21-03-2022, 03:54 PM
হিয়ারিং 1: হুল্লা শ্যামল হাজির ! বলুন যাহা বলিব সত্য বলিব মিথ্যা বলিব না ! শ্যামল বলে জজ সাহেবের দিকে তাকায় ।
সৈকত জজ সাহেবের থেকে প্রথমে গেরা করার অনুমতি চাইলো , আর অনুমতি পেয়ে জেরা করা শুরু করলো । আরতি দেবী তার ডাইরি নিয়ে মন দিয়ে লেখা শুরু করলেন , আর তারই এক এসিস্টেন্ট কে বললেন তারই সাথে সাথে লিখতে । আরতি দেবীর এসিস্টেন্ট একটি ইয়াং মেয়ে সে শর্ট হ্যান্ড জানে কেতাদূরস শহুরে , ওকালতি করছে আরতি মৈত্র কে সিনিয়ার মেনে ।
সৈকত: ঘটনা ঘটেছিলো 23 শে অক্টোবার , ঘটনার দিন তুমি ঠিক কি কি দেখেছিলে ?
শ্যামল: আমি বাবুর বাড়িতে কাজ করি 4 বছর । আমায় এখন ভালো রাস্তায় চলি দাদার দয়ায়, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দাদা বাবু আমারে নতুন জীবন দেছে । দাদা বাবু বললো সেদিন দূর্গা বাড়িতে একটা মেয়ে এইচে, গরিব ঘরের মেয়ে , দূর্গা বাড়ি থাকলি মেয়েটা ভাড়া খাটবে , তার চেয়ে সরলা কে বলে বুঝিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে আয় শ্যামল, মা তো আমার অসুস্থ , আমার বাড়িতে কাজের লোক দরকার , মেয়েটার জীবন বেঁচে যায় । এর আগেও বাবু অনেক গরিব ঘরের ছেলে মেয়েকে ভালো কাজ দেছে। দাদাবাবু আমার দয়ার শরীর । বাবুর নিজের গাড়ি পাঠিয়ে চেলো, আমি কবিতা কে নিয়ে বাবুর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাইরের হল ঘরে বসে ছিলাম সার !
ভিতরে কি হচ্ছে কিছুই দেখি নি ।
শুরু থেকেই মেয়েটার হাব ভাব আমার ভালো লাগে নি , মেয়েটা বাবুকে নোংরা নোংরা ইঙ্গিত করছিলো। ভিতরে নোবু বাবু ব্যবসার হিসাব করছিলেন অনেক টাকা নিয়ে । নোবু বাবুর সাথে রিয়াজ বাবুর সম্পর্ক অনেক দিনের । মেয়েটা এর মধ্যেই নিজের জামা কাপড় খুলে বাবুর সাথে নোংরামি করে । আমি যদিও দেখি নি বাইরে ছিলাম । বাবু একটু রেতের দিকে খেতেন আরকি , তাই বোধ হয় তাল সামলাতে পারেন নি । আমি বাইরে থেকে ধস্তা ধস্তির আওয়াজ পাই । কিন্তু বাবু অনুমতি না দিলে আমি বৈঠক খানায় যাই নে , বাবু মানা করেছেন ।
কিছুক্ষন পড়ে দেখি আরেকটা মেয়ে এইচে কোলে বাচ্ছা নিয়ে । আমি আটকানোর চেষ্টা করলেও সে দস্যি মেয়ের মতো আমায় ঠেলে ফেল দিয়ে , ঘরে ঢুকে চেঁচাতে থাকে । আর জামা ছেড়ার আওয়াজ পাই ।
আমি থাকতে না পেরে দৌড়ে বৈঠক খানার দরজায় গিয়ে দেখি ।
দেখি সেই দস্যি মেয়েটা একটা পিস্তল বাগিয়ে নোবু বাবুর ঘরের কোনে টেনে নিয়ে জামা ছিড়ে টাকা পয়সা বার করার চেষ্টা করছে । ধস্তা ধস্তিতে নোবু বাবুর ধুতি খুলে গেলো । আর অন্য মেয়েটা বাবুর কে মেঝেতে ফেলে বাবুর উপর বসে তখন নোংরামি করছে । বাবুর নেশায় আর ধাক্কা ধাক্কি জ্ঞান হায়রে ফেলেছেন । দস্যি মেয়েটা চেঁচিয়ে বলছে নোংরা কাজ করলে কেস নাকি অন্য দিকে ঘুরে যাবে পুলিশ কিছু করতে পারবে না । তাড়াতাড়ি করতে বলছিলো কবিতাকে । অন্য মেয়েটা চেঁচিয়ে বলে ঘরে অন্য লোক এসেছে গেছে " বুকে ছুরি মার কবিতা দেরি করিস নে , আমাদের সংগঠনে অনেক টাকা দরকার । আমি দৌড়ে মেয়েটার কাছে যাবার আগে বাবুর ছুরিটা বাবুর বুকে বসিয়ে দেয় ঘপাস করে মাইরি ! আর তার পরেই রক্ত মাখা ছুরি নোবো বাবুর দিকে তেড়ে নিয়ে যেতেই নোবু বাবু প্রাণ বাঁচানোর জন্য মেয়ে গুলো কে ধাক্কা দিয়ে বাইরের দিকে ছুটে বের হয়। আমায়ও ধাক্কা মারে আর আমি পড়ে যাই । আর দস্যি মেয়েটা নোবু বাবুর পিঠে ধাক্কা মারে বৈঠক খানার ভিতর থেকে । বাবু হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায় স্ট্যাচুর উপর , স্ট্যাচুটা পড়ে যায় বাবুর উপর । দস্যি মেয়েটা বাবুর উপর চেপে ধরে বসে পিঠের উপর পিস্তল বাগিয়ে । কিন্তু দেখে সে মূর্তির হাতের ধারালো ফলা ঢুকে গেছে নোবু বাবুর বুকে । এর পর দুজনে টাকা গুড়োতে থাকে জামা কাপড় পড়তে পড়তে , অনেক টাকা, আমি দেখে থতমত খেয়ে যায় , কি করবো বুঝতে না পেরে ভয়ে পালিয়ে আসি । আর বাবুর পার্টি অফিসে খবর দি ! বাড়ি গিয়ে শুনি আমার বোনটা মোরে গেছে , তাই তার দাহ করতে মালদহে মন্দিরঘাট যাই । তার টিকিট বাবুদের দিইচি। শ্মশানের কাগজ দিইচি । "
সৈকত: হাত বাড়িয়ে সে সব কাগজ জজ কে দেয় । এন্ট্রি করা হয় খাতায় । আগেই যাবতীয় পোস্ট মর্টেম আর মেডিকেল রিপোর্ট জমা হয়েছে । কিন্তু কারাত বাবুর সংগ্রহ করা আগের রিপোর্ট গুলোর কোনো মূল্যই নেই । কারণ সরকারি সব আমলারাই প্রমান করবে কোনো না কোনো ভাবে যে কারাত বাবুর থেকে সংগ্রহ করা সব তথ্যই জাল । আরতি মৈত্রের বিসি কে নির্দোষ প্রমান করার রাস্তা আরো কঠিন হয়ে পড়বে ।
সৈকত জজ সাহেবের থেকে প্রথমে গেরা করার অনুমতি চাইলো , আর অনুমতি পেয়ে জেরা করা শুরু করলো । আরতি দেবী তার ডাইরি নিয়ে মন দিয়ে লেখা শুরু করলেন , আর তারই এক এসিস্টেন্ট কে বললেন তারই সাথে সাথে লিখতে । আরতি দেবীর এসিস্টেন্ট একটি ইয়াং মেয়ে সে শর্ট হ্যান্ড জানে কেতাদূরস শহুরে , ওকালতি করছে আরতি মৈত্র কে সিনিয়ার মেনে ।
সৈকত: ঘটনা ঘটেছিলো 23 শে অক্টোবার , ঘটনার দিন তুমি ঠিক কি কি দেখেছিলে ?
শ্যামল: আমি বাবুর বাড়িতে কাজ করি 4 বছর । আমায় এখন ভালো রাস্তায় চলি দাদার দয়ায়, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দাদা বাবু আমারে নতুন জীবন দেছে । দাদা বাবু বললো সেদিন দূর্গা বাড়িতে একটা মেয়ে এইচে, গরিব ঘরের মেয়ে , দূর্গা বাড়ি থাকলি মেয়েটা ভাড়া খাটবে , তার চেয়ে সরলা কে বলে বুঝিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে আয় শ্যামল, মা তো আমার অসুস্থ , আমার বাড়িতে কাজের লোক দরকার , মেয়েটার জীবন বেঁচে যায় । এর আগেও বাবু অনেক গরিব ঘরের ছেলে মেয়েকে ভালো কাজ দেছে। দাদাবাবু আমার দয়ার শরীর । বাবুর নিজের গাড়ি পাঠিয়ে চেলো, আমি কবিতা কে নিয়ে বাবুর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাইরের হল ঘরে বসে ছিলাম সার !
ভিতরে কি হচ্ছে কিছুই দেখি নি ।
শুরু থেকেই মেয়েটার হাব ভাব আমার ভালো লাগে নি , মেয়েটা বাবুকে নোংরা নোংরা ইঙ্গিত করছিলো। ভিতরে নোবু বাবু ব্যবসার হিসাব করছিলেন অনেক টাকা নিয়ে । নোবু বাবুর সাথে রিয়াজ বাবুর সম্পর্ক অনেক দিনের । মেয়েটা এর মধ্যেই নিজের জামা কাপড় খুলে বাবুর সাথে নোংরামি করে । আমি যদিও দেখি নি বাইরে ছিলাম । বাবু একটু রেতের দিকে খেতেন আরকি , তাই বোধ হয় তাল সামলাতে পারেন নি । আমি বাইরে থেকে ধস্তা ধস্তির আওয়াজ পাই । কিন্তু বাবু অনুমতি না দিলে আমি বৈঠক খানায় যাই নে , বাবু মানা করেছেন ।
কিছুক্ষন পড়ে দেখি আরেকটা মেয়ে এইচে কোলে বাচ্ছা নিয়ে । আমি আটকানোর চেষ্টা করলেও সে দস্যি মেয়ের মতো আমায় ঠেলে ফেল দিয়ে , ঘরে ঢুকে চেঁচাতে থাকে । আর জামা ছেড়ার আওয়াজ পাই ।
আমি থাকতে না পেরে দৌড়ে বৈঠক খানার দরজায় গিয়ে দেখি ।
দেখি সেই দস্যি মেয়েটা একটা পিস্তল বাগিয়ে নোবু বাবুর ঘরের কোনে টেনে নিয়ে জামা ছিড়ে টাকা পয়সা বার করার চেষ্টা করছে । ধস্তা ধস্তিতে নোবু বাবুর ধুতি খুলে গেলো । আর অন্য মেয়েটা বাবুর কে মেঝেতে ফেলে বাবুর উপর বসে তখন নোংরামি করছে । বাবুর নেশায় আর ধাক্কা ধাক্কি জ্ঞান হায়রে ফেলেছেন । দস্যি মেয়েটা চেঁচিয়ে বলছে নোংরা কাজ করলে কেস নাকি অন্য দিকে ঘুরে যাবে পুলিশ কিছু করতে পারবে না । তাড়াতাড়ি করতে বলছিলো কবিতাকে । অন্য মেয়েটা চেঁচিয়ে বলে ঘরে অন্য লোক এসেছে গেছে " বুকে ছুরি মার কবিতা দেরি করিস নে , আমাদের সংগঠনে অনেক টাকা দরকার । আমি দৌড়ে মেয়েটার কাছে যাবার আগে বাবুর ছুরিটা বাবুর বুকে বসিয়ে দেয় ঘপাস করে মাইরি ! আর তার পরেই রক্ত মাখা ছুরি নোবো বাবুর দিকে তেড়ে নিয়ে যেতেই নোবু বাবু প্রাণ বাঁচানোর জন্য মেয়ে গুলো কে ধাক্কা দিয়ে বাইরের দিকে ছুটে বের হয়। আমায়ও ধাক্কা মারে আর আমি পড়ে যাই । আর দস্যি মেয়েটা নোবু বাবুর পিঠে ধাক্কা মারে বৈঠক খানার ভিতর থেকে । বাবু হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায় স্ট্যাচুর উপর , স্ট্যাচুটা পড়ে যায় বাবুর উপর । দস্যি মেয়েটা বাবুর উপর চেপে ধরে বসে পিঠের উপর পিস্তল বাগিয়ে । কিন্তু দেখে সে মূর্তির হাতের ধারালো ফলা ঢুকে গেছে নোবু বাবুর বুকে । এর পর দুজনে টাকা গুড়োতে থাকে জামা কাপড় পড়তে পড়তে , অনেক টাকা, আমি দেখে থতমত খেয়ে যায় , কি করবো বুঝতে না পেরে ভয়ে পালিয়ে আসি । আর বাবুর পার্টি অফিসে খবর দি ! বাড়ি গিয়ে শুনি আমার বোনটা মোরে গেছে , তাই তার দাহ করতে মালদহে মন্দিরঘাট যাই । তার টিকিট বাবুদের দিইচি। শ্মশানের কাগজ দিইচি । "
সৈকত: হাত বাড়িয়ে সে সব কাগজ জজ কে দেয় । এন্ট্রি করা হয় খাতায় । আগেই যাবতীয় পোস্ট মর্টেম আর মেডিকেল রিপোর্ট জমা হয়েছে । কিন্তু কারাত বাবুর সংগ্রহ করা আগের রিপোর্ট গুলোর কোনো মূল্যই নেই । কারণ সরকারি সব আমলারাই প্রমান করবে কোনো না কোনো ভাবে যে কারাত বাবুর থেকে সংগ্রহ করা সব তথ্যই জাল । আরতি মৈত্রের বিসি কে নির্দোষ প্রমান করার রাস্তা আরো কঠিন হয়ে পড়বে ।