24-04-2022, 07:49 AM
রেখা দিদি আমাকে নিয়ে বিশাল বাগানটার খানিক আঁড়ালের দিকেই এগুতে থাকলো। হাঁটতে হাঁটতেই বললো, শিশির আমাকে সব বলেছে। তোমাদের ক্লাশে নুতন ভর্তি হওয়া একটা মেয়ে। কি যেনো নাম? ধ্যাৎ আজকাল এত সব নাম টাম মনে থাকে না।
আমি বললাম, আপনি কি মুনার কথা বলছেন?
রেখা দিদি আনন্দ সূচক গলায় বললো, ও হ্যা, মুনা। ওর সাথে নাকি তোমার একটু ইষ্টি কুটুম চলছে?
আমি বললাম, ছি ছি, কি যে বলেন। মুনার সাথে আমার ইষ্টি কুটুম সম্পর্ক হবে কেনো? ও খুব ভালো মেয়ে। খুবই সাহসী।
রেখা দিদি বললো, জানি। ক্লাশের একটা ছেলেকে নাকি হ্যাভী ধুলাই দিয়েছে। তো কতদূর এগুলে?
আমি বললাম, না মানে, আসলে মুনার সাথে আমার বন্ধুর সম্পর্ক। ক্লাশে প্রথম দিনে অন্য কোন সীট খালি ছিলোনা বলে, কাকতালীয় ভাবেই আমার পাশে স্যার বসতে বলেছিলো।
রেখা দিদি জবা ফুল গাছটার পাশেই বসলো। বললো, বন্ধু থেকেই সব কিছু শুরু।
আমিও রেখা দিদির পাশে বসলাম। বললাম, বাদ দিন ওসব কথা। আপনার কথা বলুন।
রেখা দিদি সবুজ ঘাসের উপর খানিকটা কাৎ হয়ে কনুই এর উপর ভর করে দেহটা রেখে, হাসতে হাসতেই বললো, আমার আর খবর কি থাকতে পারে। বিয়েটা ভেঙে গেলো।
আমি দেখলাম কামিজটার গলে বিশাল দু স্তনের বহর। তারপর চোখ কপালে তুলে বললাম, বলেন কি? কেনো?
রেখা দিদি হাসি মাখা ঠোটেই বললো, আমার দোষে না। ছেলের দোষে। ঘটক বাবাকে ঠকাতে চেয়েছিলো। বলেছিলো ছেলের বাবা বিরাট ব্যাবসায়ী। খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, ছেলের বাবা মাথায় মুড়ির বস্তা নিয়ে বাড়ী বাড়ী বিক্রি করে। তবে, ছেলেটার জন্যে খুবই মায়া হয়। খুব কষ্ট করেই নাকি লেখাপড়া করেছে। ক্লাশ এইট থেকেই টিউশনি সহ এটা সেটা কাজ করেই পড়ালেখা চালিয়েছিলো। আমার সাথে গোপনে দেখা করতে এসেছিলো। ঘটকের হয়ে নিজেই ক্ষমা চাইলো।
আমি বললাম, আপনি কি বললেন।
রেখা দিদি বললো, আমি কিছু বলিনি। ক্ষমা চাইতে আসার উদ্দেশ্যটা তো আমি বুঝেছিলাম। মায়া তৈরী করা। আমার এত মায়া দয়া নেই। একটা মুড়িওয়ালার বাড়ীর বউ হবো আমি? আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? হউক না ছেলে এম, এস, সি, পাশ। পি, এইচ, ডি, করার জন্যে বিদেশ পারি দেবার কথা ভাবছে।
আমি হঠাৎই ভাবনার অতলে হারিয়ে গেলাম। সমাজ সংসার, ধনী গরীব, শিক্ষিত অশিক্ষিত, ভেদাভেদ, মায়ার বন্ধন, কি জটিল এক জালের খেলা। খুকীও তো আমাদের বাড়ীর কাজের মেয়ে। খুবই গরীব, বাবাও নেই। মা অসুস্থ। ভিক্ষেও করতো। খুকী আমাদের বাড়ীতে আছে বলেই, ওর মাও কিছু খেয়ে পরে বাঁচতে পারছে। তারপরও তো খুকীর প্রতি আমার বাড়তি একটা মায়া।
আমাকে ভাবতে দেখে রেখা দিদি বললো, কি ভাবছো?
আমি বললাম, ছেলে যদি উচ্চ শিক্ষিতই হয়, তাহলে তার বাবার মর্যাদা নিয়ে এত ভাবার কি?
রেখা দিদি সবুজ ঘাসের উপর চিৎ হয়েই শুলো। উঁচু স্তন দুটি আকাশের দিকেই মুখ করে রইলো। রেখা দিদি চোখের সামনে ফুটে থাকা জবা ফুলটার ডালটা ধরেই বললো, ফুল আর কীট। ফুলে কীট আসতেই চাইবে। ফুলের কিছু করার থাকে না। আমি তো আর ফুল নই।
আমি বললাম, আপনি ফুলের চাইতেও অনেক সুন্দর। বাগানে ফুটা ফুল নয়। টবে সাজানো বিরল এক ফুল।
আমি বললাম, আপনি কি মুনার কথা বলছেন?
রেখা দিদি আনন্দ সূচক গলায় বললো, ও হ্যা, মুনা। ওর সাথে নাকি তোমার একটু ইষ্টি কুটুম চলছে?
আমি বললাম, ছি ছি, কি যে বলেন। মুনার সাথে আমার ইষ্টি কুটুম সম্পর্ক হবে কেনো? ও খুব ভালো মেয়ে। খুবই সাহসী।
রেখা দিদি বললো, জানি। ক্লাশের একটা ছেলেকে নাকি হ্যাভী ধুলাই দিয়েছে। তো কতদূর এগুলে?
আমি বললাম, না মানে, আসলে মুনার সাথে আমার বন্ধুর সম্পর্ক। ক্লাশে প্রথম দিনে অন্য কোন সীট খালি ছিলোনা বলে, কাকতালীয় ভাবেই আমার পাশে স্যার বসতে বলেছিলো।
রেখা দিদি জবা ফুল গাছটার পাশেই বসলো। বললো, বন্ধু থেকেই সব কিছু শুরু।
আমিও রেখা দিদির পাশে বসলাম। বললাম, বাদ দিন ওসব কথা। আপনার কথা বলুন।
রেখা দিদি সবুজ ঘাসের উপর খানিকটা কাৎ হয়ে কনুই এর উপর ভর করে দেহটা রেখে, হাসতে হাসতেই বললো, আমার আর খবর কি থাকতে পারে। বিয়েটা ভেঙে গেলো।
আমি দেখলাম কামিজটার গলে বিশাল দু স্তনের বহর। তারপর চোখ কপালে তুলে বললাম, বলেন কি? কেনো?
রেখা দিদি হাসি মাখা ঠোটেই বললো, আমার দোষে না। ছেলের দোষে। ঘটক বাবাকে ঠকাতে চেয়েছিলো। বলেছিলো ছেলের বাবা বিরাট ব্যাবসায়ী। খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, ছেলের বাবা মাথায় মুড়ির বস্তা নিয়ে বাড়ী বাড়ী বিক্রি করে। তবে, ছেলেটার জন্যে খুবই মায়া হয়। খুব কষ্ট করেই নাকি লেখাপড়া করেছে। ক্লাশ এইট থেকেই টিউশনি সহ এটা সেটা কাজ করেই পড়ালেখা চালিয়েছিলো। আমার সাথে গোপনে দেখা করতে এসেছিলো। ঘটকের হয়ে নিজেই ক্ষমা চাইলো।
আমি বললাম, আপনি কি বললেন।
রেখা দিদি বললো, আমি কিছু বলিনি। ক্ষমা চাইতে আসার উদ্দেশ্যটা তো আমি বুঝেছিলাম। মায়া তৈরী করা। আমার এত মায়া দয়া নেই। একটা মুড়িওয়ালার বাড়ীর বউ হবো আমি? আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? হউক না ছেলে এম, এস, সি, পাশ। পি, এইচ, ডি, করার জন্যে বিদেশ পারি দেবার কথা ভাবছে।
আমি হঠাৎই ভাবনার অতলে হারিয়ে গেলাম। সমাজ সংসার, ধনী গরীব, শিক্ষিত অশিক্ষিত, ভেদাভেদ, মায়ার বন্ধন, কি জটিল এক জালের খেলা। খুকীও তো আমাদের বাড়ীর কাজের মেয়ে। খুবই গরীব, বাবাও নেই। মা অসুস্থ। ভিক্ষেও করতো। খুকী আমাদের বাড়ীতে আছে বলেই, ওর মাও কিছু খেয়ে পরে বাঁচতে পারছে। তারপরও তো খুকীর প্রতি আমার বাড়তি একটা মায়া।
আমাকে ভাবতে দেখে রেখা দিদি বললো, কি ভাবছো?
আমি বললাম, ছেলে যদি উচ্চ শিক্ষিতই হয়, তাহলে তার বাবার মর্যাদা নিয়ে এত ভাবার কি?
রেখা দিদি সবুজ ঘাসের উপর চিৎ হয়েই শুলো। উঁচু স্তন দুটি আকাশের দিকেই মুখ করে রইলো। রেখা দিদি চোখের সামনে ফুটে থাকা জবা ফুলটার ডালটা ধরেই বললো, ফুল আর কীট। ফুলে কীট আসতেই চাইবে। ফুলের কিছু করার থাকে না। আমি তো আর ফুল নই।
আমি বললাম, আপনি ফুলের চাইতেও অনেক সুন্দর। বাগানে ফুটা ফুল নয়। টবে সাজানো বিরল এক ফুল।