23-04-2022, 10:12 AM
(This post was last modified: 23-04-2022, 10:13 AM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(22-04-2022, 11:14 PM)nextpage Wrote: দাদা চিকেন ডাকবাংলো টা একদিন খেতেই হবে।
আর অতিভদ্র নিশীথ বাবুর ভাবমূর্তি এভাবে উজ্জ্বল রাখার জন্য বটব্যাল সংঘটন থেকে বুম্বা দাকে সংবর্ধনা দেয়া উচিত।
বেচারা অরুন্ধতীর জন্য মায়া হচ্ছে। একেতে নিশীথে খেলছে বাকি আরও কামরাজ, সামন্ত৷ একটু রয়ে সয়ে খেলাবেন দাদা এই আকুতি রইলো।
চিকেন ডাকবাংলো আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। একটি অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পদ। ডাক হলো পোস্টাল সিস্টেম। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান যুগে চিঠিপত্র এক ডাকঘর থেকে আরেক ডাকঘরে পৌঁছে দেওয়া হত ঘোড়ার পিঠে করে। ব্রিটিশ অ্যাডমেনিস্ট্রেটিভ অফিসারেরা যখন ঘোড়ায় করে অনেক দূরের কোনো ডাকঘরে চিঠি নিয়ে রওনা হতেন তখন তাদের বিশ্রামের জন্য বেশ কিছুটা দূরত্ব মেইনটেইন করে এই ডাকঘরে যাওয়ার পথেই তৈরি করা হত ডাকবাংলো গুলো। সেইসময় এই ডাকবাংলোর কেয়ারটেকাররা ঘোড়ার খুঁড়ের আওয়াজ পেয়েই তাড়াতাড়ি রান্না চাপানোর প্রস্তুতি নিতেন। এই বাংলোগুলোর সাথেই লাগোয়া নিজস্ব পোলট্রি ফার্মও থাকতো। তাই মাংস,ডিম বা গরুর দুধের তৈরি টক দইয়ের অভাব থাকতো না।কিন্তু কেয়ারটেকারদের হাতে ৪০-৪৫ মিনিট সময় থাকতো রান্নাটি সম্পূর্ণ করার জন্য।সেই জন্য সময় বাঁচাতে আলু না কেটে শুধু খোসা ছাড়িয়ে গোটা অবস্থায়,নামী দামী মশলা না দিয়ে শুধু টক দই ও কিছুটা ভাজা পেঁয়াজ সহযোগে পদটি তৈরি করা হতো। আবার যেহেতু ডাকবিভাগের অফিসারেরা একটু অবেলার দিকে এসে উপস্থিত হতো,তাই মাংস খুব একটা বেশী পরিমানে থাকতো না কোনোকোনো সময়। সেই জন্য মাংসের সাথে একটি আস্ত ডিমও দেওয়া হত এই রান্নাতে,পরিমানে বাড়াতে। এভাবেই ডাকবাংলোর কর্মীদের তৈরি মাংসের একটি সাধারণ পদই বাঙালির পাতে হয়ে উঠলো অসাধারণ,এবং এই নামেই নামকরণ হলো চিকেন ডাক বাংলো।
এবার কাহিনীর প্রসঙ্গে আপনার আকুতিতে সাড়া দিয়ে বলি .. ঠিক আছে অরুন্ধতীর সঙ্গে রয়ে সয়ে খেলানোর চেষ্টা করবো।