Thread Rating:
  • 57 Vote(s) - 3.44 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
HORROR ভয় - বাবান
#50
Star 
[Image: 20220201-000617.jpg]


শেষ পর্ব 

সেদিনের মতো সুভাষ দার থেকে ঐটুকুই শুনে কাজে মনোযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু মাথায় যেন সুভাষদার কথা গুলো ঘুরপাক খাচ্ছিলো। গল্পে পড়া বা ভিডিও তে দেখা এক ব্যাপার কিন্তু পাশের চেয়ারে বসে থাকা মানুষটা যাকে এতদিন চিনি তার মুখ থেকে শোনা আরেক ব্যাপার। এরপর অনেকদিন কেটে গেছে। এর মধ্যে আরও কয়েকটা ঘটনা ঘটেছিলো। সেটাই এখন তুলে ধরছি আমার মতো করে।

সুভাষদার সাথে এর মধ্যে তেমন আর কিছু না ঘটে থাকলেও ওনার নাকি মনে হতে মাঝে মাঝে কেউ যেন ওনার গায়ে একদমই গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে.... কিন্তু পাশের স্থান শুন্য। এটা নাকি বিট্টুর সাথে কয়েকবার হয়েছে। সেই ঘটনাই বলি।

একদিন বিট্টু নিজের টেবলে বসে কলেজের হোমওয়ার্ক করছিলো। ছন্দা বৌদি নাকি ওকে নিজের কাজ করতে বলে চা বানাতে গেছেন। যাবার সময় সুভাষ দা কে ওর কাছে বসতে বলে গেছিলেন। উনিও বসার ঘর থেকে উঠে শোবার ঘরে (বেডরুমের বিছানার মাথার দিকের দেয়ালের সাথেই সেই টেবিল) এসে বিছানায় বসে ফোনে হয়তো কিছু দেখছিলেন। উনি হয়তো সেটা দেখতে ব্যাস্ত ছিলেন, একটু পরেই মুখ তুলে ছেলে কেমন পড়া করছে দেখার জন্য সেদিকে তাকাতেই দেখেন বিট্টু ওপাশে অর্থাৎ খোলা দরজার দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখছে.... তারপরে মাথাটা নামিয়ে টেবিলের নিচে কিছু দেখছে।

- কিরে? কি খুজছিস তুই? কিছু পড়ে গেছে?

সুভাষ দার প্রশ্নে বিট্টু বাবার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েও যেন থেমে গেলো তারপরে আবার হাতের দিকে তাকিয়ে অবাক চোখে বাবার দিকে তাকালো।

- কি? কি হয়েছে.. ঐভাবে হাত দিয়ে অন্য হাতে হাত বোলাচ্ছিস কেন? ব্যাথা করছে নাকি?

বিট্টু না সূচক মাথা নেড়ে ওর বাবাকে বললো - না বাবা.... মনে হলো..... মানে....

- কি? কি মনে হলো?

- না মানে মনে হলো হাতের ওপর কিছু একটা....

ছেলের কথা শুনে সুভাষদা ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন ব্যাপারটা কি? তাতে বিট্টু জানায় ও একটা লেখা লিখছিলো তখন ওর ডানহাতের কনুইয়ের কাছে নাকি একবার মনে হয়েছিল কিছু ঠেকলো। ও একবার তাকিয়ে কিছু নেই দেখে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে আবার নিজের কাজে মন দেয়। কিন্তু একটু পরে আবার ওর মনে হয় ওর কনুই এর কাছে আবার নরম কি যেন ঠেকলো। যেন কিছু ছিল ওখানে... আর একি সাথে চেয়ারে বসা অবস্থায় টেবিলের তলায় ওর ঝুলন্ত পায়ের পাতার ওপর কিছু যেন স্পর্শ হলো। বিট্টু প্রথমে ভেবেছিলো ওই বেড়ালটা বোধহয় আবার ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কই? নিচু হয়ে দেখে কিছুই নেই। আর এক পলকের জন্য ওর মনে হয়েছিল কে যেন খোলা দরজা দিয়ে সট করে অন্য দিকের ওই বসার ঘরে চলে গেলো। বিট্টু সেই জন্যই খোলা দরজার দিকে তাকিয়ে ছিল আর তখনি সেটা দেখে সুভাষ দা ওকে ওই প্রশ্ন করেছিল।

এর পরের ঘটনাটাও বড়ো অদ্ভুত। এটা আবার কয়েকদিন পরের ঘটনা। তখন কটা রাত বেজেছিল খেয়াল করেনি সুভাষ দা। ঘুমটা যে ভেঙে কেন গেছিলো বোঝেনি দাদা। সচরাচর এমন হয়না ওর। আধ বোজা চোখেই ও সামনে তাকায়। ঘরে একটা সবুজ নাইট ল্যাম্প জ্বলছিল। তারই হালকা আলোয় দাদা দেখে বৌদি শুয়ে। মুখ বোঝা যাচ্ছেনা কিন্তু বৌদি বা বিট্টু ছাড়া আর কে হবে? উনি আবার চোখ বুজে ফেললো আর একটু পরে ওপাশ ফিরে শোবার সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই মতো দাদা ওপাশ ফিরতেই অবাক। একি? দাদা ধারে শোয় আর বৌদি ওপাশের দেয়ালের দিকে আর মাঝে বিট্টু। দাদা এপাশে ফিরতেই দেখলেন এদিকেও কেউ শুয়ে! তবে এদিকে দুটো মাথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তারমানে এটাই দেয়ালের দিক অর্থাৎ বাঁ দিক। ঘুমের ঘরে তখন দাদা ডান বাম গুলিয়ে ফেলেছিলো। কিন্তু এটা যদি বাঁ দিক হয় তাহলে তখন যে ঐপাশে মনে হলো কেউ শুয়ে? একদম মাথা বরাবর? ওপাশে কেউ কিকরে শুতে পারে? ওই জায়গা টুকু সুভাষদার প্রায় একারই লাগে। ওখানে আরেকজনের শোবার কোনো জায়গাই নেই.... তাহলে? 

দাদা চট করে ওপাশ ফিরে দেখেন ওনার কোলবালিশ টা ওনার মাথার একদমই মাথার বালিশের ওপর উঠে গেছে। তাহলে কি এটাকেই উনি ভুল করে.....? তা নয়তো আর কি হবে এই ভেবে উনি আবার শুয়ে পরে। কিন্তু তার একটু পরেই অনেকটা দূর থেকে যেন যেন ভেসে এলো একটা হালকা হাসি..... কেউ কি হাসলো? কেউ কি এখনো জেগে কারোর সাথে গল্প হাসি, ঠাট্টা করছে? সেই হাসিই কি এতদূর বয়ে নিয়ে আসলো বাতাস? জানেনা সুভাষ দা...... উনি আবার নিদ্রায় মন দেন।

এইসব শুনে একদিন আমিও এক শনিবার রাতে গেছিলাম সুভাষ দার বাড়িতে। যদিও এর আগে একবার দাদার বাড়িতে গেছিলাম তবে সেটা ছিল ওনাদের নিজের বাড়ি। এই নতুন ভাড়া বাড়িটা ওনাদের বাড়ি থেকে খুব দূরে না হলেও বেশ ভেতরের দিকে। রাস্তা চেনা না থাকলে ভুল করে অন্য জায়গায় চলে যাবার সম্ভাবনা অনেক। তাই *****মিষ্টির দোকানটার সামনে দাঁড়িয়ে দাদাকে আরেকবার ফোন করায় দাদা রাস্তা বলে দিয়েছিলো। সুভাষদাদার বাড়ির লোকও আমায় চিনতেন তাই নতুন করে পরিচয় পর্ব সারার প্রয়োজন পড়েনি।

আমি যদিও বলেছিলাম অনেকদিন আসা হয়নি বলে বেড়াতে এসেছি কিন্তু দাদা মনেহয় ধরতে পেরেছিলো আমার আসার আসল কারণ। সত্যিই... দাদার কাছ থেকে এসব ঘটনা শোনার পর আমারও কেমন মনে হচ্ছিলো একবার বাড়িটা দেখতে হবে, কেমন যেন একটা আকর্ষণ অনুভব করেছিলাম বাড়িটার প্রতি। যে এলাকায় এই বাড়ি সে নিজেই এতো নিস্তব্ধ যে কেমন কেমন লাগে..... ওই গলিতে ঢোকার চারটে বাড়ির পরে এই বাড়িটা. আর তার উল্টোদিকে আরেকটু এগিয়ে একটা পুকুর। গলিতে ঢোকার পর থেকেই আমার হটাৎই কেমন কেমন যেন লাগছিলো। যেন অচেনা কেউ এসে পড়েছে অন্য কারোর জায়গায়... যেন কেউ পছন্দ করছেনা সেইটা.... যদিও আমার এই অনুভূতির কারণ হতে পারে দাদার মুখ থেকে ঐসব ঘটনা। যা আমি যত ওই বাড়ির কাছে পৌঁছচ্ছিলাম ততই যেন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছিল।

দাদার পুরো পরিবারের সাথে কিছুক্ষন গল্প করার পর আমরা দুজন একান্তে বসে কিছুক্ষন গল্প করেছিলাম। বিট্টুর জন্য একটা বড়ো চকলেট এনেছিলাম সেটা পেয়ে সেও খুশি হয়ে তখনি খেতে খেতে মায়ের সাথে নিজের ঘরে চলে গেছিল। আমি আর সুভাষ দা দুজনে বারান্দায় দুটো চেয়ারে বসে। কিছুক্ষন যেন কোনো কথা নেই দুজনের মুখে। যেন আমরা দুজনেই কিছু অনুভব করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই নিরাবতা বেশিক্ষন টানতে না পেরে আমিই কথা বলা শুরু করি

- তো... বাড়িটা তো বেশ ভালোই.... পুরোনো দিনের বাড়ি কিন্তু বেশ ভালোই কন্ডিশনে আছে.... এমন একটা বাড়িতে.......

দাদা নিজের চোখ দুটো একদম ছোট করে কি একটা ভেবে বললো - আমার কি মনে হয় জানিস? প্রব্লেমটা এই বাড়ির... মানে আমরা যে পোরশনে থাকি তার নয়..... প্রব্লেমটা ওই অন্য পাশের।

- মানে যেটা বন্ধ থাকে?

- হুমম

- কেন এমন বলছো? তুমি কি কিছু জানতে পেড়েছো?

- না...... আমি কিছু জানতে পারিনি... তবে আমি এইটুকু বলতে পারি এই ব্যাপারের সাথে বাড়ির মালিকের সরাসরি কোনো যোগ নেই.... উনি সত্যিই একজন ভালো মানুষ..... বাড়ির মালিক মানেই যে একটা ধারণা হয় তার ধারেকাছ দিয়েও উনি যাননা..... নিপাট শান্ত স্বভাবের ভদ্রলোক...আমি ভাবি ওনার দোতলাতেও কি সমস্যা হয়?

- সেটা হলেও কি উনি বলে বেড়াবেন? তবে তুমি বলছো... এতে ওনার কোনো হাত নেই..... তাহলে কি হতে পারে ভাবছো?

- আমার নিজের এক কলেজের ফ্রেন্ড বুঝলি..... এই এলাকাতে আগে থাকতো....এখন ব্যারাকপুরের দিকে নতুন ফ্ল্যাটে উঠে গেছে। কিন্তু  সেদিন বাজারে দেখা। সেও বাজার করতেই এসেছিলো। তো ওর সাথে দেখা হবার পর আর কিছুক্ষন গপ্পো মারার পর ওকে জানাই যে আমাদের বাড়ি ফ্লাট হচ্ছে.... আর এটাও যে আমরা কোথায় উঠেছি । বলতেই চিনতে পারলো ও বাড়িটা। নিজেই বাড়ির মালিকের নাম বললো। একবার দুবার নাকি কলেজে পড়ার সময় ওদিকের পেছনের রাস্তা দিয়ে শর্টকাটে মাঠে খেলতে যেত। কিন্তু ওর কথা শুনে এই বাড়ি সম্পর্কে কোনো অন্য রকম ব্যাপার ও জানেনা বা শোনেনি। কারণ ও কিছু জানলে নিশ্চই আমায় বলতো এই বাড়ি সম্পর্কে। আমায় সতর্ক করতো। কিন্তু সেসব কিছুই বল্লোনা সে..... শুধু একটা কথা ছাড়া..... এই বাড়িতে নাকি এককালে এই বাড়ির কেউ একজন গলায় দড়ি দিয়েছিলো...... এটা আমার বন্ধুও নাকি ওর বাবার থেকে ছোটবেলায় শুনেছিলো। এই বাড়ির কেউ একজন নাকি উন্মাদ হয়ে যান.... সে মহিলা কিনা পুরুষ ছিল জানিনা.... ও নিজেও জানেনা। সে যে কোথায় এই কান্ড ঘটিয়েছিল.. একতলা নাকি দোতলা... আমাদের এইদিকের অংশে নাকি ওদিকের অংশে কিছুই জানেনা ও..... কিন্তু আমি ভাবছিলাম তাহলে কি সেটার সাথেই কি এর কোনো যোগাযোগ আছে কিনা...... এমনিতে কিন্তু এমন একটা বাড়ি ভাড়া হিসেবে পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার... তুই তো দেখলি কেমন বড়ো বড়ো ঘর।

সুভাষ দা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু তখন ভেতর থেকে বৌদি দাদাকে ডাকেন। দাদাও আমাকে 'তুই বস.. আমি আসছি' বলে ভেতরে চলে গেলেন। আমি বসে এদিক ওদিক দেখতে লাগলাম। সত্যি বেশ ভালো বাড়ি পেয়েছে সুভাষ দা রা। আমি ভাবছিলাম একটা টান দেবো কিন্তু অন্যের বাড়িতে... বিশেষ করে যেখানে দুজন গুরুজন আছেন সেখানে সেটা করা উচিত হবেনা। তাই বসে নিজের পায়ের ওপর পা তুলে নাড়তে নাড়তে আনমনে একটা গুনগুন করছিলাম। পেছন থেকে খালি পায়ের এগিয়ে আসার শব্দ কানে আসতেই আমি বললাম - সত্যি দাদা.... বাড়িটা কিন্তু দারুন পেয়েছো.... তাও.. কতটা জায়গা নিয়ে এই বাড়িটা? জানো?

কোনো উত্তর না পেয়ে আমি মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম। আমার পেছনে........... কেউ নেই। কিন্তু আমি যে পায়ের শব্দ পেয়েছিলাম..... এদিকেই এগিয়ে আসছিলো মনে হলোতো। গা টা কেমন ছ্যাত করে উঠলো। একটা কেমন শিহরণ খেলে গেল শরীরে। আমি মোটেও ভীতু মানুষ নই... নইলে সুভাষ দাদার কথা শুনে ইন্টারেস্টেড হয়ে এখানে আসতামই না। কিন্তু এখন... এই মুহূর্তে আমার ভেতর থেকে একটাই অনুভূতির জাগরণ হচ্ছিলো... সেটা কি ভয় বলা উচিত নাকি সংশয় জানিনা। কিন্তু আমি যে পায়ের আওয়াজ পেয়েছি তাতে ভুল নেই। আমি আবার সামনে তাকালাম। বারান্দায় টিউব লাইট জ্বলছে। বাইরে ওই ল্যাম্প পোস্টার আলোটা দেখতে পাচ্ছি আর বাঁ দিকের কোনে তাকে ওই পুকুরের জলও দেখা যাচ্ছে.. মাঝে ঝোপঝার আর দু তিনটে নারকেল গাছ। হটাৎ কেন জানি ওই মুহূর্তেই মনে পড়লো দাদার সাথে ঘটে যাওয়া ওই বেড়ালের ঘটনাটা... এখানেই তো!!....... উফফফ! এখনি এসব মনে পড়তে হলো?

আমি কেন জানি একা ঠিক বসে থাকতে পারছিলাম না। কেমন জানি লাগছিলো। ভাবছি উঠে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো... তখনি দেখলাম সুভাষ দা এলো আবার বারান্দায়। উফফফ যেন একটা চাপ হালকা হয়ে গেলো। দাদা এসে বলেছিলো বৌদি নাকি বলেছে আমাকে খেয়ে যেতে কিন্তু আমি বারণ করে দিয়েছিলাম। জাস্ট এমনি বেড়াতে এসেছি... ওটা ঠিক মানায় না। দাদাও জোর করেছিল কিন্তু আমি রাজি হইনি... আগের থেকে ঠিক করে আসলে অন্য ব্যাপার হতো। যাইহোক দাদা বৌদিকে আরেকবার চা করতে বলে আমার পাশে এসে বসলো। হাতের ইশারায় আমাকে বোঝাল - সিগারেট এনেছি কিনা?

আমি - কিন্তু.. কাকু কাকিমা.....

দাদা বলল - নানা... ওরা আসবেনা।  তুই দে না.. আমারটা আনতে আবার ঘরে যেতে হবে।

আমি দুটো বার করে একসাথেই দুটো ধরিয়ে একটা দাদাকে দিলাম। সুখটান দিয়ে দাদা হেলান দিয়ে বসে সামনে তাকিয়ে রইলো। আমিও ধোয়া ছেড়ে তাকিয়ে রইলাম সামনে। দাদা বললো -

- পরশু... নাকি তার আগের দিন? কবে যেন? হ্যা হ্যা মনে পড়েছে দুদিন আগে..... কারেন্ট অফ হয়েছিল এদিকে।

- কখন অনেক রাতে?

- উহু..... ওই আটটা নাগাদ.... এলো সেই সাড়ে নটা নাগাদ.... একেই এই অসাধারণ আবহাওয়া তো দেখছিস..... তার মধ্যে কারেন্ট মায়ের ভোগে.... আমাদের আবার শালা হাতপাখা গুলোও নেই.... কি আর করার আমি বাবা মা ছন্দা বিট্টু সবাই সেদিন এই এখানেই এসে চেয়ার নিয়ে বসে ছিলাম। মাঝে মাঝে এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়লে যেমন রাগ হয়, তেমনি সেই পরিস্থিতি মেনে নিয়ে একসাথে বসে আড্ডা দিতেও হেব্বি লাগে... আমরাও সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছি। ছেলেটা আমার কোলে বসে গেম খেলছে। আমরা আমাদের মতন নানা কথা বলছি..... পুরোনো কিছু কথা... ওই কিছু পি এন পি সি ও ছিল তার মধ্যে... সে যাই হোক.... বেশ জমে উঠেছিল আড্ডাটা অন্ধকারে মোমবাতির আলোয়।

বেশ কিছুক্ষন এই পারিবারিক আড্ডা চলার পর আমরা একটু নিস্তব্ধ মানে সাইলেন্ট মোডে গিয়ে বাইরের অন্ধকার আকাশ দেখছি। মাঝে মাঝে একটা বাতাস এসে আমাদের একটু হলেও ঠান্ডার অনুভূতি দিচ্ছে। আমার হটাৎ একবার বাথরুমে যাবার প্রয়োজন মনে হতে - তোমরা বসো আমি আসছি বলে উঠতে যাবো তখন বাবাও বলল সে সেও যাবে একই কাজে। আমরা দুজন উঠে ঘরের দিকে আসতে লাগলাম। ছেলেকে গেমটা পস করতে বলে ওটা সাথে নিয়ে নিলাম ফ্ল্যাশ লাইটের জন্য। মা, ছন্দা আর বিট্টু ওখানেই বসে রইলো।

সুভাষ দার কথার মাঝেই বৌদি চা নিয়ে এলেন। তিনিও আরেকবার বললেন খেয়ে যেতে কিন্তু আমি হেসে বললাম পরেরবার নিশ্চই খেয়ে যাবো। আজকে একটু পরেই ফিরতে হবে আমায়। বৌদি চলে গেলেন। আমরাও আবার দুদিন আগের মুহূর্তে ফিরে গেলাম।

- বাবা আর আমি রান্নাঘর ক্রস করে বাথরুমের সামনে পৌঁছে গেলাম। বাবার হাতে ফোনটা ধরিয়ে বাবাকে আগে পাঠিয়ে দিলাম। বললাম দরজা বন্ধ করতে হবেনা..... তুমি করে নাও।আমি বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম। বাবা ফোনটা নিয়ে বাথরুমে যেতেই এতক্ষণের ছড়িয়ে থাকা আলোর যতটুকু দৃঢ়তা ছিল প্রায় পুরোটাই হ্রাস পেলো। প্রায় সবটাই হারিয়ে গিয়ে আবার জমাট অন্ধকার ঘিরে ধরলো আমায়। বাথরুমের বাইরেটায় আমি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি। দরজাটা খোলা থাকায় ভেতর থেকে হালকা আলোর অংশ দেখতে পাচ্ছিলাম কিন্তু আমার চারিপাশে কালো।

হটাৎ আবার কেমন যেন করে উঠল শরীরটা। এই একটু আগে পর্যন্ত কোনো ভয় বা অন্য অনুভূতি ছিলোনা আমার। কিন্তু এবারে হটাৎ একটা গা শিরশিরে অনুভূতি হচ্ছিল। না চাইতেও অতীতের ঘটনাগুলো মনে পড়ছিলো। উফফফ এতো রাগ হচ্ছিলনা নিজের ওপর... ওগুলো মনে পড়ার আর সময় পেলাম না? এখনই মনে পড়তে হবে? কিন্তু কি করার? ওটা যে আমার হাতে নেই। বার বার চোখটা খোলা দরজার দিকে চলে যাচ্ছে। সেই দরজা বরাবর ভেতরের ঘরের ওপাশের দেয়ালের জানলা। খোলা সেটি। ঘর অন্ধকার কিন্তু বাইরে অতটাও অন্ধকার কার নয় চাঁদের জন্য। তাই হালকা আলো ঢুকছে ওই জানলা দিয়ে। আর আমার চোখ বার বার সেদিকেই যাচ্ছে। আমি জানি জানলার ওপাশে কিচ্ছু নেই, থাকতে পারেনা... কিন্তু ভয় নানারকম মুখ ফুটিয়ে তুলছে আমার সামনে। এই যেন কেউ জানলা দিয়ে উঁকি দিলো, এই বুঝি কেউ জানলার সামনে থেকে সরে গেল. উফফফ অসহ্য!

বাথরুমের আওয়াজ বন্ধ হতেই বুঝলাম এবার বাবা বেরোবে... ঐযে আলোটার জোর বাড়ছে... বাবা বেরিয়ে আসছে। আবার একটু একটু করে অন্ধকার কেটে হালকা অল্প আলোয় ভোরে উঠল বাথরুমের বাইরেটা। বাবা বেরিয়ে ফোনটা আমায় ধরিয়ে দিলো। আমি বাবাকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বললাম। অন্ধকারে ফিরতে গিয়ে আবার না কিছু ঘটে তাই আমি আগে আসি তারপরে একসাথে ফিরবো। আমি এবারে ঢুকলাম ভেতরে। বাবা বাইরে দাঁড়িয়ে রইলো।

আমি আমার কাজ সারতে লাগলাম ... মানে হালকা হচ্ছি। আমার হাতে আমার ফোন। তার থেকে বেরোনো আলোয় আমার সামনের দেয়ালে ফুটে উঠেছে আমার ইয়া বড়ো একটা ছায়া। টয়লেট করতে করতে কি জানি কি ভেবে একবার আমি পেছন ফিরে তাকালাম আর তখনি মনে হলে বাথরুমের খোলা দরজাটার সামনে থেকে কেউ স্যাট করে সরে গেলো। এক মুহূর্তের জন্য চমকে উঠেছিলাম। বুকটা ছ্যাত করে উঠেছিল মাইরি। মানে আমি এই যতটুকু সময় ইয়ে করছিলাম ততক্ষন কি আমার পেছনে ওই দরজার কাছে কেউ দাঁড়িয়ে আমায় দেখছিলো? উফফফফফ এমন একটা ভাবনা ওই মুহূর্তে আসা যে নিজের জন্য কি সাংঘাতিক বুঝতেই পারছিস?

আমি আমার হাতের আলোটা আমার দিক থেকে সরিয়ে দরজার দিকে ফেললাম আর ওই ভাবেই ধরে বাকি কাজ সারতে লাগলাম। একবার ভাবছি ওটা কি বাবা ছিল? কিন্তু বাবা হটাৎ এমন করবে কেন? তাহলে কি আমার মতো বাবাও অন্ধকারে ভয় পেয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ছিল? কিন্তু বাবা তো অমন ভীতু মানুষ নয়। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি.... বাবার মতো প্রাকটিকাল আর সাহসী মানুষ খুব কম হয়। বাবাও নাকি নিজের ছোট বয়সে ওসবের সাক্ষী হয়েছিল... সে অন্য ঘটনা... পরে একদিন বলবো.... যাইহোক সেকারণে ভুত টুতে বাবার পুরো বিশ্বাস আছে কিন্তু তাবলে ভীতু বাবা কোনোদিন ছিলোনা..... আর আজ কিনা সেই মানুষ ভয় পেয়ে... নানা বিশ্বাস হলোনা লজিকটা। 

আমি সোজা তাকিয়ে ছিলাম দরজার দিকে। আলোয় আলোকিত ওই জায়গাটা। এর মাঝে আরেকটা ব্যাপার হয়েছিলো.... দুমদুম করে দুটো চাপা আওয়াজও শুনতে পেয়েছিলাম। কাজ সেরে আবার ঠিকঠাক হয়ে হাত ধুয়ে বেরিয়ে এসে দেখি বাবা ওই দূরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখলাম বাবার মুখে ভয়ের কোনো ছাপ টাপ নেই। সে অন্ধকারেই দাঁড়িয়ে আছে বেশ। আমি এগিয়ে গিয়ে বাবাকে বললাম - তোমায় তো সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলাম... আবার খালি খালি এতটা হেঁটে এগিয়ে গেছিলে কেন?

বাবা বললো সে নাকি দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু আমি ভেতরে যাবার জাস্ট একটু পরেই নাকি পেছনে রান্না ঘরের থেকে বাসনের হালকা আওয়াজ পায় বাবা। একবার না তিন চার বার। বাবা ইঁদুর ভেবে ওপাশের দেয়ালে দুম দুম করে দুটো ধাক্কা মারে। তাতেই আওয়াজ পুরো থেমে যায়। আর তখনি বাবা এগিয়ে গিয়ে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তারমানে বাবা বাথরুমের দিকে আসা তো দূরের কথা বরং ওখান থেকেই সরে গেছিলো.... তাহলে আমি যেটা দেখলাম সেটা কি? চোখের ভুল? আবারো চোখ এই ভাবে ধোঁকা দিলো? আসলে হতেও পারে... একবার একটা ব্যাপারে নেগেটিভ চিন্তা মাথায় ঢুকে গেলে ওতো সহজে বেরিয়ে আসা যায়না.. আর এতো সেরার সেরা চিন্তা... কি বলিস?

আমি একটু হেসে চায়ে চুমুক দিয়ে বললাম - তোমরা তো দেখলাম ওই কাকু কাকিমার ঘরের বাইরে ওই দেয়ালটায় ঠাকুরের ছবি লাগিয়েছো.... মানে.... তার পরেও.....?

সুভাষ দা চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন - মা রোজ পুজো করে, ধুপ দেয়... ওসব তো আছেই.... আর সেইজন্যই কিনা জানিনা.... মায়েদের ঐদিকের বড়ো ঘরটায় এই এতদিনে একটাও প্রব্লেম হয়নি.... মায়ের সাথেও যা হলো সেই বাথরুমের দিকে, বাবাও হোঁচট খেলো ওই বাথরুমের দিকে, আমি ভয় পেলাম সেদিন এই বারান্দাতে..... কিন্তু ঐদিকের ঘরে নো ডিস্টার্বেন্স। আমি জানিনা এর জন্য ভগবানের ছবির করিশমা আছে কিনা কিন্তু আমাদের এই দিকের ভাগটায় ওসব যেন বেশি হয়। বিশেষ করে বাথরুমের দিকটায়। এবার সেটা বাথরুম বলে... নাকি অন্য কোনো ব্যাপার জানিনা ভাই।

আমি জিজ্ঞেস করলাম - আচ্ছা তুমি কি ওই পেছনের দিকের যে দরজাটার কথা বললে....মানে ওই রান্না ঘরের সঙ্গে লাগোয়া... ওটা কি খুলেছিলে?

হুমমম খুলেছিলাম তো - দাদা বললো।

 তারপরে চায়ে চুমুক দিয়ে আবার বললো - আসার পরের দিনই খুলেছিলাম। তাছাড়া প্রথম যেদিন বাড়ি দেখতে এসেছিলাম সেদিনও তো বাড়ির মালিক ওই দরজা খুলে পেছনে কি আছে দেখিয়েছিল। আর আমরা আসার পর ওদিকে দুবার মতো গেছিলাম। তোকে বলেছিলাম না আগে বাগান মতো ছিল... এখন পুরো ঝোপঝার আর একটা কুয়ো। আর পুরো পেছনটা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ঐদিক দিয়েই ইঁদুর গুলো ঢুকে আসে ভেবে ওই দরজা বন্ধ করে  দরজার নিচে কাপড় দিয়ে টাইট করে গুঁজে দিয়েছি । তবে ওই পেছনের অংশতে গেলে ওই পাশের যে ঘরটা আছে ওটা দেখাও যায়। একটা জানলা তাও আবার ভেজানো। খুলে দেখেওছিলাম.... ওই ভাঙা চেয়ার টেবিল আলনা অনেক কাঠ আরও কয়েকটা জিনিস ছাড়া কিস্সু নেই।

- ওগুলোই কি রাতে আপনাআপনি নড়াচড়া করে নাকি গো?

দাদা মুচকি হেসে বললো - কে জানে ভাই.....তবে ওই আওয়াজ আর কিন্তু পাইনি জানিস... জানিনা আবার কোনোদিন পেতেও পারি। আমার কি মনে হয় জানিস..... কেউ যেন চাইছেনা আমরা এখানে থাকি..... অথবা এমনও হতে পারে কিছু হয়তো বলতে চাইছে কিন্তু পারছেনা.....


আমি ভুরু কুঁচকে দাদাকে জিগ্যেস করেছিলাম - তাহলে কি তুমি ধরেই নিচ্ছ এটা প্যারানরমাল কিছু? এমনও তো হতে পারে পুরোটা আমাদের একটা ভুল ধারণা..... মানে এমনই কিছু পরিস্থিতির সামনে পরে গেছো যে পুরোটা মিলেমিশে জগাখিচুড়ি কেস হয়ে গেছে... হতেও তো পারে?

দাদাও চিন্তিত মুখে ভেবে বললেন - আমি তো সেটাই ভাবি.. সেটাই ভাবতে চাই... কারণ ওসব ভেবে তো আর এখন পট করে এ বাড়ি ছাড়তেও পারবোনা... আর বাড়ি তো আর বাজারে কিলো দরে বিক্রি হয়না যে আরেকটাতে গিয়ে ঢুকবো। সত্যিই.... আজ ভাবি যদি সেদিন প্রোমোটারের ওই ভাঙা বাড়িতেই গিয়ে উঠতাম ভালো হতো..... আবার এটাও ভাবি.... সে বাড়িতে গিয়ে যদি এর থেকেও বাড়াবাড়ি হতো? এমন একটা গোছানো বাড়িতেই এমন কান্ড... তাহলে ভাব ওই বাড়িতে কিছু থাকলে সে কি খেল দেখাতো?

দাদা কথাটা হাসির ছলে বললেও আমি বুঝেছিলাম দাদা নিজেকে হালকা করার চেষ্টা অনবরত করে চলেছে। আমি নিজেই একটু আগে দাদাকে বলেছিলাম পুরোটা হয়তো কয়েনসিডেন্স... কিন্তু এতবার এতগুলো ভুল ধারণা কিকরে হতে পারে সেটা আমি নিজেই গুছিয়ে উঠতে পারিনি আজও... আর তাছাড়া আমার নিজের সাথেও যেটা হয়েছিল ওই বারান্দায় একা থাকাকালীন... সেটাও কি তবে আমার ভুল ধারণা? এরপর আমি একটু পরেই বেরিয়ে পড়েছিলাম ওই বাড়ি থেকে। শুধু আসার আগে দাদাকে বলেছিলাম একটি হনুমানজির ফটো কিনে এনে তাদের ঘরে রাখতে। তাতে কোনো ফল হোক বা নাই হোক অন্তত মনের একটা জোর একটু হলেও বাড়বে। আমি যখন বাড়ির সবার থেকে বিদায় নিয়ে দাদার সাথেই বাইরে এসে এই হনুমান জির ছবির কথাটা বলছিলাম ঠিক তার পরেই দাদা বলেছিল ওপাশের বাড়ির পাঁচিলে তাকাতে... আমি তাকিয়ে দেখি একটা তাগড়াই হুলো বেড়াল... গায়ে সাদা কালো ছপ আয়েস করে বসে গা চাটছে। সেটা দেখে দাদার দিকে প্রশ্নসূচক চাহুনিতে তাকাতেই দাদা হেসে বলেছিল ওটাই নাকি সেই বেড়ালটা। এরপর আমি বিদায় নিয়ে চলে আসি।

এই কাহিনীর সমাপ্তি আমার আজও জানা নেই... কারণ ইহা আজও বর্তমান... বা বলা উচিত চলমান। যদিও আগের থেকে ওসবের পরিমান অনেক হ্রাস পেয়েছে কিন্তু থেমে পুরোপুরি যায়নি। ওই ভুল ধারণা গুলো আজও ওই বাড়ির প্রত্যেককে নিজেদের ভুল ধরিয়ে দিতে যেন মরিয়া... ভ্রান্তি আর বাস্তবের লড়াই আজও হয়ে চলেছে ওই বাড়িতে। হয়তো সে আগের মতো আর ভয় দেখাচ্ছে না... হয়তো সেও মেনে নিয়েছে দাদার পরিবারকে.... কি জানি? পুরোটাই কি একটা ভুল? নাকি এই ধরণের ব্যাপার নিয়ে সাধারণত যেটা আমরা ভেবে থাকি সেটাই ঠিক? উত্তর আমার জানা নেই।


||সমাপ্ত||

[Image: 20240716-212831.jpg]
[+] 13 users Like Baban's post
Like Reply


Messages In This Thread
ভয় - বাবান - by Baban - 31-01-2022, 11:30 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 01-02-2022, 12:31 AM
RE: ভয় - বাবান - by chndnds - 01-02-2022, 07:25 AM
RE: ভয় - বাবান - by ddey333 - 01-02-2022, 09:53 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 01-02-2022, 11:48 AM
RE: ভয় - বাবান - by Bichitro - 01-02-2022, 10:31 AM
RE: ভয় - বাবান - by Bumba_1 - 01-02-2022, 12:10 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 01-02-2022, 12:47 PM
RE: ভয় - বাবান - by bourses - 01-02-2022, 12:21 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 01-02-2022, 10:19 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bumba_1 - 01-02-2022, 10:33 PM
RE: ভয় - বাবান - by ddey333 - 01-02-2022, 10:37 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bichitro - 01-02-2022, 10:40 PM
RE: ভয় - বাবান - by Rajaryan25 - 01-02-2022, 11:13 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 02-02-2022, 12:00 AM
RE: ভয় - বাবান - by ambrox33 - 02-02-2022, 12:19 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 02-02-2022, 12:10 PM
RE: ভয় - বাবান - by bourses - 02-02-2022, 12:14 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 02-02-2022, 07:33 PM
RE: ভয় - বাবান - by ddey333 - 02-02-2022, 10:42 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 02-02-2022, 10:53 PM
RE: ভয় - বাবান - by Sanjay Sen - 03-02-2022, 11:37 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 03-02-2022, 12:02 PM
RE: ভয় - বাবান - by bourses - 03-02-2022, 12:40 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 03-02-2022, 02:00 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 03-02-2022, 11:04 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 04-02-2022, 12:17 AM
RE: ভয় - বাবান - by Rajaryan25 - 03-02-2022, 11:27 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bumba_1 - 04-02-2022, 09:03 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 04-02-2022, 12:37 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bichitro - 04-02-2022, 09:44 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 04-02-2022, 02:47 PM
RE: ভয় - বাবান - by bourses - 04-02-2022, 03:41 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 04-02-2022, 04:32 PM
RE: ভয় - বাবান - by Sanjay Sen - 04-02-2022, 04:43 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 04-02-2022, 06:46 PM
RE: ভয় - বাবান - by ddey333 - 04-02-2022, 05:41 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 05-02-2022, 12:56 AM
RE: ভয় - বাবান - by RANA ROY - 05-02-2022, 10:41 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 05-02-2022, 12:28 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 05-02-2022, 10:29 PM
RE: ভয় - বাবান - by Sanjay Sen - 05-02-2022, 10:59 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bichitro - 05-02-2022, 11:33 PM
RE: ভয় - বাবান - by amzad2004 - 05-02-2022, 11:49 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 06-02-2022, 12:09 AM
RE: ভয় - বাবান - by Bumba_1 - 06-02-2022, 11:29 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 06-02-2022, 12:06 PM
RE: ভয় - বাবান - by ambrox33 - 07-02-2022, 08:10 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 08-02-2022, 03:53 PM
RE: ভয় - বাবান - by bourses - 08-02-2022, 04:01 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 09-02-2022, 10:23 PM
RE: ভয় - বাবান - by a-man - 09-02-2022, 12:38 PM
RE: ভয় - বাবান - by Avishek - 10-02-2022, 01:58 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 10-02-2022, 09:28 PM
RE: ভয় - বাবান - by bourses - 19-02-2022, 01:07 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 11-02-2022, 09:17 PM
RE: ভয় - বাবান - by Papai - 19-02-2022, 03:11 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 19-02-2022, 02:05 PM
RE: ভয় - বাবান - by Odrisho balok - 24-02-2022, 10:44 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 25-02-2022, 08:28 PM
RE: ভয় - বাবান - by xx30 - 03-03-2022, 01:55 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 03-03-2022, 10:06 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 13-05-2022, 09:54 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bumba_1 - 14-05-2022, 02:40 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 14-05-2022, 06:44 PM
RE: ভয় - বাবান - by nextpage - 14-05-2022, 07:19 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 15-05-2022, 07:04 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 04-06-2022, 12:37 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bangla Golpo - 14-07-2022, 11:15 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 21-07-2022, 08:44 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 31-12-2022, 08:16 PM
RE: ভয় - বাবান - by Boti babu - 31-12-2022, 09:44 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 14-01-2023, 09:40 PM
RE: ভয় - বাবান - by Bumba_1 - 14-01-2023, 09:45 PM
RE: ভয় - বাবান - by Papai - 14-01-2023, 10:30 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 15-01-2023, 01:12 PM
RE: ভয় - বাবান - by naag.champa - 16-01-2023, 10:35 AM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 16-01-2023, 12:05 PM
RE: ভয় - বাবান - by Baban - 06-04-2023, 12:26 PM



Users browsing this thread: 17 Guest(s)