Thread Rating:
  • 18 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy শালিনীর অপহরণ --- bourses
#18
শালিনী আর একবার ঘরের চারপাশটা দেখল। তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে বিরক্তির সুরে বলল, ‘কিসের ভালো ব্যবহার? আর এটা কিসের জায়গা, হ্যা? দেখে তো মনে হচ্ছে একটা স্পেস শিপের সেট। তা তোমরা এরকম সেই সত্তর দশকের পোষাক পরে রয়েছ কেন? আরে বাবা, একটু লুজ ফিটিংস পড়তে হয়। যদিও মেয়েরা টাইট ড্রেস পছন্দ করে, তবুও, সামথিং ইয়ু নো, শুড লীভ টু দ্য ইমাজিনেশন, না কি?’ বলতে বলতে চোখটা অটোম্যাটিক আবার ওদের পায়ের সন্ধিস্থলে চলে গেল। ওফ। ওগুলো নিশ্চয় ফলস।


শালিনী চেয়ার ছেড়ে ততক্ষনে উঠে দাঁড়িয়েছে। আগের থেকে এখন অনেকটাই ভালো লাগছে। সেই ঝিম ভাবটাও কমে গেছে। অন্তত নিজের পায়ে দাড়াতে পারছে। যাক, অনেক হয়েছে ইয়ার্কি। আর ভালো লাগছে না। এই কিম্ভূতমার্কা সেটের মধ্যে দাড়িয়ে সময় নষ্ট করার ইচ্ছা শালিনীর একদমই নেই। ওদিকে সুকান্ত ওকে নিজের জায়গায় না দেখে নিশ্চয় এতক্ষনে চিৎকার করতে শুরু করে দিয়েছে। এরা নির্ঘাত ওই গো অ্যাজ ইয়ু লাইক পার্টির মেম্বার সব। যত্ত সব। কাজের সময় এধরনের ইয়ার্কি শালিনীর একদম পছন্দ নয়। বরং ডিউটি শেষ হলে সামনের মালটাকে চেষ্টা করবে ফ্লাটে নিয়ে যাবার। জমিয়ে মস্তি করা যাবে। মালটাকে দেখে তো বেশ জিম করা পেশাদার বডি বিল্ডারদের মতই লাগছে। পায়ের ফাঁকের জিনিসটা যদি সত্যিই হয়? তাহলে নির্ঘাত ফেটে যাবে শালিনীরটা। ভাবতেই কেমন ভেজা ভেজা ভাব অনুভব করল শালিনী নিজের দু পায়ের ফাঁকে।

অনেক হয়েছে। এবার আমায় যেতে হবে।একটা গাম্ভির্য এনে কথাগুলো ওদের দিকে ছুড়ে দিল। নিজের স্বভাবগত ভঙ্গিমায় গট গট করে ওদের এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেল। কিন্তু বেরুবে কোথা দিয়ে? ঘরের পুরোটাই তো একরকম দেয়াল। দরজা কই? সত্যি। বিরক্তি ধরে যাচ্ছে এবার। দেয়ালটায় হাতড়াতে হাতড়াতে আবার ঝাঁঝিয়ে উঠে বলল, ‘কি হল? বেরুবার দরজাটা দেখালে উপকার হয়।

ঘরের ওই তিনজন এতক্ষন একটাও কথা বলে নি। চুপ করে ওকে লক্ষ করে যাচ্ছিল। এবার ক্যাপ্টেন এগিয়ে গেল ওর দিকে। এসে দেয়ালের একটা জায়গায় হাত দিয়ে একটু চাপ দিতেই সরাৎ করে খানিকটা অংশ খুলে একটা দরজা তৈরী হয়ে গেল। সামনে আর একটা ঘরের মত। শালিনী কিছু বুঝবার আগেই একটা হাল্কা ঠেলা দিল ওকে। প্রায় হুমড়ি খেয়ে ঢুকে গেল সেই ঘরটার মধ্যে। আর সাথে সাথে ওর পেছনে সেই সংক্রিয় দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল। ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে গেল শালিনী


মাথাটা ওর এমনিতেই গরম হয়ে ছিল। তারপর এভাবে একটা ঘরের মধ্যে ঠেলে ঢুকিয়ে বন্ধ করে দিতে আর সহ্য হলনা যেন। সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া দেওয়ালে দমাদম ঘুসি মারতে লাগল। সাথে চিৎকার করে ওদের গালাগালি দিতে থাকলাম।শালা। বাস্টার্ডের দল। কি ভেবেছ? এভাবে আমায় আটকে রাখবে? ইয়ু মাদার ফাকার। একবার বেরুতে দাও। যদি না জেলের ঘানি ঘুরিয়েছি তো আমার নাম শালিনী নয়।
 
 
 
শালিনী যতই চিৎকার করুক, বাইরের ঘরের দুজন লোকের যেন কোন হেলদোল নেই শুধু সেই ছোকরাটি ছাড়া তার মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে ব্যাপারটা তার ঠিক পছন্দ হচ্ছে না, ভাবে ওই রকম একটা সুন্দরীকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখাতে

- ‘
আরে ক্যাপ্টেন, তুমি তো মেয়েটাকে নিজের কেবিনেই ঢুকিয়ে দিলেমিন মিন করে বলে উঠল ক্যাপ্টেনকে

- ‘
তো, তাতে কি হল? প্রাইভেট, তোমায় আগেই বলেছিলাম নিজের কাজে যাও তোমার এখানকার কাজ শেষ হয়ে গেছে যদি প্রয়োজন পড়ে, ডেকে নেবো নাও, মুভ

- ‘
ঠিক আছে, ক্যাপ্টেনঅগত্যা কাচুমাচু মুখ করে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে ছোকরা


এখন ওই ঘরে দুজন ওই ক্যাপ্টেন আর তার সাগরেদ

-
সত্যি ক্যাপ্টেন, প্রাইভেট তো ঠিক কথাই বলেছিল তুমি হটাৎ মেয়েটাকে তোমার কেবিনে ঢুকিয়ে দিলে কেন? আমাদের তো আরো অনেক গেস্ট রুম খালি আছে, সে গুলো ছেড়ে তোমার কেবিন, বুঝলাম না ব্যপারটাএম৫, ক্যাপ্টেনের উদ্দেশ্যে বলে উঠল

- ‘
আরে এম৫, বুঝলে না? ওই প্রাইভেটের ঘটে কি অত বুদ্ধি আছে নাকি? ওটার বুদ্ধি এখনও সেরকম পাকে নি মেয়েটাকে দেখে যা মনের অবস্থা দেখলাম, তাতে আমি ঠিক গেস্ট রুমে রাখার সাহস করলাম না তারপর দেখবো বিপন্নকে সাহায্য করতে গিয়ে মেয়েটাকে পালাবার পথ করে দিল তখন আমার কি দশা হবে বুঝতে পারছ? তারচেয়ে এই ভালো একমাত্র আমার কেবিনে ওর ঢোকার অধিকার নেইক্যাপ্টেনের উত্তর

- ‘
ঠিক বুঝলাম না বিপন্ন বলতে কি বলতে চাইছ ক্যাপ্টেন আমাদের ওপর অর্ডার ছিল মেয়েটাকে নেবুলা গ্রহে পৌছে দেবার তা, তুমি এরপর আরো কোনো নতুন অর্ডার পেয়েছ নাকি আমাদের প্রবীনদের থেকে?’

- ‘
আরে, না, না এখনও তো নতুন কোন অর্ডার আসেনি প্রবীনদের থেকে সর্বশেষ অর্ডার এসেছিল ট্রাকিং সিগন্যাল বন্ধ করে মেয়েটিকে নিয়ে নেবুলাতে পৌছে দেবার ব্যস আর কিছু নয়

- ‘
সত্যি ধরনের মিশনে আমি আগে কখনও যায়নি মেয়ে ধরে আনার মিশন যাই হোক, তা তুমি কোথায় শোবে?’

- ‘
দেখি, কোন একটা গেস্ট রুমে শুয়ে পড়লেই হল এই মিশনটা শেষ হলে বাঁচি যা একটা মেয়েকে নিয়ে যেতে হচ্ছে এমন জাঁদরেল মেয়ে সচারচর দেখিনি আগে

-
তবে যাই বল ক্যাপ্টেন, মেয়েটা কিন্তু টেরিফিক দেখতেও দারুন, ফিগারটাও দুর্দান্ত মেয়েটার জামার নীচে বুকদুটো দেখেছো? যেমন ফিগার, তার সাথে মানান সই বুক ওফ তুমি ক্যাপ্টেন কি করছ ওকে নিজের কেবিনটা দিয়ে নিজে গেস্টরুমে থাকার বন্দোবস্ত করছ আহা কি দুঃখ
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: শালিনীর অপহরণ --- bourses - by ddey333 - 02-02-2022, 11:28 PM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)