02-04-2022, 07:15 AM
জেল ওয়ার্ডেন ঢুকলো পাক্কা ৭ টায় একটা কাগজ নিয়ে । তারসাথে ৭ টা গার্ড উইথ গানস । সবাই লাইন দিয়ে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে পড়লো কমন স্পেস-এ । নিজেও একটা জায়গা করে নিলো নিজের সেই লাইনের মধ্যে ।সম্ভবত তামিল হবে, একজন গার্ডস গান গাইতে শুরু করলো " মঙ্গল দীপ জ্বেলে দু চোখ আলোয় ভোর প্রভু , তবু যারা বিশ্বাস করে না তুমি আছো তাদের মার্জনা করো প্রভু !" কিন্তু গানটা তামিলের মতোই শুনতে লাগলো বিসির । তার পর ভারতের জাতীয় সংগীত গাইতে হলো । শেষ হলো প্রার্থনা । ৭ জন গার্ডস থেকে গেলো আর জেল ওয়ার্ডেন বেরিয়ে গেলেন । সবাই হয় হয় করে এগিয়ে গেলো ক্যান্টিনে । ওয়ার্ড এ ঢোকার মুখে বাঁ দিকের তিনটে তালা বন্ধ দরজায় ক্যান্টিন । আজ মেনু শুধু ডিম্ পাউরুটি কলা । এক দিন ২ গ্লাস দুধ দেয়া হয় । নিজের ভাগের খাবার নিয়ে কমন স্পেসে এসে এক ধরে বসলো বিসি । সবাই সার দিয়ে দেওয়ালের ধার করে বসেছে সারিবদ্ধ ভাবে । বিসি লক্ষ্য করলো তার ডিম্ আর কলা নেই , শুধু রুটি দুটো পড়ে আছে ।
দুঃখ পেলো না সে । খাবার তার রুচি নেই এমনিতেও । কিন্তু ধপাস করে তার সামনে কালো মোটা একটা মেয়ে আচার খেয়ে চেঁচিয়ে উঠে দাঁড়ালো । আর হেরোর মতো উড়ে এসে আলকা মেয়েটির পেটে লাঠি মেরে মাটিতে ফেলে দিলো এক পলকে ।মুখ থেকে গোটা ডিমের অর্ধ্যেক টা বেরিয়ে মাটিতে পড়লো । হাতের কলা ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দিলো বিসির থালায় । আর ঝাঁপিয়ে পড়ে তীরের গতিতে দুটো ঘুসি মারলো মুখে ওই মেয়েটির । এর পর মোটা মেয়েটার পালা । মোটা শরীর নিয়ে উঠে ছুড়ে দিলো আলকা কে দূরে । কিন্তু এর মধ্যেই দুজন গার্ড লাঠি উঁচিয়ে মারতে গেলো দুজন কে । দুজনে দুজনের মধ্যে শুধু বাক্য বিনিময় হলো " দেখে নেবো !"
বিসি বুঝতে পারলো সেই শ্যামলী । চাপা গুঞ্জনে ভোরে গেলো ঘর । কৃতজ্ঞতায় চোখে জল আসলো বিসির । জেলেও যদি তার মা থাকতো একটা । সে নিজের দুর্বলতা কে ধিক্কার দিতে লাগলো শুকনো রুটি আর কলা চিবোতে চিবোতে । জেল ওয়ার্ডেন বিসির কাছে এসে বললো আমার নাম পূর্ণিমা সহ আমি জেল ওয়ার্ডেন । তোমার সুবিধা অসুবিধা আমায় তুমি লিখে জানাবে । যত দিন না তোমার ভার্ডিক্ট হচ্ছে তুমি শ্যামলীর সাথে ব্যাগের কারখানায় শ্যামলী কে সাহায্য করবে । ওহ তোমার টিম লিডার । একটিমে ১২ জন লোক কাজ করে । নিজের টিম কে চিনে নাও ।
দেবিকা শুনে মাথায় হাত দেয় । শ্যামলী বিসি কে ছিড়ে খাবে । আর দেখিনি আলকা আর শ্যামলীর যা মারা আমরি হয়েছে তাতে সেই রাগ বিসির উপরেই পড়বে ।
আলকা কাজ করে লাউন্ড্রি তে , মালিনীও সেখানেই থাকে দুজনে জেলের কে ম্যানেজ করে নিয়েছে । তেমনি জুটের ব্যাগের কাজ করে শ্যামলী । ধূপের আর মুম্বাইর কাজ করে সুতপা । তার গ্যাং বিশেষ বোরো নয় । গোটা তিরিশ মেয়ে হবে । দল যেদিকে ভারী সে সেদিকেই যায় । শ্যামলীর প্যারের লোক , খুব কাছের লোক জেলের নন্দিনী । তাই সব ব্যাপারেই শ্যামলী একটু সিবিধা পায় এলাকার চেয়ে । আসলে সে কি কারণ তাঃ কেউ জানে না ।
দুঃখ পেলো না সে । খাবার তার রুচি নেই এমনিতেও । কিন্তু ধপাস করে তার সামনে কালো মোটা একটা মেয়ে আচার খেয়ে চেঁচিয়ে উঠে দাঁড়ালো । আর হেরোর মতো উড়ে এসে আলকা মেয়েটির পেটে লাঠি মেরে মাটিতে ফেলে দিলো এক পলকে ।মুখ থেকে গোটা ডিমের অর্ধ্যেক টা বেরিয়ে মাটিতে পড়লো । হাতের কলা ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দিলো বিসির থালায় । আর ঝাঁপিয়ে পড়ে তীরের গতিতে দুটো ঘুসি মারলো মুখে ওই মেয়েটির । এর পর মোটা মেয়েটার পালা । মোটা শরীর নিয়ে উঠে ছুড়ে দিলো আলকা কে দূরে । কিন্তু এর মধ্যেই দুজন গার্ড লাঠি উঁচিয়ে মারতে গেলো দুজন কে । দুজনে দুজনের মধ্যে শুধু বাক্য বিনিময় হলো " দেখে নেবো !"
বিসি বুঝতে পারলো সেই শ্যামলী । চাপা গুঞ্জনে ভোরে গেলো ঘর । কৃতজ্ঞতায় চোখে জল আসলো বিসির । জেলেও যদি তার মা থাকতো একটা । সে নিজের দুর্বলতা কে ধিক্কার দিতে লাগলো শুকনো রুটি আর কলা চিবোতে চিবোতে । জেল ওয়ার্ডেন বিসির কাছে এসে বললো আমার নাম পূর্ণিমা সহ আমি জেল ওয়ার্ডেন । তোমার সুবিধা অসুবিধা আমায় তুমি লিখে জানাবে । যত দিন না তোমার ভার্ডিক্ট হচ্ছে তুমি শ্যামলীর সাথে ব্যাগের কারখানায় শ্যামলী কে সাহায্য করবে । ওহ তোমার টিম লিডার । একটিমে ১২ জন লোক কাজ করে । নিজের টিম কে চিনে নাও ।
দেবিকা শুনে মাথায় হাত দেয় । শ্যামলী বিসি কে ছিড়ে খাবে । আর দেখিনি আলকা আর শ্যামলীর যা মারা আমরি হয়েছে তাতে সেই রাগ বিসির উপরেই পড়বে ।
আলকা কাজ করে লাউন্ড্রি তে , মালিনীও সেখানেই থাকে দুজনে জেলের কে ম্যানেজ করে নিয়েছে । তেমনি জুটের ব্যাগের কাজ করে শ্যামলী । ধূপের আর মুম্বাইর কাজ করে সুতপা । তার গ্যাং বিশেষ বোরো নয় । গোটা তিরিশ মেয়ে হবে । দল যেদিকে ভারী সে সেদিকেই যায় । শ্যামলীর প্যারের লোক , খুব কাছের লোক জেলের নন্দিনী । তাই সব ব্যাপারেই শ্যামলী একটু সিবিধা পায় এলাকার চেয়ে । আসলে সে কি কারণ তাঃ কেউ জানে না ।