04-06-2022, 10:52 AM
(25-02-2022, 08:23 PM)Baban Wrote: প্রথমে আপনার পরবর্তী পর্ব নিয়ে উপরে যেটা লিখেছেন সেটা নিয়ে কথা বলি -
আপনি যে কতটা সফল সেটা আপনি বুঝবেন না.... বোঝা সম্ভব নয়..... কিন্তু পাঠকদের পক্ষে সেটি উপলব্ধি করা সম্ভব কারণ তারা পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পড়ছে। আমি কি বলতে চাইছি সেটা আপনি বুঝবেন। তাই একজন পাঠক হিসেবে বলছি এই গল্পটা আর অবশ্যই মন১ দুটোই একশোয় একশো পেয়েছে... যদিও আমি কেউ নই নাম্বার দেবার কিন্তু আপনার চিন্তা মুক্ত করতে বলতেই হলো। আসল কথা হলো গল্পের সাথে লেখক পাঠকের অলীক যোগাযোগ স্থাপন হয়েগেলে ওই জয় পরাজয় ব্যাপারটা বিলীন হয়ে যায়.... যেটা পড়ে থাকে সেটা হলো চাহিদা।
সেই চাহিদা থেকেই বলি এই গল্পের পরবর্তী অংশ আসা অবশ্যই উচিত আর আপনার লেখা থেকে ভালোই বুঝছি সেটাও আপনার সাজানো হয়ে গেছে। তাহলে অপেক্ষা কিসের? কিছুদিনের বিরতি নিয়ে কাজ শুরু করে দিন দিদি...... কারণ একদিক থেকে দেখলে গল্পের শেষ এখানেই, কিন্তু আরেকদিক থেকে দেখলে... এই হলো এক নতুন সূচনা... নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন জীবন, নতুন অধিকার.. কিন্তু পুরানো অনুভূতি।
আমি চাইনা গল্পটা খুব বড়ো হোক কারণ কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ সেটা লেখক লেখিকাকে খুব সাবধানে ভাবতে হয়.. বিশেষ করে সমাপ্তি.... তাই পরবর্তী পর্বতে কিকি প্রকাশিত হবে সেটা জানার অপেক্ষায় যেমন আছি তেমনি এটাও চাই যেন সেই কাহিনী খুব বড়ো না হোক......যতটা আপনি মনে করবেন না দেখলেই নয় ততটাই আমাদের সামনে মেলে ধরুন... বাকিটা ওই মানুষগুলোর দিন রাতের সাথে মিশে যাক ❤
এবারে আসি আজকের শেষ পর্বে - সাংঘাতিক!! অসাধারণ.. আবার মোচড়!! ইয়ে মোচড়ানো... কব হামে ছোরেগা?
কিন্তু এই মোচড়ানোর দরকার ছিল... কারণ আজকে শিভের বাবার ভেতরটা নিংড়ে ভেতরের সব অশুদ্ধতা বার করে দিয়েছে একটা মেয়ে... নাম তার শিবানী। (অন্তত এই পর্যন্ত পড়ে আমার তাই মনে হলো)
এবারে কাছে আসার নতুন গল্প শুরু হবে... নতুন পথ চলা....
আজকের পর্বের জন্য কয়েকটা কথা আমার পক্ষ থেকে -
দাঁড়িয়ে দুই সংগ্রহকারী পিপাসু পথিক চাঁদের তলায়। রুপোলি আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারিপাশ। কিছু খুঁজছে তারা.... কি খুঁজছে ওরা?
কিরে পেলি? প্রথম মানুষটার প্রশ্ন
নারে পেলাম না - দ্বিতীয় মানুষের উত্তর।
খুঁজতে খুঁজতে হটাৎ একে অপরের সাথে ধাক্কা। দুজোড়া আঁখি তাকিয়ে সম্মুখের আখির প্রতিফলনে..... এইতো!! এইতো খুঁজে পেয়েছে তারা। দুটো বন্ধুকে... ছোটবেলার বন্ধু... যারা হারিয়ে গেছিলো। আজ এই দুই মহান, শিক্ষিত কিন্তু অসুখী মানুষের চোখে আবারো খোঁজ মিললো দুই বন্ধুর।
আজ এতদিন পরে সেই দুই বন্ধু চিল্লিয়ে উঠলো উল্লাসে - কিরে? কেমন আছিস?
এতো সুন্দর একটা লেখা বাবান আর আমি কোন উত্তর ই দিতে পারি নি। কি জানি, চোখে ন্যাবা হয়েছিল হয়ত। মারাত্মক ভাল লেগেছে। একটা ভালো হলো, এতো দিন পরে দেখে, কি যে ভালো লাগল। তখন দেখলে এই ভাল লাগা টা পেতাম না। তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কি দিতে পারি? অনেক ভালবাসা রইল। এতো সুন্দর সুন্দর লেখো বলেই আমার মতন লেখক রা লিখতে ভালবাসে, সাহস পায়।