24-03-2022, 05:48 PM
বিসির কাঠ গোড়ায় দাঁড়িয়ে খুব মজা লাগে । কান্না পায় মানুষ প্রয়োজনের স্বার্থে কত গল্প বানায় । গরিব দের ভগবান হয় না . বেশি টাকা খরচ করে ভগবান কে পুজো দিতে পারে না বলে । কৃতজ্ঞতায় ভোরে যায় আরতি কে দেখে । সেও মেয়ে , এতো খেটে কিছুই পাবে না পারিশ্রমিক । যাদের বিরুধ্যে তার লড়াই তাড়া যে সংখ্যায় অনেক ।
জজ সাহেব শুধু বলেন " টাইম গ্র্যান্টেড !" আরতি মৈত্র জজ সাহেব কে অনুরোধ করেন কবিতা কে কিছু জেরা করতে ।
এর পর সৈকত উঠে দাঁড়িয়ে বলে " ধর্মাবতার আমার বন্ধু উকিল মিসেস আরতি মৈত্রের কবিতা কে জেরা করার আগে আসল শত মিথ্যা আদালতে পেশ করতে চাই । তার জন্য আমার দ্বিতীয় সাক্ষী সরলা কে আমি আদালতে হাজির করতে চাই !"
গ্র্যান্টেড জজ অনুমতি দেয় । সরলা হাজির ! গীতায় হাত রেখে বলো ' যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না'
সরলা মাথা নিচু করে বলে " যা বলবু সত্যি কতা বলবু মিথ্যে বুলবুনি !"
সৈকত : সরলা দেবী আপনি কি করেন ?
সরলা: বাবু দূর্গা বাড়ির মেয়েদের জন্য রান্না করে দি , বাসন মাজি, ঘর পরিষ্কার করি ।
সৈকত: তাহলে আপনি বলতে চান বেশ্যা বৃত্তির সাথে আপনি যুক্ত নন ।
সরলা : দুগ্গা বাড়ির কতা সব লোকে জানে , মিথ্যে বলবু নি , মেয়েরা এখানে খাটতে আসে , কে কি করে তার খবর রাখি না !
সৈকত : আপনি কাঠ গোড়ায় যে দাঁড়িয়ে আছে তাকে চেনেন ?
সরলা : চিনি বৈকি, এক নম্বরের দজ্জাল , বদ মেয়ে , আমার কাছে এসে বলে আমার থাকার জায়গা নি ! আমায় থাকতে দাও ! আমি অন্য মেয়েদের জিজ্ঞাসা করি ওকে কেউ থাকতে দেবে কিনা , সবাই মিলে ওকে ঘরে থাকতে দেয় । আর তার পর নিজে নিজে খাটতে যায় খদ্দের-এর কাছে ।
শ্যামল এক দিন বলে বড়ো কত্তা বাবু মেয়েটাকে নিজের বাড়িতে ঝি এর কাজ দিয়ে স্যাজ্য করবেন ! আমি পাঠিয়ে দি বড়ো কত্তার কাছে। এর বেশি কিছু জানি না !
সৈকত সাথে সাথে বলে ধর্মাবতার আমার বন্ধু উকিল শ্রী মতি আরতি দেবী সরলা কে তার প্রশ্ন করার আগে ,সরলা সত্যি না মিথ্যে বলছে তার জন্য আমি দূর্গা বাড়ির একটা মেয়েকে আপনার সামনে সাক্ষী হিসাবে পেশ করতে চাই , আমায় অনুমতি দেওয়া হোক ।
বেনু দেবী হাজির : বেনু দেবী হাজির ! গীতায় হাত রেখে বলো ' যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না' গীতায় হাত রেখে বলো ' যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না' বেনু বিড় বিড় করে । বেনু কে দেখে ডুগ্রে ওঠে বিসি । কি চেহারা হয়েছে বেনুর । মুখের লালিত্য চলে গেছে , খেতে দেওয়া হয় নি হয়তো অনেক দিন , শুকিয়ে কঙ্কাল সার হয়ে গেছে বেনু । বাড়ে গেছে মিষ্টি মুখটা , চোয়াল ঢুকে গেছে গালে । আরতি দেবী জানেন না এদের সরকার পক্ষ থেকে মিথ্যে সাক্ষী হিসাবে সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ।
সৈকত : জোড়া খুনের ঘটনার দিন পর্যন্ত আপনি দূর্গা বাড়িতে ছিলেন , তাই তো !"
বেনু : মাথা নারে
সৈকত: কত দিন আপনি দূর্গা বাড়িতে আছেন !
বেনু: বছর দু তিন হবে , ঠিক বলতে পারবো না
সৈকত: আপনি দূর্গা বাড়িতে নিজের ইচ্ছায় এসেছেন ? আপনার বয়স তো খুব কম সবে 21 এ পা দিয়েছেন ।
বেনু: হ্যাঁ নিজের ইচ্ছায়
সৈকত: সরলা দেবী কে চেনেন ? কি করেন উনি ।
বেনু: আমরা যারা দূর্গা বাড়িতে থাকি তাদের দেখা শোনা করে !
সৈকত : আপনি জানেন দূর্গা বাড়িতে থাকা সামাজিক অপরাধ ?
বেনু: পেটের দায়ে হাতে হয়, কোথায় যাবো, আমাদের কে নেবে আমরা বেশ্যা
সৈকত: দেখা শোনা অনেক রকম হয় বেনু দেবী , ঠিক কি করেন ?
বেনু: রান্না করা বাসন মজা , খেতে দেওয়া
সৈকত : আপনি কখনো দেখেছেন উনি বেশ্যা বৃত্তির সাথে যুক্ত?
বেনু: না
আরতি দেবী প্রতিবাদ করে বলে: ধর্মাবতার আমার বন্দু উকিল আদালতের সম্ভ্রম ভুলে গেছেন তার প্রশ্ন একটি মহিলার প্রতি কদর্য আর অশালীন । তার কোনো প্রশ্নই প্রমান করে না যে সরলা কবিতার বেশ্যাবৃত্তির সাথে যুক্ত না !
জজ আরতির দিকে তাকিয়ে বলেন : দেখুন আরতি দেবী , আপনার দিক আমি বুঝি কিন্তু কেসের স্বার্থে সৈকত বাবু কে প্রশ্ন করতে দেওয়া হোক ।
কারাত বাবু সাসপেন্ড হবার আগে পূজা সিং কে সরলার স্টেটমেন্ট-এর কেস দিতে বললেও নাকি সাহেব তা হতে দেন নি । কেন না নাকি সাহেব সকার কে সাহায্য করবার জন্যই এই কেসে এসেছেন কেসের গতি প্রকৃতি বদলে দিতে । তার আরতি দেবী বসে বসে ভাবছিলেন যে বেনু কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কোনো লাভ হবে না । তাকে শিখিয়ে পরিয়ে আনা হয়েছে , বা ব্ল্যাক মেল্ করা হয়েছে , কিছুতেই মোরে গেলেও সে সত্যি কথা বলবে না , তার চোখে সে অভিব্যক্তি স্পষ্ট ।
জজ সাহেব শুধু বলেন " টাইম গ্র্যান্টেড !" আরতি মৈত্র জজ সাহেব কে অনুরোধ করেন কবিতা কে কিছু জেরা করতে ।
এর পর সৈকত উঠে দাঁড়িয়ে বলে " ধর্মাবতার আমার বন্ধু উকিল মিসেস আরতি মৈত্রের কবিতা কে জেরা করার আগে আসল শত মিথ্যা আদালতে পেশ করতে চাই । তার জন্য আমার দ্বিতীয় সাক্ষী সরলা কে আমি আদালতে হাজির করতে চাই !"
গ্র্যান্টেড জজ অনুমতি দেয় । সরলা হাজির ! গীতায় হাত রেখে বলো ' যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না'
সরলা মাথা নিচু করে বলে " যা বলবু সত্যি কতা বলবু মিথ্যে বুলবুনি !"
সৈকত : সরলা দেবী আপনি কি করেন ?
সরলা: বাবু দূর্গা বাড়ির মেয়েদের জন্য রান্না করে দি , বাসন মাজি, ঘর পরিষ্কার করি ।
সৈকত: তাহলে আপনি বলতে চান বেশ্যা বৃত্তির সাথে আপনি যুক্ত নন ।
সরলা : দুগ্গা বাড়ির কতা সব লোকে জানে , মিথ্যে বলবু নি , মেয়েরা এখানে খাটতে আসে , কে কি করে তার খবর রাখি না !
সৈকত : আপনি কাঠ গোড়ায় যে দাঁড়িয়ে আছে তাকে চেনেন ?
সরলা : চিনি বৈকি, এক নম্বরের দজ্জাল , বদ মেয়ে , আমার কাছে এসে বলে আমার থাকার জায়গা নি ! আমায় থাকতে দাও ! আমি অন্য মেয়েদের জিজ্ঞাসা করি ওকে কেউ থাকতে দেবে কিনা , সবাই মিলে ওকে ঘরে থাকতে দেয় । আর তার পর নিজে নিজে খাটতে যায় খদ্দের-এর কাছে ।
শ্যামল এক দিন বলে বড়ো কত্তা বাবু মেয়েটাকে নিজের বাড়িতে ঝি এর কাজ দিয়ে স্যাজ্য করবেন ! আমি পাঠিয়ে দি বড়ো কত্তার কাছে। এর বেশি কিছু জানি না !
সৈকত সাথে সাথে বলে ধর্মাবতার আমার বন্ধু উকিল শ্রী মতি আরতি দেবী সরলা কে তার প্রশ্ন করার আগে ,সরলা সত্যি না মিথ্যে বলছে তার জন্য আমি দূর্গা বাড়ির একটা মেয়েকে আপনার সামনে সাক্ষী হিসাবে পেশ করতে চাই , আমায় অনুমতি দেওয়া হোক ।
বেনু দেবী হাজির : বেনু দেবী হাজির ! গীতায় হাত রেখে বলো ' যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না' গীতায় হাত রেখে বলো ' যাহা বলিব সত্য বলিব সত্য বই মিথ্যা বলিব না' বেনু বিড় বিড় করে । বেনু কে দেখে ডুগ্রে ওঠে বিসি । কি চেহারা হয়েছে বেনুর । মুখের লালিত্য চলে গেছে , খেতে দেওয়া হয় নি হয়তো অনেক দিন , শুকিয়ে কঙ্কাল সার হয়ে গেছে বেনু । বাড়ে গেছে মিষ্টি মুখটা , চোয়াল ঢুকে গেছে গালে । আরতি দেবী জানেন না এদের সরকার পক্ষ থেকে মিথ্যে সাক্ষী হিসাবে সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ।
সৈকত : জোড়া খুনের ঘটনার দিন পর্যন্ত আপনি দূর্গা বাড়িতে ছিলেন , তাই তো !"
বেনু : মাথা নারে
সৈকত: কত দিন আপনি দূর্গা বাড়িতে আছেন !
বেনু: বছর দু তিন হবে , ঠিক বলতে পারবো না
সৈকত: আপনি দূর্গা বাড়িতে নিজের ইচ্ছায় এসেছেন ? আপনার বয়স তো খুব কম সবে 21 এ পা দিয়েছেন ।
বেনু: হ্যাঁ নিজের ইচ্ছায়
সৈকত: সরলা দেবী কে চেনেন ? কি করেন উনি ।
বেনু: আমরা যারা দূর্গা বাড়িতে থাকি তাদের দেখা শোনা করে !
সৈকত : আপনি জানেন দূর্গা বাড়িতে থাকা সামাজিক অপরাধ ?
বেনু: পেটের দায়ে হাতে হয়, কোথায় যাবো, আমাদের কে নেবে আমরা বেশ্যা
সৈকত: দেখা শোনা অনেক রকম হয় বেনু দেবী , ঠিক কি করেন ?
বেনু: রান্না করা বাসন মজা , খেতে দেওয়া
সৈকত : আপনি কখনো দেখেছেন উনি বেশ্যা বৃত্তির সাথে যুক্ত?
বেনু: না
আরতি দেবী প্রতিবাদ করে বলে: ধর্মাবতার আমার বন্দু উকিল আদালতের সম্ভ্রম ভুলে গেছেন তার প্রশ্ন একটি মহিলার প্রতি কদর্য আর অশালীন । তার কোনো প্রশ্নই প্রমান করে না যে সরলা কবিতার বেশ্যাবৃত্তির সাথে যুক্ত না !
জজ আরতির দিকে তাকিয়ে বলেন : দেখুন আরতি দেবী , আপনার দিক আমি বুঝি কিন্তু কেসের স্বার্থে সৈকত বাবু কে প্রশ্ন করতে দেওয়া হোক ।
কারাত বাবু সাসপেন্ড হবার আগে পূজা সিং কে সরলার স্টেটমেন্ট-এর কেস দিতে বললেও নাকি সাহেব তা হতে দেন নি । কেন না নাকি সাহেব সকার কে সাহায্য করবার জন্যই এই কেসে এসেছেন কেসের গতি প্রকৃতি বদলে দিতে । তার আরতি দেবী বসে বসে ভাবছিলেন যে বেনু কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কোনো লাভ হবে না । তাকে শিখিয়ে পরিয়ে আনা হয়েছে , বা ব্ল্যাক মেল্ করা হয়েছে , কিছুতেই মোরে গেলেও সে সত্যি কথা বলবে না , তার চোখে সে অভিব্যক্তি স্পষ্ট ।