Poll: এই গল্প টা আপনাদের ভালো লাগলে নীচের অপশন এ ক্লিক করে জানান কেন ভালো লাগছে
You do not have permission to vote in this poll.
গল্পের কাহিনী
10.00%
2 10.00%
গল্পের গতি
0%
0 0%
গল্পের গতি এবং কাহিনী
85.00%
17 85.00%
গল্প টি ভালো লাগছে না
5.00%
1 5.00%
Total 20 vote(s) 100%
* You voted for this item. [Show Results]

Thread Rating:
  • 96 Vote(s) - 3.46 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy বাঘমুড়োর আতঙ্ক - সমাপ্ত
#71
যাই হোক। মহাভারত বা রামায়ন উভয় নিয়েই আমার রিসার্চ কম নেই। অনেক কথার উত্তর এবং তার প্রত্যুত্তর দেখলাম। চলে যাই পিছনে একটু। সত্যি ই কি হস্তীনাপুর দুর্যোধনের ছিল? উত্তর হলো না ছিলো না। আমি কিন্তু কোন বাঙ্গালী লেখকের মহাভারত পড়িনি। মূল মহাকাব্য পড়ে যা আহরণ করেছি তার পরিপ্রেক্ষী তে বলছি। সর্বপ্রথমে, হস্তীনাপুরে বিপ্লব এনেছিলেন মহারাজা ভরত।  নানান চর্চা এবং এই ব্যাপারে করা রিসার্চ বলছে, ভরতের পরে রাজা হয়েছিলেন ভূমন্যু বলে এক ব্যক্তি, যিনি ভরতের পুত্র ছিলেন ই না। নিজের নয় পুত্রই অযোগ্য সেই বিবেচনা করে উনি ভূমন্যু কে এই জম্বুদ্বীপের শাসন ভার তুলে দিয়েছিলেন। দেখতে গেলে মহাভারতের কলাকুশলী সবাই এই এডপ্টেড সন্তান এবং রাজা ভূমন্যুর বংশধর। 

তারপরে কেটে গেছে অনেক কাল। গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। শান্তনুর সময়ে আরেকবার হস্তীনাপুরে বিপ্লব এলো। এবারে ভালোর জন্য নয়। বলা যেতে পারে মহাভারতের সূচনা হলো। চরম অন্যায় হলো দেবব্রতর সাথে। যেখানে রাজা ভরত, নিজের পুত্র অযোগ্য বলে , যোগ্য ব্যক্তি কে রাজ সিংহাসন দিয়ে যেতে দ্বিধা করেন নি, সেখানে গঙ্গা উল্টো দিকে বইল। দুজন চরম অযোগ্য রাজকুমারের হাতে রাজ্য এলো। প্রথম জন চিত্রাঙ্গদ, দ্বিতীয় জন বিচিত্রবীর্য। প্রথম জন গন্ধর্ব দের সাথে যুদ্ধে মারা গেল আর একজন রোগ ভোগে। পরের ঘটনা জানি। নিয়োগ প্রথায় বিচিত্রবীর্যের দুই স্ত্রীর গর্ভে, আরো দুই পুত্র আসে পরিবারে। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ, সে দোষ পান্ডুর ছিল না বোধ করি। আর স্বভাবতই এই অন্ধত্ব রূপক হোক বা যাই হোক, অন্ধ রাজার উপরে প্রজাদের কনফিডেন্স ও আসে না। কাজেই নিয়মের জালে পান্ডু রাজা হলেন। যদিও জ্যেষ্ঠ্য পুত্র ছিলেন ধৃতরাষ্ট্র। এখানে বঞ্চনার প্রশ্ন আশা করি আসবে না। কারন সে দিক থেকে দেখতে গেলে ভরতের নয় পুত্রের উপরে বঞ্চনা হয়ে গেছে অনেক আগেই। ভীষ্মের উপরে আরো বড় বঞ্চনা হয়ে গেছে। ওনার মতন বীর সমগ্র কুরু পরিবারে আর আসে নি। তাও উনি সামান্য বিত্তভোগী কর্মচারী মাত্র ছিলেন হস্তীনাপুরের। আর ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ সেখানে কারর দোষ ছিল না এটা সবাই মানবেন। 

সমস্যা টা হলো, এর পরে। পান্ডু নিজের দাদা কে কেয়ারটেকার করে বনবাসে গেছিলেন মন শান্ত করতে। মনে রাখবেন কেয়ার টেকার। রাজা নন। ধারণা ছিল ফিরে এসে আবার উনি নিজের মুকুট পরবেন। কিন্তু এখানে হিসাব টা উলটে গেল কারণ, পান্ডুর মৃত্যু হল বনেই। হিসাব মতন, জ্যেষ্ঠ্য পুত্র রাজা হবে, বা রাজার ছেলের রাজা হবে। এতো দূর এলাম, এখনো কিন্তু পান্ডব দের কোন দোষ নেই। না পান্ডুর দোষ আছে না আছে পঞ্চ পান্ডব দের।  যুধিষ্ঠির ছোট বলে, ধৃতরাষ্ট্র চালিয়ে গেলেন রাজত্ব ভীষ্মের সহায়তায়। এখানেও ভাগ্য খেলল, এ ক্ষেত্রেও বড় রাজকুমার যুধিষ্ঠির ই ছিলেন। সেখানেও আশা করি পান্ডব দের কোন দোষ ছিল না। 

কাজেই তর্কের খাতিরে দেখতে গেলে, সিংহাসন কোনদিন দুর্যোধনের ছিলই না। কাজেই ওটা আমার ছিল, আমার জিনিস অন্য কে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে , যে দাবীদার নয় তাকে ( মধ্যম পান্ডব) , বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার কোন যুক্তি তো খুঁজে পাই নি। আর দাবীদার কে , যুবরাজ ঘোষণা করে দেবার পরে, পাঁচ ভাই এবং মা সমেত পুড়িয়ে মেরে ফেলার মধ্যে কি মহানত্ব থাকে আমি খুঁজে পাই নি কোন কালেই। ভবিষ্যতে ও চেষ্টা চালিয়ে যাব খুঁজে বেড়ানোর। সমগ্র মহাভারতে কোথাও লেখা নেই, দুর্যোধন ভাল শাসক ছিলেন। বরং প্রজাদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছিল , বুঝতে পারি যখন পাঞ্চালী কে বিয়ে, পান্ডব রা ফিরে এলেন হস্তীনাপুরে আর সেখানে প্রজাদের উল্লাস দেখে। আমি তো কোন রিসার্চারের লেখা পড়ি না। যা বলছি যুক্তি আর তর্ক দিয়ে। দুর্যোধন দান ধ্যান করতেন, প্রজা হাতে রাখতে। যুধিষ্ঠির অর্থব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন ইন্দ্রপ্রস্থে। আমি বলছি না লেখা আছে মহাভারতে, সভা পর্বে। এতদুর এলাম, কোথাও পান্ডব রা আত্মগরিমা তে ভরপুর হয়ে উল্লাস করেন নি, বা কারোর ক্ষতি করেন নি। 

চলে যাই আর একটু অন্য দিকে। এখানে কর্ণ কে টানলাম না। সেখানেও আসব। দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভাতে, ধনুক দুর্যোধন তুলতে পারেন নি। অর্জুন তুলে লক্ষ্যভেদ করলেন, সেখানে পাণ্ডব দের দোষ আমি খুঁজে পাই নি। স্বভাবতই, নিজের জেঠুর ছেলে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে, আর নিজেদের বন্ধু দরকার, সেটা চিন্তা করাতে আত্মগরিমা খুঁজে পাই নি আমি। বরং মনে হয়েছে, এটাই করাই উচিৎ। কাজেই পাঞ্চাল রাজ্য কে নিজেদের বন্ধু বানানোর আকিঞ্চন কে নিরপেক্ষ ভাবে দেখলে সাপোর্ট করাই উচিৎ। আর নিজের বন্ধু কে বিয়ে না করতে চেয়ে দ্রৌপদীর উপরে রাগের মনে হয় না কোন মানে আছে বলে। দুর্যোধন নিজেও কাশী রাজের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন, তার অনুমতি নিয়েই। কাজেই একটি মেয়ে কর্ণ কে পছন্দ না ই করতে পারে, সেই স্বাধীনতা মেয়েদের ছিল। একমাত্র এতো বড় মহাকাব্যে, এমন জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন ভীষ্ম নিজের ভাই এর সাথে অম্বিকা আর অম্বালিকার। তাও সেখানে অম্বা ও ছিল। যাকে উনি মুক্ত করে দিয়েছিলেন , যখন শুনেছিলেন অম্বা, শ্বাল্ব কে ভালবাসেন। কাজেই দুর্যোধনের এই রাগ অশিক্ষার ফসল বলেই মনে করি। বা তার সামান্যতম ধারণা  ছিল না উনি কি । বা নিজের জায়গা উনি বুঝতেন না। 

তাহলে কি দাঁড়ালো? কেউ বেড়াতে গেলেন বাইরে, বাড়ির চাবি নিজের দাদা কে দিয়ে। ভাই মারা গেলেন। ভাই এর স্ত্রী ভাই এর সন্তান নিয়ে ফিরে এলেন, বাড়ি চাইলেন, কিন্তু শুনলেন সেই বাড়ি তাদের নয়, দাদার ছেলের হয়ে গেছে। বঞ্চিত কে হলো , তর্ক কিন্তু অন্য কথা বলছে। যদিও তখন কার রাজপাট আর এখন কার বাড়ি আলাদা। এখন যত সন্তান ই থাকুক, সেই রাজপাটে অধিকার সবার সম ভাবে। সেই সময়ের নিরিখে ভাবলে যুক্তির বান অন্য রকম ভাবে সাজবে। যে রাজপাট যুধিষ্ঠিরের ই ছিল। তাও যুধিষ্ঠির মেনে নিয়ে ছিলেন এই রাজ্যের বন্টন। নিজের জিনিস ছেড়েও, ওনাকে দেওয়া উষর, এবড়ো খেবড়ো খান্ডবপ্রস্থ কেই মেনে নিয়েছিলেন। দুর্যোধন কিন্তু মানতে পারেন নি। কারন উনি জানতেন এদের রাজ্য হলেই, সমগ্র ভারত এঁরা করায়ত্ব করতে পাড়ে। আর করেওছিল পান্ডব রা। 

মেনে নিলাম, যুধিষ্ঠির এর ভুল ছিল পাশা খেলা। আমি সেটা মানিও। আর মনে করি তেরো বছরের বনবাস ওই পাপের শাস্তি ই ছিল। কোন ভাবেই এই পাশা খেলার পরাজয়, রাজবংশের কূলবধু কে সভার মাঝে এনে নগ্ন করে উরুতে বসানোর অশিক্ষা দেয় না। এই অশিক্ষা তিনি পেলেন কোথায়?  কিন্তু যেদিন বিরাট যুদ্ধ হয় সেদিনে , উপস্থিত সবাই ক্যাল্কুলেশন করে করে বললেন, তেরোবছর পূর্ণ হয়ে কিছু দিন বেশী হয়ে গেছে। সেটা তিন বৃদ্ধ। গাঙ্গেয়, দ্রোণ আর কৃপ। সেটাও তিনি শুনলেন না। পাছে ইন্দ্রপ্রস্থ ফিরিয়ে দিতে হয়। সেদিনে অনেক কিছুই হতে পারত। মহাভারতের লেখক সেদিনে সবাই কেই অজ্ঞান করিয়ে দিয়েছিলেন অর্জুনের হাতে। কিন্তু অর্জুনের মনে একবার ও আসে নি এদের মেরে ফেলা যায় এখনি। ভাবুন তখনো অর্জুন, নিজের মর্যাদা, নিজের শিক্ষা কে প্রাধান্য দিচ্ছে। কুরুক্ষেত্র কি সত্যি হতো যদি সেদিন অর্জুন একটু বেঁকে বসত? সেদিনেই হস্তীনাপুর বীর শূন্য হয়ে যেত। হ্যাঁ কর্ণ সমেত। কর্ণ দু বার আক্রমণ করেছিলেন অর্জুন কে। দুবার ই অজ্ঞান হয়ে গেছিলেন। এতো পরশ্রী কাতর আমি দুর্যোধন ছাড়া কাউকেই দেখিনি এতো বড় মহাকাব্যে। 

এবারে চলে আসি যুদ্ধে। ভীষ্মের কাছে ইচ্ছা মৃত্যুর বরদান ছিল। এতো বড় বরদান মনে হয় না আছে বলে। অমরত্বে চাইলেও মরা যায় না। কিন্তু ইচ্ছা মৃত্যু তে চাইলে মৃত্যু বরণ করা যায়। একটা সুসম যুদ্ধে সেটা ফেসিলিটি নেওয়া নয়? কই অর্জুন তো কোন দিব্যাস্ত্র প্রয়োগ করে নি। ঝাড় খেয়েছে কৃষ্ণের কাছে। তাও করে নি। বা কৃষ্ণ ও করতে বলে নি ব্যবহার। অথচ কর্ণ করলেন। ঘটোতকচ কে মারলেন দিব্যাস্ত্র দিয়ে। ভগদত্ত নারায়নাস্ত্র প্রয়োগ করলেন। কর্ণ নাগাস্ত্র প্রয়োগ করলেন। এই যুদ্ধ তো প্রথম থেকেই অসম ছিল। ওখানে কৌরবপক্ষে যুদ্ধ করা সমস্ত বড় বীর , অর্জুনের দয়ায় যুদ্ধ করছিল কুরুক্ষেত্রে। কারন বিরাট যুদ্ধে অর্জুন কাউকেই হত্যা করেন নি দয়া করে। 
দ্রোণ এর মৃত্যু তে দায়ী পাণ্ডব রা নন। ধ্যান রত দ্রোণ কে মারলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। পরশুরাম সম বীর দ্রোণ কে কেউ মারতে পারবে না এটা পাণ্ডব রাও জানত। ওনাকে অস্ত্র সংবরণ করানো হয়েছিল মাত্র।  কিন্তু মজার ব্যাপার। যে পক্ষে কৃষ্ণ আছেন অস্ত্র না নিয়ে, সেখানে এই দুই মহান বীর যুদ্ধ করলেন কৌরব দের পক্ষ নিয়ে। যদি ওনারা নুন খেয়েছেন বলে যুদ্ধ করেন, তবে ভীষ্ম পান্ডুর নুন ও খেয়েছিলেন। আর দ্রোণ যে রাজ্য নিয়ে বসবাস করতেন তা অর্জুনের এনে দেওয়া ছিল। দ্রুপদ কে বন্দী দুর্যোধন নয় , অর্জুন ই করেছিলেন সম্মুখ যুদ্ধে। আর ওই অর্ধেক রাজ্য দ্রুপদের ছিল। কাজেই নুন খাবার ব্যাপার থাকলে দুজনাই পাণ্ডব পক্ষেও যুদ্ধ করতে পারতেন। করেন নি। 
 
চলে যাই অভিমন্যু বধে। নিয়মের কথা ছেড়ে দিলাম। কি করে সাত জন মিলে একজন কে এই ভাবে হত্যা করতে পারে সেই যুগে, সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন চিহ্ন। তাও সে একটা বাচ্চা ছেলে। এমন নয় যে সে অর্জুন। কি সব বীর? অর্জুন কে ডেকে নিয়ে চলে গেল কিছু পাগল সংশপ্তক। আর এদিকে বড় বড় মহারথী রা একটা বাচ্চা ছেলেকে সাত জনে মিলে হত্যা করল।  সেখানে মহানতম বীর কর্ণ ও ছিলেন আর দুর্যোধন ও ছিলেন। সেটা অন্যায় নয়? আর যখন যুদ্ধে অর্জুনের উপর্যুপরি আক্রমণে কর্ণ দিশাহারা, কর্ণ অস্ত্রের নাম ভুলে গেছেন, চাকা মাটিতে বসে গেছে অভিশাপে, তখন কৃষ্ণ , অর্জুন কে বলেন, কর্ণ কে মারতে । রথের চাকা বসে গেছে তো কি হয়েছে? তুমি ওকে মার। কর্ণ কোথায় তোমার ছেলেকে বুকে আগলে রেখেছিল চক্রব্যুহের ভিতরে। মারো ওকে মারো , কারণ তোমার ছেলের গলায় তরবারি টা ওই বসিয়েছিল। ও তো দয়া করে নি? তুমি কেন দয়া করছ? - এই ব্যাপার টা অন্যায় হয়ে গেলো? কর্ণ বঞ্চিত হলে, ওর অনেক আগে কৃষ্ণ বঞ্চিত হয়েছেন। কারন তাকেও নিজের বাবা মা কে ছেড়ে ছোত বেলায় চলে যেতে হয়েছিল প্রাণের ভয় ছিল তাই। তার ও আগে ভীষ্ম বঞ্চিত হয়েছেন। তার ও আগে ভরতের নয় পুত্র বঞ্চিত হয়েছেন। 

আসলে দুর্যোধনের রাজত্ব চাওয়া টা আমার মাথায় আসেই না। আমি হলে তো বলতে পারতাম না যে এই রাজ্য আমার, যদি না আমাকে ভুল বোঝানো হত। তাই যদি হয়, দুর্যোধনের , দুঃ ব্যাপার টার কারন ওর বাবা, পান্ডব রা নয়। মজার ব্যাপার নয়?  একমাত্র দুর্যোধন ই বলছেন রাজ্য ওনার। বাকি সবাই বলছেন রাজ্য রাজার। সেটা যুধিষ্ঠির হলে তাই সই। 

হ্যাঁ কৃষ্ণ বলেছেন কর্ণ কে যোগ দিতে পাণ্ডব পক্ষে। সেটা কুন্তী কর্ণের কাছে যাবার অনেক আগেই। কারণ কর্ণ কে সরাতে চেয়েছিলেন। উনি জানতেন এক পুরুষ ঘাতিনী অস্ত্র কর্ণের কাছে আছে। অর্জুন যে দিব্যাস্ত্র চালাবে না সেটা উনি জানতেন, কিন্তু অর্জুনের উপরে কর্ণের তীব্র ক্রোধ কর্ণ কে যে মানুষের পর্যায়ে রাখে নি সেটাও উনি জানতেন। তাই সরাতে চেয়েছিলেন। তাই নিজের ভক্ত ঘটোতকচ কেও সামনে এগিয়ে দিতে দ্বিধা করেন নি সেই রাতে, শুধু অর্জুন কে বাঁচাতে।  কিন্তু তখন ও মারা যান নি অভিমন্যু। তখনো সাত জন মিলে হত্যা করে নি নৃশংসের মতন। অর্জুন কি পারতেন না অভিমন্যু কে ওই ভাবে মারার পরে, কোন দিব্যাস্ত্র চালাতে? চালান নি তো!  খেয়াল করুন, অভিমন্যুর মৃত্যুর পরে অত দুঃখ ক্রোধের মাঝে , কৃষ্ণ  একবার ও অর্জুন কে বলেন নি দিব্যাস্ত্র চালাও, ছাড়খার করে দাও সব কিছু। আবার যুদ্ধ শেষে অশ্বথামার ব্রহ্মাস্ত্রের উলটো দিকে, ব্রহ্মশিরা চালিয়েও তাকে থামিয়ে দিলেন জগত বাঁচানোর উদ্দেশ্যে। মারা গেল নিজের নাতি। সেখানেও কৃষ্ণ এসে বাঁচালেন পরীক্ষিৎ কে। তবু অস্ত্র কে সংবরণ করিয়েছিলেন অর্জুন কে দিয়ে। বলেছিলাম তো, ক্ষমতা নয়, তার ব্যবহার এর সিদ্ধান্ত টা মানুষ কে উচ্চতায় তোলে। তাই অশ্বথামা, চুড়ান্ত অভিশাপ মাথায় নিয়ে মনিহারা হয়ে , অমরত্বের অভিশাপে জর্জরিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 

আর আত্মগরিমা আসে শিক্ষা আর মূল্যবোধ থেকে। পান্ডব দের আত্মগরিমা তাদের সর্বদাই ভুল কাজ করা থেকে আটকেছে। এখন ব্যাসদেব এদের চরিত্র এই ভাবে এঁকেছেন তাতে এদের তো কোন দোষ নেই। আর দুর্যোধনের আত্ম অহঙ্কারের ফিরিস্তি আর তার দ্বারা কার্যকলাপের ছোট্ট উদাহরণ উপরে লেখা আছে। 

যাই হোক একখানা গল্প মাত্র। গল্প হিসাবে দেখাই ভালো। 
[+] 8 users Like nandanadasnandana's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: বাঘমুড়োর আতঙ্ক - শুরু- পেইজ ৩ থেকে - by nandanadasnandana - 09-06-2022, 12:17 AM



Users browsing this thread: 14 Guest(s)