11-04-2022, 10:11 AM
রেখা দিদিকেও অনেক দিন দেখিনা। ইচ্ছে ছিলো রেখা দিদিকেই একটিবার দেখতে যাবো। উপজেলা স্পোর্টস গ্রাউণ্ডের কাছাকাছি আসতেই চোখে পরলো উঁকি দিয়ে দিয়েই আমাকে দেখছে মুনা। পরনে সাদা কালো স্ট্রাইপের স্কীন টাইট স্পোর্টস টপস আর শর্টস। আমি কাছাকাছি যেতেই মিষ্টি হেসে কোমল গলাতেই ডাকলো, খোকা, কি খবর?
আমি এগিয়ে গিয়ে সহজ ভাবেই বললাম, ভালো। কোথায় ছিলে এতদিন?
মুনা বললো, একটা ইভেন্ট ছিলো। সেখানে প্রতিযোগীতা করতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর, চলো গ্রাউণ্ডে যাই।
অনেকদিন পর মুনাকে দেখে আমার মনটাও কেমন যেনো উথাল পাথাল করছিলো। আমি মুনার পাশাপাশিই হাঁটতে থাকলাম। বললাম, শুনলাম কি জাহাজ চলানো শিখছো?
মুনা অবাক হয়েই বললো, জাহাজ? কে বলেছে?
আমি বললাম, খুকী।
মুনা অবাক হয়ে বললো, খুকী কে?
আমি বললো, আমাদের বাড়ীর কাজের মেয়ে।
মুনা বললো, খুকীকে তো আমি চনিই না। তাকে আবার ওসব কথা কখন বললাম। বোধ হয় ভুল শুনেছে। তোমার বোন মৌসুমী আপাকে বোধ হয় বলেছিলাম, স্পীড বোট চালানো শিখছি।
আমি কথা বাড়ালাম না। খুকীর স্বভাব আমি জানি। সে তিলকেও তাল বানায়।
মুনার পাশ ধরে, সুইমিং পুলটার কাছাকাছিই এগিয়ে এসেছিলাম। হঠাৎই কি হতে কি হলো বুঝলাম না। ঝাপটার মতো দেহে একটা ধাক্কা অনুভব করলাম। মুহুর্তেই অনুভব করলাম, আমি পানির তলায় তলিয়ে যাচ্ছি। অতর্কিত ভাবেই নাকে মুখে পানি ঢুকতে থাকলো। আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করেই পানির উপরে উঠে এলাম। কাশতে কাশতেই চোখ খুললাম। দেখলাম ঠিক আমার চোখের সামনেই সুইমিং পুলের গলা পানিতে ডুবে মুনাও খিল খিল করে হাসছে। কি সুন্দর চমৎকার দুধে দাঁত। মাঝের দুটি দাঁতের পাশেই খানিক নীচে ছোট দুটি দাঁত। তারপর ঈষৎ কুড়ালে দুটি দাঁত। এমন মিষ্টি মধুর হাসি দেখলে সব কিছুই ভুলে থাকা যায়। তারপরও আমি ঝাপটাটা ভুলতে পারলাম না। রাগ করেই বললাম, এটা কি হলো?
মুনা খিল খিল হাসিতেই বললো, ঐ দিনের শাস্তি। তুমিই তো মনে করিয়ে দিলে।
আমি নাক মুখ থেকে পানি ঝাড়তে ঝাড়তে বললাম, কোন দিনের? কি মনে করিয়ে দিলাম?
মুনা বললো, ঐদিন কত শখ করে তোমাদের বাড়ীতে গেলাম। তুমি অমন চোরের মতো পালিয়ে গিয়েছিলে কেনো?
আমি খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। ঐ দিনের কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি আমতা আমতা করেই বললাম, তুমি তো ছোট আপুর কাছে গিয়েছিলে। কি না কি শেখাতে। আমি সেখানে থেকে কি করতে পারতাম।
মুনা বললো, তুমিও শিখতে, যদি শেখার ইচ্ছা না থাকতো, তাহলে আমাদেরকে দেখতে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। মুনা নিজে থেকেই বললো, সত্যিই ভেবেছিলাম, তোমাকে আর ভয় দেখাবো না। কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করেছো। ঠিক আছে, আরো একটা খেলা হয়ে যাক। ওই যে স্টেপটা দেখা যাচ্ছে, দেখা যাক কে কত উপর থেকে ওখান থেকে লাফিয়ে পানিতে পরতে পারে। প্রথমে এক মিটার উপর থেকেই শুরু। তুমি যদি সবচেয়ে উপর থেকে লাফিয়ে পরতে পারো, প্রমিজ, আর ভয় দেখাবো না।
আমি এগিয়ে গিয়ে সহজ ভাবেই বললাম, ভালো। কোথায় ছিলে এতদিন?
মুনা বললো, একটা ইভেন্ট ছিলো। সেখানে প্রতিযোগীতা করতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর, চলো গ্রাউণ্ডে যাই।
অনেকদিন পর মুনাকে দেখে আমার মনটাও কেমন যেনো উথাল পাথাল করছিলো। আমি মুনার পাশাপাশিই হাঁটতে থাকলাম। বললাম, শুনলাম কি জাহাজ চলানো শিখছো?
মুনা অবাক হয়েই বললো, জাহাজ? কে বলেছে?
আমি বললাম, খুকী।
মুনা অবাক হয়ে বললো, খুকী কে?
আমি বললো, আমাদের বাড়ীর কাজের মেয়ে।
মুনা বললো, খুকীকে তো আমি চনিই না। তাকে আবার ওসব কথা কখন বললাম। বোধ হয় ভুল শুনেছে। তোমার বোন মৌসুমী আপাকে বোধ হয় বলেছিলাম, স্পীড বোট চালানো শিখছি।
আমি কথা বাড়ালাম না। খুকীর স্বভাব আমি জানি। সে তিলকেও তাল বানায়।
মুনার পাশ ধরে, সুইমিং পুলটার কাছাকাছিই এগিয়ে এসেছিলাম। হঠাৎই কি হতে কি হলো বুঝলাম না। ঝাপটার মতো দেহে একটা ধাক্কা অনুভব করলাম। মুহুর্তেই অনুভব করলাম, আমি পানির তলায় তলিয়ে যাচ্ছি। অতর্কিত ভাবেই নাকে মুখে পানি ঢুকতে থাকলো। আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করেই পানির উপরে উঠে এলাম। কাশতে কাশতেই চোখ খুললাম। দেখলাম ঠিক আমার চোখের সামনেই সুইমিং পুলের গলা পানিতে ডুবে মুনাও খিল খিল করে হাসছে। কি সুন্দর চমৎকার দুধে দাঁত। মাঝের দুটি দাঁতের পাশেই খানিক নীচে ছোট দুটি দাঁত। তারপর ঈষৎ কুড়ালে দুটি দাঁত। এমন মিষ্টি মধুর হাসি দেখলে সব কিছুই ভুলে থাকা যায়। তারপরও আমি ঝাপটাটা ভুলতে পারলাম না। রাগ করেই বললাম, এটা কি হলো?
মুনা খিল খিল হাসিতেই বললো, ঐ দিনের শাস্তি। তুমিই তো মনে করিয়ে দিলে।
আমি নাক মুখ থেকে পানি ঝাড়তে ঝাড়তে বললাম, কোন দিনের? কি মনে করিয়ে দিলাম?
মুনা বললো, ঐদিন কত শখ করে তোমাদের বাড়ীতে গেলাম। তুমি অমন চোরের মতো পালিয়ে গিয়েছিলে কেনো?
আমি খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। ঐ দিনের কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি আমতা আমতা করেই বললাম, তুমি তো ছোট আপুর কাছে গিয়েছিলে। কি না কি শেখাতে। আমি সেখানে থেকে কি করতে পারতাম।
মুনা বললো, তুমিও শিখতে, যদি শেখার ইচ্ছা না থাকতো, তাহলে আমাদেরকে দেখতে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। মুনা নিজে থেকেই বললো, সত্যিই ভেবেছিলাম, তোমাকে আর ভয় দেখাবো না। কিন্তু তুমি আমাকে বাধ্য করেছো। ঠিক আছে, আরো একটা খেলা হয়ে যাক। ওই যে স্টেপটা দেখা যাচ্ছে, দেখা যাক কে কত উপর থেকে ওখান থেকে লাফিয়ে পানিতে পরতে পারে। প্রথমে এক মিটার উপর থেকেই শুরু। তুমি যদি সবচেয়ে উপর থেকে লাফিয়ে পরতে পারো, প্রমিজ, আর ভয় দেখাবো না।