22-03-2022, 10:37 AM
উঠে দাঁড়ায় আরতি মৈত্র , অনুমতি চায় হুল্লা শ্যামল কে জেরা করতে !
সৈকত: মেয়ে দুটোর কোনো নাম জেনেছিলে ?
শ্যামল: আজ্ঞে বিসির দিকে আঙ্গুল তুলে বলে কবিতা আর অন্য মেয়েটার নাম জানিনা।
সৈকত: কবিতা দূর্গা বাড়িতে কত দিন এসেছে, আর বাড়ি কোথায় তুমি জানো ?
শ্যামল: আজ্ঞে না : সরলা বলতে পারবে আমি তো জানি না ।
সৈকত সরলা কে পরে ডাকবার জন্য কোর্টের অনুমতি চাইলো ।কোর্ট অনুমতি দিলো ।
সৈকত: তুমি স্পষ্ট দেখেছো এই মেয়েটাই রিয়াজ বাবুকে বুকে ছুরি মেরেছে ।
শ্যামল : হ্যা বাবু , ছুরি টা সাদা একটা রুমাল -এ জড়িয়ে ধরেছিলো ।
সৈকত : রুমাল টা দেখলে চিনতে পারবে ? এইটাই সেই রুমাল ।নোংরা একটা রুমাল দেখে বলে এইটা কিনা দেখে বলতে পারবে ?
শ্যামল : হ্যাঁ স্যার এই রুমালটা ।
ধর্মাবতার এই নিন স্যালাইভা রিপোর্ট , ডিটিভিও মেয়েটির উপস্থিতি এর প্রমান । বাকি তথ্য আমি আদালত কে দিয়েছি মাই লর্ড ।
বিসি চমকে ওঠে মমতার রুমাল টা দেখে ,ঘরে পড়ে গিয়েছিলো , মমতা খেয়াল করে নি ।
জুরি জিজ্ঞাসা করে উইটনেস কে প্রীতিপক্ষ উকিল আর কোনো প্রশ্ন করতে চায় ?
ইয়েস মাই লর্ড !
উঠে দাঁড়ায় আরতি মৈত্র , অনুমতি চায় হুল্লা শ্যামল কে জেরা করতে ! খুব শান্ত চোখে তাকায় খানিক ক্ষণ শ্যামলের দিকে ।
আরতি মৈত্র: তোমার পেশা কি ?
শ্যামল : জেল থেকে ছাড়া পাবার পর আমি বাবুদের দয়াল সংসার পেতেছিলুম। আজ্ঞে বাবু দের ফাইফরমাশ খেতে দিতাম , তারা কিছু পয়সা দিতেম তাতেই আমার চলতো !
আরতি মৈত্র: কিন্তু গত 4 বছরে গেল থেকে ছাড়া পাবার পরেও পুলিশের খাতায় তোমার নামে ২ টো কিডন্যাপিং , আর একটা মদ খেয়ে ঝগড়ার কেস আছে !
শ্যামল মাথা চুলকায় ।
সৈকত দাঁড়িয়ে বাধা দেয় : মাই লর্ড উনি কেসের বহির্ভূত প্রশ্ন করছেন আমার সাক্ষী কে ! চিৎকার চেঁচামেচি আর হাতুড়ির ঘায়ে সোনা গেলো অব্জেকশান ওভাররুল্ড । আরতি শুরু করলেন " থ্যাংক ইউ মাই লর্ড !
আরতি মৈত্র: তুমি মদ খাও !
শ্যামল : আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, মাঝে মধ্যি না খেলে কি ভারী কাজ করতে পারি ?
আরতি মৈত্র: কি ভারী কাজ করো তুমি ।
শ্যামল: বাগানে মালির কাজ করি, গাড়ি ধুয়ে দেওয়া , বাজার করা
আরতি মৈত্র : আমি যতদূর জেনেছি তুমি রিয়াজ বাবুর মদ এনে দিতে , বাগানের কাজ মালি হরিপদ করে । সেখানে সে আছে 15 বছর ধরে ।
সৈকত দাঁড়িয়ে আবার বাধা দেয় : আমার বন্ধু আদালতের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরাবার চেষ্টা করছেন । ওনাকে কেস সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে অনুরোধ করা হোক ।
জজ সাহেব আরতি কে প্রশ্ন করে আরতি দেবী আপনি কি জানতে চান তা সোজা সুজি প্রশ্ন করুন ।
আরতি দেবী আদালত কে অনুমতি চান তার সাক্ষ্য হাজির করতে " হরিপদ মালি হাজির !" আদালতের ক্লার্ক চেঁচিয়ে আওয়াজ দেয় !
শপথ নিয়ে হরিপদ কে জিজ্ঞাসা শুরু করেন আরতি দেবী
আরতি দেবী: আপনি তো 15 বছর মালির কাজ করছেন , মোতিমহল-এ কত জন লোক থাকেন ?
হরিপদ : কেউই থাকেন না , বাবু মাঝে মাঝে রাত্রে থাকেন । বাবুর অন্য বাড়িতে মা আর বাকি আত্মীয় রা থাকেন ।
আরতি দেবী: কেউ থাকে না কেন?
হরিপদ বাবু : বাবু নেশা ভাং করেন , সেখানে কারোর অনুমতি নেই যাবার ?
আরতি দেবী: তুমি যাও না?
হরিপদ বাবু: বাবু 4 টায় ছুটি দিয়ে দেন আমি বাড়ি চলে যাই !
পয়েন্ট নোটেড মাই লর্ড , রিয়াজ বাবু নিয়মিত নেশা ভান করতেন আর সেখানে মোতিমহলে কারোর যাবার অনুমতি ছিল না , তাহলে দুটি মেয়ে কে চাকরি দিয়ে সাহায্য করার জন্য কেন তিনি মতি মহলে ডাকলেন ?
সৈকত চেঁচিয়ে উঠলো: ধর্মাবতার আমার বন্ধু উকিল আমার প্রয়াত মক্কেলের চরিত্র নিয়ে কথা বলে খুনি কে আড়াল করবার চেষ্টা করছে ! উনি সাক্ষীর প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলে খুনের গুরুত্ব কমাবার চেষ্টা করছেন !
সৈকত: মেয়ে দুটোর কোনো নাম জেনেছিলে ?
শ্যামল: আজ্ঞে বিসির দিকে আঙ্গুল তুলে বলে কবিতা আর অন্য মেয়েটার নাম জানিনা।
সৈকত: কবিতা দূর্গা বাড়িতে কত দিন এসেছে, আর বাড়ি কোথায় তুমি জানো ?
শ্যামল: আজ্ঞে না : সরলা বলতে পারবে আমি তো জানি না ।
সৈকত সরলা কে পরে ডাকবার জন্য কোর্টের অনুমতি চাইলো ।কোর্ট অনুমতি দিলো ।
সৈকত: তুমি স্পষ্ট দেখেছো এই মেয়েটাই রিয়াজ বাবুকে বুকে ছুরি মেরেছে ।
শ্যামল : হ্যা বাবু , ছুরি টা সাদা একটা রুমাল -এ জড়িয়ে ধরেছিলো ।
সৈকত : রুমাল টা দেখলে চিনতে পারবে ? এইটাই সেই রুমাল ।নোংরা একটা রুমাল দেখে বলে এইটা কিনা দেখে বলতে পারবে ?
শ্যামল : হ্যাঁ স্যার এই রুমালটা ।
ধর্মাবতার এই নিন স্যালাইভা রিপোর্ট , ডিটিভিও মেয়েটির উপস্থিতি এর প্রমান । বাকি তথ্য আমি আদালত কে দিয়েছি মাই লর্ড ।
বিসি চমকে ওঠে মমতার রুমাল টা দেখে ,ঘরে পড়ে গিয়েছিলো , মমতা খেয়াল করে নি ।
জুরি জিজ্ঞাসা করে উইটনেস কে প্রীতিপক্ষ উকিল আর কোনো প্রশ্ন করতে চায় ?
ইয়েস মাই লর্ড !
উঠে দাঁড়ায় আরতি মৈত্র , অনুমতি চায় হুল্লা শ্যামল কে জেরা করতে ! খুব শান্ত চোখে তাকায় খানিক ক্ষণ শ্যামলের দিকে ।
আরতি মৈত্র: তোমার পেশা কি ?
শ্যামল : জেল থেকে ছাড়া পাবার পর আমি বাবুদের দয়াল সংসার পেতেছিলুম। আজ্ঞে বাবু দের ফাইফরমাশ খেতে দিতাম , তারা কিছু পয়সা দিতেম তাতেই আমার চলতো !
আরতি মৈত্র: কিন্তু গত 4 বছরে গেল থেকে ছাড়া পাবার পরেও পুলিশের খাতায় তোমার নামে ২ টো কিডন্যাপিং , আর একটা মদ খেয়ে ঝগড়ার কেস আছে !
শ্যামল মাথা চুলকায় ।
সৈকত দাঁড়িয়ে বাধা দেয় : মাই লর্ড উনি কেসের বহির্ভূত প্রশ্ন করছেন আমার সাক্ষী কে ! চিৎকার চেঁচামেচি আর হাতুড়ির ঘায়ে সোনা গেলো অব্জেকশান ওভাররুল্ড । আরতি শুরু করলেন " থ্যাংক ইউ মাই লর্ড !
আরতি মৈত্র: তুমি মদ খাও !
শ্যামল : আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, মাঝে মধ্যি না খেলে কি ভারী কাজ করতে পারি ?
আরতি মৈত্র: কি ভারী কাজ করো তুমি ।
শ্যামল: বাগানে মালির কাজ করি, গাড়ি ধুয়ে দেওয়া , বাজার করা
আরতি মৈত্র : আমি যতদূর জেনেছি তুমি রিয়াজ বাবুর মদ এনে দিতে , বাগানের কাজ মালি হরিপদ করে । সেখানে সে আছে 15 বছর ধরে ।
সৈকত দাঁড়িয়ে আবার বাধা দেয় : আমার বন্ধু আদালতের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরাবার চেষ্টা করছেন । ওনাকে কেস সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে অনুরোধ করা হোক ।
জজ সাহেব আরতি কে প্রশ্ন করে আরতি দেবী আপনি কি জানতে চান তা সোজা সুজি প্রশ্ন করুন ।
আরতি দেবী আদালত কে অনুমতি চান তার সাক্ষ্য হাজির করতে " হরিপদ মালি হাজির !" আদালতের ক্লার্ক চেঁচিয়ে আওয়াজ দেয় !
শপথ নিয়ে হরিপদ কে জিজ্ঞাসা শুরু করেন আরতি দেবী
আরতি দেবী: আপনি তো 15 বছর মালির কাজ করছেন , মোতিমহল-এ কত জন লোক থাকেন ?
হরিপদ : কেউই থাকেন না , বাবু মাঝে মাঝে রাত্রে থাকেন । বাবুর অন্য বাড়িতে মা আর বাকি আত্মীয় রা থাকেন ।
আরতি দেবী: কেউ থাকে না কেন?
হরিপদ বাবু : বাবু নেশা ভাং করেন , সেখানে কারোর অনুমতি নেই যাবার ?
আরতি দেবী: তুমি যাও না?
হরিপদ বাবু: বাবু 4 টায় ছুটি দিয়ে দেন আমি বাড়ি চলে যাই !
পয়েন্ট নোটেড মাই লর্ড , রিয়াজ বাবু নিয়মিত নেশা ভান করতেন আর সেখানে মোতিমহলে কারোর যাবার অনুমতি ছিল না , তাহলে দুটি মেয়ে কে চাকরি দিয়ে সাহায্য করার জন্য কেন তিনি মতি মহলে ডাকলেন ?
সৈকত চেঁচিয়ে উঠলো: ধর্মাবতার আমার বন্ধু উকিল আমার প্রয়াত মক্কেলের চরিত্র নিয়ে কথা বলে খুনি কে আড়াল করবার চেষ্টা করছে ! উনি সাক্ষীর প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলে খুনের গুরুত্ব কমাবার চেষ্টা করছেন !