27-03-2022, 01:44 PM
২৪. এটা কি হলো?
পল্টু যা দেখলো..... তা কি ঠিক? আজও এর উত্তর পায়নি সে। শুক্রবার রেতে বৌকে বাপের বাড়ি রেখে আসার পথে ধৰ্মঘটের কল্যানে বাড়ির দিকে আসতে বেশ রাত হয়ে যায়। কি আর করা লম্বা রাস্তা না ধরে শর্টকাটকে আপন করেই এগোতে থাকে পল্টু ওরফে পটল। বেশ রাত আর তারওপর চারিদিক জঙ্গলে ঘেরা। পল্টুর হটাৎ ছোট বাইরে পেয়ে গেলো। সে ভেবেছিলো বাড়ি গিয়েই হালকা হবে কারণ এমন হুটহাট করে বাইরে ইয়ে করা নাকি উচিত নয়। কিন্তু যতই এগোয় ততই নিচ থেকে কেউ বলে আর এগোসনারে...... ফাইট্টা বেড়ায় আইমু কিন্তু। কি আর করার...... একটা ঝোপ মতো দেখে প্যান্টের চেন নামায় পটল বাবু। কলকলিয়ে বেরিয়ে আসে উত্তপ্ত তরল। আহ্হ্হঃ কি শান্তি। এর থেকে শান্তির জিনিস আর কি হয়?
এমন সময় কোথা থেকে মেয়ে মানুষের গোঙানী শুনতে পায় পল্টু। এই গোঙানী যে ব্যাথার নয় সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়না তার কারণ এমন গোঙানী বহু শুনেছে নিজের বৌয়ের মুখে। ওই আবার কে গোঙ্গাচ্ছে। সে ভেবেছিলো ওসবে কান না দিয়ে চলে যাবে কিন্তু পুরুষ মানুষ আবার এসব শুনলে নিজেকে আটকাতে পারেনা। পটল বাবুও পারলোনা। সে আওয়াজ অনুসরণ করে এগিয়ে গেলো সামনে। কিছুদূর এগোতেই একটা পোড়ো বাড়ি মতো দেখতে পেলো সে। এই বাড়ি থেকেই আওয়াজ আসছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে এগিয়ে গেলো সামনে। যেন দেখতেই হবে কি আছে সামনে।
এগিয়ে গিয়ে জানলায় উঁকি দিতেই চমকে উঠলো পটল বাবু। দুটো মেয়ে মানুষ দেখে বোঝাই যাচ্ছে সমাজের নিম্ন অংশের থেকে উঠে আসা কিন্তু মুখ গুলো বেশ সুন্দর..... তারা দুটিতে মিলে জড়িয়ে নড়াচড়া করছে। পরনে কোনো কাপড় নেই। তাদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসছে ওই গোঙানী।
এদিকে এসব দেখে পটল বাবুর বেগুন তো কলা হয়ে গেছে। হবারই কথা.... না হলেই বরং আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল। নিজের ইয়ে নাড়তে নাড়তে পটল ভেতরের কেচ্ছা দেখছে। উফফফফ কি ডাসা পেয়ারা চারটে আহা না জানি কত স্বাদ হবে ওগুলোর আর ওই পেছনের তরমুজ গুলো আহা উফফফ মুখ জল চলে আসছে মাইরি!
এদিকে কিকরে যেন ওই দুটো মাইয়া বুঝে গেছে বাইরে কোনো পথিক তাদের এইরূপে দেখে ফেলেছে. তারা দুটোই মুচকি হেসে কামুক স্বরে বলে ওঠে - ওহে.... বাইরে কেন? ভেতরে এসো... আমাদের কাছে.. একটু গল্প করে যাও। দুটি মেয়েমানুষে গল্প করে মজা নেই... একখান মদ্দা থাকলে ভালো লাগতো।
পল্টু ভাবলো কেটে পড়বে কিন্তু নিচের এন্টেনা যে বার বার ঘরের দিকেই সিগন্যাল পাচ্ছে অন্যদিকে যেতেই চাইছেনা। কি আর করার... ছোট ভাইয়ের কথা কি আর দাদা ফেলতে পারে? ঢুকলো সে ঘরে সাহস করে। ছিল দুই হলো তিন। এবারে তিনটে গোঙানীর আওয়াজ আসতে লাগলো যার মধ্যে একটা পুরুষের।
জীবনের শ্রেষ্ট আনন্দ উপভোগ শেষে যখন পটল বাবু নিজের নেতানো লঙ্কা প্যান্টে ঢোকাতে ঢোকাতে দুটো মেয়েকে বললো - ওঃহহহ আজ যা মজা দিলি না তোরা... বউটাও পারেনি বাপের জন্মে কোনোদিন আহ্হ্হঃ... কি নাম তোদের রে?
আমি রুমকি... আর আমি সান্তা হিহিহি এই বলেই দুজনে যেন পটলের সামনেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। পটল ওই অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে সামনে তাকিয়ে ছিল.... মূর্তি হয়ে। পটলের লেবুর শেষ রস টুকু লঙ্কা দিয়ে টস করে বেরিয়ে যেইনা মাটিতে পড়লো... পটলও অমনি সটান মাটিতে ধপাস।
এখন পটল এর স্ত্রী বাজার থেকে ফল সবজি কিনে নিয়ে আসে পটল কেনার সাহসই পায়না। বৌ বহুবার জিজ্ঞেস করেছিল... কোনো উত্তর পায়নি।
#বাবান