19-01-2022, 07:01 PM
মরণ দৃঢ়তা
শুরু:
শুরু:
ভিজে ছাত। বর্ষার দুপুর। পাশাপাশি।
প্যান্টি: "এই, একটা বৈজ্ঞানিক গল্প শুনবি?"
জাঙিয়া: "বল তা হলে, ছোটো করে।"
ভিড় বাসে জনৈকা মহিলা: "উফ্ বাবা, বড্ড চুলকোচ্ছে, আর মিশমিশও করছে!"
গায়ে সেঁটে থাকা যুবক: "কোথায় বউদি?"
মহিলা: "ওই আমার যেখানটায়, তখন থেকে তুমি হাত দিয়ে, দেদার টেপাটেপি করে যাচ্ছ, ওইখানটাতেই!"
যুবক: "ওহ্ সরি! আমি তো ভাবলাম এটা বুঝি, বাসেরই নরম গদি-টদি কিছু একটা হবে…"
মহিলা: "আচ্ছা, আমিও বুঝেছি, এখন তোমার কী ব্যবস্থা করা দরকার!"
কিছুক্ষণ পর।
হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের ইয়াং লেডি-ডাক্তার: "এ বাবা, এই ছেলেটার বডিতে তো একটাও হাড় আস্ত নেই!
একে এভাবে কে মারল?"
উত্তেজিত জনতা: "আমরা মেরেছি!"
ইয়াং লেডি-ডাক্তার: "এখন তা হলে কী হবে?"
উত্তেজিত জনতা: "হারামিটার সব হাড় আমরা, যত্ন করে ভেঙে, গুঁড়ো-গুঁড়ো করে দিয়েছি, কিন্তু মালটার যেখানটায় কোনও হাড়ই নেই, সেখানটায়, এতো ধোলাই খাওয়ার পরও, এখনও কেমন রড হয়ে রয়েছে, দেখুন!
ওটা ভাঙবার ব্যবস্থা করবার জন্যই, ওকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি…"
ইয়াং লেডি-ডাক্তার (গালে হাত দিয়ে): "ওয়াও! কী স্টিফ্ হয়ে রয়েছে এটা! যেন আইফেল টাওয়ার!"
আহত যুবক (ক্ষীণ গলায়): "ওটা আমার মরবার আগের রিগর-মর্টিস্! আপনার ওই নরম হাত দুটো দিয়ে, যন্তরটাকে টিপেটুপে, অথবা ওই সুন্দর ঠোঁট দুটো বাড়িয়ে, সামান্য ফুঁ-টু দিয়ে, একটু নেড়েচেড়ে, পরীক্ষা করে দেখুন না, প্লিজ়! তা হলে মরেও আমি একটু আরাম পাই…"
শেষ:
প্যান্টি: "কী হল রে, অমন ঝুলে পড়লি কেন?"
জাঙিয়া: "আমারও শরীরটা কেমন যেন ডাঁশডাঁশ করছে, তোর গপপোটা শোনবার পর থেকেই…"
মরণ দৃঢ়তা
১৪.০১.২০২২