14-04-2022, 10:30 AM
পরেরদিন বিকেলে ছেলে হাসপাতালে আসে। হাবলুকে দেখতে না পেয়ে মৃণালবাবু ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন
- আজ হাবলুটা এলো না কেন?
- Come on, dad! Why are so worried about that bloody thief?
- কিন্তু সে তো চুরি করেনি। তাছাড়া তুই যে আমাকে এখন এখানে দেখছিস সেটা তো ওর জন্যে?
- So what dad? After all he is a thief and he came with the intention of stealing. So he should be sent behind the bars. I think I have a moral responsibility also.
মৃণালবাবু এই নিয়ে আর কথা বাড়ান নি ছেলের সঙ্গে। কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
বাড়ি এসেই থানায় হাবলুর সঙ্গে দেখা করতে যান মৃণালবাবু। এদিকে কোর্টের ডেটও দেখতে দেখতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যে হাবলুর কান্ড প্রায় সমস্ত খবরের কাগজের শিরোনামে - "বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচিয়ে চোরবাবাজীবনের হাজতবাস"। সেই মতো কোর্টে এই কেস কভার করতে মিডিয়ার হুড়োহুড়ি। প্রথমে ডাকা হয় মৃণালবাবুর ছেলেকে। প্রথমেই ভর্ৎসনা করা হয় কোর্টে হাফ প্যান্ট পরে আসার জন্যে। জজসাহেব তাকে ঠিকঠাক পোশাক পরে আসতে বলেন। মৃণালবাবু বলেন – “দরজাটা ঐদিন সন্ধ্যাবেলা খোলা ছিল। আমি যন্ত্রনায় গোঙাচ্ছিলাম। সেই সময় হাবলু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। গোঙানি শুনে ঘরে ঢুকে ও আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়”। পুলিশ বলে – “আমাদের খাতায় ওর নাম নেই, এই প্রথমবার ওকে FIR এর বয়ানের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। ও নিজেই স্বীকার করেছে যে ওর চুরির মতলব ছিল”। ততক্ষনে সেই আমেরিকাবাসী ছেলে ভদ্রস্থ পোশাকে আবার এসে হাজির। সে বলে – “আমাকেও ফোন করে ও চুরির কথা স্বীকার করেছে। He is a thief”. শেষে ডাকা হয় হাবলুকে। হাবলু বলে - "হুজুর আমি গীতা ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারব না। আমি চোর। ঐদিন আমি চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিলাম। কিছু জিনিস ব্যাগে ঢুকিয়েও নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে জ্যাঠাকে দেখে আমার মনে হয় এখুনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। তাই আর চুরি করা হয়ে উঠে নি। একটা ট্যাক্সি ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।" মৃণালবাবু বলেন - "ও মিথ্যা বলছে। ও চুরি করেনি। আমার সমস্ত জিনিস ঠিকই আছে"। আমেরিকাবাসী বাবাকে বলে - Dad, would please shut up your mouth? মৃণালবাবু ছেলেকে ধমকে বলেন - "তোর না এলেও চলত। তুই বরং আজই আমেরিকা ফিরে যা। শুধু মুখে পুঁইপাঁই ইংরেজী ছাড়া আর কিছু কি শিখেছিস? কুলাঙ্গার কোথাকার"! সবার সামনে বাবার দাবড়ানিতে আমেরিকাবাসী একটু দমে যায়। জজসাহেব হাবলুকে জিজ্ঞেস করেন - "তোমার কাছে কোনো চুরির প্রমান আছে?" হাবলু বলে - "আছে"। এই বলে পকেট থেকে একটা ঘড়ি বের করে সবাইকে দেখায়। এই ঘড়িটা আমি চুরি করেছি, পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। মৃণালবাবু বলেন - "না, না ওটা আমার ঘড়ি নয়"। আমেরিকাবাসী বলে - "Hey dad, I gave that swiss watch to you as a gift . So expensive man!! It is $3000, pretty exclusive collection. He stole that, bloody thief!!" জজসাহেব শেষবারের মতো হাবলুকে জিজ্ঞেস করে - "তুমি চিন্তা করে বলছো তো?" পুলিশ বলে - " হাবলু ভেবে দেখ, ওটা ভুল করে তুই নিয়েছিস কি না? তোর কি সত্যি চুরি করা উদ্দেশ্য ছিল?" হাবলু বলে - "হুজুর, সত্যি কথা আমি সহজ ভাবে বলেছি । আবারও বলছি আমি চুরি করতেই ঢুকেছিলাম। আমি চোর।" সভাকক্ষ একদম চুপ। মৃণালবাবু হতাশায় ঘাড় নাড়ছেন। পুলিশের দীর্ঘশ্বাস! জজসাহেব বললেন - "হাবলু চুরি করতে গিয়েছিল এটা যেমন ঠিক, তার চেয়েও বেশী করে ঠিক যে সে এক মানবিক কাজও করেছে। মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সত্যিটা প্রথম থেকেই স্বীকার করেছে। তাই আদালত সবদিক বিবেচনা করে হাবলুকে তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল।" আমেরিকাবাসী বলে - " What a joke!! He stole such an expensive watch and just awarded only three months of jail term!!, No way!! I'll go to the Supreme Court."
কোর্টের বাইরে পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে মৃণালবাবু দেখা করেন হাবলুর সাথে। হাবলু ঘড়িটা ফেরত দিয়ে বলে
- জ্যাঠা, এটা আমি ইচ্ছে করে এই দিনটার জন্যে রেখেছিলাম। আর লাগবে না।
- তুই স্বীকার করলি কেন হাবলু?
- জ্যাঠা, পুরো দুধে একফোঁটা চোনা হয়ে যেত যে এই মিথ্যাটা বললে। আপনি চিন্তা করবেন নি। মাত্র তিনমাসের ব্যাপার তো।
- আজ হাবলুটা এলো না কেন?
- Come on, dad! Why are so worried about that bloody thief?
- কিন্তু সে তো চুরি করেনি। তাছাড়া তুই যে আমাকে এখন এখানে দেখছিস সেটা তো ওর জন্যে?
- So what dad? After all he is a thief and he came with the intention of stealing. So he should be sent behind the bars. I think I have a moral responsibility also.
মৃণালবাবু এই নিয়ে আর কথা বাড়ান নি ছেলের সঙ্গে। কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
বাড়ি এসেই থানায় হাবলুর সঙ্গে দেখা করতে যান মৃণালবাবু। এদিকে কোর্টের ডেটও দেখতে দেখতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যে হাবলুর কান্ড প্রায় সমস্ত খবরের কাগজের শিরোনামে - "বৃদ্ধের প্রাণ বাঁচিয়ে চোরবাবাজীবনের হাজতবাস"। সেই মতো কোর্টে এই কেস কভার করতে মিডিয়ার হুড়োহুড়ি। প্রথমে ডাকা হয় মৃণালবাবুর ছেলেকে। প্রথমেই ভর্ৎসনা করা হয় কোর্টে হাফ প্যান্ট পরে আসার জন্যে। জজসাহেব তাকে ঠিকঠাক পোশাক পরে আসতে বলেন। মৃণালবাবু বলেন – “দরজাটা ঐদিন সন্ধ্যাবেলা খোলা ছিল। আমি যন্ত্রনায় গোঙাচ্ছিলাম। সেই সময় হাবলু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। গোঙানি শুনে ঘরে ঢুকে ও আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়”। পুলিশ বলে – “আমাদের খাতায় ওর নাম নেই, এই প্রথমবার ওকে FIR এর বয়ানের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। ও নিজেই স্বীকার করেছে যে ওর চুরির মতলব ছিল”। ততক্ষনে সেই আমেরিকাবাসী ছেলে ভদ্রস্থ পোশাকে আবার এসে হাজির। সে বলে – “আমাকেও ফোন করে ও চুরির কথা স্বীকার করেছে। He is a thief”. শেষে ডাকা হয় হাবলুকে। হাবলু বলে - "হুজুর আমি গীতা ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারব না। আমি চোর। ঐদিন আমি চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিলাম। কিছু জিনিস ব্যাগে ঢুকিয়েও নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে জ্যাঠাকে দেখে আমার মনে হয় এখুনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। তাই আর চুরি করা হয়ে উঠে নি। একটা ট্যাক্সি ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।" মৃণালবাবু বলেন - "ও মিথ্যা বলছে। ও চুরি করেনি। আমার সমস্ত জিনিস ঠিকই আছে"। আমেরিকাবাসী বাবাকে বলে - Dad, would please shut up your mouth? মৃণালবাবু ছেলেকে ধমকে বলেন - "তোর না এলেও চলত। তুই বরং আজই আমেরিকা ফিরে যা। শুধু মুখে পুঁইপাঁই ইংরেজী ছাড়া আর কিছু কি শিখেছিস? কুলাঙ্গার কোথাকার"! সবার সামনে বাবার দাবড়ানিতে আমেরিকাবাসী একটু দমে যায়। জজসাহেব হাবলুকে জিজ্ঞেস করেন - "তোমার কাছে কোনো চুরির প্রমান আছে?" হাবলু বলে - "আছে"। এই বলে পকেট থেকে একটা ঘড়ি বের করে সবাইকে দেখায়। এই ঘড়িটা আমি চুরি করেছি, পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। মৃণালবাবু বলেন - "না, না ওটা আমার ঘড়ি নয়"। আমেরিকাবাসী বলে - "Hey dad, I gave that swiss watch to you as a gift . So expensive man!! It is $3000, pretty exclusive collection. He stole that, bloody thief!!" জজসাহেব শেষবারের মতো হাবলুকে জিজ্ঞেস করে - "তুমি চিন্তা করে বলছো তো?" পুলিশ বলে - " হাবলু ভেবে দেখ, ওটা ভুল করে তুই নিয়েছিস কি না? তোর কি সত্যি চুরি করা উদ্দেশ্য ছিল?" হাবলু বলে - "হুজুর, সত্যি কথা আমি সহজ ভাবে বলেছি । আবারও বলছি আমি চুরি করতেই ঢুকেছিলাম। আমি চোর।" সভাকক্ষ একদম চুপ। মৃণালবাবু হতাশায় ঘাড় নাড়ছেন। পুলিশের দীর্ঘশ্বাস! জজসাহেব বললেন - "হাবলু চুরি করতে গিয়েছিল এটা যেমন ঠিক, তার চেয়েও বেশী করে ঠিক যে সে এক মানবিক কাজও করেছে। মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সত্যিটা প্রথম থেকেই স্বীকার করেছে। তাই আদালত সবদিক বিবেচনা করে হাবলুকে তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল।" আমেরিকাবাসী বলে - " What a joke!! He stole such an expensive watch and just awarded only three months of jail term!!, No way!! I'll go to the Supreme Court."
কোর্টের বাইরে পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে মৃণালবাবু দেখা করেন হাবলুর সাথে। হাবলু ঘড়িটা ফেরত দিয়ে বলে
- জ্যাঠা, এটা আমি ইচ্ছে করে এই দিনটার জন্যে রেখেছিলাম। আর লাগবে না।
- তুই স্বীকার করলি কেন হাবলু?
- জ্যাঠা, পুরো দুধে একফোঁটা চোনা হয়ে যেত যে এই মিথ্যাটা বললে। আপনি চিন্তা করবেন নি। মাত্র তিনমাসের ব্যাপার তো।