সূচিপত্র
(যে পর্ব পড়তে চান সেটির ওপর ক্লিক করুন)
১. একটি ভুল
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
(শেষ পর্ব)
শুরু
একটি ভুল
কে আসছে বাবা? জিজ্ঞাসা করলো বাবলি।
আরে সুবিমল রে.... ভুলে গেলি নাকি? আমার বন্ধু.... ওই কত আসতো আগে মনে নেই তোর? তোর জন্য খেলনা লজেন্স প্রতিবার আনতো..... তুই ওর কোলে উঠে বসতিস....... তোকে কত আদর করতো... মনে পড়েছে? তারপরও তো কতবার এসেছে...... অবশ্য মাঝে বেশ কিছুদিন আর দেখিনি.. ওই ঘটনার পর......
বাবার বাকি কথা গুলো ঠিকমতো কানেই যায়নি বাবলির । কারণ বাবার মুখ থেকে ওই নামটা শোনার পরেই বুকটা ধক করে উঠেছিল ওর। আজ এতদিন পর আবার ওই লোকটার মুখ মনে পড়তেই কেমন যেন হলো বাবলির ভেতর। কিছু মুহুর্ত যেন পলকের মধ্যে ভেসে উঠে মিলিয়ে গেলো।
হ্যা..... খুব ভালোই মনে আছে লোকটাকে বাবলির। অমন লোক কে কি ওতো সহজে ভোলা যায়? বাবলি চুপচাপ বসে টিভির দিকে নজর দিলো। টিভিতে কি চলছে সেদিকে অবশ্য খেয়াল নেই ওর। ওর কান বাবা মায়ের কথাবার্তার ওপর।
মা বলছে - সেকি? এতদিন পর?
বাবা - হ্যা.... অফিস থেকে ফেরার পথে ওই বাজারে গেছিলাম...... ওখানেই তো হটাৎ দেখা...... অনেক দিন পর। নিজেই এসে দেখা করলো। বললো..... ও ওর বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছিলো...... ওই বাড়িতে থাকতে আর.......
মা - সত্যিই....... কার যে কখন কি.... বৌদির যে কি হয়ে গেলো হটাৎ করে.... অমন সিঁড়ি থেকে...... (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে).... ছেলে কেমন আছে?
বাবা - বললো তো ভালোই.... বাবলির থেকে ছোট না ওর ছেলে?
মা- অনেক ছোট....... মনে নেই কত পরে বিয়ে করেছিল.... আমাদের বাবলি যখন পাঁচ বছর না ছয়... তখন বৌদির ছেলে হলো।
বাবা - হুমমম...... সত্যিই.... ওই বয়সে মা হারা ছেলে.... সত্যিই.....
মা - যাকগে ছাড়ো ওসব...... কবে আসছে?
বাবা - আমিতো বললাম আজকেই এসো... ও বললো যাবো একদিন.... তারপরে জোরাজুরি করাতে বললো কাল আসবে।
মা - আচ্ছা...
ভুরু কুঁচকে গেছে ওদিকে অঞ্জন বাবু আর সুমিত্রা দেবীর সুন্দরী কন্যার। বাবলির বেশ রাগ হচ্ছে আজ বাবার ওপর........ এটা কি করলো বাবা? কি দরকার ছিল? ওই লোকটাকে এই বাড়িতে ডাকার কি দরকার ছিল বাবার?
এতদিন একটু একটু করে যত দিন গেছে ততই ভুলেছে বাবলি কিছু মুহুর্ত... আজ আবার কিনা তার বাবার জন্যই এক ধাক্কায় সবকিছু মনে পরে ভালো। বাবা..... এটা তুমি ঠিক করলেনা.... ঠিক করলেনা।
ঘরে ছয় জন মানুষ উপস্থিত। চার জন বসে হাসাহাসি করছে আর দুজন একে ওপরের সাথে খেলছে। পুরো জমজমাট পরিবেশ। উপস্থিত দুই পুরুষের মধ্যে একজন - ইয়ে অঞ্জন? বাথরুমটা কোথায় রে.? জিজ্ঞেস করতে বন্ধু তাকে নিয়ে গিয়ে বাথরুম দেখিয়ে ফিরে এসে গল্প করতে লাগলেন। চা খেতে খেতে গল্প চলছে। ছোট্ট মেয়েটা একটু পরেই দৌড়ে বেরিয়ে গেলো আন্টিকে নিজের ড্রইং খাতা দেখাবে বলে। মা বলছিলো একটুও পড়াশোনা করেনা ঠিক করে.... কিন্তু বল্লোনা কত সুন্দর আঁকে সে। আন্টিকে দেখাতেই হবে ওর ড্রইং। মেয়েটা নিজের ঘরের দিকে যেতে একতলায় নেমে গেলো। ওরা সবাই দোতলায়।
একি? আঙ্কেল এই ঘরে কি করছে? বাথরুম তো ওই বাইরে। কাকুর হাতে ওটা কি সাদা সাদা?
ছোট্ট মেয়েটা ঘরে ঢুকতে গিয়েও থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। কেন জানি নিজের বাবা মায়ের ঘরে ঢুকতেই একটা অদৃশ্য বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সে। এই ঘরে আজ এক অমন পুরুষ। সেটা বড়ো কথা নয়... কিন্তু বড়ো কথা হলো এই লোকটার হাতে ওই বাচ্চার মায়ের অন্তর্বাস! কি করছে লোকটা মায়ের ঐটা নিয়ে? আঙ্কেল একদিকের কোনে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। লোকটার একটা হাত অনবরত কি যেন করছে...... আর অন্য হাতে এই বাড়ির গিন্নির একান্ত আপন জিনিস।
আঙ্কেল? কি হয়েছে? জিজ্ঞেস করলো মেয়েটি। সতর্ক আর ক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে বড়ো বড়ো চোখে একবার পেছনে তাকিয়েই লোকটা আবার সামনে ফিরে কি যেন করলো। চিইইইক করে যেন চেন টানার শব্দ হলো. তারপরে পেছনে ফিরে হেসে বললো - নানা সোনা কিছুনা..... এইটা নিচে পড়ে গেছিলো... তাই তুলে রাখছি। তুমি এখানে?
- আঙ্কেল আমার ড্রইং দেখবে?
- নিশ্চই....... কই দেখাও.....
- তুমি ওপরে যাও... আমি ড্রইং খাতা নিয়ে আসছি।
- আচ্ছা..... গুড গার্ল.... এসো
নিজের ঘরে বসে বাবলি। বই খোলা মুখের সামনে কিন্তু মন অন্যেদিকে। আজ থেকে অনেক বছর আগে। সেদিনের বাবলি সেই প্রথম দেখেছিলো বাবার বন্ধুকে। বাবার থেকেও প্রায় এক হাত লম্বা হালকা চেহারার লোকটাকে। একটা মোটা গোফ আর বড়ো বড়ো চোখ, কোঁকড়ানো বাকব্রাশ করা চুল আর গালে অসংখ্য স্পট পড়া লোকটাকে। যদিও সেদিনের সেই বাচ্চা মেয়েটা কিছুই না বুঝে আঙ্কেল বেরিয়ে যেতেই আঁকার খাতা বার করতে ব্যাস্ত হয়ে গেছিলো কিন্তু আজকের বাবলির কানের সামনে যেন সেই আওয়াজটা আজও ভাসে..... চিইইইক!! চেন টানার আওয়াজ।
আরে সুবিমল রে.... ভুলে গেলি নাকি? আমার বন্ধু.... ওই কত আসতো আগে মনে নেই তোর? তোর জন্য খেলনা লজেন্স প্রতিবার আনতো..... তুই ওর কোলে উঠে বসতিস....... তোকে কত আদর করতো... মনে পড়েছে? তারপরও তো কতবার এসেছে...... অবশ্য মাঝে বেশ কিছুদিন আর দেখিনি.. ওই ঘটনার পর......
বাবার বাকি কথা গুলো ঠিকমতো কানেই যায়নি বাবলির । কারণ বাবার মুখ থেকে ওই নামটা শোনার পরেই বুকটা ধক করে উঠেছিল ওর। আজ এতদিন পর আবার ওই লোকটার মুখ মনে পড়তেই কেমন যেন হলো বাবলির ভেতর। কিছু মুহুর্ত যেন পলকের মধ্যে ভেসে উঠে মিলিয়ে গেলো।
হ্যা..... খুব ভালোই মনে আছে লোকটাকে বাবলির। অমন লোক কে কি ওতো সহজে ভোলা যায়? বাবলি চুপচাপ বসে টিভির দিকে নজর দিলো। টিভিতে কি চলছে সেদিকে অবশ্য খেয়াল নেই ওর। ওর কান বাবা মায়ের কথাবার্তার ওপর।
মা বলছে - সেকি? এতদিন পর?
বাবা - হ্যা.... অফিস থেকে ফেরার পথে ওই বাজারে গেছিলাম...... ওখানেই তো হটাৎ দেখা...... অনেক দিন পর। নিজেই এসে দেখা করলো। বললো..... ও ওর বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছিলো...... ওই বাড়িতে থাকতে আর.......
মা - সত্যিই....... কার যে কখন কি.... বৌদির যে কি হয়ে গেলো হটাৎ করে.... অমন সিঁড়ি থেকে...... (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে).... ছেলে কেমন আছে?
বাবা - বললো তো ভালোই.... বাবলির থেকে ছোট না ওর ছেলে?
মা- অনেক ছোট....... মনে নেই কত পরে বিয়ে করেছিল.... আমাদের বাবলি যখন পাঁচ বছর না ছয়... তখন বৌদির ছেলে হলো।
বাবা - হুমমম...... সত্যিই.... ওই বয়সে মা হারা ছেলে.... সত্যিই.....
মা - যাকগে ছাড়ো ওসব...... কবে আসছে?
বাবা - আমিতো বললাম আজকেই এসো... ও বললো যাবো একদিন.... তারপরে জোরাজুরি করাতে বললো কাল আসবে।
মা - আচ্ছা...
ভুরু কুঁচকে গেছে ওদিকে অঞ্জন বাবু আর সুমিত্রা দেবীর সুন্দরী কন্যার। বাবলির বেশ রাগ হচ্ছে আজ বাবার ওপর........ এটা কি করলো বাবা? কি দরকার ছিল? ওই লোকটাকে এই বাড়িতে ডাকার কি দরকার ছিল বাবার?
এতদিন একটু একটু করে যত দিন গেছে ততই ভুলেছে বাবলি কিছু মুহুর্ত... আজ আবার কিনা তার বাবার জন্যই এক ধাক্কায় সবকিছু মনে পরে ভালো। বাবা..... এটা তুমি ঠিক করলেনা.... ঠিক করলেনা।
ঘরে ছয় জন মানুষ উপস্থিত। চার জন বসে হাসাহাসি করছে আর দুজন একে ওপরের সাথে খেলছে। পুরো জমজমাট পরিবেশ। উপস্থিত দুই পুরুষের মধ্যে একজন - ইয়ে অঞ্জন? বাথরুমটা কোথায় রে.? জিজ্ঞেস করতে বন্ধু তাকে নিয়ে গিয়ে বাথরুম দেখিয়ে ফিরে এসে গল্প করতে লাগলেন। চা খেতে খেতে গল্প চলছে। ছোট্ট মেয়েটা একটু পরেই দৌড়ে বেরিয়ে গেলো আন্টিকে নিজের ড্রইং খাতা দেখাবে বলে। মা বলছিলো একটুও পড়াশোনা করেনা ঠিক করে.... কিন্তু বল্লোনা কত সুন্দর আঁকে সে। আন্টিকে দেখাতেই হবে ওর ড্রইং। মেয়েটা নিজের ঘরের দিকে যেতে একতলায় নেমে গেলো। ওরা সবাই দোতলায়।
একি? আঙ্কেল এই ঘরে কি করছে? বাথরুম তো ওই বাইরে। কাকুর হাতে ওটা কি সাদা সাদা?
ছোট্ট মেয়েটা ঘরে ঢুকতে গিয়েও থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। কেন জানি নিজের বাবা মায়ের ঘরে ঢুকতেই একটা অদৃশ্য বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সে। এই ঘরে আজ এক অমন পুরুষ। সেটা বড়ো কথা নয়... কিন্তু বড়ো কথা হলো এই লোকটার হাতে ওই বাচ্চার মায়ের অন্তর্বাস! কি করছে লোকটা মায়ের ঐটা নিয়ে? আঙ্কেল একদিকের কোনে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। লোকটার একটা হাত অনবরত কি যেন করছে...... আর অন্য হাতে এই বাড়ির গিন্নির একান্ত আপন জিনিস।
আঙ্কেল? কি হয়েছে? জিজ্ঞেস করলো মেয়েটি। সতর্ক আর ক্ষিপ্ত দৃষ্টিতে বড়ো বড়ো চোখে একবার পেছনে তাকিয়েই লোকটা আবার সামনে ফিরে কি যেন করলো। চিইইইক করে যেন চেন টানার শব্দ হলো. তারপরে পেছনে ফিরে হেসে বললো - নানা সোনা কিছুনা..... এইটা নিচে পড়ে গেছিলো... তাই তুলে রাখছি। তুমি এখানে?
- আঙ্কেল আমার ড্রইং দেখবে?
- নিশ্চই....... কই দেখাও.....
- তুমি ওপরে যাও... আমি ড্রইং খাতা নিয়ে আসছি।
- আচ্ছা..... গুড গার্ল.... এসো
নিজের ঘরে বসে বাবলি। বই খোলা মুখের সামনে কিন্তু মন অন্যেদিকে। আজ থেকে অনেক বছর আগে। সেদিনের বাবলি সেই প্রথম দেখেছিলো বাবার বন্ধুকে। বাবার থেকেও প্রায় এক হাত লম্বা হালকা চেহারার লোকটাকে। একটা মোটা গোফ আর বড়ো বড়ো চোখ, কোঁকড়ানো বাকব্রাশ করা চুল আর গালে অসংখ্য স্পট পড়া লোকটাকে। যদিও সেদিনের সেই বাচ্চা মেয়েটা কিছুই না বুঝে আঙ্কেল বেরিয়ে যেতেই আঁকার খাতা বার করতে ব্যাস্ত হয়ে গেছিলো কিন্তু আজকের বাবলির কানের সামনে যেন সেই আওয়াজটা আজও ভাসে..... চিইইইক!! চেন টানার আওয়াজ।
চলবে.....
বন্ধুরা জানাবেন কেমন লাগছে
ভালো লাগলে লাইক রেপু দিয়ে উৎসাহিত করবেন
![[Image: IMG-20250821-034916-217.jpg]](https://i.postimg.cc/zXhKcPrJ/IMG-20250821-034916-217.jpg)


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)