28-03-2022, 10:55 AM
রাঘব বাহাদুরের সামনে নিজের রাগ, আক্রোশ, প্রতিসধস্প্রিহা ওপর অনেক কষ্টে লাগাম রাখলেও,একটা অব্যক্ত রাগে নিজের ভেতরে ভেতরেই পাগল হয়ে যাচ্ছিলো, তার মনে হচ্ছিল সে যেন নপংসুক হয়ে গেছে না হলে বাহাদুর কে হাতের সামনে পেয়েও কি ভাবে তাকে রেহাই দিল,এই সব ভাবতে ভাবতে আর নিজের ভেতরে জ্বলতে জ্বলতে রাঘব যেন মরিয়া হয়ে যাচ্ছিলো, সে খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছিল তার ভেতরের বিষের থলি পূর্ণ হয়ে গেছে এবার এই বিষ না ঢাললে সে নিজেই ওই বিষে পুড়ে যাবে, এই রকম মানসিক অবসথায় রাঘব যে ভাবে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে, সে তার নতুন বাংলোর বারেন্দায় বসে তাই করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো কিন্তু আজকে রাঘবের জ্বালার কাছে মদও কাজ করছিলোনা, অলরেডি রাঘব একটা গোটা স্কচের বোতল প্রায় শেষ করে এনেছিল কিন্তু সে তবুও নিজেকে সামলাতে পারছিলনা,রাঘব তার এই অসস্থির মন টাকে খুব ভয় পায় কারন যক্ষণ রাঘব এই রকম অবসথায় থাকে সে কোন না কোন অঘটন ঘটায়, এই সব ভাবতে ভাবতেই সে বোতল টা শেষ করে ফেলে কিন্তু তার তৃষ্ণা তখনও মেটানি, রাঘব বারান্দা থেকে ওঠে সোজা তার ঘরে যায় আরেকটা বোতলের জন্য, রাঘব সবে তখন দিন দুয়েক হলো জয়েন করেছে এস পি হিসাবে, তার হাউস স্টাফ যার প্রায় বছর পঞ্চাশেক বয়স হবে, সে জীবনে অনেক অফিসারের বাংলোই কাজ করেছে কিন্তু এত কম বয়েসের অফিসার তার এই রুপ দেখে ভয়ে জড়সর হয়ে যায়, সে এইবার ভয়ে ভয়ে রাঘবের কাছে দাড়ায় আর বলে উঠে ;সাব খাবার আনবো?; রাঘব শুধু তার দিকে একবার চোখ তুলে তাকায় তাতেই হিরালাল, রাঘবের হাউস স্টাফের অবসথা কাহিল হয়ে যায় সে কোনমতে বারান্দা থেকে পালিয়ে আসে,সে সোজা ঘরে এসে মহুয়া ম্যাদাম কে ফোন করে সব ঘটনা বলে আর বলে যেন ম্যাদাম একটু তারাতারি এসে এস পি সাহেব কে একটু বুঝিয়ে যান, মহুয়া রায় পাহাড়পুর থানার এস আই, উনি বিবাহিত বয়স প্রায় ৪০-৪১ হবে, ওনার স্বামী এই পাহাড়পুরেই একজন কলেজ টিচার, মহুয়া প্রায় ৫ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা, ৭৭ কিলোর মত ওজন হবে, ফর্সা আর খুবই সুন্দরী একটি হস্তিনী মাগী কিন্তু ওনার এই পাহাড়পুরে দাপট ও খুব, যাই হোক মহুয়া রায়ের পরিচয় তো হল এবার জানতে হবে উনি রাঘব কে কেন এত ঘৃণা করেন, তো সেইদিন হিরালালের ফোন পেয়ে মহুয়া প্রচণ্ড রেগে যায়, তিনি শুনেছিলেন যে নতুন এস পি একদম বাচ্ছা ছেলে, রাঘবের সঙ্গে মহুয়ার তখনও আলাপ হয় নি যেহেতু রাঘবের জয়েন করার সময় মহুয়া ছুটিতে ছিলেন, মহুয়া ভাবলেন যে বাচ্ছা ছেলে প্রথম চাকরি পেয়ে উশৃঙ্খল আচরণ করছে, হতে পারে সে এস পি কিন্তু তার পদের একটা মর্যাদা থাকে উচিত, এই সব ভেবে মহুয়া প্রচণ্ড রেগে নিজেই জীপ চালিয়ে সোজা এস পির বাংলোই চলে যান, রাঘব তখন বসে তার দু নম্বর বোতলটিও প্রায় শেষ করে এনেছে আর সে বসে বসে ভাবছে যে তার জীবন টা কিভাবে পাল্টে গেল,এই সময় হটাৎ লাইটের তীব্র আলোয় রাঘবের অন্ধকার বারান্দা আলোয় ভরে গেল, রাঘব আচমকা অতীত থেকে বর্তমানে আছড়ে পড়লো, রাঘব থমথমে মুখে শুধু তাকিয়ে রইল সেই আলোর উৎসর দিকে,যারা রাঘবের এই রুপ চেনে তারা কিন্তু কেউ রাঘব কে ঘাটাতো না ,মহুয়া যে রাঘব সমবন্ধে কিছুই জানত না সে রাঘবের চাউনির তোয়াক্কা না করেই সোজা এসে রাঘবের হাত ধরে টেনে তোলে আর সোজা নিয়ে আসে ঘরের ভেতরে, রাঘব কিছু না বলে শুধু দেখে যায় যে কি হচ্ছে, মহুয়া নিজের পুলিস বাহিনি সম্বন্ধে খুব সচেতন তাই সে হিরালাল কে ছুটি নিয়ে চলে যেতে বলে, হিরালাল যেন মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়, মহুয়া ততক্ষণে রাঘব কে বেডরুমে নিয়ে যায়, আর এই বার মহুয়া সব থেকে বড় ভুল করে বসে,তিনি রাঘব কে যা ইচ্ছা বলে যায়,রাঘব শুধু চুপচাপ তার দিকে তাকিয়ে থাকে,রাঘবের ওই দৃষ্টি তে যে নোংরামিতে ভর্তি তা দেখে মহুয়া এইবার বলে বসে যে; তোর মাকে ন্যাংটো দেখ গা আমাকে না দেখে; মহুয়া রাঘবের সব থেকে স্পর্শকাতর জায়গাটাতে আঘাত করে বসে,এইবার মহুয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাঘব এক চড় মারে, চড়ের চোটে মহুয়া মাথা ঘুরে পড়ে যায়, রাঘব কনোও মায়া দয়া না দেখিয়ে সোজা মহুয়ার গলা টিপে ধরে রক্তজল করা গলায় বলে উঠে ;ঠিক আছে তোকেই ন্যাংটো করে দেখি যে আমি যতটা ভেবেছি তুই কি ততটাই রসাল? এক জন ২৬-২৭ বচ্ছরের ছেলে যে আবার আই পি এস তার মুখ থেকে এই রকম নোংরা কথা শুনে মহুয়া হতবাক হয়ে পড়ে,রাঘবের কিন্তু হাত থেমে নেই সে ততক্ষণে মহুয়ার শাড়ী ধরে টানতে লেগেছে, মহুয়া নিজে একজন পুলিস অফিসার তাই সে নিজের বাঁচবার রাস্তা জানে, কিন্তু মহুয়ার ধারনার বাইরে ছিল যে রাঘব কি,মহুয়া বেশি জোরাজোরি করতে রাঘব আবার তাকে এক চড় মারে আর বলে যে; আমি কোনও শিকার ধরলে ছাড়ি না,যত বেশি ছটফট করবি তত মার খাবি, বলতে বলতে সে মহুয়ার ব্লাউস টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেয়, মহুয়া আবার একটা মরিয়া চেষ্টা করে নিজেকে ছাড়াবার আর বিফল হয়, রাঘব বোঝে যে মহুয়া চট করে হার মানার মেয়ে নয় তার উপর রাঘব প্রায় দুবোতল স্কচ খেয়ে আছে সন্ধ্য থেকে, যতই রাঘবের ক্ষমতা থাকুক মদ ও তার কাজ করবে, রাঘব মহুয়ার শাড়ী টা মেঝে থেকে তুলতে যায় ঠিক তখনই মহুয়া একটু সুযোগ পেয়েই বিছনার পাশের টেবিল থেকে রাঘবের সার্ভিস রিভালবার টা তোলে , রাঘব শাড়ী টা হাতে নিয়ে ঘুরেই দেখে মহুয়া তার দিকে রিভলবার তাক করে দাড়িয়ে আছে কিন্তু মহুয়া পর্যন্ত অবাক হয়ে যায় যখন সে দেখে রাঘবের নজর মহুয়ার হাতের মৃত্যুবানের দিকে নেই সে তখন সায়া আর সাদা ব্রা পড়া দাড়িয়ে থাকা মহুয়ার শরীর টা চোখ দিয়ে গিলছে আর জিভ বার করে নিজের ঠোঁট চাটছে, রাঘবের এমন অবসথায় ও এমন কাম দেখে মহুয়া হতবাক হয়ে যায়। রাঘব মহুয়ার দিকে ধীরে পায়ে এগিয়ে আসে,মহুয়া তার পুলিসি অভিজ্ঞতা থেকে বুঝে যায় যে রাঘব কে রিভলবার দেখিয়ে ভয় খাওয়ানো যাবে না, নিজের ইজ্জৎ বাঁচাবার জন্য মহুয়া ভেবেই নেই যে সে দরকারে রাঘব কে গুলিই করবে, রাঘব মানুষের মন ভালই বোঝে, সে জানে মদ এখন তার ক্ষিপ্রতা কমিয়ে দিয়েছে তাই সে সোজা মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বলে উঠে; কি ম্যাদাম এস পি কে গুলি করবেন?;। কেউটের যেমন মানুষকে সম্মোহন করার ক্ষমতা থাকে তার চোখ দিয়ে, রাঘবের ও তেমনি কথার ক্ষমতা, রাঘব আবার বলে উঠে ;আমি ভুল করেছি, মদের ঘোরে অন্যয় করে ফেলেছি তাই আমি আপনার শাড়ী টা তুলে আনতে গেছিলাম,প্লিস আমি ক্ষমার অযোগ্য তবুও এইবারের মত ক্ষমা করে দিন; বলতে বলতে রাঘব মহুয়ার বন্দুক ধরা হাতের নাগালের মধ্য চলে এল, কেউটেকে কেউ বিশ্বাস করলে যা ফল হয় তাই হল, মহুয়া রাঘবের পরিবর্তন এ একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেছিল, অন্য দিন হলে এই রাঘব আগেই শিকার কে কব্জা করে ফেলতো কিন্তু আজ রাঘব একটু স্লথ তাই এইটুকু নাটকের প্রয়োজন ছিল, মহুয়ার অন্যমনস্ক ভাবটা তার পেটে একটি লাথিতেই কেটে গেল, রাঘবের মারের চোটে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।
মুখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটায় মহুয়ার জ্ঞ্যান ফিরে এল, সে নিজেকে হাত পা বাঁধা অবসথায় পেল, চোখ খুলে সে যেন মূর্তিমান শয়তান কে দেখল তার সামনে রাঘবের রুপে, রাঘবের হাতে একটি ক্যামেরা আর সে মুচকি হাসছে, হাসির কারণটা দেখে মহুয়ার মনে হচ্ছিল সে মরে কেন যায়নি, মহুয়া সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবসথায় ছিল আর শয়তানটার হাতের ক্যামেরা আর মুখের মুচকি হাসিই যথেষ্ট মহুয়ার পক্ষে বোঝার জন্য যে সে এইবার অসহায় আর রাঘবের হাতেই এইবার খেলার রাশ।
মুখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটায় মহুয়ার জ্ঞ্যান ফিরে এল, সে নিজেকে হাত পা বাঁধা অবসথায় পেল, চোখ খুলে সে যেন মূর্তিমান শয়তান কে দেখল তার সামনে রাঘবের রুপে, রাঘবের হাতে একটি ক্যামেরা আর সে মুচকি হাসছে, হাসির কারণটা দেখে মহুয়ার মনে হচ্ছিল সে মরে কেন যায়নি, মহুয়া সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবসথায় ছিল আর শয়তানটার হাতের ক্যামেরা আর মুখের মুচকি হাসিই যথেষ্ট মহুয়ার পক্ষে বোঝার জন্য যে সে এইবার অসহায় আর রাঘবের হাতেই এইবার খেলার রাশ।