25-03-2022, 09:38 AM
সৈকত : আচ্ছা বেনু দেবী , ঐযে মেয়েটি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে ওকে চেনেন ?
বেনু: চিনি
সৈকত : কত দিন ?
বেনু: 3 দিন উনি দূর্গা বাড়িতে ছিলেন, আমার ঘরে
সৈকত : ওনাকে আপনার কেমন মনে হয়েছে ?
বেনু: আমরা দূর্গা বাড়িতে থাকি , আমাদের কোথাও যাবার নেই বলে আমরা বেশ্যা ।উনি বললেন ওনার কোনো জায়গা নেই তাই খদ্দেরের কাছে খাটবে অনেক পয়সা চাই তার । উনি আমায় বলেছিলেন " উনি বিশেষ কোনো কাজ করতেই দূর্গা বাড়িতে এসেছেন , কিন্তু কি কাজ তা তিনি বলেন নি । প্রথম দু দিন এমনি খদ্দেরের কাছে খেটেছেন । ব্যবহার ওনার ভালো ছিল না , কিট মিট করে ঝগড়া করতেন । খদ্দের এর সাথে ঝগড়া করেছেন । কিছু বলতে গেলে ভয় দেখাতেন ওনার কথার নড়চড় করলে উনি জানে মেরে দেবেন ।
ফুঁপিয়ে উঠলো বিসি । বেনুর দিকে তাকিয়ে বললো " এতো বড়ো মিথ্যে কথা বলতে পারলি বেনু?
বেনু ঘুরেও তাকালো না বিসির দিকে ।
দ্যাটস অল মাই লর্ড । আমার সাক্ষী র বয়ানে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করেছেন অপরাধীর স্বভাব সাধারণ ছিল না এর আগেও অপরাধী জানে মারার হুমকি দিয়েছে !
আর সরলা গরিব সাদা সিধে বলে তাকে অপরাধী কৌশলে তার অপরাধে টেনে নিয়ে ধরা পড়বার ভয়ে নিজেকে নিপীড়িতা প্রমান করার চেষ্টা করে সুকৌশলে তার অপরাধ ঢাকবার চেষ্টা করছে । আমার বন্ধু উকিল যে মন গড়া বানানো থ্রিলার আমাদের উপহার দিলেন তার কোনো তাৎ পর্যই নেই । আবার বলছি মাই লর্ড এটা ঠান্ডা মাথার পয়সার প্রলোভনে খুন আর এই খুনের সাথে জড়িয়ে আছে ম্যাও বাদী স্বার্থ ! যেখানে ম্যাও বাদী সংঘঠনের জন্য দ্বিতীয় খুনি অর্থ সংগ্রহ করার জন্য বিত্ত বান আমার দুই প্রয়াত মক্কেল কে বেছে নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন । তথ্য প্রমানের জন্য পেশাদারি খুনির মতো তাঁরা সব প্রমান লোপাটের জন্য যাবতীয় কার্য কলাপ করেছে , এমন কি তাঁরা সিসিটিভি এর অবস্থান জানতো , তাই CCTV তে দ্বিতীয় ব্যক্তির কোনো ছবি আমরা পাই নি । জজ সাহেবের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আমাদের উপযুক্ত সময় দেওয়া হোক যাতে আমরা দ্বিতীয় ব্যক্তি কে আদালতে ধরে এনে আমার এই সত্যের পূর্ণ প্রতিষ্টা করতে পারি।
টাইম ইশ গ্র্যান্টেড !
আরতি দেবী দীর্ঘ নিঃস্বাস নিলেন । নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন অনেক আগেই । প্রশ্ন সরলা কে করতে হবে বেনু কে নয় । কারণ তাকে জেরা করে যদি কোনো কিছু বেফাঁস বেরিয়ে যায় তবে বিসি কে বাঁচাতে তার সুবিধা হবে । মদন কে পাওয়া গেলে আরতি দেবীর কেস তা লড়তে খুব সুবিধা হতো । এখন প্রতিপক্ষ চাইবে যে ভাবেই হোক মদন কে পৃথিবী থেকেই হয়তো সরিয়ে দিতে ।
আরতি দেবী: আপনার নাম কি ?
সরলা : আজ্ঞে সরলা , সরলা ভয়ে ভয়ে জবাব দেয় ।
আরতি দেবী: ওই মেয়েটির কি নাম সরলা দেবী
সরলা : আজ্ঞে কবিতা
আরতি দেবী: আপনি পাক্কা জানেন যে ওর নাম কবিতা ?
সরলা ঘাবড়ে গিয়ে বলে : হ্যাঁ ওই তো নাম বললো !
আরতি দেবী: আমি যদি বলি নতুন মেয়েরা দূর্গা বাড়ি গেলে আপনি একটা করে নাম রাখেন মনে রাখার জন্য আর কবিতা নামটা আপনি দিয়েছেন ওকে ।
ধর্মাবতার আপনাকে অবগত করি যে আমার প্ৰতিপক্ষের উকিল কখনো জানবার চেষ্টাই করেন নি যে কাঠ গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কবিতা ওরফে বিশাখা দেবী পিত সুবলের কন্যা , তার বাবার সামর্থ ছিল না মেয়ের পেট ভরান । হরিদেব পুর বকুলতলা গ্রামের একচিলতে ছোট্ট ভিটে মাটি ভুলু মহাজন কেড়ে নেয় ধার দেওয়া টাকার বিনিময়ে । তার সব তথ্য প্রমান আমি পেশ করেছি ধর্মাবতার । নিদারুন খিদের জ্বালায় শহরে কাজ দেওয়ার লোভে মদন নামক তারই গ্রামের এক ভাই কে বিশ্বাস করে শহরে আসে । মদন যে সে গ্রামে থাকতো তার প্রমাণ আমি পঞ্চায়েতের কাছ থেকে সাক্ষর সমেত জমা করেছি । মদন বিসি ওরফে বিশাখা ওরফে কবিতা কে হুল্লা শ্যামলের হাতে তুলে দেয় । তাই ধর্মাবতার মদন কে আদালতে পেশ করার জন্য পুলিশ কে নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানাই ।
হাততালি তে ফেটে পড়ে আদালতের দরজা জানলা । সৈকত বাবু বিরক্ত হয়ে টেবিল ঠুকতে থাকেন । চেঁচিয়ে বলতে যান জজ সাহেব কে , কিন্তু জজ সাহেব তাকে বসতে বলেন ইশারায় ।
আরতি দেবী: আপনার মুখের কাটা দাগ আর ঘা টা কিসের সরলা দেবী?
সরলা : থতো মতো খেয়ে নাকি সাহেবের দিকে তাকায় সরলা ।
আরতি: জবাব দিন এদিক ওদিক দেখবার কোনো দরকার নেই সরলা দেবী ।
বেনু: চিনি
সৈকত : কত দিন ?
বেনু: 3 দিন উনি দূর্গা বাড়িতে ছিলেন, আমার ঘরে
সৈকত : ওনাকে আপনার কেমন মনে হয়েছে ?
বেনু: আমরা দূর্গা বাড়িতে থাকি , আমাদের কোথাও যাবার নেই বলে আমরা বেশ্যা ।উনি বললেন ওনার কোনো জায়গা নেই তাই খদ্দেরের কাছে খাটবে অনেক পয়সা চাই তার । উনি আমায় বলেছিলেন " উনি বিশেষ কোনো কাজ করতেই দূর্গা বাড়িতে এসেছেন , কিন্তু কি কাজ তা তিনি বলেন নি । প্রথম দু দিন এমনি খদ্দেরের কাছে খেটেছেন । ব্যবহার ওনার ভালো ছিল না , কিট মিট করে ঝগড়া করতেন । খদ্দের এর সাথে ঝগড়া করেছেন । কিছু বলতে গেলে ভয় দেখাতেন ওনার কথার নড়চড় করলে উনি জানে মেরে দেবেন ।
ফুঁপিয়ে উঠলো বিসি । বেনুর দিকে তাকিয়ে বললো " এতো বড়ো মিথ্যে কথা বলতে পারলি বেনু?
বেনু ঘুরেও তাকালো না বিসির দিকে ।
দ্যাটস অল মাই লর্ড । আমার সাক্ষী র বয়ানে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করেছেন অপরাধীর স্বভাব সাধারণ ছিল না এর আগেও অপরাধী জানে মারার হুমকি দিয়েছে !
আর সরলা গরিব সাদা সিধে বলে তাকে অপরাধী কৌশলে তার অপরাধে টেনে নিয়ে ধরা পড়বার ভয়ে নিজেকে নিপীড়িতা প্রমান করার চেষ্টা করে সুকৌশলে তার অপরাধ ঢাকবার চেষ্টা করছে । আমার বন্ধু উকিল যে মন গড়া বানানো থ্রিলার আমাদের উপহার দিলেন তার কোনো তাৎ পর্যই নেই । আবার বলছি মাই লর্ড এটা ঠান্ডা মাথার পয়সার প্রলোভনে খুন আর এই খুনের সাথে জড়িয়ে আছে ম্যাও বাদী স্বার্থ ! যেখানে ম্যাও বাদী সংঘঠনের জন্য দ্বিতীয় খুনি অর্থ সংগ্রহ করার জন্য বিত্ত বান আমার দুই প্রয়াত মক্কেল কে বেছে নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন । তথ্য প্রমানের জন্য পেশাদারি খুনির মতো তাঁরা সব প্রমান লোপাটের জন্য যাবতীয় কার্য কলাপ করেছে , এমন কি তাঁরা সিসিটিভি এর অবস্থান জানতো , তাই CCTV তে দ্বিতীয় ব্যক্তির কোনো ছবি আমরা পাই নি । জজ সাহেবের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আমাদের উপযুক্ত সময় দেওয়া হোক যাতে আমরা দ্বিতীয় ব্যক্তি কে আদালতে ধরে এনে আমার এই সত্যের পূর্ণ প্রতিষ্টা করতে পারি।
টাইম ইশ গ্র্যান্টেড !
আরতি দেবী দীর্ঘ নিঃস্বাস নিলেন । নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন অনেক আগেই । প্রশ্ন সরলা কে করতে হবে বেনু কে নয় । কারণ তাকে জেরা করে যদি কোনো কিছু বেফাঁস বেরিয়ে যায় তবে বিসি কে বাঁচাতে তার সুবিধা হবে । মদন কে পাওয়া গেলে আরতি দেবীর কেস তা লড়তে খুব সুবিধা হতো । এখন প্রতিপক্ষ চাইবে যে ভাবেই হোক মদন কে পৃথিবী থেকেই হয়তো সরিয়ে দিতে ।
আরতি দেবী: আপনার নাম কি ?
সরলা : আজ্ঞে সরলা , সরলা ভয়ে ভয়ে জবাব দেয় ।
আরতি দেবী: ওই মেয়েটির কি নাম সরলা দেবী
সরলা : আজ্ঞে কবিতা
আরতি দেবী: আপনি পাক্কা জানেন যে ওর নাম কবিতা ?
সরলা ঘাবড়ে গিয়ে বলে : হ্যাঁ ওই তো নাম বললো !
আরতি দেবী: আমি যদি বলি নতুন মেয়েরা দূর্গা বাড়ি গেলে আপনি একটা করে নাম রাখেন মনে রাখার জন্য আর কবিতা নামটা আপনি দিয়েছেন ওকে ।
ধর্মাবতার আপনাকে অবগত করি যে আমার প্ৰতিপক্ষের উকিল কখনো জানবার চেষ্টাই করেন নি যে কাঠ গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কবিতা ওরফে বিশাখা দেবী পিত সুবলের কন্যা , তার বাবার সামর্থ ছিল না মেয়ের পেট ভরান । হরিদেব পুর বকুলতলা গ্রামের একচিলতে ছোট্ট ভিটে মাটি ভুলু মহাজন কেড়ে নেয় ধার দেওয়া টাকার বিনিময়ে । তার সব তথ্য প্রমান আমি পেশ করেছি ধর্মাবতার । নিদারুন খিদের জ্বালায় শহরে কাজ দেওয়ার লোভে মদন নামক তারই গ্রামের এক ভাই কে বিশ্বাস করে শহরে আসে । মদন যে সে গ্রামে থাকতো তার প্রমাণ আমি পঞ্চায়েতের কাছ থেকে সাক্ষর সমেত জমা করেছি । মদন বিসি ওরফে বিশাখা ওরফে কবিতা কে হুল্লা শ্যামলের হাতে তুলে দেয় । তাই ধর্মাবতার মদন কে আদালতে পেশ করার জন্য পুলিশ কে নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানাই ।
হাততালি তে ফেটে পড়ে আদালতের দরজা জানলা । সৈকত বাবু বিরক্ত হয়ে টেবিল ঠুকতে থাকেন । চেঁচিয়ে বলতে যান জজ সাহেব কে , কিন্তু জজ সাহেব তাকে বসতে বলেন ইশারায় ।
আরতি দেবী: আপনার মুখের কাটা দাগ আর ঘা টা কিসের সরলা দেবী?
সরলা : থতো মতো খেয়ে নাকি সাহেবের দিকে তাকায় সরলা ।
আরতি: জবাব দিন এদিক ওদিক দেখবার কোনো দরকার নেই সরলা দেবী ।