23-03-2022, 01:09 PM
বিকেল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।হেলানো চেয়ারটাতে আধ শোয়া হয়ে নীতা ডায়েরিতে কিছু লিখছিল। পায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে বসে অতীন টিপছিল ওর পায়ের আঙ্গুলগুলো।হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠলো। মকবুলের ফোন। উত্তেজিত গলায় মকবুল যা জানালো তা হলো গুমঘরে আটকে রাখা সেই লোকটাকে যখন এক গার্ড খাবার দিতে যায় তখন ও কিভাবে ওর হাতের বাঁধন খুলে ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর কাছ থেকে চাবিটা ছিনিয়ে নেয় ,তারপর পালাবার চেষ্টা করে , তবে পারেনি।.বাইরের গার্ডরা ওর চিৎকারে ছুটে আসে..ওরাই আবার ওকে ওখানে আটকে রেখেছে। শুনে প্রচন্ড রাগে কাঁপতে থাকে নীতা। ..পা দিয়ে অতীনকে ঠেলে দিয়ে উঠে পড়ে। ….দেওয়ালে ঝুলতে থাকা শংকর মাছের লেজের চাবুকটা তুলে নেয়।মকবুলকে হুকুম করে ওর গাড়িটা নিয়ে আসতে। অতীন কি করবে বুঝতে পারে না..সে আড়চোখে হাতে শংকর মাছের চাবুক নেওয়া তার মিস্ট্রেসের রাগে লাল হয়ে ওঠা মুখের দিকে আড়চোখে তাকায়; ছোট জাঙ্গিয়াটার ভিতর ওর দণ্ডটা সোজা হয়ে ওঠে।
হাভেলি থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই গুমঘরটা. এটা একসময় নীতার দাদুর তৈরি করা; অবাধ্য প্রজাদের এখানে দিনের পর দিন আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হতো;নীতা ওটার খুব একটা সংস্কার করে নি.সম্প্রতি সে বেশ কয়েকটি ডাঙগিওন বানিয়েছে মিস্ট্রেসদের জন্য, কিন্তু এটা ওগুলোর থেকে আলাদা।.এখানে বেশির ভাগ জিনিসই সেই আগের আমলের , দেওয়ালের আংটাগুলো ,অপরাধীকে বেঁধে চাবকানোর জন্যে কাঠের পোস্টগুলো সবই সেই আগের আমলের।.দেয়ালের রংও বিবর্ণ হয়ে এসেছে।
নীতা মকবুলের সাথে ভিতরে ঢুকলো;একপাশে কাঠের ক্রসটায় লোকটা বাঁধা। বেশ ফর্সা রং,একটু গোল ধরনের এলাকার মুখ,পরনে জিনসের প্যান্ট,শার্টও বেশ দামী।সম্ভবত গার্ডদের সাথে ধস্তাধস্তিতে কোথাও কোথাও ছিঁড়ে গিযেছে। শক্তপোক্ত চেহারা।টান টান করে বাঁধা শরীরটা।ওকে বেশ নারভাস দেখাচ্ছিল।তবু ওদের দেখেই ও চিৎকার করে উঠলো , কেন বেঁধে রেখেছেন আমাকে আপনারা। .. আমি তো বলেছি আমি ভুল করে চলে এসেছি এখানে।..অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই ‘..নীতা ওর কাছে এগিয়ে আসে…. ওর চোখের দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকে; তারপর প্রচণ্ড জোরে ওর গালে একটা চড় মারে।…..
হাভেলি থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই গুমঘরটা. এটা একসময় নীতার দাদুর তৈরি করা; অবাধ্য প্রজাদের এখানে দিনের পর দিন আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হতো;নীতা ওটার খুব একটা সংস্কার করে নি.সম্প্রতি সে বেশ কয়েকটি ডাঙগিওন বানিয়েছে মিস্ট্রেসদের জন্য, কিন্তু এটা ওগুলোর থেকে আলাদা।.এখানে বেশির ভাগ জিনিসই সেই আগের আমলের , দেওয়ালের আংটাগুলো ,অপরাধীকে বেঁধে চাবকানোর জন্যে কাঠের পোস্টগুলো সবই সেই আগের আমলের।.দেয়ালের রংও বিবর্ণ হয়ে এসেছে।
নীতা মকবুলের সাথে ভিতরে ঢুকলো;একপাশে কাঠের ক্রসটায় লোকটা বাঁধা। বেশ ফর্সা রং,একটু গোল ধরনের এলাকার মুখ,পরনে জিনসের প্যান্ট,শার্টও বেশ দামী।সম্ভবত গার্ডদের সাথে ধস্তাধস্তিতে কোথাও কোথাও ছিঁড়ে গিযেছে। শক্তপোক্ত চেহারা।টান টান করে বাঁধা শরীরটা।ওকে বেশ নারভাস দেখাচ্ছিল।তবু ওদের দেখেই ও চিৎকার করে উঠলো , কেন বেঁধে রেখেছেন আমাকে আপনারা। .. আমি তো বলেছি আমি ভুল করে চলে এসেছি এখানে।..অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই ‘..নীতা ওর কাছে এগিয়ে আসে…. ওর চোখের দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকে; তারপর প্রচণ্ড জোরে ওর গালে একটা চড় মারে।…..