে ডেকেছি? মেলা ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ কোরোনা, করো আর না করো একশো টাকা দিয়ে যাবে, তোমার জন্যে অন্য কাউকে ডাকলাম না।’
‘আহাঃ আমি কি দেবোনা বলেছি, আমি বলছি সব খুলে বলতে হয় তো।’
‘হ্যাঁ সব খুলে বলি আর পুলিশ এসে ধরুক আর কি? ছারাতে কি তোমার শ্বশুর পয়সা দেবে?’
‘সব মিলে তিনশো টাকা আছে। আর তুমি দুশো চাইছো? ফেরার পথে শূয়োরের মাংস কিনে নিয়ে যাবো ভাবছিলাম।।’
‘আরে একশ টাকায় করে যাও না।’
‘ধুর এতটা পথ হাঁটিয়ে একি ছেনালি করছো বলো তো? আমরা তো রোজ এখানে আসি নাকি? একদিনে হাঁসের পেট কেটে দেবে?’
‘ঠিক আছে দেরশো দাও মুখে নিয়ে করে দেবো? আমাদের গতর তো আর গতর না তোমাদের কাছে।’
‘আহা আমি কি তা বললাম। তোমার মতন সুন্দর তো চট করে দেখা যায়না। শালোয়ারটাও সুন্দর পরেছো। একটু ধরলাম না করলাম না তা হয়? ওই দেরশো তেই সব রাখো না বাবা।’
‘নাগো দাদা। এতো মেয়েছেলের জিনিস না, ব্যথা হয়। সখ করে তো করছিনা। তা ছাড়া আমারও খরচ আছে।’
‘বাবা দজ্জাল মেয়ে তুমি। চলো দুশোতেই রাজি আমি। কি দিয়ে মারলে জানিনা তবে কথায় তোমার সাথে পারা মুস্কিল। একটা আলোর ব্যবস্থা করো না, তাহলে তোমাকে ভালো করে দেখি।’
‘মিনশে পাগল হলে নাকি? আলো জ্বাললে, কোত্থেকে কে এসে পরবে। তখন আর বাড়ি ফেরা হবেনা।’
রিভু চোখ বুজে থরথর করে কাঁপছে। কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে কিসের দরাদরি হচ্ছে। ও শুনেছে সোনাগাছি, কালিঘাট, হাড়কাটা গলিতে নাকি ছেলেরা করতে যায়। মেয়েরা পয়সা নেয় করার জন্যে। সময় ওকে তাড়াতাড়ি বড় করে দিচ্ছে।