13-06-2022, 06:46 PM
পুজোর ছুটির পর কলেজ খুললো দুই বোনের।
দুএকদিন পরে কলেজ থেকে ফেরার পথে জুলি আবার সেই স্কুটারটাকে দেখতে পেলো ওর গাড়ির পাশে পাশেই চলছে। হ্যাঁ এইতো সেই ছেলেটা। সেদিন বেমালুম চেপে গেলো? আচ্ছা বদমাশ ছেলে তো। আজকে মিলি সর্দির জন্যে কলেজে আসেনি। ড্রাইভার কাকুকে গাড়িটা সাইড করতে বলে ও গাড়ী থেকে নেমে এলো।
ছেলেটা পিছনেই ছিলো। জুলি ওকে দাড় করালো।
রাগান্বিত জুলি ওকে জিজ্ঞেস করলো ‘সেদিন মিথ্যে কথা বললে কেন?’
‘সত্যি কথা বলে ডোবারমেনের খাদ্য হই আর কি।’
‘এরকম পিছু নিচ্ছো কেন আমার?’
‘তোমাকে বিরক্ত করেছি কি? এটা তো রাস্তা আমারও চলার অধিকার আছে।’
‘সেই অধিকার কি একমাত্র আমার গাড়ির পাশে পাশেই চলার?’
‘সত্যি কথা বলবো?’
‘এখনো কি মিথ্যে কথাই বলবে ঠিক করেছো?’
‘আসলে সবাই তো তাজমহল দেখতে যায়, ভিক্টোরিয়া দেখে, আরো কত কি দেখতে যায় গাঁটের কড়ি খরচ করে। আমার মালকড়ি নেই তাই তাজমহল দেখতে যেতে পারবোনা, তাই যেটা সুন্দর সেটা দেখি শুধু মাত্র বাবার স্কুটার নিয়ে, তেলটাও বাবারই পয়সায়।’
জুলি লজ্জা পেয়ে গেলো। আসলে ও সুন্দরি হলেও কেউ তো সেইভাবে ওকে এটা বলেনি। আর ছেলেদের সান্নিধ্য পাওয়া তো বহুদুরের প্রশ্ন।
‘তাবলে এই ভাবে গাড়ির পিছনে পিছনে আসবে?’
‘না শুধু গাড়ির পিছনেই নয়, তুমি যখন খেলো তখন তোমার গেটের বাইরেও দাঁড়িয়ে থাকি।’
‘ভাড়ি নির্লজ্জ্য তো তুমি। আমি দেখেই চিনতে পেরেছিলাম তোমাকে। আর কেমন ঘুরিয়ে দিলে কথাতা সেদিন।’
‘আরে বাবা বললাম তো, এই বয়েসে আত্মহত্যা করে নাকি কেউ। এখনো কলেজ থেকে বেরোলাম না। কত কিছু করা বাকি আছে জীবনে, সেখানে তুমি বলছো আমি বড়মার সামনে সব স্বিকার করে নিতে। তাহলে কি আর আজকে তুমি আমাকে ধরতে পারতে না আমি তোমাকে মন ভরে দেখতে পারতাম।’
‘মানে? আমি কি চিরিয়াখানার জন্তু নাকি যে আমাকে দেখবে এইভাবে?’
‘কেন মানুষ মানুষকে দেখে না? এতে চিরিয়াখানার তুলনা টানার কি হোলো? আর তুমি তো মাটিতেই নামো না যে তোমাকে এমনি দেখতে পাবো, সারাক্ষন তো গাড়িতেই রয়েছো, তো দেখতে গেলে তো এইভাবেই দেখতে হবে।’
‘মহামুস্কিল তো। আমি ছাড়া আর কেউ নেই নাকি? মা জানতে পারলে কি হবে জানো?’
‘সেটা তোমার ওপর নির্ভর করছে। আমাকে মারতে চাও না, বাঁচিয়ে রাখতে চাও।’
‘এরকম পাগল ছাগলদের সাথে আমি কথা বলিনা।’ জুলি ঘুরে চলে যাচ্ছিলো। ওর কানে এলো সুবিমল গান করছে ‘ধন্য আমি ধন্য হে, পাগল তোমার জন্যে হে।’
গাড়িতে উঠে ঘার ঘুরিয়ে দেখলো সুবিমল ওকে অপলক দেখছে। কেমন যেন একটা অনুভুতি হোলো। এরকম ভাবে কেউ ওর দিকে এর আগে তাকায়নি। বয়ঃসন্ধিতে এসে এই প্রথম মনের মধ্যে কোন পুরুষ মানুষের জন্যে হিল্লোল উঠলো।
সন্ধ্যে বেলা পড়তে বসে এই কথাগুলো মিলিকে বলতেই মিলি রে রে করে উঠলো। ‘ কি বলছিস তুই? এতবড় সাহস? তুই ই বা এত কথা বলতে গেলি কেন? আমি হলে তো কষে একটা থাপ্প্র মেরে দিতাম। কি ছেলেরে বাবা। দিনে দুপুরে ডাকাতি। বেমালুম মিথ্যে কথা বলে গেলো। মা জানতে পারলে না ...।’
‘এই দিদি প্লিজ মাকে বলিস না। এরপর থেকে ওর সাথে কথা না বললেই তো হোলো। শুধু শুধু বেচারা অপদস্থ হবে।’
‘বেচারা কি বলছিস রে। এত কালেদিনে ডাকাত হবে রে। এরকম সাহস সেনবাড়ির মেয়েদের পিছু নেয়?’
‘ছেরে দে। করে ফেলেছে। আমি তো পাগল ছাগল কি না বলেছি ওকে।’
রাতের বেলা শুয়ে শুয়ে খালি ওর ছেলেটার কথা মনে পরছে। কেমন যেন ভাল লেগে গেছে ওর। ওদের কলেজ খুব কড়া। শুধু মেয়েদের কলেজ ওদের, আর ভিষন কঠিন অনুশাসন, সেখানে ওর বয়েসি মেয়েরা ছেলেদের নিয়ে কথা বলেনা। সিনেমার নায়করাও নিষিদ্ধ। সেখানে সদ্য যুবক চনমনে এক পুরুষ ওকে কেমন নারিয়ে দিয়েছে। ছেলেটার ওপর রাগও হচ্ছে ওর ধৃষ্টতা দেখে, আবার সাহসেরও প্রশংসা উথলে উঠছে মনে। এতদিন ও কোন ছেলে নিয়ে ভাবেনি, এমনকি শরীরে মাঝে মাঝে অস্বস্তি হলেও সেগুলোর জন্যে কোন পুরুষ মানুষের কল্পনা আনেনি নিজের মনে। কিন্তু এখন কেমন যেন ছেলেটার হাসিটা খুব মিষ্টি লাগছে। ঝাকরা চুলগুলো ভালো লাগছে। কেন?
দুএকদিন পরে কলেজ থেকে ফেরার পথে জুলি আবার সেই স্কুটারটাকে দেখতে পেলো ওর গাড়ির পাশে পাশেই চলছে। হ্যাঁ এইতো সেই ছেলেটা। সেদিন বেমালুম চেপে গেলো? আচ্ছা বদমাশ ছেলে তো। আজকে মিলি সর্দির জন্যে কলেজে আসেনি। ড্রাইভার কাকুকে গাড়িটা সাইড করতে বলে ও গাড়ী থেকে নেমে এলো।
ছেলেটা পিছনেই ছিলো। জুলি ওকে দাড় করালো।
রাগান্বিত জুলি ওকে জিজ্ঞেস করলো ‘সেদিন মিথ্যে কথা বললে কেন?’
‘সত্যি কথা বলে ডোবারমেনের খাদ্য হই আর কি।’
‘এরকম পিছু নিচ্ছো কেন আমার?’
‘তোমাকে বিরক্ত করেছি কি? এটা তো রাস্তা আমারও চলার অধিকার আছে।’
‘সেই অধিকার কি একমাত্র আমার গাড়ির পাশে পাশেই চলার?’
‘সত্যি কথা বলবো?’
‘এখনো কি মিথ্যে কথাই বলবে ঠিক করেছো?’
‘আসলে সবাই তো তাজমহল দেখতে যায়, ভিক্টোরিয়া দেখে, আরো কত কি দেখতে যায় গাঁটের কড়ি খরচ করে। আমার মালকড়ি নেই তাই তাজমহল দেখতে যেতে পারবোনা, তাই যেটা সুন্দর সেটা দেখি শুধু মাত্র বাবার স্কুটার নিয়ে, তেলটাও বাবারই পয়সায়।’
জুলি লজ্জা পেয়ে গেলো। আসলে ও সুন্দরি হলেও কেউ তো সেইভাবে ওকে এটা বলেনি। আর ছেলেদের সান্নিধ্য পাওয়া তো বহুদুরের প্রশ্ন।
‘তাবলে এই ভাবে গাড়ির পিছনে পিছনে আসবে?’
‘না শুধু গাড়ির পিছনেই নয়, তুমি যখন খেলো তখন তোমার গেটের বাইরেও দাঁড়িয়ে থাকি।’
‘ভাড়ি নির্লজ্জ্য তো তুমি। আমি দেখেই চিনতে পেরেছিলাম তোমাকে। আর কেমন ঘুরিয়ে দিলে কথাতা সেদিন।’
‘আরে বাবা বললাম তো, এই বয়েসে আত্মহত্যা করে নাকি কেউ। এখনো কলেজ থেকে বেরোলাম না। কত কিছু করা বাকি আছে জীবনে, সেখানে তুমি বলছো আমি বড়মার সামনে সব স্বিকার করে নিতে। তাহলে কি আর আজকে তুমি আমাকে ধরতে পারতে না আমি তোমাকে মন ভরে দেখতে পারতাম।’
‘মানে? আমি কি চিরিয়াখানার জন্তু নাকি যে আমাকে দেখবে এইভাবে?’
‘কেন মানুষ মানুষকে দেখে না? এতে চিরিয়াখানার তুলনা টানার কি হোলো? আর তুমি তো মাটিতেই নামো না যে তোমাকে এমনি দেখতে পাবো, সারাক্ষন তো গাড়িতেই রয়েছো, তো দেখতে গেলে তো এইভাবেই দেখতে হবে।’
‘মহামুস্কিল তো। আমি ছাড়া আর কেউ নেই নাকি? মা জানতে পারলে কি হবে জানো?’
‘সেটা তোমার ওপর নির্ভর করছে। আমাকে মারতে চাও না, বাঁচিয়ে রাখতে চাও।’
‘এরকম পাগল ছাগলদের সাথে আমি কথা বলিনা।’ জুলি ঘুরে চলে যাচ্ছিলো। ওর কানে এলো সুবিমল গান করছে ‘ধন্য আমি ধন্য হে, পাগল তোমার জন্যে হে।’
গাড়িতে উঠে ঘার ঘুরিয়ে দেখলো সুবিমল ওকে অপলক দেখছে। কেমন যেন একটা অনুভুতি হোলো। এরকম ভাবে কেউ ওর দিকে এর আগে তাকায়নি। বয়ঃসন্ধিতে এসে এই প্রথম মনের মধ্যে কোন পুরুষ মানুষের জন্যে হিল্লোল উঠলো।
সন্ধ্যে বেলা পড়তে বসে এই কথাগুলো মিলিকে বলতেই মিলি রে রে করে উঠলো। ‘ কি বলছিস তুই? এতবড় সাহস? তুই ই বা এত কথা বলতে গেলি কেন? আমি হলে তো কষে একটা থাপ্প্র মেরে দিতাম। কি ছেলেরে বাবা। দিনে দুপুরে ডাকাতি। বেমালুম মিথ্যে কথা বলে গেলো। মা জানতে পারলে না ...।’
‘এই দিদি প্লিজ মাকে বলিস না। এরপর থেকে ওর সাথে কথা না বললেই তো হোলো। শুধু শুধু বেচারা অপদস্থ হবে।’
‘বেচারা কি বলছিস রে। এত কালেদিনে ডাকাত হবে রে। এরকম সাহস সেনবাড়ির মেয়েদের পিছু নেয়?’
‘ছেরে দে। করে ফেলেছে। আমি তো পাগল ছাগল কি না বলেছি ওকে।’
রাতের বেলা শুয়ে শুয়ে খালি ওর ছেলেটার কথা মনে পরছে। কেমন যেন ভাল লেগে গেছে ওর। ওদের কলেজ খুব কড়া। শুধু মেয়েদের কলেজ ওদের, আর ভিষন কঠিন অনুশাসন, সেখানে ওর বয়েসি মেয়েরা ছেলেদের নিয়ে কথা বলেনা। সিনেমার নায়করাও নিষিদ্ধ। সেখানে সদ্য যুবক চনমনে এক পুরুষ ওকে কেমন নারিয়ে দিয়েছে। ছেলেটার ওপর রাগও হচ্ছে ওর ধৃষ্টতা দেখে, আবার সাহসেরও প্রশংসা উথলে উঠছে মনে। এতদিন ও কোন ছেলে নিয়ে ভাবেনি, এমনকি শরীরে মাঝে মাঝে অস্বস্তি হলেও সেগুলোর জন্যে কোন পুরুষ মানুষের কল্পনা আনেনি নিজের মনে। কিন্তু এখন কেমন যেন ছেলেটার হাসিটা খুব মিষ্টি লাগছে। ঝাকরা চুলগুলো ভালো লাগছে। কেন?