Thread Rating:
  • 32 Vote(s) - 2.56 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Thriller ।।রিভু।। --- avi5774
#8
দারোয়ানরা ওদের বড়মার কাছে নিয়ে এলো। মিলি ঘুম থেকে উঠে গেছে, জুলি তখনো ঘুমাচ্ছে। জুলি আদুরে প্রকৃতির, বিশাল শ্বেতশুভ্র বিছানায় গোলাপি কম্বল গায়ে চাপিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে, নরম বিছানার আয়েশ যেন কাটতেই চায় না ওর। যেন ঘুমের দেশে ঘুমিয়ে রয়েছে ঘুমপরি।

আর এই আলস্যির জন্যেই মিলির থেকে পড়াশুনোয় পিছনে। পড়াশুনো করার সময় হয় ওর ঘুম পায় নাহলে টিভি দেখতে বা গান শুনতে ভালো লাগে। জুলি এক ক্লাস নিচে পরে। কিন্তু টিচাররা ওর মধ্যে মিলির ছায়াও খুজে পায়না। ও ফেল করেনা কিন্তু সেই ভাবে ব্রিলিয়ান্ট অ বলা চলে না। পড়াশুনোয় মন না থাকলে যা হয়। কিন্তু খেলাধুলোয় সাঙ্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ও সবার আগে, সেখানে মিলির কোন নম্বর নেই। এই তো ওদের স্কুল দিল্লিতে গিয়ে চিত্রঙ্গদা নৃত্যনাট্য করেছে। জুলি চিত্রাঙ্গদা হয়েছিলো। বম্বের এক সনামধন্যা চিত্রাভিনেত্রি ওকে খুব আদর করেছে। টিচারদের বলেছে ওকে ভালো করে তৈরি করতে ওর অনেক প্রতিভা। সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র।
মজা দেখার জন্যে মিলি জুলিকে জোর করে ঘুম থেকে তুললো। দুইবোন মিলে মুখে ব্রাশ নিয়ে পাড়ার ছেলেগুলোর দৈন্যদশা দেখতে ভোর উঠে সদর দালানে গিয়ে বসলো।
বড়মার হাতে পায়ে ধরছে ছেলেগুলো, ছেরে দেওয়ার জন্যে। আর কোনদিন হবেনা আশ্বাস দিয়েও ছার পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠছে ওদের। বড়মা ওদের বাবাদের ডেকে পাঠাবেই, আর ছেলেগুলো জানে বাবা বা মা এখানে আসা মানে বাড়িতে কি অপেক্ষা করবে। সেটার হাত থেকে বাঁচার জন্যে ওরা মড়িয়া হয়ে উঠেছে।
কিছুক্ষন পরে দারোয়ান এসে জানালো ওদের ক্লাবের এক সিনিয়র এসেছে কথা বলতে চায়, খুব অনুনয় বিনয় করছে একবার বড়মার সাথে দেখা করার জন্যে।
ভুরূ কুচকে থাকলেও বড়মা ওকে ভিতরে আসার অনুমতি দিলো। মিলি আর জুলি অপেক্ষা করে আছে চরম মজা দেখার জন্যে। মা বাবার বদলে পাড়ার ছেলে। মা কিভাবে বিদায় করবে সেটা দেখতে হয়।
ছেলেটা একটা হাল্কা সবুজ পাঞ্জাবি পরেছে সাথে সাদা পায়জামা। বোঝাই যাচ্ছে প্রায় নতুন এগুলো। হয়তো এই পুজোতেই প্রথম পরেছে। বেশ নেতা নেতা লাগছে দেখতে। দেখতে মন্দ না। চৌক মুখায়ব থেকে দাড়ি গোঁফ সদ্য সদ্য কামানো, ফিরেফিরে লম্বা চুলগুলো এলোমেলো হয়ে কপালের ওপর পরেছে আর কিছুটা পাঞ্জাবির কলারের পাশ দিয়ে গলার দুধারে ছড়িয়ে আছে। লম্বা প্রায় ছ ফুট হবে। চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেলাধুলো করে।
সামনে এসে বড়মাকে প্রনাম করে বললো, ‘আমি জানি আমার এখানে এসে ওদের হয়ে কথা বলা মানায় না। কিন্তু একটা দায়িত্ব থেকে যায় আমারও।’
বড়মা ছেলেটির চালচলনে নেতা নেতা ভাব দেখে যারপরনাই বিরক্ত সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাও গম্ভির ভাবে জিজ্ঞেস করলো ‘ সেটা কি রকম শুনি?’
‘আসলে আমি এই ক্লাবের সম্পাদক। ওদের আমিই বলেছিলাম মায়ের ভাসানের দিন অনেক নারকেল লাগবে। সেগুলো যে ওরা এইভাবে সংগ্রহ করবে বুঝতে পারিনি। আমি যদি জানতাম আপনার বাগান থেকে ওরা এগুলো চুরি করবে তাহলে বারন করতাম সেটা নিশ্চিত।’
বড়মা আরো গম্ভির ভাবে জিজ্ঞেস করলো ‘অন্য কারো বাগান থেকে করলে সেটা অনুমতি দিতে?’
ছেলেটা ঘাবড়ে গেলো কিছুক্ষন চুপ করে থেকে উত্তর খুজতে থাকলো।
কিছুক্ষন চুপ করে থেকে ও মাথার অবিনস্ত্য চুল ঠিক করতে করতে বললো ‘আসলে কি জানেন, ক্লাব থেকে এসে বললে আপনি হয়তো দিয়ে দিতেন। এই কটা নারকেল দিলে আপনার কিছু কমে জেতো না। কিন্তু আমাদের এই চুরি করে খেতেই ভালো লাগে। আমাদের বয়েসে এটাই আমাদের রোমাঞ্চ। এই কটা নারকেল কি পুজো কমিটি কিনতে পারতো না? তাও ওই যে বললাম, এটা একটা ভালো লাগা। আমাদের বয়েসেই তো নিষিদ্ধ জিনিসের দিকে ঝোঁক থাকবে। এটাই তো স্বাভাবিক। আপনি যদি এখন হঠাত করে বলে দেন যে কাল থেকে আপনার বাগানে সবার অবাধ প্রবেশ, তাহলে দেখবেন কেউ আসবে না।’
এই রকম উত্তর পেয়ে বড়মা হাঁ করে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। এই বয়েসে এতটা পরিনত উত্তর আশা করতে পারেন নি উনি। ছেলেটাকেও প্রথমে অকালপক্ক বলে মনে হচ্ছিলো। কিন্তু এরকম গুছিয়ে যে কথা বলতে পারে সে আর পাঁচটা সাধারন ছেলের ঝাঁকের মনে হয়না। উনি জিজ্ঞেস করলেন ‘কি নাম তোমার?’
‘সুবিমল গুপ্ত’
‘কি করো তুমি?’
‘আজ্ঞে আমি কলেজে পরি। আর দু একটা টিউশানি করি।’
জুলি সেই সময় হঠাত বলে উঠলো ‘এই তুমি আমার গাড়ির পিছনে পিছনে আসো তো?’
‘আমি?’ ছেলেটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
জুলিও কিছুটা দ্বন্ধে পরে গেলো। ও কি ঠিক দেখেছে? অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলছে নাতো?
‘হ্যাঁ মানে তোমার স্কুটার টা লাল রঙের না?’
‘আমার স্কুটারই নেই।’
ছেলেগুলোকে কে নিয়ে সুবিমল চলে গেলো।
জুলি মনের মধ্যে অতিত ঘেঁটে দেখছে। মনে তো হচ্ছে এই ছেলেটাই। একে তো গেটের বাইরেও অনেকবার দেখেছে।
আসলে পাড়ার লোকেদের সাথে ওরা সেই ভাবে মেলামেশা করেনা, তাই অল্পসময়ের জন্যে দেখে ঠিক আত্মবিস্বাস পাচ্ছেনা। শুধু শুধু মায়ের কাছে ছেলেটা অপদস্থ হোক সেটাও ও চায়না।

সন্ধ্যেবেলা মিলি খাটের ওপর উপুর হয়ে শুয়ে পরছে, আর জুলি ওর পাছায় মাথা রেখে টিনটিন পরছে।
‘এই দিদি, সকালে ছেলেটা দেখলি মাকে কেমন ফ্ল্যাট করে দিলো!!’
‘হ্যাঁ। পিছন পাকা ছেলে। কথা বলার ভাব ভঙ্গি দেখলি, যেন বক্তৃতা দিচ্ছে। এ সিওর কলেজে রাজনিতি করে। নাহলে এরকম গুছিয়ে কথা বলে মাকে চুপ করিয়ে দেওয়া মুখের কথা না।’
‘যাই বল বেশ নায়ক নায়ক ভাব আছে ছেলেটার।’
‘তুই টিভি দেখে দেখে সবাইকেই নায়ক ভাবিস।’
‘কিন্তু আমার মনে হয় এই ছেলেটা রোজ আমাকে ফলো করে স্কুল থেকে ফেরার সময়।’
‘চেপে ধরলি না কেন? মা ওর নেতাগিরি ছুটিয়ে দিতো।’
‘ঠিক কনফিডেন্স পাচ্ছিলাম না।’
‘তাহলে আর কি হোলো। সন্দেহর বশে কিছু করা উচিত নয়।’
[+] 10 users Like ddey333's post
Like Reply


Messages In This Thread
।।রিভু।। --- avi5774 - by ddey333 - 12-06-2022, 06:13 PM
RE: ।।রিভু।। --- avi5774 - by ddey333 - 12-06-2022, 08:49 PM



Users browsing this thread: 5 Guest(s)