14-04-2022, 09:07 AM
পরেরদিন হাবলু যথারীতি মৃণালবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যায় ICU তে। সিস্টাররা হাবলুকে জিজ্ঞেস করেন
- আপনি এনার কে হন?
- আমি কেউ না।
- এনার নাম কি?
- মৃনাল মজুমদার ।
- তাহলে শিশির মুখার্জী নামে কেন ভর্তি করিয়েছিলেন?
- আমি তখন জানতাম না। তবে ওনার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনার থেকেই নামটা জেনেছি। তাতে হয়েছেটা কি?
- কিছু না
যাই হোক হাবলু এবার মৃণালবাবুর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে।
- জ্যাঠা, কেমন আছেন?
- ভালো। তুই না থাকলে তো বোধহয় এ যাত্রায় একদম উপরে চলে যেতাম।
- আরে না না। আপনি পুণ্যবান লোক, তাই ভগবান আপনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। যাই হোক আপনার ছেলে তো আমেরিকায় থাকে। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আসছেন খুব তাড়াতাড়ি। কাল থেকে আপনার মোবাইলটা নিজের কাছেই রেখেছি, যদি কেউ চেনাজানা ফোন করে তাকে খবরটা দেব বলে। এখুনি আপনাকে আপনার ছেলে ফোন করবে। বলতে বলতে আমেরিকাবাসী ছেলের ফোন আসে। হাবলু ফোনটা মৃনালবাবুকে দেয়। কিছুক্ষন বাবা-ছেলের মধ্যে কথাবার্তা হয়।
- তুই কি বলেছিস আমার ছেলেকে?
- যা সত্যি তাই বলেছি। বলেছি যে চুরি করতে ঢুকে আপনার বাবাকে অসুস্থ দেখে হাসপাতালে ভর্তি করে দিই।
- তুই চুরির কথাটা বললি কেন? কিছু একটা বানিয়ে বলতে পারতিস।
- না, না জ্যাঠা ধরা আমি পড়ে যেতাম। তার চেয়ে ভাবলাম যে সত্যিটাই বলে দিই।
যাইহোক প্রত্যেকদিন হাবলু মৃণালবাবুকে দেখতে আসে। দেখতে দেখতে কয়েকদিনের মধ্যে আমেরিকাবাসী ছেলে এসে পড়ে। পরনে হাফ-প্যান্ট, গায়ে চকরা-বকরা রংচঙে জামা, মাথায় একটা টেক্সাস কাউ-বয় মার্কা টুপি, চোখে রেব্যানের সানগ্লাস, পায়ে স্নিকার। হাসপাতালে যাবার আগে থানায় গিয়ে সেই রাতের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জ্ঞানগর্ভ ইংরেজীতে লিখে একটা FIR দায়ের করে। পুলিশ আদৌ সেই FIR এর বয়ান বুঝতে পেরেছিল কিনা সন্দেহ আছে, সে যাই হোক মুখের বয়ানের এর ভিত্তিতে পুলিশ এসে হাবলুকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।
- আপনি এনার কে হন?
- আমি কেউ না।
- এনার নাম কি?
- মৃনাল মজুমদার ।
- তাহলে শিশির মুখার্জী নামে কেন ভর্তি করিয়েছিলেন?
- আমি তখন জানতাম না। তবে ওনার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনার থেকেই নামটা জেনেছি। তাতে হয়েছেটা কি?
- কিছু না
যাই হোক হাবলু এবার মৃণালবাবুর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে।
- জ্যাঠা, কেমন আছেন?
- ভালো। তুই না থাকলে তো বোধহয় এ যাত্রায় একদম উপরে চলে যেতাম।
- আরে না না। আপনি পুণ্যবান লোক, তাই ভগবান আপনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। যাই হোক আপনার ছেলে তো আমেরিকায় থাকে। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আসছেন খুব তাড়াতাড়ি। কাল থেকে আপনার মোবাইলটা নিজের কাছেই রেখেছি, যদি কেউ চেনাজানা ফোন করে তাকে খবরটা দেব বলে। এখুনি আপনাকে আপনার ছেলে ফোন করবে। বলতে বলতে আমেরিকাবাসী ছেলের ফোন আসে। হাবলু ফোনটা মৃনালবাবুকে দেয়। কিছুক্ষন বাবা-ছেলের মধ্যে কথাবার্তা হয়।
- তুই কি বলেছিস আমার ছেলেকে?
- যা সত্যি তাই বলেছি। বলেছি যে চুরি করতে ঢুকে আপনার বাবাকে অসুস্থ দেখে হাসপাতালে ভর্তি করে দিই।
- তুই চুরির কথাটা বললি কেন? কিছু একটা বানিয়ে বলতে পারতিস।
- না, না জ্যাঠা ধরা আমি পড়ে যেতাম। তার চেয়ে ভাবলাম যে সত্যিটাই বলে দিই।
যাইহোক প্রত্যেকদিন হাবলু মৃণালবাবুকে দেখতে আসে। দেখতে দেখতে কয়েকদিনের মধ্যে আমেরিকাবাসী ছেলে এসে পড়ে। পরনে হাফ-প্যান্ট, গায়ে চকরা-বকরা রংচঙে জামা, মাথায় একটা টেক্সাস কাউ-বয় মার্কা টুপি, চোখে রেব্যানের সানগ্লাস, পায়ে স্নিকার। হাসপাতালে যাবার আগে থানায় গিয়ে সেই রাতের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জ্ঞানগর্ভ ইংরেজীতে লিখে একটা FIR দায়ের করে। পুলিশ আদৌ সেই FIR এর বয়ান বুঝতে পেরেছিল কিনা সন্দেহ আছে, সে যাই হোক মুখের বয়ানের এর ভিত্তিতে পুলিশ এসে হাবলুকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।