06-06-2022, 09:11 PM
(This post was last modified: 06-06-2022, 09:19 PM by আমিও_মানুষ. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
কিছুক্ষনের মধ্যেই দিপেন বাবু এক ব্রাম্ভন নিয়ে হাজির হলেন ! ব্রাম্ভন কে দেখেই কাকা বলে উঠলেন " পুরোহিত মশাই কাল পরশুর মধ্যেই একটা দিন দেখে বিয়ের ডেট ফাইনাল করে ফেলুন ! "
পুরোহিত মশাই পুঁথি ঘেঁটে বললেন বিয়ের দিন তো কম করে পনেরদিন পড়ে আছে ! কিন্তু আজকের দিন আশীর্বাদ করার জন্য খুবই শুভ ! আপনারা চাইলে আজকেই আশীর্বাদ সেরে ফেলতে পারেন ! ...
- উরি বাবা ! এতো খুব ভালো কথা ! আপনি আজকের দিন আশীর্বাদের আর পনেরদিন পরের বিয়ের দিন ফাইনাল করুন ! কি রে সুদিপ ঠিক হবে তো ?
- তুমি যা বলবে তাই হবে কাকা !
- ঠিক আছে ! আজকেই আশীর্বাদ হয়ে যাক ! ওরে ও সৌম্য ... যা তো বাবা গাড়ি থেকে আমার ব্যাগ টা নিয়ে আয় ! সৌম্য চুপচাপ চলে গেলো ! মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই কাকার ঝোলা নিয়ে হাজির !
কাকা ঝোলা নিয়ে সুবল বাবুকে বললেন " একটু ভিতরে চলুন কথা আছে ! মা সুতপা ... তুই ও আয় মা ! তুই ছারা কিছুই হবে না !
সুবল বাবুকে নিয়ে কাকা ওদের ঘরে ঢুকে গেলেন ! ঝোলা ব্যাগের থেকে একে একে গয়না বের করে সুতপার হাতে দিয়ে বললেন " পড়ে নে মা ! এগুলো তোর কাকি শ্বাসুরির ! অনেক ইচ্ছা ছিল তার নিজের ছেলের বউকে নিজের হাতে সাজাবে ! কিন্তু বিধি বাম ! তার ছেলেরা প্রেম করে বিয়ে করে বাড়ি ঢুকল ! তাই কাউকে দিতে পারিনি ! সুদিপ আমার ছেলে না হয়েও ছেলের থেকেও বেশি ! তাই তাঁর শেষ ইচ্ছা তোকে দিয়েই পুরন করি !
যখন সুতপা ঘর থেকে কাকা আর সুবল বাবুর সাথে বেড়িয়ে এলো সবাই তাকে দেখে জারপরনস্তি অবাক এবং বিস্ময়ে হতবাক ! এ কাকে দেখছে? সয়ং মা লক্ষ্মী সবার সামনে দাঁড়িয়ে ! সুবল বাবু কাকাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন !
- আরে কাঁদো কেন বিয়াই ! আমার মা কে আমার ঘরে নিয়ে যাবো ! তাই তো সাজালাম ! এবার তুমি তোমার জামাইকে আশীর্বাদ করো ! মুখে কিছু না বললেও কাকা একটা সোনার চেন চুপিচুপি সুবল বাবুর পকেটে ঢুকিয়ে দিলেন ! কানে কানে বললেন "জামাই আশীর্বাদের আশীর্বাদী তোমার পকেটে দিয়ে দিয়েছি বিয়াই ! যাও তারাতারি তৈরি হয়ে নাও !
আশীর্বাদ শেষ ! বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল ! কাকা আলাদা ভাবে চুপিচুপি সুবল বাবুকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেবার অঙ্গিকার করলেন ! বিয়ের আগে আপনি পেয়ে যাবেন ! বিয়েতে যেন কোনও খামতি না হয় ! সুবল বাবু আর ওনার স্ত্রী কাকার পায়ে পড়ে গেলেন ......। আরে আরে কি করছে আপনারা ? আমি আমার ঘরের লক্ষ্মী নিতে এসেছি ! লক্ষ্মী নেবার জন্য প্রনামি দেবো না ?
দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেলো ! গ্রামের দু চার জন মাতব্বর খবর পেয়ে চলে এসেছিলেন ! এইটাই বাংলার গ্রামের পরিবেশ ! কাউকে নেমন্তন্ন করতে হয় না ! গ্রামের পয়াঞ্চায়েত প্রধান কাউকেই আজ বাড়ি যেতে দেবেন না ! গ্রামের মেয়ে মানে পুরো গ্রামের মেয়ে ! তাই তাদের আথিথেয়তা অবর্ণনীয় ! পুরো গ্রামে মোচ্ছবের আবোহাওয়া ! ...।।
পুরোহিত মশাই পুঁথি ঘেঁটে বললেন বিয়ের দিন তো কম করে পনেরদিন পড়ে আছে ! কিন্তু আজকের দিন আশীর্বাদ করার জন্য খুবই শুভ ! আপনারা চাইলে আজকেই আশীর্বাদ সেরে ফেলতে পারেন ! ...
- উরি বাবা ! এতো খুব ভালো কথা ! আপনি আজকের দিন আশীর্বাদের আর পনেরদিন পরের বিয়ের দিন ফাইনাল করুন ! কি রে সুদিপ ঠিক হবে তো ?
- তুমি যা বলবে তাই হবে কাকা !
- ঠিক আছে ! আজকেই আশীর্বাদ হয়ে যাক ! ওরে ও সৌম্য ... যা তো বাবা গাড়ি থেকে আমার ব্যাগ টা নিয়ে আয় ! সৌম্য চুপচাপ চলে গেলো ! মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই কাকার ঝোলা নিয়ে হাজির !
কাকা ঝোলা নিয়ে সুবল বাবুকে বললেন " একটু ভিতরে চলুন কথা আছে ! মা সুতপা ... তুই ও আয় মা ! তুই ছারা কিছুই হবে না !
সুবল বাবুকে নিয়ে কাকা ওদের ঘরে ঢুকে গেলেন ! ঝোলা ব্যাগের থেকে একে একে গয়না বের করে সুতপার হাতে দিয়ে বললেন " পড়ে নে মা ! এগুলো তোর কাকি শ্বাসুরির ! অনেক ইচ্ছা ছিল তার নিজের ছেলের বউকে নিজের হাতে সাজাবে ! কিন্তু বিধি বাম ! তার ছেলেরা প্রেম করে বিয়ে করে বাড়ি ঢুকল ! তাই কাউকে দিতে পারিনি ! সুদিপ আমার ছেলে না হয়েও ছেলের থেকেও বেশি ! তাই তাঁর শেষ ইচ্ছা তোকে দিয়েই পুরন করি !
যখন সুতপা ঘর থেকে কাকা আর সুবল বাবুর সাথে বেড়িয়ে এলো সবাই তাকে দেখে জারপরনস্তি অবাক এবং বিস্ময়ে হতবাক ! এ কাকে দেখছে? সয়ং মা লক্ষ্মী সবার সামনে দাঁড়িয়ে ! সুবল বাবু কাকাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন !
- আরে কাঁদো কেন বিয়াই ! আমার মা কে আমার ঘরে নিয়ে যাবো ! তাই তো সাজালাম ! এবার তুমি তোমার জামাইকে আশীর্বাদ করো ! মুখে কিছু না বললেও কাকা একটা সোনার চেন চুপিচুপি সুবল বাবুর পকেটে ঢুকিয়ে দিলেন ! কানে কানে বললেন "জামাই আশীর্বাদের আশীর্বাদী তোমার পকেটে দিয়ে দিয়েছি বিয়াই ! যাও তারাতারি তৈরি হয়ে নাও !
আশীর্বাদ শেষ ! বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল ! কাকা আলাদা ভাবে চুপিচুপি সুবল বাবুকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেবার অঙ্গিকার করলেন ! বিয়ের আগে আপনি পেয়ে যাবেন ! বিয়েতে যেন কোনও খামতি না হয় ! সুবল বাবু আর ওনার স্ত্রী কাকার পায়ে পড়ে গেলেন ......। আরে আরে কি করছে আপনারা ? আমি আমার ঘরের লক্ষ্মী নিতে এসেছি ! লক্ষ্মী নেবার জন্য প্রনামি দেবো না ?
দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেলো ! গ্রামের দু চার জন মাতব্বর খবর পেয়ে চলে এসেছিলেন ! এইটাই বাংলার গ্রামের পরিবেশ ! কাউকে নেমন্তন্ন করতে হয় না ! গ্রামের পয়াঞ্চায়েত প্রধান কাউকেই আজ বাড়ি যেতে দেবেন না ! গ্রামের মেয়ে মানে পুরো গ্রামের মেয়ে ! তাই তাদের আথিথেয়তা অবর্ণনীয় ! পুরো গ্রামে মোচ্ছবের আবোহাওয়া ! ...।।