16-04-2022, 01:51 PM
সুরাঙ্গনের পরিবেশনায়, মৌসুমীর দ্বিতীয় গানের ক্যাসেটটা সত্যিই খুব হিট হলো। গান বুঝি নির্ভর করে সুরের উপর, আর সেই সাথে সুরেলা গলা। মৌসুমীর গলার স্বর যেমনি সুন্দর, পঙ্কজ চৌধুরীও এক ধরনের সুর এর স্রষ্টা। আর এই দুই মিলে ক্যাসেটটা এতই হিট করলো যে, গান গুলোও সবার গলায় গলায় ভাসে।
এর পর থেকে সুরাঙ্গনের ডিরেক্টরও মৌসুমীর পেছনে জোকের মতোই লাগলো। নুতন কোন গানের ক্যাসেট নয়, মৌসুমীকে সিনেমার অভিনেত্রী বানানোর জন্যেই উঠে পরে লাগলো। আর তার জন্যেই প্রেমের হাত বাড়ালো। মৌসুমীকে ডাকলো শিল্পকলা ভবনে যেতে।
মৌসুমীর এস, এস, সি, পরীক্ষাটাও ঘনিয়ে আসছিলো। এত কিছু ঝামেলার মাঝে মৌসুমীও জড়াতে চাইছিলো না। মৌসুমী আমাকেই বললো, খোকা, আমার সাথে একটু চলো না। লোকটা এত করে বলছে। একটা মানুষকে আর কত এড়িয়ে যাওয়া যায়? ভালোই হউক আর মন্দই হউক, লোকটার কথা একবার মনোযোগ দিয়ে শুনি। কিন্তু, আমার একা যেতে ভয় করছে। তুমি আমার সাথেই যাবে। তবে একটু দূরে দূরে থাকবে। যদি কোন ঝামেলা করে, তখনই শুধু ছুটে আসবে। পারবে না?
আমার মেঝো বোন মৌসুমী, আমার খুব আদরের। মৌসুমীকে যতটা ভালোবাসি, আমি হয়তো আমার অন্য বোনদেরও অতটা ভালোবাসি না। তার জন্যে আমি সব কিছুই করতে পারি। এমন কি জীবনও বাজী রাখতে পারি। আমি বললাম, তোমার জন্যে আমি সব পারবো।
মৌসুমী হলদে রং এর ঢোলা ঢালা একটা পোশাকই বেছে নিলো। মৌসুমীর গায়ের রং একটু ময়লা। হলদে রংটাতে, তাকে চমৎকার ফুটিয়ে তুলে। সত্যিই পোশাকটাতে তাকে অদ্ভুত চমৎকার লাগছিলো। সিনেমার কোন নায়িকাকেও বোধ হয় অতটা সুন্দরী লাগে না। দীর্ঘাঙ্গী, কোমরটা সরু, অথচ বুকটা খুবই উঁচু। তবে ঢোলা ঢালা পোশাকে বুকের আয়তনটা বুঝা যায়না। আমি আর মৌসুমী শিল্পকলা একাডেমীতেই গেলাম। আমি গেইটের বাইরেই অপেক্ষা করতে থাকলাম। মৌসুমী ভবনটার এপাশে দেয়াল ঠেসে দাঁড়িয়ে এদিক সেদিকই তাঁকাতে থাকলো।
পঙ্কজ চৌধুরী ঠিক সময়েই একটা গাড়ী চালিয়ে এসে শিল্পকলা একাডেমীর ভেতর ঢুকলো। মৌসুমী গলা বাড়িয়ে, তার দিকে ঝুকে মিষ্টি হেসেই বললো, আমি এখানে।
পঙ্কজ চৌধুরী গাড়ীতে বসেই মৌসুমীকে ইশারা করলো, গাড়ীতে উঠতে। মৌসুমী সরাসরিই বললো, না, যা বলার এখানে বলুন।
মৌসুমীর স্বভাব পঙ্কজ চৌধুরীও ভালো জানে। সে গাড়ীটা পার্ক করে মৌসুমীর দিকেই এগিয়ে গেলো। বললো, চলো তাহলে, কোথাও গিয়ে বসি।
মৌসুমী নাকচ করে দিয়ে বললো, না, যা বলার এখানেই বলুন। আমার কোথাও বসতে ইচ্ছে করছে না।
পঙ্কজ চৌধুরী বললো, আহা, কিছু সিরিয়াস কথা। এভাবে দাঁড়িয়ে বলা যায়?
মৌসুমী বললো, সিরিয়াস কথা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেনো, দৌড়ে দৌড়েও বলা যায়। আপনি যা বলার এখানেই বলুন।
এর পর থেকে সুরাঙ্গনের ডিরেক্টরও মৌসুমীর পেছনে জোকের মতোই লাগলো। নুতন কোন গানের ক্যাসেট নয়, মৌসুমীকে সিনেমার অভিনেত্রী বানানোর জন্যেই উঠে পরে লাগলো। আর তার জন্যেই প্রেমের হাত বাড়ালো। মৌসুমীকে ডাকলো শিল্পকলা ভবনে যেতে।
মৌসুমীর এস, এস, সি, পরীক্ষাটাও ঘনিয়ে আসছিলো। এত কিছু ঝামেলার মাঝে মৌসুমীও জড়াতে চাইছিলো না। মৌসুমী আমাকেই বললো, খোকা, আমার সাথে একটু চলো না। লোকটা এত করে বলছে। একটা মানুষকে আর কত এড়িয়ে যাওয়া যায়? ভালোই হউক আর মন্দই হউক, লোকটার কথা একবার মনোযোগ দিয়ে শুনি। কিন্তু, আমার একা যেতে ভয় করছে। তুমি আমার সাথেই যাবে। তবে একটু দূরে দূরে থাকবে। যদি কোন ঝামেলা করে, তখনই শুধু ছুটে আসবে। পারবে না?
আমার মেঝো বোন মৌসুমী, আমার খুব আদরের। মৌসুমীকে যতটা ভালোবাসি, আমি হয়তো আমার অন্য বোনদেরও অতটা ভালোবাসি না। তার জন্যে আমি সব কিছুই করতে পারি। এমন কি জীবনও বাজী রাখতে পারি। আমি বললাম, তোমার জন্যে আমি সব পারবো।
মৌসুমী হলদে রং এর ঢোলা ঢালা একটা পোশাকই বেছে নিলো। মৌসুমীর গায়ের রং একটু ময়লা। হলদে রংটাতে, তাকে চমৎকার ফুটিয়ে তুলে। সত্যিই পোশাকটাতে তাকে অদ্ভুত চমৎকার লাগছিলো। সিনেমার কোন নায়িকাকেও বোধ হয় অতটা সুন্দরী লাগে না। দীর্ঘাঙ্গী, কোমরটা সরু, অথচ বুকটা খুবই উঁচু। তবে ঢোলা ঢালা পোশাকে বুকের আয়তনটা বুঝা যায়না। আমি আর মৌসুমী শিল্পকলা একাডেমীতেই গেলাম। আমি গেইটের বাইরেই অপেক্ষা করতে থাকলাম। মৌসুমী ভবনটার এপাশে দেয়াল ঠেসে দাঁড়িয়ে এদিক সেদিকই তাঁকাতে থাকলো।
পঙ্কজ চৌধুরী ঠিক সময়েই একটা গাড়ী চালিয়ে এসে শিল্পকলা একাডেমীর ভেতর ঢুকলো। মৌসুমী গলা বাড়িয়ে, তার দিকে ঝুকে মিষ্টি হেসেই বললো, আমি এখানে।
পঙ্কজ চৌধুরী গাড়ীতে বসেই মৌসুমীকে ইশারা করলো, গাড়ীতে উঠতে। মৌসুমী সরাসরিই বললো, না, যা বলার এখানে বলুন।
মৌসুমীর স্বভাব পঙ্কজ চৌধুরীও ভালো জানে। সে গাড়ীটা পার্ক করে মৌসুমীর দিকেই এগিয়ে গেলো। বললো, চলো তাহলে, কোথাও গিয়ে বসি।
মৌসুমী নাকচ করে দিয়ে বললো, না, যা বলার এখানেই বলুন। আমার কোথাও বসতে ইচ্ছে করছে না।
পঙ্কজ চৌধুরী বললো, আহা, কিছু সিরিয়াস কথা। এভাবে দাঁড়িয়ে বলা যায়?
মৌসুমী বললো, সিরিয়াস কথা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেনো, দৌড়ে দৌড়েও বলা যায়। আপনি যা বলার এখানেই বলুন।