21-03-2022, 09:38 AM
নাকি দায়িত্ব নিয়েই থানায় চলে গেলো | রিমান্ড নিতে হবে কবিতা কে | দিন 15 কেটে গেছে | চার পাশের গরম আবহাওয়া কেটে গেছে | মিডিয়া, কাগজ , এক রকম নিশ্চিত দুটি ম্যাও বাদী স্কোয়াড মিলে খুন করেছে রিয়াজ আর নোবু বাবুকে | সৈকত বাবু কে দিয়ে চার্জশিট তৈরী | কোর্ট-এ কেসের ডেট পড়েছে | জেল-এ আছে বিসি | আরতি মৈত্রী তার উকিল | আর মিডিয়া থেকে দূরে কারাত বাবু লড়াই করছেন তার রিটায়ার-এর কাগজ পত্র নিয়ে | এসব ক্ষেত্রে পেনশন-এর কাগজ পেতে খুব দেরি হয় | আসলে তার লড়াই সরকার নয় সিস্টেম-এর সাথে | সৈকত-এর সাথে আরতি মৈত্রের সম্পর্ক খুবই মধুর | কিন্তু প্রফেশন এ একে ওপরের সামনে দাঁড়িয়ে | ফাইনাল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী দ্বিতীয় মহিলা টির এখনো সনাক্তকরণ হয় নি | বিসি কে দিয়ে নাকি সাহেব ছবি একলেও , বিসি মমতার আসল ছবি আঁকতে সাহায্য করে নি | আর কবিতা কে সব অত্যাচার বা পুলিশি নির্যাতনের থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে আরতি |
সৈকত কেস সাজিয়েছে দ্বিতীয় মহিলা মাওবাদী ! কপাল গুনে কোনো CCTV তেই মমতার মুখ স্পষ্ট নয় | কিন্তু তার বাচ্ছার মুখ আর মমতার মুখের পিছন দিকের মাথা দেখা যাচ্ছে | আর মোতিমহলের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরায় বিসির মুখ ধরা পড়েছে , মোতিমহলে ঢোকবার সময় | হুল্লা শ্যামল সেখানে উপস্থিত ছিল | দুজনেই রিয়াজ সাহেবের বাড়িতে গিয়েছিলো কাজ চাইবার বাহানায় | হুল্লা শ্যামল সাক্ষী হবে তার | তার সাক্ষ্য প্রমাণ আছে | আর বিসির উপর চার্জ দিয়েছে চাকু দিয়ে কৌশলে খুন করেছে রিয়াজ কে | আর রিয়াজ কে খুন করবার অছিলায় তার সাথে যৌন সংসর্গ করেছে | যদিও নোবু বাবুর মার্ডার নিয়ে তার কেস খুবই দুর্বল | সেখানে সে প্রমান করবার চেষ্টা করেছে যে , বিসি যখন চাকু নিয়ে রিয়াজ কে মারতে উদ্ধত হয় তখন মাওবাদী মেয়েটি নোবু বাবুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে | আর সেখান থেকে পালাতে গিয়েই মূর্তিতে ধাক্কা খান তিনি | পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে সে উল্যেক্ষ আছে | তার পরই মূর্তি তার শরীরের উপর পড়ে যায় | তখন মমতা মূর্তি সমেত নোবু বাবুর কে ধরতে গেলে ধারালো বর্শা তার বুকে বিঁধে যায় |
আরতি দেবীর সমস্যা হুল্লা শ্যামল কে নিয়ে | সে আন্ডারগ্রউন্ড | নিজেই সে খুনের আসামি | তার উপর পার্টি তাকে মোটা টাকা দিয়ে কিনেছে | কবিতা ছাড়াও ঘটনার প্রধান সাক্ষী হুল্লা শ্যামল | নিজেকে বাঁচাতে সরকার আর পুলিশ কে সাহায্য করবে যে ভাবে সরকার চায় সে ভাবে |
কোর্টের হিয়ারিং এর দিন গুলোর আগের দু তিন সপ্তাহ বিসি জেলা লক আপ এর মেয়েদের গারোদেই কাটিয়ে দেয় । সময় সময় মতো ভালো খাবার দেয় । একটা মেয়ে পুলিশ এর সাথে তার ভালো ভাব হয়ে গেছে । সে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ডিউটি করে । কিন্তু এখন তার জেলা সংশোধনাগারে কাজ পড়েছে । মেয়েটির নাম তনুজা । বিসি মস্করা করে তাকে হিরোইন বলে ডাকে । বিসির মনে কোনো ভয় নেই জেলই তার নিরাপদ আশ্রয় ।
এর মধ্যে আরতি মৈত্র বিসির খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছেন । আরতি কে বিসি গল্প করেছে হরিদেবপুরের কথা , তার শৈশব , বকুলতলার গ্রাম, বটতলায় তার খেলার শৈশবের সাথী , তার মদমাতাল বাপ সুবলের কথা । আর মদিনার কথা , যে নাকি , বিসির বিশ্বাস ভেঙে তাকে বেচে দিয়েছিলো হুল্লা শ্যামলের হাতে । মোড়ল গ্রাম ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগে সে কথা বিসি জানে না । কবর নেই মদিনার । আরতি অনেক চেষ্টা করেছে , এমন কি পুলিশের সাহায্য নিয়েছে যদি মদন কে খুঁজে পাওয়া যায় । সরকারি পোষ্যের উকিল পাল্টে দিয়েছে সব কাগজই, সেখানে যৌন্য মিলনের ইঙ্গিত থাকলেও রেপ-এর ইঙ্গিত নেই । আরতি মৈত্র বিসি কে বুঝিয়ে তার আদি বাসস্থান আর ঠিকানা কোর্টে জমা দিয়েছে যা সরকারি উকিলের অজানা । আর মমতার নাম উল্যেখ করে নি কোথাও ।
এমন কি পোস্ট মর্টেম-এর রিপোর্ট পাল্টে দেয়া হয়েছে , যেখানে খুনের উল্যেখ না থাকলেও চুরি বিদ্ধ হবার কথা আছে । আরতির বিসি কে দেখলে ময় হয় । বিচার না পেয়ে মেয়েটা সিস্টেমের বলি হবে , এর আগে এমন হাজার হাজার মেয়ে সিস্টেমের বলি হয়েছে । কারাত বাবু আরতির পিছনে আছেন বিসির কেস লড়বার জন্য । নাকি সাহেব বেশ তদারকি করেই সৈকত কে দিয়ে কেস সাজিয়েছেন । আদালতের কি বিচার হবে সেটাই এখন দেখবার বিষয় । যদিও আরতি আর কারাত বাবু জানেন বিসি কে তারা বাঁচাতে পারবেন না , সরকারের সাথে লোরে সরকার কে হারানো বাস্তবে সম্ভব নয় । তার আর নিজের চেয়ারের জোর নেই । আরতি মৈত্র আদতে বিধবা তার এক মেয়ে সুইডেনে কোথাও পড়াশুনা করে , স্বামী মারা গিয়েছেন অনেক আগেই দুরারোগ্য ব্যাধি তে । কিন্তু কারাত বাবুর সাথে আরতির ঘনিষ্টতা নিছকই বন্ধুত্বপূর্ণ । একে অপরকে শ্রদ্ধা করেন । আর দুজনে সৎ বলে সিস্টেম টা পাল্টে দেবার চাপা আগুন দুজনের মধ্যেই । হিয়ারিং এর দিন এসে গেলো দেখতে দেখতে আজ প্রথম দিন, আদালতে পা রাখবার জায়গা নেই । ইতিমধ্যে পারে পারে রিয়াজের স্ট্যাচু বসানো চালু হয়েছে তাকে শহীদ বানিয়ে ।
রাজনীতিতে যা হয় ।
সৈকত কেস সাজিয়েছে দ্বিতীয় মহিলা মাওবাদী ! কপাল গুনে কোনো CCTV তেই মমতার মুখ স্পষ্ট নয় | কিন্তু তার বাচ্ছার মুখ আর মমতার মুখের পিছন দিকের মাথা দেখা যাচ্ছে | আর মোতিমহলের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরায় বিসির মুখ ধরা পড়েছে , মোতিমহলে ঢোকবার সময় | হুল্লা শ্যামল সেখানে উপস্থিত ছিল | দুজনেই রিয়াজ সাহেবের বাড়িতে গিয়েছিলো কাজ চাইবার বাহানায় | হুল্লা শ্যামল সাক্ষী হবে তার | তার সাক্ষ্য প্রমাণ আছে | আর বিসির উপর চার্জ দিয়েছে চাকু দিয়ে কৌশলে খুন করেছে রিয়াজ কে | আর রিয়াজ কে খুন করবার অছিলায় তার সাথে যৌন সংসর্গ করেছে | যদিও নোবু বাবুর মার্ডার নিয়ে তার কেস খুবই দুর্বল | সেখানে সে প্রমান করবার চেষ্টা করেছে যে , বিসি যখন চাকু নিয়ে রিয়াজ কে মারতে উদ্ধত হয় তখন মাওবাদী মেয়েটি নোবু বাবুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে | আর সেখান থেকে পালাতে গিয়েই মূর্তিতে ধাক্কা খান তিনি | পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে সে উল্যেক্ষ আছে | তার পরই মূর্তি তার শরীরের উপর পড়ে যায় | তখন মমতা মূর্তি সমেত নোবু বাবুর কে ধরতে গেলে ধারালো বর্শা তার বুকে বিঁধে যায় |
আরতি দেবীর সমস্যা হুল্লা শ্যামল কে নিয়ে | সে আন্ডারগ্রউন্ড | নিজেই সে খুনের আসামি | তার উপর পার্টি তাকে মোটা টাকা দিয়ে কিনেছে | কবিতা ছাড়াও ঘটনার প্রধান সাক্ষী হুল্লা শ্যামল | নিজেকে বাঁচাতে সরকার আর পুলিশ কে সাহায্য করবে যে ভাবে সরকার চায় সে ভাবে |
কোর্টের হিয়ারিং এর দিন গুলোর আগের দু তিন সপ্তাহ বিসি জেলা লক আপ এর মেয়েদের গারোদেই কাটিয়ে দেয় । সময় সময় মতো ভালো খাবার দেয় । একটা মেয়ে পুলিশ এর সাথে তার ভালো ভাব হয়ে গেছে । সে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ডিউটি করে । কিন্তু এখন তার জেলা সংশোধনাগারে কাজ পড়েছে । মেয়েটির নাম তনুজা । বিসি মস্করা করে তাকে হিরোইন বলে ডাকে । বিসির মনে কোনো ভয় নেই জেলই তার নিরাপদ আশ্রয় ।
এর মধ্যে আরতি মৈত্র বিসির খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছেন । আরতি কে বিসি গল্প করেছে হরিদেবপুরের কথা , তার শৈশব , বকুলতলার গ্রাম, বটতলায় তার খেলার শৈশবের সাথী , তার মদমাতাল বাপ সুবলের কথা । আর মদিনার কথা , যে নাকি , বিসির বিশ্বাস ভেঙে তাকে বেচে দিয়েছিলো হুল্লা শ্যামলের হাতে । মোড়ল গ্রাম ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগে সে কথা বিসি জানে না । কবর নেই মদিনার । আরতি অনেক চেষ্টা করেছে , এমন কি পুলিশের সাহায্য নিয়েছে যদি মদন কে খুঁজে পাওয়া যায় । সরকারি পোষ্যের উকিল পাল্টে দিয়েছে সব কাগজই, সেখানে যৌন্য মিলনের ইঙ্গিত থাকলেও রেপ-এর ইঙ্গিত নেই । আরতি মৈত্র বিসি কে বুঝিয়ে তার আদি বাসস্থান আর ঠিকানা কোর্টে জমা দিয়েছে যা সরকারি উকিলের অজানা । আর মমতার নাম উল্যেখ করে নি কোথাও ।
এমন কি পোস্ট মর্টেম-এর রিপোর্ট পাল্টে দেয়া হয়েছে , যেখানে খুনের উল্যেখ না থাকলেও চুরি বিদ্ধ হবার কথা আছে । আরতির বিসি কে দেখলে ময় হয় । বিচার না পেয়ে মেয়েটা সিস্টেমের বলি হবে , এর আগে এমন হাজার হাজার মেয়ে সিস্টেমের বলি হয়েছে । কারাত বাবু আরতির পিছনে আছেন বিসির কেস লড়বার জন্য । নাকি সাহেব বেশ তদারকি করেই সৈকত কে দিয়ে কেস সাজিয়েছেন । আদালতের কি বিচার হবে সেটাই এখন দেখবার বিষয় । যদিও আরতি আর কারাত বাবু জানেন বিসি কে তারা বাঁচাতে পারবেন না , সরকারের সাথে লোরে সরকার কে হারানো বাস্তবে সম্ভব নয় । তার আর নিজের চেয়ারের জোর নেই । আরতি মৈত্র আদতে বিধবা তার এক মেয়ে সুইডেনে কোথাও পড়াশুনা করে , স্বামী মারা গিয়েছেন অনেক আগেই দুরারোগ্য ব্যাধি তে । কিন্তু কারাত বাবুর সাথে আরতির ঘনিষ্টতা নিছকই বন্ধুত্বপূর্ণ । একে অপরকে শ্রদ্ধা করেন । আর দুজনে সৎ বলে সিস্টেম টা পাল্টে দেবার চাপা আগুন দুজনের মধ্যেই । হিয়ারিং এর দিন এসে গেলো দেখতে দেখতে আজ প্রথম দিন, আদালতে পা রাখবার জায়গা নেই । ইতিমধ্যে পারে পারে রিয়াজের স্ট্যাচু বসানো চালু হয়েছে তাকে শহীদ বানিয়ে ।
রাজনীতিতে যা হয় ।