19-01-2022, 06:40 AM
(18-01-2022, 05:09 PM)nandanadasnandana Wrote: আপনাদের উৎসাহ, ভালবাসাতেই গল্প লেখা শুরু আমার। আমরা গল্পের নায়ক নায়িকার দুঃখে কাঁদি, আবার ওদের আনন্দে আনন্দ ও পাই। মরতে তো সবাই কেই হয়। ভগবান নন্দনা কে মারলেও, ওকে কি একেবারে নিঃস্ব করে মেরেছেন? ওর মধ্যে পাগলামো টা ঢুকিয়ে দিয়ে কি, নন্দনা কেই আশীর্ব্বাদ করেন নি? ভেবে দেখুন নন্দনা কিন্তু অর্জুন কে ভালোবাসতে বাসতেই মারা গেছে। আমার হলে এই রকম মরন হলে আমি তো বেঁচে যেতাম। এই মরণে বড্ড লোভ মেয়েদের। আমার ও আছে। সে তো এই ভেবেই মরেছে, যে ও স্বামী পুত্র কন্যা সব পেয়েছে। সবার আশীর্ব্বাদ পেয়েছে
নরক যন্ত্রনা তো ওদের পরিবারের চলছে এখন। সারা জীবন, ওদের মৃত্যুর দায়ভার নিয়ে চলতে হবে। চলতে হবে মনের উপরে একটা বিশাল বোঝার ভার নিয়ে ওদের। কাজেই, অর্জুন নন্দনা কে ভগবান মুক্তি দিয়েছেন বলেই মনে হয়।
শেষবার কোন গল্প পড়ে চোখে জল এসেছিল খুব ভালো মনে নেই, খুব সম্ভবত প্রফুল্ল রায়ের রথযাত্রা পড়ে। আর আজ বহুদিন পরে আপনার এই গল্পটি পড়ে সেটাই হলো।
আমি এই ফোরামের সদস্য সেই সময় থেকে যখন এর নাম xboard ছিল। এই এতগুলো বছরে ঠিক এই মানের সমাপ্তি কোন গল্পে দেখেছি বলে আমার অন্তত মনে হয় না। এটা অবশ্যই আমার একান্ত নিজস্ব অভিমত।
গল্পের সমালোচনা করার ধৃষ্টতা বা জ্ঞান কোনোটাই আমার নেই। শুধু দুটো কথা বলতে চাই।
প্রথমটা অনেক ছোটোবেলায় আমার খুব কাছের ও খুব শ্রদ্ধেয় একজন মানুষের কাছে শোনা একটা কথা
Our sweetest songs are those that tell of saddest thought.
আর দ্বিতীয়টা আমার সবচেয়ে প্রিয় সাহিত্যিকের খুব প্রিয় একটা গল্পের শেষের কয়েকটা পংতি
আমার মনে হয়, যে দেশের নর-নারীর মধ্যে পরস্পরের হৃদয় জয় করিয়া বিবাহ করিবার রীতি নাই, বরঞ্চ তাহা নিন্দার সামগ্রী, যে দেশের নর-নারী আশা করিবার সৌভাগ্য, আকাঙ্ক্ষা করিবার ভয়ঙ্কর আনন্দ হইতে চিরদিনের জন্য বঞ্চিত, যাহাদের জয়ের গর্ব, পরাজয়ের ব্যথা, কোনটাই জীবনে একটিবারও বহন করিতে হয় না, যাহাদের ভুল করিবার দুঃখ, আর ভুল না করিবার আত্মপ্রসাদ, কিছুরই বালাই নাই, যাহাদের প্রাচীন এবং বহুদর্শী বিজ্ঞ-সমাজ সর্বপ্রকারের হাঙ্গামা হইতে অত্যন্ত সাবধানে দেশের লোককে তফাত করিয়া, আজীবন কেবল ভালটি হইয়া থাকিবারই ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন, তাই বিবাহ-ব্যাপারটা যাহাদের শুধু নিছক contract তা সে যতই কেননা বৈদিক মন্ত্র দিয়া document পাকা করা হোক, সে দেশের লোকের সাধ্যই নাই মৃত্যুঞ্জয়ের অন্ন-পাপের কারণ বোঝে।
আশা করি দুটো কথারই প্রাসঙ্গিকতা আপনি বুঝবেন।
পরিশেষে একটাই অনুরোধ। পরের গল্পটি যেন এরকম হৃদয় নিঃস্ব করা না হয়। গভীরতা একই থাকুক, শুধু ব্যাঞ্জনা যেন এতটা কষ্টদায়ক না হয়।
খুব ভালো থাকুন। আপনার লেখনী এই ফোরামের সদস্যদের সুসাহিত্যের অমৃতরস পরিবেশন করতে থাকুক। জয়তু।