17-02-2022, 10:47 PM
১১.বন্দি - বাবান
মুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আরেক আকাশ। এতদিনের যাত্রাপথে সে যন্ত্রের মতো চালিত.... দায়িত্ব পালনে নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। কখনো পিতা হয়ে, কখনো পুত্র হয়ে, কখনো স্বামী হয়ে। সকলের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তার কাজ... কিন্তু তার মুখের হাসির খবর কজন রেখেছে? হ্যা হয়তো মা রাখতো কিন্তু সেই মা আজ ভাবে ছেলে তো আর ছোটটি নেই তাই ওতো খেয়াল রাখার কি আছে?
আকাশ আকাশকে প্রশ্ন করে - সবই তো করলাম.... পেলাম কি আমি? মুখের হাসি? ওই মানুষগুলোর জন্য সব কিছু উজাড় করার করে ওদের মুখে হাসি তো ফোটালাম... কিন্তু আমি কি পেলাম? একটা ধাক্কা? যেটার অপেক্ষায় ছিলাম বুঝি এতদিন? কর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত ফিরে ছেলের মাকে খুশির চমক দিতে গিয়ে যে এই আকাশ নিজেই বাজের শব্দে চমকে যাবে কে জানতো?
বজ্রপাত পড়েছে... নানা বাইরে নয়, আকাশের মনে। দায়িত্ব পালন করতে করতে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া লোকটা নিজের সবচেয়ে কাছের দুজন পুরুষ নারীকে আজ খুবই অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলেছে যে!
এই জন্যই কি ওই ঘরে শুয়ে থাকা পুরুষটা ছোটবেলা থেকে শিক্ষা দিয়ে আকাশকে বড়ো করলো যাতে একদিন সেই শিক্ষিত আকাশের কাছের মানুষ হয়ে আসে সুন্দরী স্ত্রী.... যে আসলে হবে সেই লোকটার সঙ্গিনী! এইজন্যই কি এতদিনে অপেক্ষায় ছিল সেই সবচেয়ে চেনা মুখের অধিকারী?
আজ কেমন যেন চিনতে কষ্ট হচ্ছে সেই লোকটাকে যাকে ও বাবা বলে...... আর ওই মহিলা যে আকাশের বিশ্বাস ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে সেই লোকটার সাথে খেলায় মত্ত... সে ওর সন্তানের মা...... আচ্ছা ওই সন্তানও কি আকাশের?
আর সহ্য করতে পারেনি আকাশ.... উঠে এসেছিল ছাদে..... চরম পদক্ষেপ নিতে আর কয়েক পা বাকি....ঠিক তখন কে যেন নিচ থেকে বাবা বলে ডাকলো.... আকাশ তাকিয়ে দেখে একটা ছোট্ট বাচ্চা হাসি মুখে হাত নারছে..... আকাশ পিছিয়ে এলো.....
না..... বাঁচতে হবে.... ছেলের জন্য..... ওই বাচ্চাটা ততটাই পবিত্র যতটা এই আকাশ... যে মুক্ত... আজ থেকে এই আকাশ বন্দি হয়েও মুক্ত।
মুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আরেক আকাশ। এতদিনের যাত্রাপথে সে যন্ত্রের মতো চালিত.... দায়িত্ব পালনে নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। কখনো পিতা হয়ে, কখনো পুত্র হয়ে, কখনো স্বামী হয়ে। সকলের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তার কাজ... কিন্তু তার মুখের হাসির খবর কজন রেখেছে? হ্যা হয়তো মা রাখতো কিন্তু সেই মা আজ ভাবে ছেলে তো আর ছোটটি নেই তাই ওতো খেয়াল রাখার কি আছে?
আকাশ আকাশকে প্রশ্ন করে - সবই তো করলাম.... পেলাম কি আমি? মুখের হাসি? ওই মানুষগুলোর জন্য সব কিছু উজাড় করার করে ওদের মুখে হাসি তো ফোটালাম... কিন্তু আমি কি পেলাম? একটা ধাক্কা? যেটার অপেক্ষায় ছিলাম বুঝি এতদিন? কর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত ফিরে ছেলের মাকে খুশির চমক দিতে গিয়ে যে এই আকাশ নিজেই বাজের শব্দে চমকে যাবে কে জানতো?
বজ্রপাত পড়েছে... নানা বাইরে নয়, আকাশের মনে। দায়িত্ব পালন করতে করতে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া লোকটা নিজের সবচেয়ে কাছের দুজন পুরুষ নারীকে আজ খুবই অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলেছে যে!
এই জন্যই কি ওই ঘরে শুয়ে থাকা পুরুষটা ছোটবেলা থেকে শিক্ষা দিয়ে আকাশকে বড়ো করলো যাতে একদিন সেই শিক্ষিত আকাশের কাছের মানুষ হয়ে আসে সুন্দরী স্ত্রী.... যে আসলে হবে সেই লোকটার সঙ্গিনী! এইজন্যই কি এতদিনে অপেক্ষায় ছিল সেই সবচেয়ে চেনা মুখের অধিকারী?
আজ কেমন যেন চিনতে কষ্ট হচ্ছে সেই লোকটাকে যাকে ও বাবা বলে...... আর ওই মহিলা যে আকাশের বিশ্বাস ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে সেই লোকটার সাথে খেলায় মত্ত... সে ওর সন্তানের মা...... আচ্ছা ওই সন্তানও কি আকাশের?
আর সহ্য করতে পারেনি আকাশ.... উঠে এসেছিল ছাদে..... চরম পদক্ষেপ নিতে আর কয়েক পা বাকি....ঠিক তখন কে যেন নিচ থেকে বাবা বলে ডাকলো.... আকাশ তাকিয়ে দেখে একটা ছোট্ট বাচ্চা হাসি মুখে হাত নারছে..... আকাশ পিছিয়ে এলো.....
না..... বাঁচতে হবে.... ছেলের জন্য..... ওই বাচ্চাটা ততটাই পবিত্র যতটা এই আকাশ... যে মুক্ত... আজ থেকে এই আকাশ বন্দি হয়েও মুক্ত।
#বাবান