23-03-2022, 12:50 PM
অর্ডার ! অর্ডার ! কোলাহল থেমে গেলো । কেসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মিডিয়া কে কোর্ট রুম-এর প্রসিডিংস -এ উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া হয় নি ।
আপনার হরিপদ বাবু কে কিছু জিজ্ঞাসা করার আছে ?
সৈকত রেগে লাল হয়ে আছে ।
উঠে সৈকত হরিপদ কে জিজ্ঞাসা করে "আপনি কি করে জানলেন রিয়াজ বাবু নেশা ভান করেন ?তুমি তো 4 টের পর বাড়ি চলে যাও "
হরিপদ: পড়েন দিন সকালে মডেল গুলো পরিষ্কার করলে জানতে পারি বাবু কালকে নেশা করেছিলেন !
উপস্থিত সবাই হেসে উঠলো ! বিব্রত হয়ে সৈকত বললো " ধর্মাবতার আমার প্রয়াত মক্কেল মদ খেলেও এই গোড়া খুনের গুরুত্ব কোথাও কমে নি । ইটস এ কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার ।
আরতি উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে " ধর্মাবতার আমার শ্যামল কে জেরা করা শেষ হয় নি, আমার বন্ধু উকিল সৈকত বাবু আমার কাজে বাধা দেবার চেষ্টা করছেন !"
অর্ডার অর্ডার জজ বললেন " সৈকত বাবু আগে আরতি দেবী কে তার জেরা করতে দিন !"
আরতি : ধর্মাবতার আমি প্রথম তথ্যে আসছি , কেন দুটি মেয়েকে মতি মহলে আনা হয়েছিল সেটা কিন্তু পরিষ্কার নয় । তাই শ্যামলের সাক্ষ্য থেকে এখুনি সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
আরতি : যখন ধস্তা ধস্তির আওয়াজ পাও তখন তুমি কোথায় ?
শ্যামল: আজ্ঞে আমি বাইরের হল ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলাম ।
আরতি : যখন তুমি বৈঠক খানার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলে দুটো মেয়ে ধস্তা ধস্তি করছে তুমি এগিয়ে রিয়াজ আর নোবু বাবুকে সাহায্য করলে না কেন?
শ্যামল: ওদের হাতে অস্ত্র দেখে শরীর শুন্য হয়ে গিয়েছিলো । বুঝতে পারি নি কি করবো ।
আরতি : তার পরই তুমি ভয় পেয়ে পালিয়ে যাও তাইতো ?
শ্যামল: আজ্ঞে হ্যাঁ
আরতি দেবী: তুমি তো দুটো মেয়ে কে মার্ডার করতে দেখেছো , ওদের হাতে অস্ত্র ছিল , ওরা তোমায় ছেড়ে দিলো কেন ?খুনি তো আগে প্রমান লোপাটের চেষ্টা করে ।
শ্যামল মাথা নিচু করে তাকিয়ে থাকে সৈকতের দিকে ।
আরতি : পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই লর্ড , শ্যামল বাবু কিন্তু আগেই বয়ান দিয়েছেন তিনি নোবু বাবুর ধাক্কায় পড়ে গিয়েছিলেন , তাহলে অপরাধী দের অনেক সুযোগই ছিল শ্যামল বাবু কে অক্রোকন করার হয় । পেশাদার অপরাধী রা তাই করে থাকে । সেক্ষেত্রে শ্যামল বাবুর সাক্ষিতে আমার মক্কেল পেশাদার অপরাধী নয় । আমার মক্কেল কে মদনের থেকে একলাখ টাকার বিনিমরে শ্যামল কে বিক্রি করে যৌন্য ব্যবসায় নামিয়ে দেয় সরলা। রিয়াজ এবং নব মল্লিকএর মতো পশু দের খিদে চরিতার্থ করার আসায় তাকে নিয়ে আসে মতি মহলে । যদিও তর্কের খাতিরে ধরেই নেয়া যেতে পারে যে আমার মক্কেল আসামি এবং পয়সার লোভে খুন করেছে , কিন্তু আমার কৌঁসুলির জমা দেওয়া সমস্ত ফরেনসিক রিপোর্টে, অস্ত্রের ফিঙ্গার প্রিন্ট , বা পোস্টমর্টেমে কোনো জায়গায় এই তথ্যের উল্যেখ নেই সে কবিতাই রিয়াজ আর নব মল্লিক কে খুন করেছে । আমি আগেই অবগত করেছি ধর্মাবতার যে আমার এক সাক্ষী মদন কে আমি খুঁজতে ধর্মাবতারের কাছে কিছু সময় চাই।
মদনের কথা শুনতেই শ্যামল বিচলিত হয়ে পড়ে ।
আপনার হরিপদ বাবু কে কিছু জিজ্ঞাসা করার আছে ?
সৈকত রেগে লাল হয়ে আছে ।
উঠে সৈকত হরিপদ কে জিজ্ঞাসা করে "আপনি কি করে জানলেন রিয়াজ বাবু নেশা ভান করেন ?তুমি তো 4 টের পর বাড়ি চলে যাও "
হরিপদ: পড়েন দিন সকালে মডেল গুলো পরিষ্কার করলে জানতে পারি বাবু কালকে নেশা করেছিলেন !
উপস্থিত সবাই হেসে উঠলো ! বিব্রত হয়ে সৈকত বললো " ধর্মাবতার আমার প্রয়াত মক্কেল মদ খেলেও এই গোড়া খুনের গুরুত্ব কোথাও কমে নি । ইটস এ কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার ।
আরতি উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে " ধর্মাবতার আমার শ্যামল কে জেরা করা শেষ হয় নি, আমার বন্ধু উকিল সৈকত বাবু আমার কাজে বাধা দেবার চেষ্টা করছেন !"
অর্ডার অর্ডার জজ বললেন " সৈকত বাবু আগে আরতি দেবী কে তার জেরা করতে দিন !"
আরতি : ধর্মাবতার আমি প্রথম তথ্যে আসছি , কেন দুটি মেয়েকে মতি মহলে আনা হয়েছিল সেটা কিন্তু পরিষ্কার নয় । তাই শ্যামলের সাক্ষ্য থেকে এখুনি সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে ।
আরতি : যখন ধস্তা ধস্তির আওয়াজ পাও তখন তুমি কোথায় ?
শ্যামল: আজ্ঞে আমি বাইরের হল ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলাম ।
আরতি : যখন তুমি বৈঠক খানার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলে দুটো মেয়ে ধস্তা ধস্তি করছে তুমি এগিয়ে রিয়াজ আর নোবু বাবুকে সাহায্য করলে না কেন?
শ্যামল: ওদের হাতে অস্ত্র দেখে শরীর শুন্য হয়ে গিয়েছিলো । বুঝতে পারি নি কি করবো ।
আরতি : তার পরই তুমি ভয় পেয়ে পালিয়ে যাও তাইতো ?
শ্যামল: আজ্ঞে হ্যাঁ
আরতি দেবী: তুমি তো দুটো মেয়ে কে মার্ডার করতে দেখেছো , ওদের হাতে অস্ত্র ছিল , ওরা তোমায় ছেড়ে দিলো কেন ?খুনি তো আগে প্রমান লোপাটের চেষ্টা করে ।
শ্যামল মাথা নিচু করে তাকিয়ে থাকে সৈকতের দিকে ।
আরতি : পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই লর্ড , শ্যামল বাবু কিন্তু আগেই বয়ান দিয়েছেন তিনি নোবু বাবুর ধাক্কায় পড়ে গিয়েছিলেন , তাহলে অপরাধী দের অনেক সুযোগই ছিল শ্যামল বাবু কে অক্রোকন করার হয় । পেশাদার অপরাধী রা তাই করে থাকে । সেক্ষেত্রে শ্যামল বাবুর সাক্ষিতে আমার মক্কেল পেশাদার অপরাধী নয় । আমার মক্কেল কে মদনের থেকে একলাখ টাকার বিনিমরে শ্যামল কে বিক্রি করে যৌন্য ব্যবসায় নামিয়ে দেয় সরলা। রিয়াজ এবং নব মল্লিকএর মতো পশু দের খিদে চরিতার্থ করার আসায় তাকে নিয়ে আসে মতি মহলে । যদিও তর্কের খাতিরে ধরেই নেয়া যেতে পারে যে আমার মক্কেল আসামি এবং পয়সার লোভে খুন করেছে , কিন্তু আমার কৌঁসুলির জমা দেওয়া সমস্ত ফরেনসিক রিপোর্টে, অস্ত্রের ফিঙ্গার প্রিন্ট , বা পোস্টমর্টেমে কোনো জায়গায় এই তথ্যের উল্যেখ নেই সে কবিতাই রিয়াজ আর নব মল্লিক কে খুন করেছে । আমি আগেই অবগত করেছি ধর্মাবতার যে আমার এক সাক্ষী মদন কে আমি খুঁজতে ধর্মাবতারের কাছে কিছু সময় চাই।
মদনের কথা শুনতেই শ্যামল বিচলিত হয়ে পড়ে ।