12-04-2022, 10:25 AM
#######*সেল সেল সেল*
---------------#########
*(প্রাপ্তবয়স্কের স্বাদ পেলে তার দায় সম্পূর্ণ রূপে পাঠকের ?)*
পরশুদিন ছুটি নিয়ে ল্যাদ খাচ্ছি,কিচেনে বৌ মনে হলো যেন আমাকে শুনিয়ে গান গাইছিল,
দিন আসে দিন যায় তোমার আশায়
দিন গোনে আমার মন
স্বপ্নের দিন এই জীবনে
আসবে কখন??...
বলে কি পাগলি!!!হুপ হুপ করে তিন লাফে বৌ এর সামনে গিয়ে জাপটে ধরে বললাম,ধূর পাগলি,দিন গোনার কি দরকার, তুমি চাইলেই এখুনি ইয়ে মানে ইয়ে...
বৌ বললো, তোমার শরীর আজ ভালো আছে তো?
শিকারের গন্ধ পেয়ে উৎসাহিত হয়ে বললাম, ভালো কি! খুব ভালো.. চাঙ্গা..
বৌ বললো,চলো আজ তাহলে সেলের কেনাকাটা করে আসি!!
বলে কি!সব পানি পানি রে.. ও তাহলে এই দিনের গান শোনাচ্ছিলে তুমি!!করুনস্বরে বললাম, শরীরটা জানো তো কেমন খারাপ খারাপ লাগছে।
বৌ বললো, অসভ্য,ছোটোলোক, ওসব চালাকি সব বুঝি, তুমি যাবে কিনা বলো!!
যদিও এইসব হুংকারে আমি খুব একটা পাত্তা দিই না, পুরুষ সিংহ তো তাই, তবে ঘাড়ে হাত দিয়ে দেখলাম মাথা আমার একটা ই,অগত্যা বেরোনোর সিদ্ধান্ত ই নিলাম..
ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে,মা প্রতিবার চৈত্র সেলে গেঞ্জি আর হাফ প্যান্ট কিনে দিতো (সত্যি বলছি ওই বয়সে আমাদের জাঙ্গিয়া কনসেপ্ট আসেনি)..নরকঙ্কাল মার্কা চেহারায় সানি দেওল মার্কা গেঞ্জি পড়লে যা হয় তাই হয়েছিল,বড় হাফ হাতার মধ্যে থেকে লিকলিক করে দুটো হাত ঝুলে থাকতো! কাকতাড়ুয়া র ভায়রা ভাই মনে হতো নিজেকে!সেলের প্যান্টের
চরিত্র মেনে প্যান্টের চেন গড়বড় করতো..মা হেঁইয়ো মারো হেঁইয়ো বলে একবার টান মেরে তুলতে গিয়ে ইয়েতে বাঁধিয়ে দিয়েছিল! যদি ও দুর্ঘটনা তেমন কিছু ঘটেনি, ঘটলে ধনসম্পদ হারিয়ে কি যে হতো কে জানে!!
সেলের বাজারে গড়িয়াহাটের মজাই আলাদা! আমি দেখেছি সেলে মূলত যে জিনিসগুলো মহিলারা টার্গেট করে তাদের মধ্যে নাইটি,সায়া ,ব্লাউজ ,ইনার গার্মেন্টস,বেডকভার আর বরের একটা বারমুডা থাকবেই! শুরু করা যাক নাইটি,সায়া বিক্রেতা কে দিয়ে !এদের দেখলেই আমার কেমন যেন দুপুর ঠাকুরপো র কথা মনে পড়ে!এদের বলার ভঙ্গিমাটা দেখুন একবার.."এই সেল সেল সেল, নাইটি তুলুন একশো,সায়া তুলুন ষাট!!!" শালা বলিস কি রে পাগলা,তোর বৌ শুনলে তোকে জুতোপেটা করবে রে!?
এবার তাকান ব্লাউজ আর ইনার গার্মেন্টস যারা বিক্রি করে তাদের দিকে..এক নববিবাহিতা বৌদির দিকেই তাকিয়েই এক দোকানীকে বলতে শুনেছিলাম,কালু ৩৪ দে তো!! বৌদি লাজুক মুখে বলেছিলেন, না না আমার ৩৬ লাগে!
কি যে বলেন বৌদি, এতদিন ঘাঁটছি এটুকু বলতে পারবো না!!
পাশে দাঁড়ানো তার পতিদেবতার মুখটা ছিল দেখার মতো!সে ব্যাটা ঘাঁটার কথা শুনে বোঝার চেষ্টা করছিল কবে? কোথায়? কিভাবে??
একবার এক ইনার গার্মেন্টস এর দোকানে গেছি বৌ কে নিয়ে, থুড়ি ..বৌ আমাকে বগলদাবা করে নিয়ে গেছে,দোকানী একটা লাল রং এর ইয়ে বার করে বৌ কে বললো , আপনাকে এটাতে হেভি মানাবে বৌদি, ফিটিং ও ঠিকঠাক হবে!!শাআআলা,তোর বৌকে তোর পছন্দের ইয়ে পড়া গিয়ে, আমি এতদিনেও বৌকে ব্লাউজের রং বলার সাহস দেখাতে পারলাম না,আর তুই ইয়ের কালার পছন্দের কথা বলছিস ,তোকে শালা সেলের চিকেনের ললিপপ বানিয়ে ছিবড়ে করে ফেলবো!?
সেলের বেডকভারের কদরই আলাদা!! একবার বৌ এর শত নিষেধ থোড়াই কেয়ার করে এরকমই এক বেডকভার কিনেছিলাম আমি!হেব্বি কালার.. পাতার পড় বৌ কে বললাম, তোমার ভাগ্য দেখে নিজের ও হিংসে হয় !কত ভালো কাজ করলে আমার মতো স্বামী পাওয়া যায় বলো তো!জহুরীর চোখ আমার, সেরাটা তুলে এনেছি!পরের দিন সকালে গান গেয়েছিলাম,মেরে রং মে রঙনেবালি,পরী হো ইয়া হো পরীও কি রাণী!!..আরে ধূর মশাই যা ভাবছেন তা নয়,ধোয়ার পর কি হয়েছিল ভেবে নিন,ধোয়ার আগেই যা রং বেরিয়েছিল, পাড়াপড়শি ভাবতে শুরু করেছিল, হঠাৎ অকাল হোলিতে কেন মেতেছি আমরা!!?
মনে পড়ে একবার সেলের মার্কেট থেকে একটা বারমুডা কিনে এনেছিল বৌ! সামান্য রাত্রি টুকু কাটাতে পারেনি বেচারা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল! সকালে এমনভাবে হাঁ করেছিল যেন বহুদিন ওর খাওয়া জোটেনি!তবে ওই হাঁ এর পিছন থেকে আমার ধনসম্পদকে উঁকি মারতে দেখে সঙ্গী এমনভাবে হা হা করে হেসেছিল পিত্তি জ্বলে গেছিল ?
অনেক হয়েছে এবারে খতম করি, একবার সস্তায় সেলে জকির জাঙ্গিয়া কিনেছিলাম! তবে ও জকি আমার "ঘোড়ার" উপর এমনভাবে জাঁকিয়ে বসেছিল যে দু পা হাঁটতে গেলেই খচখচ করে!নাগিন নাগিন ড্যান্সের ছন্দে সেবার যা হেঁটেছিলাম অনায়াসে র্যাম্পে নামিয়ে দেওয়া যেতো!!?
তবে আম বাঙালির কাছে এও যেন এক উৎসব! সামান্য হলেও মনের মানুষটির জন্য ,বাড়ির প্রিয় মানুষগুলোর জন্য কিছু কেনার মধ্যে যে আনন্দ পাওয়া যায় , মূল্য দিয়ে তার বিচার করার সাধ্যি কার!!তাই বেঁচে থাক চৈত্র সেল...
এই সেল সেল সেল...সায়া তুলুন পঞ্চাশ,নাইটি একশো..সেল সেল সেল
সংগৃহীত
---------------#########
*(প্রাপ্তবয়স্কের স্বাদ পেলে তার দায় সম্পূর্ণ রূপে পাঠকের ?)*
পরশুদিন ছুটি নিয়ে ল্যাদ খাচ্ছি,কিচেনে বৌ মনে হলো যেন আমাকে শুনিয়ে গান গাইছিল,
দিন আসে দিন যায় তোমার আশায়
দিন গোনে আমার মন
স্বপ্নের দিন এই জীবনে
আসবে কখন??...
বলে কি পাগলি!!!হুপ হুপ করে তিন লাফে বৌ এর সামনে গিয়ে জাপটে ধরে বললাম,ধূর পাগলি,দিন গোনার কি দরকার, তুমি চাইলেই এখুনি ইয়ে মানে ইয়ে...
বৌ বললো, তোমার শরীর আজ ভালো আছে তো?
শিকারের গন্ধ পেয়ে উৎসাহিত হয়ে বললাম, ভালো কি! খুব ভালো.. চাঙ্গা..
বৌ বললো,চলো আজ তাহলে সেলের কেনাকাটা করে আসি!!
বলে কি!সব পানি পানি রে.. ও তাহলে এই দিনের গান শোনাচ্ছিলে তুমি!!করুনস্বরে বললাম, শরীরটা জানো তো কেমন খারাপ খারাপ লাগছে।
বৌ বললো, অসভ্য,ছোটোলোক, ওসব চালাকি সব বুঝি, তুমি যাবে কিনা বলো!!
যদিও এইসব হুংকারে আমি খুব একটা পাত্তা দিই না, পুরুষ সিংহ তো তাই, তবে ঘাড়ে হাত দিয়ে দেখলাম মাথা আমার একটা ই,অগত্যা বেরোনোর সিদ্ধান্ত ই নিলাম..
ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে,মা প্রতিবার চৈত্র সেলে গেঞ্জি আর হাফ প্যান্ট কিনে দিতো (সত্যি বলছি ওই বয়সে আমাদের জাঙ্গিয়া কনসেপ্ট আসেনি)..নরকঙ্কাল মার্কা চেহারায় সানি দেওল মার্কা গেঞ্জি পড়লে যা হয় তাই হয়েছিল,বড় হাফ হাতার মধ্যে থেকে লিকলিক করে দুটো হাত ঝুলে থাকতো! কাকতাড়ুয়া র ভায়রা ভাই মনে হতো নিজেকে!সেলের প্যান্টের
চরিত্র মেনে প্যান্টের চেন গড়বড় করতো..মা হেঁইয়ো মারো হেঁইয়ো বলে একবার টান মেরে তুলতে গিয়ে ইয়েতে বাঁধিয়ে দিয়েছিল! যদি ও দুর্ঘটনা তেমন কিছু ঘটেনি, ঘটলে ধনসম্পদ হারিয়ে কি যে হতো কে জানে!!
সেলের বাজারে গড়িয়াহাটের মজাই আলাদা! আমি দেখেছি সেলে মূলত যে জিনিসগুলো মহিলারা টার্গেট করে তাদের মধ্যে নাইটি,সায়া ,ব্লাউজ ,ইনার গার্মেন্টস,বেডকভার আর বরের একটা বারমুডা থাকবেই! শুরু করা যাক নাইটি,সায়া বিক্রেতা কে দিয়ে !এদের দেখলেই আমার কেমন যেন দুপুর ঠাকুরপো র কথা মনে পড়ে!এদের বলার ভঙ্গিমাটা দেখুন একবার.."এই সেল সেল সেল, নাইটি তুলুন একশো,সায়া তুলুন ষাট!!!" শালা বলিস কি রে পাগলা,তোর বৌ শুনলে তোকে জুতোপেটা করবে রে!?
এবার তাকান ব্লাউজ আর ইনার গার্মেন্টস যারা বিক্রি করে তাদের দিকে..এক নববিবাহিতা বৌদির দিকেই তাকিয়েই এক দোকানীকে বলতে শুনেছিলাম,কালু ৩৪ দে তো!! বৌদি লাজুক মুখে বলেছিলেন, না না আমার ৩৬ লাগে!
কি যে বলেন বৌদি, এতদিন ঘাঁটছি এটুকু বলতে পারবো না!!
পাশে দাঁড়ানো তার পতিদেবতার মুখটা ছিল দেখার মতো!সে ব্যাটা ঘাঁটার কথা শুনে বোঝার চেষ্টা করছিল কবে? কোথায়? কিভাবে??
একবার এক ইনার গার্মেন্টস এর দোকানে গেছি বৌ কে নিয়ে, থুড়ি ..বৌ আমাকে বগলদাবা করে নিয়ে গেছে,দোকানী একটা লাল রং এর ইয়ে বার করে বৌ কে বললো , আপনাকে এটাতে হেভি মানাবে বৌদি, ফিটিং ও ঠিকঠাক হবে!!শাআআলা,তোর বৌকে তোর পছন্দের ইয়ে পড়া গিয়ে, আমি এতদিনেও বৌকে ব্লাউজের রং বলার সাহস দেখাতে পারলাম না,আর তুই ইয়ের কালার পছন্দের কথা বলছিস ,তোকে শালা সেলের চিকেনের ললিপপ বানিয়ে ছিবড়ে করে ফেলবো!?
সেলের বেডকভারের কদরই আলাদা!! একবার বৌ এর শত নিষেধ থোড়াই কেয়ার করে এরকমই এক বেডকভার কিনেছিলাম আমি!হেব্বি কালার.. পাতার পড় বৌ কে বললাম, তোমার ভাগ্য দেখে নিজের ও হিংসে হয় !কত ভালো কাজ করলে আমার মতো স্বামী পাওয়া যায় বলো তো!জহুরীর চোখ আমার, সেরাটা তুলে এনেছি!পরের দিন সকালে গান গেয়েছিলাম,মেরে রং মে রঙনেবালি,পরী হো ইয়া হো পরীও কি রাণী!!..আরে ধূর মশাই যা ভাবছেন তা নয়,ধোয়ার পর কি হয়েছিল ভেবে নিন,ধোয়ার আগেই যা রং বেরিয়েছিল, পাড়াপড়শি ভাবতে শুরু করেছিল, হঠাৎ অকাল হোলিতে কেন মেতেছি আমরা!!?
মনে পড়ে একবার সেলের মার্কেট থেকে একটা বারমুডা কিনে এনেছিল বৌ! সামান্য রাত্রি টুকু কাটাতে পারেনি বেচারা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল! সকালে এমনভাবে হাঁ করেছিল যেন বহুদিন ওর খাওয়া জোটেনি!তবে ওই হাঁ এর পিছন থেকে আমার ধনসম্পদকে উঁকি মারতে দেখে সঙ্গী এমনভাবে হা হা করে হেসেছিল পিত্তি জ্বলে গেছিল ?
অনেক হয়েছে এবারে খতম করি, একবার সস্তায় সেলে জকির জাঙ্গিয়া কিনেছিলাম! তবে ও জকি আমার "ঘোড়ার" উপর এমনভাবে জাঁকিয়ে বসেছিল যে দু পা হাঁটতে গেলেই খচখচ করে!নাগিন নাগিন ড্যান্সের ছন্দে সেবার যা হেঁটেছিলাম অনায়াসে র্যাম্পে নামিয়ে দেওয়া যেতো!!?
তবে আম বাঙালির কাছে এও যেন এক উৎসব! সামান্য হলেও মনের মানুষটির জন্য ,বাড়ির প্রিয় মানুষগুলোর জন্য কিছু কেনার মধ্যে যে আনন্দ পাওয়া যায় , মূল্য দিয়ে তার বিচার করার সাধ্যি কার!!তাই বেঁচে থাক চৈত্র সেল...
এই সেল সেল সেল...সায়া তুলুন পঞ্চাশ,নাইটি একশো..সেল সেল সেল
সংগৃহীত