09-02-2022, 12:38 PM
রাতে পড়ে শেষ করলাম, সুন্দর ভাষায় লেখা একটা ভীতিকর গল্প যা কিনা পাঠকের মনে রাখার মত। হরর থ্রিলার সিনেমার বরাবরই ফ্যান আমি, পড়তেও ভালোই লাগে।
কিছু কথা শেয়ার করি যা কিনা নিজের জীবন থেকে নেয়া।
আসলে কি এমন অনেক কিছুই আছে রহস্যময় পৃথিবীতে যার সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা, কিছু আছে তেমনি ভৌতিক।
নিজে কখনো প্রত্যক্ষ না করলেও এমন মানুষের দেখা পেয়েছি বা কথা বলেছি যারা কিনা সচক্ষে দেখেছে এমন ভৌতিক বিষয় যা তারা দাবি করে, জানিনা কতটা কি সত্যি। অযথা কারো সঙ্গে তর্কে জড়াবো না আমি।
আমার মায়ের গ্রামে কলেজ জীবনের বান্ধবী কল্পনা মাসি (ছদ্মনাম ব্যবহার করছি এখানে তার। যদিও এদেশে আমাদের ধর্মে মায়ের বোন বা বান্ধবী কে খালা বলে সম্বোধন করে থাকি তবে সনাতনবাদী কাউকে মাসি বা পিসি বলে সম্বোধন করলেই তারা খুশি হন) সমবয়স্ক বা কিছু বড়ছোট, তার কাছ থেকে শোনা - তখন সে এবং আমার মা উভয়েই কলেজছাত্রী, একদিন কলেজ শেষে মা বাড়িতে ফিরে আসে এবং কল্পনা মাসি যায় পাশের গ্রামে পরিচিত কোনো এক লোকের শেষকৃত্যে অতঃপর অন্তিম যাত্রা শেষে বাড়ি ফেরে (মাসি নিজে শ্মশানে যায়নি)। শোনা যায় যে সেদিন শ্মশানে কার্য শেষ করতে নাকি কিছুটা দেরি হয় সেদিন কারণ যে পুরোহিত সময়মত সেখানে উপস্থিত ছিলোনা কিছুটা নাকি বিলম্বে আসে পরে। বিষয়টা এখানেই শেষ নয়, তার বেশ কিছুদিন পর সেই পুরোহিত মশাই ওপার বাংলার জলপাইগুড়ি যেখানে কিনা তার মেয়ের শশুরবাড়ি সেখান থেকে এসে গ্রামে উপস্থিত হয়ে সেদিনের সেই শ্রাদ্ধকৃত ব্যাক্তির খোঁজ করেন এবং পুরো বোকা বনে যান! এবং তিনি বিষয়টা অস্বীকার করে বলেন যে তিনি প্রায় কুড়িদিন যাবৎ গ্রামেই ছিলেন না অর্থাৎ যেদিন শ্মশানে সেই মৃত ব্যাক্তির সৎকার হয়েছে তারও সপ্তাহখানেক আগে থেকে তিনি গ্রামে ছিলেন না, গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়! অর্থাৎ সেই পুরোহিত শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন না! বিষয়টা ততক্ষনে ছড়িয়ে গেছে গ্রামে এবং গ্রামের মানুষজন সবাই তাকে নানাভাবে বলতে শুরু করেছে যে সে সশরীরে উপস্থিত ছিল শ্মশানে কিন্তু পুরোহিত মশাই তার কথায় অটল এবং সবাইকে বলেন যে শহরে স্টেশনে গিয়ে খোঁজ করতে যাতে প্রমান হয় যে সে গ্রাম ছেড়ে ওপার বাংলায় গিয়েছিলো কত তারিখে।
আসলে পুরোহিত মশাই মিথ্যে বলবেনই বা কেন? কি লাভ তার?
একদিন কল্পনা মাসি আর মা একসাথে পুরোহিতের বাড়ি উপস্থিত হয়ে বিষয়টা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন যে "শোন খুকিরা, ঠাকুরের দিব্বি যে আমি শ্মশানে যাইনি। আমি ছিলামই না এখানে!"
তো কি আর বলবে তারা? কিছুই বলার নেই। কিন্তু লোকজনের মুখে মুখে ছিল বিষয়টা দীর্ঘদিন যার কোনোই সমাধানে কেউ আসতে পারেনি, পুরোহিতের মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই আর শ্মশানে উপস্থিত লোকজনই কি ভুল দেখলো?
তো এরপর অনেকদিন যাবৎ নাকি সেই শ্মশানের পাশ দিয়ে রাত্রে বেলায় নাকি কেউ যাতায়াতই করতোনা আর দিনের বেলায়ও নাকি একত্রে চলাচল করতো লোকজন তাও খুব কম! স্বাভাবিকভাবেই ভয় ধরে গেছিলো সবার মনে।
পুরোহিত মশাই দেহ রাখেন তারও অনেকবছর পর এবং তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার ভস্ম ছড়িয়ে দেয়া হয় তার সেই গ্রামে তারই ফসলের ক্ষেতে।
এমনকি পুরোহিত মশাইয়ের মেয়ে এবং তার পরিবারও বলেছিলো একই কথা যে তার বাবা তখন ওপারে জলপাইগুড়িতে তাদের সাথেই ছিল!
একবার অনেক আগে আমি নিজে কল্পনা মাসি কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই ব্যাপারে তার উত্তরে সে বলেছিলো যে "শোন বাবু, তোরা আজকালকার ছেলেপুলের কাছে এর কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে কোনোই উত্তর নেই, তোর মাও তখন ছোট আর সেও ছিলো তখন কিন্তু জিজ্ঞেস করে দেখ যে তোর মায়ের কাছেও এর কোনো উত্তর নেই"।
এদিকে মাসির মেয়েরও একই মত ছিল আর সে কখনোই নাকি সেই শ্মশানের কাছে রাত্রে তো নয়ই এমনকি দিনের বেলায়ও যেতোনা, প্রয়োজনে কিছুটা বেশি রাস্তা ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো (শহরে বেশ ভালস্থানে অবস্থাসম্পন্ন লোকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে এবং সে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই আছে বর্তমানে)
তো আমি এব্যাপারে আর বেশিদূর এগোয়নি, কিন্তু এই ভৌতিক বিষয়ের কোনো সমাধান আমার কাছেও নেই। ঘটনার সময় আমার জন্মই হয়নি আর এর ওর কাছ থেকে যতদূর যা শুনেছি তারা কেউই এব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যায় আসতে পারেনি।
আপনারা হয়তো আমার মেসেজ টা পড়ে মন্তব্য করবেন যে "নির্ঘাত গল্প বানিয়েছে একটা", কিন্তু সত্যি বলছি আমি যে কোনোকিছুই মনগড়া বানাইনি মাসির নামটা ছাড়া, শুধু যা শুনেছি তাই শেয়ার করলাম।
ভাবনা চিন্তা মতের ব্যাপারে আপনারা সম্পূর্ণ স্বাধীন।
কিছু কথা শেয়ার করি যা কিনা নিজের জীবন থেকে নেয়া।
আসলে কি এমন অনেক কিছুই আছে রহস্যময় পৃথিবীতে যার সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা, কিছু আছে তেমনি ভৌতিক।
নিজে কখনো প্রত্যক্ষ না করলেও এমন মানুষের দেখা পেয়েছি বা কথা বলেছি যারা কিনা সচক্ষে দেখেছে এমন ভৌতিক বিষয় যা তারা দাবি করে, জানিনা কতটা কি সত্যি। অযথা কারো সঙ্গে তর্কে জড়াবো না আমি।
আমার মায়ের গ্রামে কলেজ জীবনের বান্ধবী কল্পনা মাসি (ছদ্মনাম ব্যবহার করছি এখানে তার। যদিও এদেশে আমাদের ধর্মে মায়ের বোন বা বান্ধবী কে খালা বলে সম্বোধন করে থাকি তবে সনাতনবাদী কাউকে মাসি বা পিসি বলে সম্বোধন করলেই তারা খুশি হন) সমবয়স্ক বা কিছু বড়ছোট, তার কাছ থেকে শোনা - তখন সে এবং আমার মা উভয়েই কলেজছাত্রী, একদিন কলেজ শেষে মা বাড়িতে ফিরে আসে এবং কল্পনা মাসি যায় পাশের গ্রামে পরিচিত কোনো এক লোকের শেষকৃত্যে অতঃপর অন্তিম যাত্রা শেষে বাড়ি ফেরে (মাসি নিজে শ্মশানে যায়নি)। শোনা যায় যে সেদিন শ্মশানে কার্য শেষ করতে নাকি কিছুটা দেরি হয় সেদিন কারণ যে পুরোহিত সময়মত সেখানে উপস্থিত ছিলোনা কিছুটা নাকি বিলম্বে আসে পরে। বিষয়টা এখানেই শেষ নয়, তার বেশ কিছুদিন পর সেই পুরোহিত মশাই ওপার বাংলার জলপাইগুড়ি যেখানে কিনা তার মেয়ের শশুরবাড়ি সেখান থেকে এসে গ্রামে উপস্থিত হয়ে সেদিনের সেই শ্রাদ্ধকৃত ব্যাক্তির খোঁজ করেন এবং পুরো বোকা বনে যান! এবং তিনি বিষয়টা অস্বীকার করে বলেন যে তিনি প্রায় কুড়িদিন যাবৎ গ্রামেই ছিলেন না অর্থাৎ যেদিন শ্মশানে সেই মৃত ব্যাক্তির সৎকার হয়েছে তারও সপ্তাহখানেক আগে থেকে তিনি গ্রামে ছিলেন না, গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়! অর্থাৎ সেই পুরোহিত শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন না! বিষয়টা ততক্ষনে ছড়িয়ে গেছে গ্রামে এবং গ্রামের মানুষজন সবাই তাকে নানাভাবে বলতে শুরু করেছে যে সে সশরীরে উপস্থিত ছিল শ্মশানে কিন্তু পুরোহিত মশাই তার কথায় অটল এবং সবাইকে বলেন যে শহরে স্টেশনে গিয়ে খোঁজ করতে যাতে প্রমান হয় যে সে গ্রাম ছেড়ে ওপার বাংলায় গিয়েছিলো কত তারিখে।
আসলে পুরোহিত মশাই মিথ্যে বলবেনই বা কেন? কি লাভ তার?
একদিন কল্পনা মাসি আর মা একসাথে পুরোহিতের বাড়ি উপস্থিত হয়ে বিষয়টা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন যে "শোন খুকিরা, ঠাকুরের দিব্বি যে আমি শ্মশানে যাইনি। আমি ছিলামই না এখানে!"
তো কি আর বলবে তারা? কিছুই বলার নেই। কিন্তু লোকজনের মুখে মুখে ছিল বিষয়টা দীর্ঘদিন যার কোনোই সমাধানে কেউ আসতে পারেনি, পুরোহিতের মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই আর শ্মশানে উপস্থিত লোকজনই কি ভুল দেখলো?
তো এরপর অনেকদিন যাবৎ নাকি সেই শ্মশানের পাশ দিয়ে রাত্রে বেলায় নাকি কেউ যাতায়াতই করতোনা আর দিনের বেলায়ও নাকি একত্রে চলাচল করতো লোকজন তাও খুব কম! স্বাভাবিকভাবেই ভয় ধরে গেছিলো সবার মনে।
পুরোহিত মশাই দেহ রাখেন তারও অনেকবছর পর এবং তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার ভস্ম ছড়িয়ে দেয়া হয় তার সেই গ্রামে তারই ফসলের ক্ষেতে।
এমনকি পুরোহিত মশাইয়ের মেয়ে এবং তার পরিবারও বলেছিলো একই কথা যে তার বাবা তখন ওপারে জলপাইগুড়িতে তাদের সাথেই ছিল!
একবার অনেক আগে আমি নিজে কল্পনা মাসি কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই ব্যাপারে তার উত্তরে সে বলেছিলো যে "শোন বাবু, তোরা আজকালকার ছেলেপুলের কাছে এর কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে কোনোই উত্তর নেই, তোর মাও তখন ছোট আর সেও ছিলো তখন কিন্তু জিজ্ঞেস করে দেখ যে তোর মায়ের কাছেও এর কোনো উত্তর নেই"।
এদিকে মাসির মেয়েরও একই মত ছিল আর সে কখনোই নাকি সেই শ্মশানের কাছে রাত্রে তো নয়ই এমনকি দিনের বেলায়ও যেতোনা, প্রয়োজনে কিছুটা বেশি রাস্তা ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো (শহরে বেশ ভালস্থানে অবস্থাসম্পন্ন লোকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে এবং সে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই আছে বর্তমানে)
তো আমি এব্যাপারে আর বেশিদূর এগোয়নি, কিন্তু এই ভৌতিক বিষয়ের কোনো সমাধান আমার কাছেও নেই। ঘটনার সময় আমার জন্মই হয়নি আর এর ওর কাছ থেকে যতদূর যা শুনেছি তারা কেউই এব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যায় আসতে পারেনি।
আপনারা হয়তো আমার মেসেজ টা পড়ে মন্তব্য করবেন যে "নির্ঘাত গল্প বানিয়েছে একটা", কিন্তু সত্যি বলছি আমি যে কোনোকিছুই মনগড়া বানাইনি মাসির নামটা ছাড়া, শুধু যা শুনেছি তাই শেয়ার করলাম।
ভাবনা চিন্তা মতের ব্যাপারে আপনারা সম্পূর্ণ স্বাধীন।