20-04-2022, 09:53 AM
পঙ্কজ চৌধুরীকে একটা সোনার মানুষের মতোই মনে হলো। সে বিদায় নিতেই চাইলো।
মৌসুমীর মনটাও হঠাৎ কেমন যেনো বদলে গেলো। সে দেয়ালটার দিকে খানিক ঘুরে দাঁড়িয়ে, দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে মৃদু গলাতেই ডাকলো, শুনুন?
পঙ্কজ চৌধুরী ঘুরে দাঁড়ালো। আবেগ আপ্লুত হয়েই বললো, আমি তোমাকে ভালোবাসি, মৌসুমী! ব্যাস। তুমি যদি একবার আমাকে তুমি করে ডাকো, তাহলেই আমার জীবন ধন্য। এই জীবনে এর চাইতে বেশী কিছু আর আমি চাইনা।
মৌসুমীর মনটাও কেমন যেনো কোমল হয়ে উঠলো। বললো, হুম, তুমি, শুনো। আমার টাকার দরকার নেই। বাকী টাকা দিতে হবে না। আর যে টাকা আমার ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন, সেটাও আমি খরচ করিনি। পুরু টাকাটাই আমি আপনাকে ফেরৎ দেবো। আপনি অজিৎ বাবুর টাকা খুব শীগগিরিই ফিরিয়ে দিন।
পঙ্কজ চৌধুরী বললো, আবারো আপনি? থাক, আর অনুরোধ করবো না। তবে, তুমি টাকা ফিরিয়ে দেবে কেনো? ওটা তো তোমার পারিশ্রমিক! পরিশ্রমের ফল। অজিৎ দাদা তোমাকে পঞ্চাশ লক্ষে কিনতে চেয়েছিলো। আমি তোমাকে এক কোটি টাকার পারিশ্রমিক দেবো বলেই গান রেকর্ডিং এর কাজটা হাতে নিয়েছিলাম। আমি আমার কাজ করেছি। কাজ কোন খারাপ ব্যাপার নয়। গান এর সুর তৈরী করা যেমনি কাজ, গান গাওয়াও একটা কাজ। অন্য সব নিত্য দিনের কাজের মতোই। তুমি ভেবো না। আমি যে করেই হউক অজিৎ দাদার টাকা ফিরিয়ে দেবো, সুদে আসলে। তোমার টাকা জমা থাকলেও, গান রেকর্ডিং এর এটা সেটা করতে আমার পঞ্চাশ লাখ খরচ হয়ে গেছে। তোমার টাকা ফেরৎ পেলেও খুব সহজে পরিশোধ করতে পারবো না। আমি ব্যাবসায়ীর ছেলে, যদিও বাবা ছোট খাট দোকানদার ছিলো। আমি ব্যাবসা বুঝি। তুমি ভাববে না। দরকার হলে গতর খাটবো। তারপরও, কখনো কারো ঋণ রাখবো না।
মৌসুমী আবারো বললো, আমি মাত্র এস, এস, সি, পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি, এত টাকা দিয়ে আমি কি করবো? আমার চাই ছোট্ট একটা ভালোবাসা। কেউ যদি আমাকে প্রানপনে ভালোবাসে, তাতেই আমি খুশী। আপনি, মানে তুমি। তুমি দুঃখ করেছিলে, তুমি * । আমি ধর্ম বৈষম্যে বিশ্বাস করি না। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। প্রায়ই পরীক্ষাতে ভাব সম্প্রসারণে লিখতে হয়। পরীক্ষার খাতায় লিখে কি লাভ? যদি বাস্তব জীবনে ভিন্ন হয়?
মৌসুমীর কথা শুনে পঙ্কজ চৌধুরী খুশীই হলো। বললো, থ্যাঙ্কস মৌসুমী, আসি। হ্যাভ এ গুড লাক।
পঙ্কজ চৌধুরী তার গাড়ীটার দিকেই এগুতে থাকলো। আমিও বাউণ্ডারী ওয়ালটার এপাশ থেকে এগুতে এগুতে গেইটটার সামনেই পায়চারী করতে থাকলাম। মৌসুমী বেড়িয়ে এলো কিছুক্ষণ পরই, পঙ্কজ চৌধুরীর গাড়ীটা বেড় হয়ে যাবার পর পরই। আমি বললাম, কোন সমস্যা হয়েছিলো?
মৌসুমী মিষ্টি হাসি হেসেই বললো, এখনো হয়নি, তবে হবার সম্ভাবনা প্রচুর।
মৌসুমী আর আমি বাড়ীর পথেই হাঁটতে থাকলাম।
মৌসুমীর মনটাও হঠাৎ কেমন যেনো বদলে গেলো। সে দেয়ালটার দিকে খানিক ঘুরে দাঁড়িয়ে, দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে মৃদু গলাতেই ডাকলো, শুনুন?
পঙ্কজ চৌধুরী ঘুরে দাঁড়ালো। আবেগ আপ্লুত হয়েই বললো, আমি তোমাকে ভালোবাসি, মৌসুমী! ব্যাস। তুমি যদি একবার আমাকে তুমি করে ডাকো, তাহলেই আমার জীবন ধন্য। এই জীবনে এর চাইতে বেশী কিছু আর আমি চাইনা।
মৌসুমীর মনটাও কেমন যেনো কোমল হয়ে উঠলো। বললো, হুম, তুমি, শুনো। আমার টাকার দরকার নেই। বাকী টাকা দিতে হবে না। আর যে টাকা আমার ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন, সেটাও আমি খরচ করিনি। পুরু টাকাটাই আমি আপনাকে ফেরৎ দেবো। আপনি অজিৎ বাবুর টাকা খুব শীগগিরিই ফিরিয়ে দিন।
পঙ্কজ চৌধুরী বললো, আবারো আপনি? থাক, আর অনুরোধ করবো না। তবে, তুমি টাকা ফিরিয়ে দেবে কেনো? ওটা তো তোমার পারিশ্রমিক! পরিশ্রমের ফল। অজিৎ দাদা তোমাকে পঞ্চাশ লক্ষে কিনতে চেয়েছিলো। আমি তোমাকে এক কোটি টাকার পারিশ্রমিক দেবো বলেই গান রেকর্ডিং এর কাজটা হাতে নিয়েছিলাম। আমি আমার কাজ করেছি। কাজ কোন খারাপ ব্যাপার নয়। গান এর সুর তৈরী করা যেমনি কাজ, গান গাওয়াও একটা কাজ। অন্য সব নিত্য দিনের কাজের মতোই। তুমি ভেবো না। আমি যে করেই হউক অজিৎ দাদার টাকা ফিরিয়ে দেবো, সুদে আসলে। তোমার টাকা জমা থাকলেও, গান রেকর্ডিং এর এটা সেটা করতে আমার পঞ্চাশ লাখ খরচ হয়ে গেছে। তোমার টাকা ফেরৎ পেলেও খুব সহজে পরিশোধ করতে পারবো না। আমি ব্যাবসায়ীর ছেলে, যদিও বাবা ছোট খাট দোকানদার ছিলো। আমি ব্যাবসা বুঝি। তুমি ভাববে না। দরকার হলে গতর খাটবো। তারপরও, কখনো কারো ঋণ রাখবো না।
মৌসুমী আবারো বললো, আমি মাত্র এস, এস, সি, পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি, এত টাকা দিয়ে আমি কি করবো? আমার চাই ছোট্ট একটা ভালোবাসা। কেউ যদি আমাকে প্রানপনে ভালোবাসে, তাতেই আমি খুশী। আপনি, মানে তুমি। তুমি দুঃখ করেছিলে, তুমি * । আমি ধর্ম বৈষম্যে বিশ্বাস করি না। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। প্রায়ই পরীক্ষাতে ভাব সম্প্রসারণে লিখতে হয়। পরীক্ষার খাতায় লিখে কি লাভ? যদি বাস্তব জীবনে ভিন্ন হয়?
মৌসুমীর কথা শুনে পঙ্কজ চৌধুরী খুশীই হলো। বললো, থ্যাঙ্কস মৌসুমী, আসি। হ্যাভ এ গুড লাক।
পঙ্কজ চৌধুরী তার গাড়ীটার দিকেই এগুতে থাকলো। আমিও বাউণ্ডারী ওয়ালটার এপাশ থেকে এগুতে এগুতে গেইটটার সামনেই পায়চারী করতে থাকলাম। মৌসুমী বেড়িয়ে এলো কিছুক্ষণ পরই, পঙ্কজ চৌধুরীর গাড়ীটা বেড় হয়ে যাবার পর পরই। আমি বললাম, কোন সমস্যা হয়েছিলো?
মৌসুমী মিষ্টি হাসি হেসেই বললো, এখনো হয়নি, তবে হবার সম্ভাবনা প্রচুর।
মৌসুমী আর আমি বাড়ীর পথেই হাঁটতে থাকলাম।