26-03-2022, 11:34 AM
সৈকত উঠে দাঁড়িয়ে বলে " আমার বন্ধু উকিল আমার সাক্ষী কে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে কেসের দিক পাল্টে ফেলবার চেষ্টা করছেন ধর্মাবতার । ওনাকে কেস সংক্রান্ত প্রশ্ন অনুরোধ করা হোক । "
জজ শান্ত হয়ে বললেন আরতি দেবী কে তার প্রশ্ন করতে দিন সৈকত বাবু ।
আরতি মৈত্র: ধর্মাবতার ঘটনার পরের দিন আমাদের আগের কমিশনার কারাত সাহেব সরলা দেবী কে জিজ্ঞাসা বাদ করেন । পূজা সিং কনস্টেবল এর সামনে সরলা কে জেরা করার সময় সরলা স্বীকার করে যে হুল্লা শ্যামল বিসি কে কিনে নিয়েছে আর বেচে দিয়েছে সরলা কে 1 লক্ষ টাকার বিনিময়ে । আর ইন্টারোগেশন এর সময় বেকায়দায় লাঠির ঘায়ে সরল মুখে ক্ষত সৃষ্টি হয় ।
জজ: অপরাধী প্রমান না হওয়া পর্যন্ত , অপরাধী কে মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার করা আইনের চোখে অপরাধ । যদি পুলিশ তা করে থাকে তাহলে তার বিরুধ্যে আইন গত ভাবে শাস্তি নিতে হবে পুলিশ কেও । নাকি সাহেব আপনি কি পূজা দেবী কে করতে পথিক করতে পারেন ।
সৈকত বাবু উঠে দাঁড়িয়ে অনুমতি চান । পূজা দেবী হাজির ।
আরতি : আচ্ছা পূজা দেবী কারাত সাহেব আপনাকে সরলার উপর প্রস্টিটিউশান এর কেস ফাইল করতে বলেছিলেন ঘটনার পরের দিন , সেই কেস ফাইল তা কোথায় বলতে পারেন ?
পূজা দেবী : এমন ঘটনা ম্যাডাম আমার মনে পড়ছে না !
ওহ মাই গড, টি ওহলে সিস্টেম ইশ সোল্ড আউট , পূজা আপনি মেয়ে , ওই নীরব তাকিয়ে মেয়েটাও আপনারই মতো একটা মেয়ে, সে ইশ ইন্নোসেন্ট প্লিজ হেল্প মি!
জজ সাহেব: আরতি দেবী কোনো সাক্ষ্য কে আপনি প্রভাবিত করতে পারেন না ।
হতোদ্যম হয়ে বসে পড়ে চেয়ারে আরতি দেবী । তাকায় নাকি সাহেবের দিকে । নাকি সাহেব মুচকি হাসেন আরতির দিকে চেয়ে ।
মনের শক্তি নিয়ে উঠে পড়েন আরতি দেবী সরলার দিকে ।
আরতি দেবী: আচ্ছা সরলা দেবী আপনি তো ঘর পরিষ্কার করেন , বাসন মাজেন , আর মেয়েদের রান্না করেন , কিন্তু 5 বছর আগে প্রতিমা হত্যা কান্ডেও আপনার নাম জড়িয়েছিল , আর শ্যামল তাকে খুন করে । যদিও কেস এখনো চলছে দোষী প্রমান হয় নি । তখন আপনি আদালতে এসেছিলেন মনে পড়ে ?
সৈকত উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচাতে থাকে " ধর্মাবতার এই কেসের মুখ্য উদ্যেশ্য আমাদের প্রমান করা কবিতা রিয়াজ কে খুন করেছেন । এই কেসের সাথে প্রতিমা হত্যাকাণ্ডের কোনো যোগ নেই । জজ সাহেব সৈকতের দিকে তাকিয়ে বলে " আপনাকে যখন প্রসিকিউটের সুযোগ দেয়া হবে আপনি আপনার বক্তব্য রাখবেন । আরতি দেবী কে জেরা করতে দিন মিস্টার সৈকত ।
মাই লর্ড , প্রতিমা হত্যাকান্ড এর সাথে জোড়া খুনের কোনো যোগ নেই আমি মানছি , কিন্তু পয়েন্ট মাস্ট বি নোটেড মাই লর্ড সে চরিত্রের দুটি আসামি চরিত্র এই জোড়া খুনের সাক্ষী । আমার বন্ধু এখুনি বললেন এই কেসে মুখ্য উদ্যেশ্য প্রমান করা কবিতা রিয়াজ বাবু কে খুন করেছেন । আমি তাকে সংসদন করে বলতে চাই আমার বন্ধু একটা ভুল করেছেন । এই কেসে মুখ্য উদ্যেশ্য কবিতা ওরফে বিশাখা রিয়াজ বাবু কে খুন করেছেন না করেন নি । সে বিচারের ডে ভার আদালতের । তাই কোনো ভাবেই আমার মক্কেল কে দোষী সাব্যস্ত না করে তাকে খুনি বলা আদালতের চোখে অপরাধ ।
একটা শান্ত নিস্তব্ধতা গ্রাস করলো আদালত কে । ঘড়ির কাটা 3 টায় ছুঁই ছুঁই ।
আরতি দেবী : আপনি তো বললেন , আপনি বিসি কে চেনেন না, কিন্তু রিয়াজ সাহেবের মতো গণ্য মান্য ব্যক্তি কে আপনি চিনলেন কি করে । তিনি বা শ্যামলের এখনকার সাক্ষ্য অনুযায়ী আপনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন কেন কবিতা কে তার কাছে পৌঁছে দিতে ?
সরলা: বাবু সমাজ কল্লেন করেন , সেই সুবাদে বাবু কে চিনি , বিপদে আপদে সাহায্য করেন ।
আরতি খানিকটা থেমে গেলো । তার জিজ্ঞাসাবাদ প্রমান করবে না , বিসি নির্দোষ ।
খানিক ভেবে সরলা কে প্রশ্ন করলেন
আরতি দেবী: মনে করে দেখুন তো সেদিন শ্যাল গাড়িতে আরো একটি মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো রিয়াজ সাহেবের মতি মহলে
সরলা সাথে সাথে মাথা নাড়িয়ে বলে : তা আমি জানি না
আরতি দেবী বুদ্ধি করে বলেন : দ্বিতীয় মেয়েটিকে কে আমি কাঠ গোড়ায় দাঁড় করবো এর পর ,সরলা দেবী ভেবে বলুন ।
সৈকত ঘাবড়ে আদালতের চার দিক দেখতে থাকে ।
সরলা ঘাবড়ে গিয়ে বলে : হুজুর এসবের আমি কিছুই জানি না , শ্যামল তাকে কে নিয়ে গিয়ে থাকবে ।
আরতি দেবী: আপনি তাহলে বলছেন আপনি জানেন যে শ্যামলই দ্বিতীয় ব্যক্তি কে রিয়াজ বাবুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে ।
ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায় সৈকতের শিরদাঁড়ায় ।
পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই লর্ড , শ্যামল তার সাক্ষিতে সে কথার কোনো উল্যেখ করে নি ।
জজ শান্ত হয়ে বললেন আরতি দেবী কে তার প্রশ্ন করতে দিন সৈকত বাবু ।
আরতি মৈত্র: ধর্মাবতার ঘটনার পরের দিন আমাদের আগের কমিশনার কারাত সাহেব সরলা দেবী কে জিজ্ঞাসা বাদ করেন । পূজা সিং কনস্টেবল এর সামনে সরলা কে জেরা করার সময় সরলা স্বীকার করে যে হুল্লা শ্যামল বিসি কে কিনে নিয়েছে আর বেচে দিয়েছে সরলা কে 1 লক্ষ টাকার বিনিময়ে । আর ইন্টারোগেশন এর সময় বেকায়দায় লাঠির ঘায়ে সরল মুখে ক্ষত সৃষ্টি হয় ।
জজ: অপরাধী প্রমান না হওয়া পর্যন্ত , অপরাধী কে মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার করা আইনের চোখে অপরাধ । যদি পুলিশ তা করে থাকে তাহলে তার বিরুধ্যে আইন গত ভাবে শাস্তি নিতে হবে পুলিশ কেও । নাকি সাহেব আপনি কি পূজা দেবী কে করতে পথিক করতে পারেন ।
সৈকত বাবু উঠে দাঁড়িয়ে অনুমতি চান । পূজা দেবী হাজির ।
আরতি : আচ্ছা পূজা দেবী কারাত সাহেব আপনাকে সরলার উপর প্রস্টিটিউশান এর কেস ফাইল করতে বলেছিলেন ঘটনার পরের দিন , সেই কেস ফাইল তা কোথায় বলতে পারেন ?
পূজা দেবী : এমন ঘটনা ম্যাডাম আমার মনে পড়ছে না !
ওহ মাই গড, টি ওহলে সিস্টেম ইশ সোল্ড আউট , পূজা আপনি মেয়ে , ওই নীরব তাকিয়ে মেয়েটাও আপনারই মতো একটা মেয়ে, সে ইশ ইন্নোসেন্ট প্লিজ হেল্প মি!
জজ সাহেব: আরতি দেবী কোনো সাক্ষ্য কে আপনি প্রভাবিত করতে পারেন না ।
হতোদ্যম হয়ে বসে পড়ে চেয়ারে আরতি দেবী । তাকায় নাকি সাহেবের দিকে । নাকি সাহেব মুচকি হাসেন আরতির দিকে চেয়ে ।
মনের শক্তি নিয়ে উঠে পড়েন আরতি দেবী সরলার দিকে ।
আরতি দেবী: আচ্ছা সরলা দেবী আপনি তো ঘর পরিষ্কার করেন , বাসন মাজেন , আর মেয়েদের রান্না করেন , কিন্তু 5 বছর আগে প্রতিমা হত্যা কান্ডেও আপনার নাম জড়িয়েছিল , আর শ্যামল তাকে খুন করে । যদিও কেস এখনো চলছে দোষী প্রমান হয় নি । তখন আপনি আদালতে এসেছিলেন মনে পড়ে ?
সৈকত উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচাতে থাকে " ধর্মাবতার এই কেসের মুখ্য উদ্যেশ্য আমাদের প্রমান করা কবিতা রিয়াজ কে খুন করেছেন । এই কেসের সাথে প্রতিমা হত্যাকাণ্ডের কোনো যোগ নেই । জজ সাহেব সৈকতের দিকে তাকিয়ে বলে " আপনাকে যখন প্রসিকিউটের সুযোগ দেয়া হবে আপনি আপনার বক্তব্য রাখবেন । আরতি দেবী কে জেরা করতে দিন মিস্টার সৈকত ।
মাই লর্ড , প্রতিমা হত্যাকান্ড এর সাথে জোড়া খুনের কোনো যোগ নেই আমি মানছি , কিন্তু পয়েন্ট মাস্ট বি নোটেড মাই লর্ড সে চরিত্রের দুটি আসামি চরিত্র এই জোড়া খুনের সাক্ষী । আমার বন্ধু এখুনি বললেন এই কেসে মুখ্য উদ্যেশ্য প্রমান করা কবিতা রিয়াজ বাবু কে খুন করেছেন । আমি তাকে সংসদন করে বলতে চাই আমার বন্ধু একটা ভুল করেছেন । এই কেসে মুখ্য উদ্যেশ্য কবিতা ওরফে বিশাখা রিয়াজ বাবু কে খুন করেছেন না করেন নি । সে বিচারের ডে ভার আদালতের । তাই কোনো ভাবেই আমার মক্কেল কে দোষী সাব্যস্ত না করে তাকে খুনি বলা আদালতের চোখে অপরাধ ।
একটা শান্ত নিস্তব্ধতা গ্রাস করলো আদালত কে । ঘড়ির কাটা 3 টায় ছুঁই ছুঁই ।
আরতি দেবী : আপনি তো বললেন , আপনি বিসি কে চেনেন না, কিন্তু রিয়াজ সাহেবের মতো গণ্য মান্য ব্যক্তি কে আপনি চিনলেন কি করে । তিনি বা শ্যামলের এখনকার সাক্ষ্য অনুযায়ী আপনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন কেন কবিতা কে তার কাছে পৌঁছে দিতে ?
সরলা: বাবু সমাজ কল্লেন করেন , সেই সুবাদে বাবু কে চিনি , বিপদে আপদে সাহায্য করেন ।
আরতি খানিকটা থেমে গেলো । তার জিজ্ঞাসাবাদ প্রমান করবে না , বিসি নির্দোষ ।
খানিক ভেবে সরলা কে প্রশ্ন করলেন
আরতি দেবী: মনে করে দেখুন তো সেদিন শ্যাল গাড়িতে আরো একটি মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো রিয়াজ সাহেবের মতি মহলে
সরলা সাথে সাথে মাথা নাড়িয়ে বলে : তা আমি জানি না
আরতি দেবী বুদ্ধি করে বলেন : দ্বিতীয় মেয়েটিকে কে আমি কাঠ গোড়ায় দাঁড় করবো এর পর ,সরলা দেবী ভেবে বলুন ।
সৈকত ঘাবড়ে আদালতের চার দিক দেখতে থাকে ।
সরলা ঘাবড়ে গিয়ে বলে : হুজুর এসবের আমি কিছুই জানি না , শ্যামল তাকে কে নিয়ে গিয়ে থাকবে ।
আরতি দেবী: আপনি তাহলে বলছেন আপনি জানেন যে শ্যামলই দ্বিতীয় ব্যক্তি কে রিয়াজ বাবুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে ।
ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায় সৈকতের শিরদাঁড়ায় ।
পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই লর্ড , শ্যামল তার সাক্ষিতে সে কথার কোনো উল্যেখ করে নি ।