08-02-2022, 09:50 AM
# নানা_রঙের_প্রেম
-"গুড মর্নিং"
-"মর্নিং"
-"কিরে, উইকএন্ড কেমন কাটল?"
-"ভালোই। তোর?"
-"জাস্ট ল্যাদ খেয়ে কাটালাম। তোর বাড়িতে পুজো হয়?"
-"হ্যাঁ রে... ওই নিয়েই কেটে গেল..."
-"জ্জিও! খিচুড়ি এনেছিস? প্রসাদ?"
-"না তো!"
-"কোনো কাজের না তুই! একটু তো আনতে পারতিস... ভাবতেই পারতিস, বেচারা ছেলেটা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে পড়ে আছে... ভাল-মন্দ সেভাবে খেতে পায় না... কোনো দয়া-মায়া নেই তোর, সত্যি!"
-"ভাল-মন্দ খাস না বলিস না, এই তো শুক্রবার অফিস থেকে ফেরার পথে বিরিয়ানি সাঁটিয়েছিস! ফেসবুকে দেখেছি আমি।"
-"তাও, সরস্বতী পুজোর প্রসাদ কা আনন্দ তুম ক্যায়া জানো রিমি বাবু!"
-"উফফফ! নাটক! এই নে, তোর জন্য এনেছি। কিন্তু আর কাউকে বলিস না প্লিজ... অফিসে শুধু তোর জন্যই এনেছি।"
-"এনেছিস? লাভলি! এইজন্যই তো তোকে এত ভা... মানে এত ভাল তুই!"
-"পেটুক কোথাকার!"
-"আমিও তোর জন্য একটা জিনিস এনেছি।"
-"আমার জন্য? কি?"
-"মেলিন্ডা রোজের নাম শুনেছিস?"
-"মেলিন্ডা রোজ? ঠিক মনে পড়ছে না রে..."
-" কানাডার একটি ১২ বছরের মেয়ে এই মেলিন্ডা রোজ। দুর্লভ একধরণের ব্লাড ক্যানসার হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি হাল ছাড়েনি, জানিস? প্রতিদিন অনেক মানুষকে, ক্যানসার পেশেন্টদের উদ্বুদ্ধ করত। হাসি ছড়াত। সেই মেয়েটির কথা ভেবেই প্রতিবছর ২২শে সেপ্টেম্বর 'ওয়ার্ল্ড রোজ ডে' পালন করা হয়। "
-"বাহ্... কত কি জানার আছে..."
-"হ্যাঁ, আর তাই তো তোর জন্য এই গোলাপটা আনলাম..."
-"কিন্তু আজ তো ২২শে সেপ্টেম্বর না!"
-"তাতে কি? তুই ও তো হাসি ছড়াস চারিদিকে। অতিমারির সময় যখন আমরা ভাবতাম সব শেষ হয়ে যাবে, তুই আমাদের অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রোজ কতভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত করতিস। সত্যি বলতে কি, তোর জন্যই নতুন করে বাঁচতে পেরেছি। তাই এটা তোর জন্য রিমি।"
-"ও... আই অ্যাম ফ্লাটার্ড, রাতুল। থ্যাংকইউ। আমি কিন্তু কিছু ভেবে করিনি। মানে... জাস্ট যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই লিখতাম গ্রুপে।"
-"জানি...তাই তো তুই সবার থেকে আলাদা। কাঁটা নিয়েও আলো ছড়াতে পারিস।"
-"আচ্ছা! খুব ভাল ভাল কথা বলছিস! কি ব্যাপার রে?"
-"গভীর ব্যাপার হ্যাজ! কাল জানতে পারবি... এখন কাজে বসি।"
-"কাল... কাল... এই হনুমান রাতুল... কাল তো প্রোপোজ ডে...উফ, কানে হেডফোন লাগিয়ে হাসছিস... দাঁড়া, দেখ আমি কি করি..."
-"ছোটবেলায় পড়িস নি? পুষ্প নিজের জন্য ফোটে না, পরের জন্য নিজের হৃদয়-কুসুম প্রস্ফুটিত করিও? তুই হৃদয় প্রস্ফুটন কর...বাকিটা কাল বলব.."
-"ধ্যাত!"
-"গুড মর্নিং"
-"মর্নিং"
-"কিরে, উইকএন্ড কেমন কাটল?"
-"ভালোই। তোর?"
-"জাস্ট ল্যাদ খেয়ে কাটালাম। তোর বাড়িতে পুজো হয়?"
-"হ্যাঁ রে... ওই নিয়েই কেটে গেল..."
-"জ্জিও! খিচুড়ি এনেছিস? প্রসাদ?"
-"না তো!"
-"কোনো কাজের না তুই! একটু তো আনতে পারতিস... ভাবতেই পারতিস, বেচারা ছেলেটা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে পড়ে আছে... ভাল-মন্দ সেভাবে খেতে পায় না... কোনো দয়া-মায়া নেই তোর, সত্যি!"
-"ভাল-মন্দ খাস না বলিস না, এই তো শুক্রবার অফিস থেকে ফেরার পথে বিরিয়ানি সাঁটিয়েছিস! ফেসবুকে দেখেছি আমি।"
-"তাও, সরস্বতী পুজোর প্রসাদ কা আনন্দ তুম ক্যায়া জানো রিমি বাবু!"
-"উফফফ! নাটক! এই নে, তোর জন্য এনেছি। কিন্তু আর কাউকে বলিস না প্লিজ... অফিসে শুধু তোর জন্যই এনেছি।"
-"এনেছিস? লাভলি! এইজন্যই তো তোকে এত ভা... মানে এত ভাল তুই!"
-"পেটুক কোথাকার!"
-"আমিও তোর জন্য একটা জিনিস এনেছি।"
-"আমার জন্য? কি?"
-"মেলিন্ডা রোজের নাম শুনেছিস?"
-"মেলিন্ডা রোজ? ঠিক মনে পড়ছে না রে..."
-" কানাডার একটি ১২ বছরের মেয়ে এই মেলিন্ডা রোজ। দুর্লভ একধরণের ব্লাড ক্যানসার হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি হাল ছাড়েনি, জানিস? প্রতিদিন অনেক মানুষকে, ক্যানসার পেশেন্টদের উদ্বুদ্ধ করত। হাসি ছড়াত। সেই মেয়েটির কথা ভেবেই প্রতিবছর ২২শে সেপ্টেম্বর 'ওয়ার্ল্ড রোজ ডে' পালন করা হয়। "
-"বাহ্... কত কি জানার আছে..."
-"হ্যাঁ, আর তাই তো তোর জন্য এই গোলাপটা আনলাম..."
-"কিন্তু আজ তো ২২শে সেপ্টেম্বর না!"
-"তাতে কি? তুই ও তো হাসি ছড়াস চারিদিকে। অতিমারির সময় যখন আমরা ভাবতাম সব শেষ হয়ে যাবে, তুই আমাদের অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রোজ কতভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত করতিস। সত্যি বলতে কি, তোর জন্যই নতুন করে বাঁচতে পেরেছি। তাই এটা তোর জন্য রিমি।"
-"ও... আই অ্যাম ফ্লাটার্ড, রাতুল। থ্যাংকইউ। আমি কিন্তু কিছু ভেবে করিনি। মানে... জাস্ট যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই লিখতাম গ্রুপে।"
-"জানি...তাই তো তুই সবার থেকে আলাদা। কাঁটা নিয়েও আলো ছড়াতে পারিস।"
-"আচ্ছা! খুব ভাল ভাল কথা বলছিস! কি ব্যাপার রে?"
-"গভীর ব্যাপার হ্যাজ! কাল জানতে পারবি... এখন কাজে বসি।"
-"কাল... কাল... এই হনুমান রাতুল... কাল তো প্রোপোজ ডে...উফ, কানে হেডফোন লাগিয়ে হাসছিস... দাঁড়া, দেখ আমি কি করি..."
-"ছোটবেলায় পড়িস নি? পুষ্প নিজের জন্য ফোটে না, পরের জন্য নিজের হৃদয়-কুসুম প্রস্ফুটিত করিও? তুই হৃদয় প্রস্ফুটন কর...বাকিটা কাল বলব.."
-"ধ্যাত!"