23-04-2022, 10:52 AM
(22-04-2022, 11:59 PM)nextpage Wrote: পর্ব - আঠারোএই পর্বের মুখবন্ধটা দারুন .. এছাড়া কবিতার লাইনগুলো তো এই গল্পের ইউএসপি .. সব মিলিয়ে অসাধারণ।
আমরা সকাল থেকে রাত অব্দি এই যে এত গাধার খাটুনি খেটে যাই কিসের জন্য। দায়িত্বের চাপে মেরুদণ্ড গুলো হালকা বাঁকা হতে থাকে কিন্তু সেটাকেই আড়াল করে কেন মিথ্যে হাসির ফোয়ারা ছোটাই মুখে। হাতের তালুয় কড় ধরে যায়, পায়ের তালুতে বয়ড়া। সাংসারিক চাপ, সামজিক চাপ, পারিপার্শ্বিক চাপ সবই সয়ে যাই কিসের তরে??
একটুখানি সুখ। দিন শেষে প্রিয়জনের মুখে হাসির রেখা আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় সুখ। সেই সুখের জন্য মানুষ সব করতে পারে। সেই সুখে কারও জন্ম দিতে পারে আবার সেই সুখেই কারও মৃত্যুর কারণ হতেও দ্বিধা কাজ করে না। আমরা বারবার আমাদের সেই প্রিয় মুখ গুলোর মুখে হাসি খুঁজে ফিরি। নিজেদের সেই হাসির কারণ করাতে ভালবাসি। ছোট্ট একটা হাসি সারাদিনের ক্লান্তি, জীবনের গ্লানি, সমস্ত পাপবোধ সব কিছু ছাপিয়ে জীবনটাকে নতুন করে সাজায়। আরেকটা দিনের জন্য উদগীরণ করায় প্রাণবায়ু, আবারও বাঁচতে শেখায়। আর আমরা আরেকটা দিনের সূচনা ঘটাই।
মানুষ আজব প্রাণী। মানুষকে ঠিকমতো বুঝতে পারা অসম্ভব। এর জন্যই হয়তো সৃষ্টির সেরা জীবের তকমাটা জবরদখল করে রেখেছে এই মানুষ। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও মাঝে মাঝে কৌতূহলী হয়ে পড়ে সৃষ্টির সময় এমন কি উপদানে তৈরী করেছে মানুষ যার জন্য সৃষ্টি নিজেকে সষ্ট্রার উপরে নিয়ে যায়। শতাব্দীর পর শতাব্দীর বয়ে যায় এর বিশ্লেষণে। ক্লান্ত হয়ে পলায়নে কত মুনি ঋষি, মাথার ঝাকড়া চুল বিসর্জনে কত মনোবিশারদ। সত্যই তো মানুষ বড়ই আজব। শুধুই আজব নাকি সাথে বিশ্রী রকমের ভয়ংকর প্রাণীও বটে।